ঝিঙ্গা পোড়া ভর্তা
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ আমি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন তাহলে রেসিপি টি দেখে নেওয়া যাক...
ঝিঙ্গা তো আমরা সকলেই কমবেশি খেয়ে থাকি।আর মোটামুটি সকলেরই পছন্দের সবজি তালিকায় ঝিঙ্গা আছে।ঝিঙ্গা দিয়ে নানা রকম রেসিপি তৈরি করা যায় আর খেতেও বেশ ভালো লাগে।আমি বেশিরভাগ সময় মাছের ঝোল কিংবা সবজি রান্না করে খেয়ে থাকি।কখনো কখনো ভাতের মধ্যে সিদ্ধ দিয়ে ভর্তা করে খাই।কিন্তু ঝিঙ্গা দিয়ে এতো মজাদার রেসিপি তৈরি করা যায় তা আমার জানা ছিলো না।সেদিন ফেসবুকে একটা ভিডিও দেখলাম দেখে খুবই ভালো লাগলো তখনই মনে মনে ঠিক করলাম এই রেসিপিটি আমি তৈরি করবো।আমি অনেক সময় বিভিন্ন জনের রান্না দেখে রান্না করে থাকি তবে তাদের থেকে একটু ভিন্নভাবে করার চেষ্টা করি যাতে করে রেসিপিটির মধ্যে একটু হলেও ভিন্নতা আনা যায়।আজকের রেসিপিটিও ঠিক তাই ভিডিও দেখে কিছুটা আইডিয়া নিয়েছি আর আমি নতুন কিছু এ্যাড করেছি আমার মতো করে।নিজের মতো করে কিছু করে খাওয়ার মধ্যে অনেক বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়।রেসিপিটি তৈরি হওয়ার পর বুঝতে পারলাম সাধারণ একটি জিনিস একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কষ্ট করে তৈরি করতে পারলে এর স্বাদ অনেকগুণ বেড়ে যায়।
আমি প্রথম কোনো রেসিপি তৈরি করলে তা খুবই অল্প পরিমাণে করার চেষ্টা করি।কারণ অনেক সময় এমন হয় নিজের রান্না করা খাবার খেতেও খুবই অরুচিকর লাগে তখন না পারা যায় খেতে আর না পারা যায় ফেলতে।বর্তমানে জিনিসপত্রের যে ঊর্ধ্বমূল্য তাতে করে ফেলানোর মতো কোনো উপায় নেই।অল্প করার এই একটা সুবিধা খেতে খারাপ হলেও কষ্ট করে হলেও শেষ করা যায়।আজকের মজাদার রেসিপি টি খাওয়ার সময় একটু টান পড়ে গেলো কারণ পরিমাণে খুবই অল্প হয়েছিলো।আশা করি এর পরবর্তী সময়ে অনেক বেশি করে তৈরি করে মন ভরে খাওয়া যাবে।🙂
উপকরণ
প্রথমে ঝিঙ্গা গুলো হালকা করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মাঝখানে একটু কেটে নিয়ে তার মধ্যে এক কোয়া রসুন একটা কাঁচা মরিচ ঢুকিয়ে নিয়েছি।
গ্যাসের চুলায় ঝিঙ্গা গুলো সাজিয়ে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ঝিঙ্গাগুলো চারপাশে ভালো করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পুড়িয়ে নিয়েছি।
রসুনের কোয়া কাঁচামরিচ ও শুকনামরিচ গুলো গ্যাসের চুলায় পুড়িয়ে নিয়েছি।
ঝিঙ্গা পোড়ানো রসুন মরিচ সবগুলো ছোট ছোট টুকরা করে আলাদাভাবে কেটে নিয়েছি।
চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে কালো জিরা ফোঁড়ন দিয়েছি।তারপর পোড়ানো রসুন মরিচ কুঁচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
রসুন মরিচ কুঁচি গুলো হালকা করে ভেজে নেওয়ার পর কেটে রাখা ঝিঙ্গা গুলো দিয়ে দিয়েছি।তারপর সামান্য পরিমাণ হলুদগুঁড়া ও স্বাদ মতো লবণ দিয়েছি।
চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে রান্না করে নিয়েছি যাতে ঝিঙ্গা থেকে বের হওয়া জল গুলো তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।তারপর অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে সবগুলো উপকরণ লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
মাটির একটি বাটনার মধ্যে ভেজে রাখা ঝিঙ্গাগুলো নিয়ে খুব ভালোভাবে বেঁটে নিয়েছি।ব্লেন্ডারে দিলে খুব সহজেই মিহি করা যায় কিন্তু পাটায় বাঁটা বা বাটনায় বাঁটা যেকোনো ভর্তার স্বাদ অনেক বেশি হয়।আমি সবসময় চেষ্টা করি শিলপাটায় বেঁটে ভর্তা তৈরি করার।আজ বাটনায় বেঁটে তৈরি করেছি এটার টেস্ট সবচেয়ে বেস্ট।
এবার হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।তারপর একটা মাটির পাত্রে তুলে নিয়েছি।এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার ঝিঙ্গা পোড়া ভর্তা রেসিপিটি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি।আশাকরি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে!সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.