ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ(দ্বিতীয় পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ভেতরে ঢুকেই দেখি ছোট একটা পানির ফোয়ারা বা ঝর্ণা। মাছ এর আকারে কিছু ভাস্কর্য ছিল যেগুলো মাটির তৈরি এবং তার ভেতর থেকে পানি ফোয়ারা আকারে বের হচ্ছে। এটা দেখে বেশ ভালো লাগছিল। তবে এটা খুব একটা বড় না। আমরা যখন গেছিলাম বেশ ভালো রৌদ্দুর ছিল। গিয়ে দেখি একটা ঘোড়ার গাড়ি। যদিও ঘোড়াটা খড় এবং বাঁশ দিয়ে তৈরি কিন্তু পেছনের গাড়ির অংশটা ছিল বাঁশের তৈরি। এবং সেখানে ভালোভাবে দুজন বসা যায়। মূলত ওটা তৈরি করা সৌন্দর্যের জন্য এবং আগত পর্যটকরা যেন ছবি তুলতে পারে এই জন্য। তো এই সুযোগ আমরাও মিস করিনি। প্রথমে আমি গিয়ে বসি আমার বন্ধু রাসেল আমার কিছু ছবি তুলে দেয়। এরপর রাসেল গিয়ে বসলে আমি ছবি তুলে দেয়। এরপর দেখি পাশেই একটা ছোট লেক টাইপের রয়েছে। সেখানে অনেক গুলো নৌকা আছে ঘোরাঘুরি করার জন্য। কিন্তু প্রচন্ড রোদ থাকায় আমরা সিদ্ধান্ত নেয় যে পরে উঠব নৌকায়। সেজন্য সামনের দিকে যায়।।
আমরা বাদেও অসংখ্য মানুষ এসেছিল। এরপর আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। লেকের মাঝে বা পুকুরের মাঝে তৈরি করা হয়েছে ছোট ছাউনি বিশিষ্ট ঘর। এমনিতে এখানে বসে থাকতে বেশ ভালোই লাগছিল। তবে কীনা প্রচণ্ড রোদ ছিল সেজন্য আর বেশিক্ষণ বসে থাকা যায়নি। এরপর আমরা সামনের দিকে যায় সেখানেও একটা পানির ফোয়ারা। ফোয়ারের দুপাশে মাটির তৈরি দুইটা হাতির ভাস্কর্য। দেখতে অবশ্য বেশ ভালো লাগছিল। কিন্তু সমস্যা একটাই অতিরিক্ত রোদের কারণে ওখানে ছবি ভালো আসছিল না। সেজন্য দেখেই অনূভুতি মেটানো লেগেছে। যাইহোক এরপর আমরা সামনের দিকে গিয়ে দেখি লেকের মাঝে একটা দুতলা বিশিষ্ট কাঠের ঘর। আমরা সেই ঘরের দোতলায় উঠে বেশ কিছু ছবি উঠি। এখানে ফ্রী রাইড বলতে ছিল শুধু দুইটা দোলনা। যেটাতে দেখি অসংখ্য লোকের সমারোহ। এবং ঐ দোলনায় উঠা অন্তত আমাদের মানাই না হা হা।
এরপরে লেকের অন্যদিকে ইউটিউব ভিলেজ লেখা দেখে আমরা ছবি তোলার চেষ্টা করি। মোটামুটি ফোনের ক্যামেরায় ভালোই এসেছিল। এবং ইউটিউব ভিলেজ লেখা টা ছিল সম্পূর্ণ ঘাস দিয়ে। এটা বেশ ইউনিক লেগেছিল আমার কাছে। পাশেই দেখি একটা গোলাপ ফুলের বাগান। প্রথম অবস্থায় ভেবেছিলাম বাগানটা শুধু সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য তৈরি করা। কিন্তু পরে দেখি না ওখানে গোলাপ ফুল বিক্রি পযর্ন্ত হয়। আমার পাশেই অনেকে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে গিয়েছিল তারা তাদের গার্লফ্রেন্ড কে গোলাপ কিনে দিল। আমি শুধু তাকিয়ে দেখলাম আর আফসোস করলাম হা হা। তবে গোলাপ ফুলের দাম এখানে কিছু টা কম মনে হয়েছে আমার কাছে মাএ ৩০ টাকা। বাগানের ভেতরে গিয়ে ছবি তুলতে গেলে কর্মরত মালি আমাকে নিষেধ করে। বলে ভেতরে আসা যাবে না। কী আর করার আমি সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
তখন মোটামুটি ৪ টা বাজে। ঘন্টাখানেকের মতো ঘোরাঘুরি করেছি। দুপুরে বাড়ি থেকে সেরকম খাওয়া দাওয়া করে আসেনি। পাশাপাশি অনেক রোদ ছিল। কিন্তু ওখানে খাবারের কোনো স্ট্যাটান্ড বা মোটামুটি স্টল নেই। মোটামুটি ফাস্টফুড ফুসকা ঝালমুড়ি এগুলো আছে। কিন্তু সেগুলোর দিকে গেলাম না। ভাবলাম যায় ঠান্ডা লাচ্ছি খেয়ে আসি। কিন্তু লাচ্ছি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই রাসেল বলে তোমাকে ট্রিট দিতে হবে হা হা। কারণ জিজ্ঞেস করতেই ব্ল্যাকমেইল শুরু করে দিল। বললাম ঠিক আছে নাও। পরে ওখান থেকে ঠান্ডা লাচ্ছি নিলাম। লাচ্ছিটা খেলাম এবং বেশ কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। এবার খেয়াল করলাম আমাদের প্রায় অর্ধেক ঘোরা শেষ। বাকি যে জায়গাটুকু আছে ঘুরে চলে যাব। খুব একটা ভালো লাগছিল না।।।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | মার্চ ,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
ভাইয়া ঐদিন আপনার ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ পর্ব এক নাম্বার টা দেখেছি ।আজ দ্বিতীয় পর্ব দেখে ভেতরের অনেক কিছুই দেখতে পারলাম।বেশ সুন্দর দেখছি চারপাশের পরিবেশ একদম মনোরম। সময় কাটানোর জন্য এরকম একটি পরিবেশে আসলেই দারুন আপনি অনেক চমৎকার সময় কাটিয়েছেন সেখানে।
ভাই, ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণের প্রথম পর্বটি আমি দেখেছিলাম, আর আজ দ্বিতীয় পর্বটি দেখার সৌভাগ্য হলো। এখন গরমের শুরু তাই প্রচন্ড গরম ও সূর্যের তাপ দুটোকেই অসহনীয় মনে হয়। তাই হয়তো এই সূর্যের তাপ আপনাদের ভ্রমণের কিছুটা ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। যাইহোক ভাই, যেহেতু ভ্রমণে গিয়েছেন সেহেতু বেড়ানোকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। আর তাইতো পুরো ইউটিউব ভিলেজ খুব সুন্দর ভাবে ঘোরাঘুরি করে অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ বুঝতে পারছি আপনাদের কাটানো সময়টুকু খুবই ভালো কেটেছে। যেহেতু প্রচন্ড গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা লাচ্ছি খেয়েছেন সেহেতু মনে হচ্ছে কিছুটা স্বস্তি ও পেয়েছিলেন। ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ নিয়ে সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দুই বন্ধু মিলে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন ইউটিউব ভিলেজে ৷ যদিও আপনার প্রথম পর্ব দেখা হয়নি ৷ তবে দ্বিতীয় পর্ব দেখে বেশ ভালোই লাগলো ৷ অনেক কিছু দেখতে এবং জানতে পারলাম ৷ তবে রৌদ্দুর সময়ে না গিয়ে বিকেল বেলা গেলে হয়তো ভালো হতো আপনাদের ৷ ভালো মতো ঘুরতে ও পারতেন সাথে সব জায়গায় সুন্দর ভাবে ছবিও তুলতে পারতেন ৷ যাই হোক , ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে পড়ে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর ভ্রমণ কাহিনি শেয়ার করার জন্য ৷
youtube ভিলেজ জায়গাটি কিন্তু খুবই অসাধারণ দেখতে। এরকম জায়গায় ঘোরাঘুরি করতেও অসম্ভব ভালো লাগে। ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে। আমার কাছে তো একটু বেশি ভালো লাগে ঘুরাঘুরি করতে। মনটা একেবারে ফ্রেশ এবং ভালো থাকে ঘুরাঘুরি করলে। আপনি ইউটিউব ভিলেজের বেশ ভালই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে দেখে। ঘুরাঘুরি করার এত সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি তো দেখছি youtube ভিলেজে বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং সেগুলো ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ইউটিউব ভিলেজে ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব দেখে আনন্দিত হলাম এবং পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ প্রথম পর্ব আমি দেখেছিলাম। আপনি আর আপনার বন্ধু রাসেল ভিতরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রথম পর্বে উল্লেখ করেছেন। আসলে গরমের কারণে অনেক সময় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যায় ঘুরতে গিয়ে। তবে জায়গাটির মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস দেখতে পারলাম। হয়তো সামনে থেকে দেখলে আরো ভালো লাগতো আমাদের। আর দুই বন্ধু মিলে লাচ্ছিটা মজা করে খেলেন মনে হয়। অনেক সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আমি আমাদের কমিউনিটির আরেকজন মেম্বারের আইডিতে পোষ্টের মাধ্যমে ইউটিউব ভিলেজ সম্পর্কে জেনে ছিলাম। তবে ঐখান থেকে আপনার পোস্টে অনেক বেশি ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা দেখেতে পেলাম। জায়গাটা অনেক সুন্দর করেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।