ডিমের চচ্চড়ি..
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
ডিম আমাদের খাদ্যতালিকার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ডিম ছোট বড় সবার প্রিয় খাবার। এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা। আবার সহজলভ্য হওয়ার কারণে প্রতিদিনের খাবারে ডিম থাকেই।ডিম আমরা নানাভাবে খেয়ে থাকি।ডিমের যেকোনো তরকারি আমার খুবই ভালো লাগে,তারমধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হলো আলু দিয়ে ডিমের ঝোল যা আমাদের অঞ্চলে আলুঘাটি নামে পরিচিত।এটা আমার খুবই প্রিয় একটা তরকারি যা আমি প্রায়ই রান্না করে থাকি।দুই দিন ধরে মাথায় প্রচন্ড ব্যথা তার জন্য বাজারে যাওয়া হচ্ছে না বাসায় রান্না করার মতো তেমন কোনো সবজি বা মাছ,মাংস ছিলো না।আমার হাসবেন্ড থাকেন না তার জন্য বাজারঘাট সবকিছুই আমাকে করতে হয়।যদি কখনো কোনো কারণে বাজার যেতে না পারি তাহলে সেদিন না খেয়েই থাকতে হবে এরকম একটা অবস্থা।যাইহোক কিছু তো একটা ব্যবস্থা করতেই হবে আর যাইহোক খাবার না খেয়ে তো থাকা যাবে না।ফ্রিজে দেখি মাত্র তিন টা ডিম আর কয়েকটা আলু ছিলো আর তাই দিয়ে ঝটপট বানিয়ে ফেললাম ডিমের চচ্চড়ি রেসিপি টি।খুবই অল্প সময় ও অল্প উপকরণে এতো সুস্বাদু হবে ভাবতেই পারিনি।
চলুন তাহলে রেসিপি টি দেখে নেওয়া যাক-
উপকরণ |
---|
ডিম |
আলু |
টমেটো |
ধনেপাতা |
পেঁয়াজ কুঁচি |
রসুন |
জিরাগুঁড়া |
ধনিয়া গুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
হলুদগুঁড়া |
লবণ |
তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে ডিম সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তারমধ্যে সামান্য হলুদগুঁড়া ও লবণ দিয়ে ডিমের টুকরো গুলো দিয়ে লাল লাল করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার কেটে রাখা আলু গুলোর মধ্যে পেঁয়াজ রসুন গুঁড়া মসলা গুলো দিয়ে মেখে নিয়েছি।এবার চমেটো ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মেখে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এবার ডিম ভাজার তেলের মধ্যে মেখে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি।তারপর সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
জল দেওয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিয়েছি।আলু গুলো থেকে জল বেড়িয়ে আসলে ঢাকনা খুলে দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে দিয়েছি।হালকা করে নেড়েচেড়ে আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
জল শুকিয়ে আসলে হালকা করে নেড়েচেড়ে দিয়েছি যাতে ডিমগুলো ভেঙ্গে না যায়।আবার ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রান্না করে নিয়েছি।তরকারি থেকে তেল উঠে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার ডিমের চচ্চড়ি রেসিপি টি।
পরিবেশন
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে এখানেই শেষ করছি।
বাংলা উইটনেস
OR
যেহেতু ভাইয়া বাহিরে থাকেন তাই আপনাকে নিজেই বাজার করতে হয়। আর অনেক সময় বাজার শেষ হয়ে গেলে এরকম মজার কোন রান্না খুব দ্রুতই করা যায়। এছাড়া ডিম সবারই অনেক পছন্দের। আপনার রেসিপি দারুন হয়েছে আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভিন্ন রকম এবং খুবই ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। ডিমের চচ্চড়ি এভাবে খাওয়া হয়নি কখনো। আপনার রেসিপি দেখে মন চাচ্ছে একটু খেয়ে দেখি। খুব সহজেই চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে ফেললেন। ভালো লাগলো রেসিপি শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
জ্বি ভাইয়া খুব সহজেই এই রেসিপি টি করে ফেলেছি যা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলু দিয়ে ডিম চচ্চড়ির খুবই সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ডিমের তৈরি করা আপনার এই রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। স্বল্প সময় তৈরি করা এই রেসিপি টা খেতে অনেক ভালো লাগে।
আমার রেসিপি টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ভাইয়া।ধন্যবাদ।
ছোট মাছের চচ্চড়ি খেয়েছি কিন্তু ডিমের কোনদিন চচ্চড়ি খাই নি।আপনার রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লাগলো এবং লোভ লেগে গেলো।কি দারুন হয়েছে আপনার রেসিপিটি। অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্রণালী চমৎকার সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
একদিন ডিমের চচ্চড়ি খেয়ে দেখলে বোঝা যাবে এটা কতোটা সুস্বাদু লাগে।তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আলু দিয়ে ঝোল করে ডিম রান্না খেতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। ডিম দিয়ে আলু চচ্চড়ি করার বেশ ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ডিম ভাজি আলু ভাজি খেয়েছি তবে এরকম ভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ডিম দিয়ে অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন দেখছি। খুব ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে। চমৎকারভাবে রেসিপি করে আমাদের দেখেছেন। অসাধারণ হয়েছে আপনার রেসিপি। খুবই ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই রেসিপি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম দিয়ে প্রস্তুত করা বিভিন্ন ধরনের রেসিপি খেয়েছি কিন্তু আপনার মাধ্যমে আজ নতুন এক রেসিপির সন্ধান পেলাম।
রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে নিশ্চয়ই খেতে মজা হবে।
আসলে ডিম দিয়ে যে এরকম ভাবে চচ্চড়ি রেসিপি প্রস্তুত করা যায় আমার জানা ছিল না।
সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন রেসিপিটি সম্পর্কে শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ডিমের চচ্চড়ি দেখে তো জিভে জল চলে আসলো আপু। চমৎকার রেসিপি তৈরি করলে আমার তো ভালো লাগেনা। ইচ্ছে করে শুধু খাওয়ার জন্য। আপনার বাসায় দাওয়াত দিতে হবে খুব শীঘ্রই
এটা ঠিক বলেছেন আপু, ডিম প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ভাবে খাওয়া হয়। তবে আপনার আজকের ডিমের এই রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এভাবে কখনো ডিমের চচ্চড়ি খাওয়া হয়নি। রেসিপিটা বেশ ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আপু এত সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।