ইউরো ফাইনাল ( স্পেন VS ইংল্যান্ড )।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Sony Liv channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
ইংল্যান্ডের ফ্যানরা ইউরো বা বিশ্বকাপ নিয়ে একটা কথা বলে থাকে ফুটবল ইজ নেভার কামিং হোম। অর্থাৎ তারা ফুটবলের ট্রফির ঘর মনে করে নিজেদের দেশকে। কারণ এই খেলার শুরু করেছে তারাই। গতকাল ছিল ইউরো ২০২৪ এর ফাইনাল। ইউরোর সবচাইতে দুই শক্তিশালী দল মুখোমুখি হয়েছিল এই ম্যাচে। যদিও পারফরম্যান্স এর দিক দিয়ে স্পেন ইউরোতে ছিল অনন্য। ম্যাচের আগের দিন হ্যারি কেইন একটা কথা বলেছিল ইংল্যান্ডের হয়ে একটা ট্রফির জন্য আমি আমার সব অর্জন ছুড়ে ফেলতে পারি। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হ্যারি কেইন। কিন্তু তার নেই কোন ট্রফি। এই বিষয়টা আমারও খারাপ লাগে। গতকাল আমি ইংল্যান্ড কে সাপোর্ট করছিলাম।
গতকাল ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১ টাই। আমার অফিস ছিল খুব সকালে কিন্তু ইউরো ফাইনাল তো মিস করা যাবে না। এইজন্য ঘুমটা একটু সাক্রিফাইস করলাম আর কী। গতকাল স্পেন এর ফর্মেশন ছিল ৪-২-৩-১ যেখানে দুই উইং এ ছিল দুই তরুন টিনেজার লামিন ইয়ামাল এবং নিকো উইলিয়াম। অন্যদিকে ইংল্যান্ড এর ফর্মেশন ছিল ৪-২-৩-১। ঠিক সময়ে শুরু হয় ম্যাচ। স্পেন ম্যাচের প্রথম থেকেই বল দখলে নিয়ে খেলতে শুরু করে। এবং চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। একের পর এক প্রেস করতে থাকে ইংল্যান্ড। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পরে ইংল্যান্ড নিজেদের গুছিয়ে নেয়। এবং তারপর ইংল্যান্ড আক্রমণ করতে থাকে। তারাও ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছুক্ষণ আক্রমণ চালায়। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাই না।
এভাবেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূণ্য ভাবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই খেলার পুরো ধরন বদলে যায় স্পেনের। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ইয়ামাল এর বাড়িয়ে দেওয়া বল অসাধারণ এক গোল করে আরেক তরুন নিকো উইলিয়াম। ফলে ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। কিন্তু তারপরই যেন ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে যায় তারা। কিন্তু কোন গোলের দেখা নেই। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট কবি মাইনো কে তুলে মাঠে নামায় কোল পালমার কে। মাঠে নামার মাএ ৩ মিনিটের মাথায় ম্যাচের ৭৪ মিনিটে জুড বেলিংহাম এর বাড়িয়ে দেওয়া বলে গোল করে কোল পালমার। এবং ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে। ম্যাচে তখন ১-১ গোলের সমতা চলে আসে।
এরপর আবার যথারীতি খেলা চলতে থাকে। দুই দলই গোলের জন্য একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। অবশেষে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে কুরকুইরেলা এর অ্যাসিস্টে স্পেনের হয়ে গোল করে ওইয়ারজাবাল। এবং শেষ মূহূর্তে ম্যাচে আবার লিড নিয়ে নেয় স্পেন। ম্যাচটা যেন তখনই শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে আর কিছু করতে পারেনি ইংল্যান্ড খেলোয়ার রা। আর কোন গোল না হলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন। এবং পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় তারা। ২০১২ সালের পর আবার ১২ বছর পর তারা এখন ইউরো চ্যাম্পিয়ন। স্পেন চ্যাম্পিয়ন হলেও ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮.২ রেটিং নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছে ইংল্যান্ডের জুড বেলিংহাম।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি খুব সুন্দর ভাবে খেলাটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।গতকালকের স্পেন বনাম ইংল্যান্ডের এই খেলাটি আমি পুরো উপভোগ করছি।আমিও ইংল্যান্ডের দিকে সাপোর্ট ছিলাম।কিন্তু যখন ১+১ গোল ছিল তখন খুবই ভালো লাগছিল। কিন্তু জানিনা হঠাৎ করে স্পেন আরেকটি গোল দিয়ে দিলো।যাইহোক তারপরেও খেলাটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্পেন সত্যিই বিশ্ব ফুটবলে অসাধারণ একটি দেশ। বরাবরই তাদের পারফরম্যান্স থেকে চোখ ফেরানো যায় না। বিশ্বকাপেও প্রতিবার আন্ডার ডগ থেকে শুরু করেও তারা চমকের পর চমক নিয়ে আসে সারা বিশ্বের জন্য। তাদের স্কিল ফুটবল দেখবার মত। ওবারেও যোগ্য দল হিসাবে তারা জিতলো। তবে ফাইনাল ম্যাচ অসাধারণ হল। ইংল্যান্ডও ভীষণ ভালো খেললো। সুন্দর পোস্ট।