পিছুটান।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মানব জীবনের অন্যতম প্রধান একটা সমস্যা হচ্ছে তার পিছুটান। এই পিছুটান থাকলে মানুষকে বেশ ভালো এবং বউ একটা সমস্যায় পড়তে হয়। সেটা হলো মায়ার সমস্যা। কোন বস্তু বা কোন প্রাণী বা মানুষের উপর মায়া পিছুটান জন্মে গেলে পরবর্তীতে সেটা খুবই খারাপ একটা ইফেক্ট ফেলে দেয় আমাদের জীবনে। যাইহোক সেটা নিয়ে আর কথা না বলি। মায়া পিছুটান এগুলো মানুষকে তার শিকড়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। নিজের অতীত কে নিজের অস্তিত্ব কে স্মরণ করিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশেষ কিছু দিক আছে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে প্রকৃতি। এই প্রকৃতি বছরের ছয়টা ভিন্ন সময়ে ছয়টা ভিন্ন রুপ ভিন্ন বৈচিত্র্য ধারণ করে। ব্যাপার টা এমন একই জায়গা একই স্থান এক এক সময়ে এক এক চিএ উপস্থাপন করে থাকে আমাদের সামনে। ব্যাপার টা বেশ দারুণ লাগে আমার কাছে।
এই জায়গা টা আমার অনেক পছন্দের। তবে এখন খুব একটা আর যাওয়া হয়ে উঠে না। তবে যখনই সময় পায় ছুটে যায় এখানে। এই জায়গাটার নাম বর্তমানে সবাই কুমারখালী এম এন পার্ক বলে। এটা আমাদের ঐ স্কুলের নামে নামকরণ করা। জায়গাটার সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় ২০১৪ সালে যখন আমি এই স্কুলে ভর্তি হয়। পরবর্তী পাঁচ বছর তো বেশ নিয়মিত যাতায়াত ছিল। প্রতিদিন একবার দুইবার যেতাম এই স্থানে গিয়ে বসে থাকতাম বন্ধুরা সবাই মিলে আড্ডা দিতাম। পরবর্তীতে কলেজে উঠে গেলে ঐ সপ্তাহে বা মাসে একবার আসা হতো। এখন মোটামুটি আরও কম যাওয়া হয়। এই জায়গা টা সবচাইতে ভালো সুন্দর এবং অপরুপ লাগে বর্ষাকালে। বর্ষাকালে অনেক পানি থাকে। নদী একেবারে পানিতে থৈ থৈ করে থাকে। তখন এখানে বসে থাকলে এক আলাদা স্বর্গসুখ উপভোগ করা যায়।
এই গত শনিবার এর কথা। যথারীতি আমার স্যার একটু অসুস্থ্য থাকায় আমাকে ফোন দেয়। বলে তার টিউশন ব্যাচের ছেলে মেয়েদের কে কাল আমাকেই পড়াতে হবে। আমার আবার শিক্ষকের পেশা টা বেশ দারুণ লাগে। যাইহোক চলে যায় আমি পরের দিন সকালে। প্রথম ক্লাসে সেভেন, তারপর ক্লাস নাইন, তারপর ক্লাস টেন এবং শেষে ক্লাস সিক্স কে পড়ায়। পড়ানো যখন শেষ হয় দেখি এগারো টার বেশি বেজে গেছে। যাইহোক তখন আমার মনে হয় বেশ অনেকদিন ওখানে গিয়ে বসা হয় না। স্যারের পড়ানোর জায়গা থেকে ওটা হাঁটা পথ দুই মিনিটের। দুই মিনিট হেঁটে গিয়ে আমি ওখানে একটা চেয়ারে বসি। যেহেতু বসন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশ অসাধারণ লাগছে চারিদিক। নদীতে পানি কম হওয়াই একটু অপূর্ণ লাগছিল যদিও। কিন্তু সেটা কোন বিষয় না। পাশেই থাকা বটগাছ টা বাতাসের সঙ্গে দুলে উঠছে সঙ্গে তার পাতাগুলোও।
এবং ঐ সাইডের ভিউটা অসাধারণ লাগছিল। গাছের পাতাগুলো যেমন দুলছিল পাশাপাশি সূর্যের আলো ছিল পর্যাপ্ত। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল কিন্তু ব্যাপার টা। আমি বেশ কিছুক্ষণ ঐ মোটামুটি ঘন্টাখানেকের মতো ঐখানে বসে ছিলাম। সত্যি বলতে ওখানে বসলে সময় যে কীভাবে কেটে যায় সেটা বুঝতেই পারি না। পাশাপাশি কত সুন্দর মূহুর্ত কতশত অতীত মনে চলে আসে। এটা বেশ আনন্দ দেয়। আমার শেয়ার করা ছবিতে যদি আপনারা জায়গা গুলো দেখেন তাহলে আশাকরি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। আর এটা ভালো লাগা একা একা নিরিবিলি সময় কাটানোর মতোই জায়গা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে পিছুটান এমন একটি জিনিস যা আমাদেরকে কখনো ছাড়ে না। এই পিছুটানের কারণে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে আটকে থাকি৷ এর কারণে আপনি এই পার্কে যখনই সময় পান তখন ঘুরতে চলে যান এবং এই জায়গার সাথে আপনার ২০১৪ সাল থেকেই অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে৷ আসলেই আমাদের অনেকের এরকম অনেক ধরনের স্থান রয়েছে৷ যে স্থানে আমরা প্রতিনিয়ত যেতে পছন্দ করি এবং সেই স্থানগুলো থেকে যখন আমরা একটু দূরবর্তী হয়ে যায় অথবা যদি আমাদের আসা যাওয়া না হয় তখনই সেই স্থানের মর্যাদা আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারি৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷