কক্সবাজার ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন,বিচে কাটানো মুহূর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
কক্সবাজারে ২য় দিন সকাল বেলা আমরা বিচের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে যাওয়ার পূর্বে আমরা আগের দিন সন্ধ্যায় যেখানে নাস্তা করেছিলাম সেখান থেকে নাস্তা সেরে নিলাম এবং আমাদের জুতাগুলো সেই ভাইয়ের দোকানে রেখে গেলাম। কারণ বিচের মধ্যে জুতা নিয়ে হাটা কষ্টকর। কিন্তু নিভৃত জুতা নিয়ে হাঁটতেছিল। তার কাছে বালুর মধ্যে হাঁটতে দারুন মজা লাগছে। কারো কোলে যাবে না, সে নিজে নিজেই হাঁটবে।
তবে সেদিন আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিল। মেঘলা হওয়ার কারণে সেখানে সমুদ্রের তীরের বাতাস কিছুটা ঠান্ডা লাগছিল। তবুও যাইহোক আমরা সেখানে গেলাম কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম এবং অনেক ছবি তুললাম। নিভৃত দৌড়ে গিয়ে পানির কাছে চলে যাচ্ছিলো।সে বারবার পানিতে নেমে যেতে চায়। কিন্তু সে যদি প্রথমেই নেমে যায় তাহলে আমরা তাড়াতাড়ি চলে যেতে হবে বাসায়।
যাইহোক তাকে কোনোরকমে কোলে রেখে আমরা নিজেদের কিছু ছবি তুললাম।তারপর আমরা দুটো সিট নিয়ে নিলাম। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থাকতে হবে তাই আমরা সিট নিলাম।প্রথমেই ঝালমুড়ি খেলাম,বিচের পাড়ে সমুদ্রের তীরে বসে ঝালমুড়ি না খেলে কি চলে?তারপর নিভৃতকে কিছুক্ষণ ওর আব্বু আর মামা মিলে পানিতে হাঁটালো।তারপর আবার আমাদের কাছে নিয়ে আসলো।তখন সে বারবার বালির মধ্যে নেমে যাচ্ছিলো।
তারপর আমরা আবার কলা নিয়ে নিলাম।নিভৃতকে খাওয়ানোর জন্য।এদিকে তারা মামা আর আব্বু দুজনে বিচে নেমে গেল।আমরা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে চারপাশ দেখছি।কত মানুষ ছিল বিচের মধ্যে।আমাদের পাশেই ছিল একটা ফ্যামিলি। ছোট থেকে বুড়ো পর্যন্ত অনেক লোক একসাথে এসেছে। তারা বয়ষ্ক লোকেরা বাচ্চাদের পাহারা দিচ্ছে। আর একটু বড় বাচ্চা আর মাঝবয়সী সবাই নিজেদের মত এনজয় করছে। ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল।আর তাদের কথাবার্তা শুনে বুঝা যাচ্ছিলো তারা চট্টগ্রাম থেকে এসেছে।
আমরা আবার চারদিকের পরিবেশের ছবি তুলছিলাম।এদিকে নিভৃত তার খালামনির সাথে দুষ্টুমি করছিল সাথে বিরক্তও করছিল।যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ পর তারা শ্যালক দুলাভাই চলে এলো,আবারও ঝালমুড়ি খাওয়া হলো, কলা খেল। তারপর আবার বাদাম খেলাম সবাই মিলে।এরপর ওরা আবার বিচের একদম মাঝের দিকে চলে গেল। সেখানে একটা মজার বিষয় হলো বিচের শুরুর দিকে কিছুটা গভীর ছিল, আরেকটু দূরে যেতেই গভীরতা আবার কমে গেল,সেখানে হাটুর নিচে পানি।কিন্তু সেখানে যেতে যেতেই পুরো গলা ডুবে যায়।
যাইহোক তারা প্রায় ১ঘন্টা পর ফিরে এলে আমরা সহ নামলাম। নিভৃতকে তার মামার কাছে রেখে আমি, আমার বোন আর আমার হাজব্যন্ড চলে গেলাম বিচে।কিছুক্ষণ ভিজে ভাবলাম উঠে যাব কারণ আমার সর্দি কাশি ছিল।কিন্তু সমুদ্রে নেমে এত তাড়াতাড়ি উঠে যাওয়া কি সম্ভব,বা ভালো লাগে।আর গিয়েছি মাত্র একদিনের জন্য যদি পানিতে না নামি তাহলে লাভ টা কি হবে।তখন আমার বোন বলল সে মাঝখানে যাবে আমাকেও যেতে,একা তো যেতে পারবে না।তাই আমি সহ গেলাম।
এদিকে ঢেউয়ের মধ্যে মজা নিচ্ছিলাম।যদিও আমি মাথা ভেজাইনি তবুও স্রোতের কারণে অনেকটাই ভিজে গিয়েছিলাম।তারপর সেখান থেকে ফিরে এসে আবার নিভৃতকে নিয়ে নামলাম।সে ভীষণ খুশি, পানি পেলে তো তার আর কিছুই লাগে না। অনেক্ষণ যাবৎ সে সেখানে মজা করলো,কিছুতেই উঠতে চাইছিল না।পরে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে চেঞ্জ করালাম ওকে।তারপর আমরা আবার সবাই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
এই ছিল বিচে কাটানো মুহূর্তের কিছু অংশ। আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগলো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়াও দেখে অনেক ভালো লাগলো সমুদ্রের পানির ঢেউ সাথে আপনাদের ফটোগ্রাফি তোলা ৷ আর এদিকে বাবু শুধু পানিতে নামতে ইচ্ছা ৷ ছবিতে দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অসাধারণ সময় অতিবাহিত ৷ যা হোক আপু পররে পর্বে আরো ভালো কিছু ফটোগ্রাফি সাথে অনুভুতি শুনবো এমনটাই প্রতার্শা ব্যাক্ত করছি ৷
আমরাও কিছুদিন আগে কক্সবাজার থেকে ঘুরে এসেছি। আসলে সমুদ্রের বিশালতাকে দেখলে মনের মধ্যে প্রশান্তি কাজ করে। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ সাথে হিমেল বাতাস মন জুড়িয়ে যায়। কক্সবাজারে ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় দিনের গল্প শেয়ার করেছেন। আর একটা কথা ঠিকই বলেছেন বিছিয়ে বসে ঝালমুড়ি না খেলে হয়। সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কক্সবাজার আমার প্রিয় জায়গার মধ্যে একটি। বিশেষ করে সমুদ্রের বিশালতা দেখলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি। সমুদ্রের পানির ভিতর নামলে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাদের পিচ্চিটাও দেখে বেশ মজা করেছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
কক্সবাজারে ভ্রমণের অনুভূতি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। তবে খালি পায়ে বালুর উপর দিয়ে হাঁটা দেখতে পেয়ে আমার যেন সেদিনের কথা মনে পড়ে গেল। কারণ আমিও যখন বালুর ভিতরে খালি পায়ে যাচ্ছিলাম তখন ছিল প্রচন্ড রোদ আর রোদে বালু এত গরম ছিল তা যেন আমার পা পুড়ে যাচ্ছিল। যাই হোক সমুদ্রে পারে গিয়ে অনেক মজা করেছেন বাবুকে তার মামার কাছে দিয়ে আপনারা সমুদ্রের মাঝে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সেই মুহূর্তগুলো পড়তে পেরে অনেক ভালো লাগলো।
বিচে গিয়ে পানিতে নিজেকে ভেজাতে না পারলে বিচে যাওয়ার মজাই নেই। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সবাই মিলে। বালির উপর জুতা নিয়ে হাঁটা আসলেই কষ্টকর। নিভৃত তো খুবই খুশি দেখছি সেখানে গিয়ে। ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিল। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনের মুহূর্তটি আপনি তুলে ধরলেন। সত্যি আপু অনেক সুন্দর একটি সময় কাটালেন সকাল বেলায়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে আসলেন কিন্তু পানিতে যদি না নামেন তা কি করে হয়। আর নিভৃত বাবা তো বেশ ভালোই উপভোগ করল সমুদ্র সৈকত ঘোরাঘুরি। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর অনুভূতি পড়ে।
আপনারা সবাই মিলে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে এত সুন্দর মজা করেছেন, জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। তারপর আবার টুকটাক কিছু খাওয়া-দাওয়া করেছেন, যেটা খুবই প্রয়োজনীয় এইসব জায়গায় গেলে। তবে আমি যতবারই সমুদ্র সৈকতে গেছি, স্নান না করে বাড়ি আসি নি। যাইহোক, ভালো লাগলো আপু, আপনাদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো সম্পর্কে জানতে পেরে।