একাওর( সপ্তম ও অষ্ঠম) এপিসোডের রিভিউ।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
পরিচালক | তামিম নূর |
প্লাটফর্ম | হইচই |
ভাষা | বাংলা |
এপিসোড সংখ্যা | ৮ |
অভিনয়ে | মোস্তফা মনোয়ার, নুসরাত ইমরোজ তিশা, রাফিয়া রশিদ মিথিলা, মোস্তাফিজুর নূর ইসলাম, তারিক আনাম খান, শতাব্দী ওয়াদুদ আরও অনেকে। |
পাল্টা আঘাত
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা সেলিম তার আস্তানায় এসেছে। এবং এসে সিরাজের মৃতদেহ দেখে রেগে যায়। এবং বলে এবার একটা পাকিস্তানি আর্মিকেউ কেউ বেঁচে ফিরতে দেব না। পরের দৃশ্যে দেখা যায় সেলিম তার বাড়িতে যায়। এবং সেখানে জিজ্ঞেস করে সেলিম ভাই, ভাইয়ের (সিরাজের) কোনো খবর পেয়েছেন। তখন সেলিম কোনো কথা বলে না। সেলিমের চুপ থাকা দেখে জয়ীতা বুঝে যায় তার ভাই আর বেঁচে নেই। পরের দৃশ্যে দেখা যায় মেজর ওয়াসিম এর স্ত্রী সাংবাদিক রুহী তার অফিসে যায়। এবং সেখানে সে বলে খুব দ্রুতই বাংলাদেশে কোনো অঘটন ঘটতে চলেছে। আমাদের দ্রুত এটা প্রচার করতে হবে বিশ্বের কাছে। কিন্তু আমি সেই ফাইল পাইনি। পরের দৃশ্যে দেখা যায় মেজর ওয়াসিম তার স্যারের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন ঐ আর্মি অফিসার বলেন অপারেশন আজকে রাতেই হবে। এবং অপারেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে অপারেশন সার্চলাইট। তখন মেজর ওয়াসিম বলে কিন্তু স্যার ইয়াহিয়া খান, জেনারেল ভূট্টো দুজনই তো ঢাকায়। তখন ঐ অফিসার বলে সব কিছুই পূর্ব পরিকল্পিত।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল। সেখানে একজন ছাএ এসে বলছে আজ আমার ভালো লাগছে না। রাস্তায় কোনো লোকজন নেই দোকানপাট সব বন্ধ। আজ রাতে মনে হয় কিছু একটা হবে। তখন গুলির শব্দ পাওয়া যায়। দেখা ক্যাম্পাসে আর্মিরা ট্যাংক নিয়ে গুলি করছে সব ছাএরা পালিয়ে যেতে শুরু করে। এবং অন্যদিকে দেখা যায় রুহী বিদেশী এক সাংবাদিককে সব বলছে। এবং তখনই ওখানেও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। অন্যদিকে সেলিম ও তার বন্ধুরা সেলিমের কাছে থাকা অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে যায়। সেলিম জয়ীতা কে নিয়ে তার বাড়িতে রেখে আসে। এবং সেলিম তার এক বন্ধুকে ওখানে রেখে আসে। সেলিম ফিরে আসছে সেলিমের হাতে অস্ত্র তখন জয়ীতা বলছে সেলিম তোমার খেয়াল রেখ। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব। সেলিম তার আস্তানায় যাওয়া বেশ কিছু আর্মিকে হত্যা করেছে। সেটা দেখে মেজর ওয়াসিম কথা বলে এবং আরও সেনা পাঠাতে বলে এবং ওখান থেকে চলে যায়। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা।
কালবেলা
এই এপিসোডের প্রথমেই দেখা যায় মেজর ওয়াসিম সাধারণ সেনাদের অর্ডার দিচ্ছে ঐখানে গিয়ে সেলিমদের উপর আক্রমণ করতে। একজন সেনা বলে উঠে স্যার ওখানে অনেক স্নাইপার লুকানো আছে আমরা কী ওখানে মরতে যাচ্ছি। তখন মেজর ওয়াসিম গালি দিয়ে বলে আমি তোমাদের সিদ্ধান্ত জানতে চাইনি যেতে বলেছি যাবা। পরের দৃশ্যে দেখা যায় বসির নামক একজন রাজাকার বলছে স্যার সেলিমের বাসার ঠিকানা পেয়েছি। মেজর ওয়াসিম বলে ঠিক আছে আমি আসছি। তখনই বসির এবং কিছু আর্মি ঐ বাড়িতে যায়। বেশ কিছুক্ষণ দরজা খুলতে বললে কেউ দরজা খুলতে যায় না। কারণ সেলিম বলে গেছে সে ছাড়া অন্য কেউ আসলে দরজা না খুলতে। একপর্যায়ে জয়ীতার মা বলে আমি খুলছি। তখন জয়ীতা এবং সেলিমের ঐ বন্ধু ভেতরে যায়। দরজা খোলার পর ঢুকেই সেলিমকে না পেয়ে বসির জয়ীতার মা কে গুলি করে হত্যা করে। এরপর বাইরে গিয়ে দেখে সেলিমের বন্ধু তাকেও হত্যা করে। অন্যদিকে জয়ীতার হাতেও বন্ধুক ছিল সে সুযোগ পেয়ে পরপর দুইটা গুলি করে বসিরকে এবং বসির পড়ে যায়।
ভেতরে গিয়ে জয়ীতা দেখতে পাই তার মা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন সে কান্না করতে থাকে ঐ অবস্থায় মৃতপ্রায় বসির গুলি করে জয়ীতা কে। অন্যদিকে দেখা যায় স্নাইপার হাতে নিয়ে বসে অপেক্ষা করছে। সেই সময়ে সেলিমের বন্ধু দুলু গিয়ে বলে পুরো মহল্লায় আর্মিতে ভরে গেছে। এই অবস্থায় ওদের সঙ্গে আমরা বেশিক্ষণ টিকতে পারব না। চল আপাতত পালিয়ে যায় পরে ফিরে আসা যাবে। সেলিম মেনে নেয়। তখন সেলিম বলে ঠিক আছে তুই ব্যবস্থা কর আমি জয়ীতার কাছে যাচ্ছি। সেলিম সেখানে গিয়ে দেখে গুলিবিদ্ধ জয়ীতা পড়ে আছে এবং তার বন্ধু ও জয়ীতার মা মারা গেছে। তখন সেলিম রেগে গিয়ে স্নাইপার নিয়ে রাস্তায় নেমে যায় এবং সামনেই দেখে আর্মি। সেলিম গুলি করতে থাকে এবং অন্যরা আর্মিরাও গুলি করতে থাকে। সেলিমের গুলিতে মেজর ওয়াসিম মারা যায় এবং আর্মিদের গুলিতে সেলিমও মারা যায়। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা এবং ওয়েব সিরিজটা।
ব্যক্তিগত মতামত
বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা কালো রাত আছে। যাকে আমরা অপারেশন সার্চলাইট বলে জানি। যে রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালায়। একাওর ওয়েব সিরিজ টা সেই কাহিনী নিয়ে নির্মিত। পাকিস্তানি আর্মির এই প্ল্যান টা বাংলাদেশের একজন আর্মি অফিসার জেনে যায়। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত তাকে হত্যা করে। এবং শেষ পযর্ন্ত এই মিশন টা বাস্তবায়ন হয়। ওয়েব সিরিজের পরিবেশ টা একেবারে ঐ সময়ের মতোই লেগেছে। বলা যায় অসাধারন সিনেমাটোগ্রাফি অসাধারণ চিএনাট্য ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ লেগেছে আমার কাছে ওয়েব সিরিজটা।
ব্যক্তিগত রেটিং: ৮/১০
অফিশিয়াল ট্রেলার লিংক
https://www.hoichoi.tv/shows/watch-ekattor-bengali-web-series-online
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
৭১ ওয়েব সিরিজটার গল্প পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে সেই সময় গুলোকে অভিনয়ের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছে এই বিষয়গুলো ভালো লেগেছে। তবে এমনিতে এই ওয়েব সিরিজটা আমার দেখা হয়নি। ভাবছি পরবর্তীতে সময় পেলে দেখে নিব।