এভাবে আর কতদিন!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এই মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে যেমন নিজেকে অমর করতে পারে। ঠিক তেমনি সে তার কাজের মাধ্যমে নিজেকে নিকৃষ্ট ও করতে পারে। প্রতিটা মানুষের মধ্যেই ভালো খারাপ দুইটা দিক থাকে। তবে মানুষের বিবেক বা মনুষ্যত্ব বলে একটা জিনিস সৃষ্টিকর্তা দিয়ে দিয়েছেন। এই বিবেকের কাছে কেউ যদি প্রশ্ন করে এই কাজটা কী আমি ঠিক করছি। তাহলে বিবেক সবসময়ই সঠিক ফথ দেখাবে। আমাদের মন আমাদের ভুল পথ দেখালেও আমাদের বিবেক কখনো ভুল পথ দেখাই না। এই বিবেক কখনো আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আর মনুষ্যত্ব এটা বতর্মানে খুবই কম মানুষের আছে। আমার আপনার যদি মনুষ্যত্ব টাই না থাকে তাহলে আমরা নিজেকে মানুষ হিসেবে দাবি করতে পারি না। অনেকেই বলে আমাদের দেশের নাকি সেরকম অর্থসম্পদ নেই। আমরা দরিদ্র একটা দেশ। এটার সবচাইতে বড় কারণ দূর্নীতি।
এখন আপনারা বলতে পারেন হ্যা আমাদের দেশের প্রতিটা জায়গাই দূর্নীতি। কিন্তু বিষয়টি অন্য জায়গাই। এই বিষয়ে আজ আমি কথা বলতাম না। কিন্তু আজ ফেসবুক ক্রল করতে করতে একটা নিউজ চোখে পড়ল। যেখানে আমাদের বতর্মান প্রধান বিচারপতি বলেছেন বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সহ সব বিভাগে দূর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছেয়ে গেছে। এই থেকে মুক্তি পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমে আমি নিজেও অবাক হয়েছিলাম। কারণ কথাটা বিরোধীদলীয় কোনো নেতা বলেনি। কথাটা বলেছে আমাদের দেশেরই বতর্মান প্রধান বিচারপতি। এই সত্যটা আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু এইরকম একজন মানুষ কথাটা বলবেন সচরাচর আমাদের দেশে সেটা অপ্রত্যাশিত। যদিও কথাটা বলার পর এখনো উনার ভুল বলা বা ক্ষমা চাওয়ার নিউজ পাইনি। কিন্তু সেটা পেতে কতক্ষণ হা হ।
একটা দেশের সবকিছু দূর্নীতিতে ছেয়ে গেলেও অন্তত বিচার ব্যবস্থাটা ভালো থাকে। কারণ দেশের বিচার ব্যবস্থা খারাপ হলে সেই দেশে অপরাধ বেড়ে যায়। আইনের সঠিক প্রয়োগ থাকে না। আমাদের দেশে তো বিচার ব্যবস্থা কতটা ভালো আমরা জানি। এবং আইনের প্রয়োগ কতটা আগে সেটাও আমরা জানি। জনসম্মুখে হয়ে যাওয়া খুন যেটার স্বাক্ষী আছে কিন্তু তার একযুগ অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো বিচার চলছে। বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে তাদের কিছুই হয় না। তারা ঠিকই আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায়। কিন্তু কৃষক তার নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে দেরি করলে তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টানে রাতের আধারে র্যাগিং এর নামে হয়ে গেল এক হত্যা। যেটার প্রমাণ স্বাক্ষী সব আছে সবকিছু প্রমাণিত। কিন্তু এই বছরেও সেই আবরার খুনের বিচার সম্পূর্ণ হয়নি।
এভাবেই আমাদের দেশের প্রতিটা পর্যায়ে ছড়িয়ে গিয়েছে দূর্নীতি। একজন ডাক্তার যে কীনা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে আসছে অনেক বছর ধরে। কিন্তু এতদিন পর এসে সেটা ধরা পড়লো। আমার কথা এই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে দায়ী ঐ ডাক্তার কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরো জাতি। সত্যি বলতে আইন দিয়ে বিচার দিয়ে এই দূর্নীতি বন্ধ করা এখন অসম্ভব। কারণ এরা নিজেদের কখনোই দোষী মনে করেই না। আমি প্রথমেই বলেছি আমরা যদি আমাদের বিবেক কে প্রশ্ন করি তাহলেই কিন্তু সঠিক উওর টা পেয়ে যায়। কিন্তু যারা এসব দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তারা কী কখনো এটা করে। একবারও ভাবে আমি কী এটা ঠিক করছি। বিচার করে আইন দিয়ে কয়জন কে আমরা ঠিক করব। যদি তাদের মধ্যে মনুষ্যত্বই না থাকে তাদের মধ্যে দেশের প্রতি ভালোবাসায় না থাকে। এখন এদেশের শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলো থেকে যেন একটা একটা দূর্নীতির বীজ বের হওয়া শুরু হয়েছে। এই বীজ যতদিন বপন হতে থাকবে দেশ ততই ধ্বংস এর দিকে এগোতে থাকবে।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.