শৈশবস্মৃতি||কাজিনদের সাথে মজার একটা দিন কাটানো।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

children-7782100_1280.jpg

source
শৈশব মানে এক অনাবিল সুখের সময়।এই সময়টা আমরা সবাই পার করে এসেছি। শৈশব যতটা সুন্দর ছিল আমাদের জীবনের বাকি সময়টা এত সুন্দর ভাবে পার করা যায় না। সত্যি বলতে এখন হয়তো বা আমরা সবাই এই শৈশবের সময়টাতে ফিরে যেতে চাই। কারণ সেই মুহূর্তের মতো ভালো লাগার দিনগুলো আর কখনো ফিরে পাইনি, আর পাবোও না। শৈশবের পর থেকে শুরু হয়েছে কষ্টের দিন। যেখানে কোন বিশ্রাম নেই শুধুমাত্র কাজ এবং জীবন গঠনের দিকেই চলে যেতে হয়। শৈশবটা যতটা মধুর ছিল, তখন আমাদের কোন কিছুর চিন্তা ছিল না। খাও দাও খেলো ঘুমাও পড়ালেখার সময়টাও সীমিত ছিল। তবে এখনকার সময় যেন চারিদিকে ছুটাছুটি করতে করতেই চলে যাচ্ছে। দিনগুলো কিভাবে পার হয়ে যাচ্ছে কেউই বুঝতে পারি না।

যাইহোক এখন আসি মূল কথায়। শৈশবের স্মৃতি নিয়ে অনেক গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তাই ভাবলাম আজকেও ছোটখাটো একটা বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে যাই।যেই ভাবনা সেই কাজ। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার এক কাজিনের সুন্নতে খৎনা অনুষ্ঠান ছিল। তখন আমরা সবাই গিয়েছিলাম। যেহেতু আমার কাজিনের অনুষ্ঠান সেই হিসেবে আমার বাকি কাজিনরাও ছিল সেখানে। আসলে একটা মজার বিষয় ছিল আমরা যখন সব কাজিন একসাথে হতাম তখন আমাদের আড্ডা জমে যেত। ছোট বড় বলে কোন কথা ছিল না। বয়সের দিকে না তাকিয়ে আমরা সবাই খুব বেশি আনন্দ করতাম। তখন আমি কিন্তু সবার ছোট ছিলাম।

যাইহোক সবাই মিলে যেহেতু একসাথে হয়েছে সেই হিসেবে আমাদের আড্ডা জমে গিয়েছিল। সবাই মিলে খেলা শুরু করে দিয়েছিলাম।প্রথমতই আমরা বাড়ির মধ্যে লুকোচুরি খেলা খেললাম। আমার বড় কাজিনরা কোথাও লুকাতো তখন আমরা খুঁজে বের করতাম। তারা আবার আমাদের খুঁজে বের করত। এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ বাড়ির মধ্যে খেলাধুলা হলো। তারপর বাড়ির পিছন দিকের জমির মধ্যে দিয়ে গিয়ে একটা রাস্তায় উঠে তারা চার জন।সবাই কিন্তু বড় ভাইয়ারা ছিল। সেখানে একটা বাঁশের ঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে যায়। তখন আমরা সেখান দিয়ে অন্য রাস্তার দিকে ছুটতে ছিলাম। তখন তারা ডাক দিল কিন্তু চারদিকে তাকিয়েও খুঁজে পেলাম না।

একজনকে জিজ্ঞেস করলাম তাদের দেখেছিল কিনা। উনি বললো যে ওরা এ রাস্তার দিকে গিয়েছে। তিনি কিন্তু মিথ্যা বলেছিল আমাদের,অবশ্য আমার ভাইয়ারাই শিখিয়ে দিয়েছিল তাকে।তারপর আমরা কিছুক্ষণ গেলাম। যাওয়ার পর আরেকজন বলছে বাঁশঝাড়ের মধ্যে লুকিয়েছে তারা।তখন আমরা যখন ঐদিকে যাচ্ছি তখন তারা আবার বেরিয়ে গেল। এবার আমাদের দোড়াতে শুরু করল। এরপর আমরা তিনজন জমির আইল দিয়ে দোড়াচ্ছিলাম। চারপাশে যেহেতু ধান ছিল সেই হিসেবে আমি পা পিছলে ধান ক্ষেতের মধ্যে পড়ে গেলাম। তারাও আমার পিছনে ছিল।এই তো কান্নাকাটি করে দিলাম। কারণ তাদের জন্যই আমি জোরে দোড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম।

এরপর বাড়িতে গিয়ে সবার কাছে বিচার দিলাম। যাতে তাদেরকে আজকে বকা দেয়,খাবার না দেয়।আসলে তারাও তখন মজা নিয়েছিল। যেহেতু আমি তাদের ছোট মামাতো বোন ছিলাম সেই হিসেবে আমাকে অনেক আদর করতো সবাই। তো যাই হোক আমি তো তখন ভেজা জামাকাপড় নিয়ে থাকবো না।আর আমি আর কোনো জামাকাপড়ও নিয়ে আসি নি, বিকেলেই যেহেতু বাড়ি চলে যাব। সে হিসেবে আমার বয়সী আমার কাজিনের জামা পরেছিলাম। আর তাদেরকে বারবার বকতে ছিলাম। যেহেতু সবাই আমার চেয়ে বড় ছিল সে হিসেবে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিল কিন্তু দুষ্টুমি আমি তাদের সাথে অনেক বেশি করতাম।সবাই মিলে আনন্দ করা হতো।

যাই হোক এখন তো সবাই বড় হয়ে গিয়েছে। প্রায় সবারই বিয়ে হয়ে গেছে।কয়েকদিন পর সেই কাজিনদের মধ্যে এক জনের বিয়ে।এমনিতেও সবাই যার যার মতোই রয়েছে। তবে সে মুহূর্তটা মনে পড়ে, খুব ভালো ছিল সেই শৈশবটা। ইচ্ছে করে সেই বেলাটায় ফিরে যাই এবং সবার সাথে মজা করি।আমার এই আনন্দের মুহূর্তটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। তাছাড়া আপনাদের সবারই তো এরকম অনেক আনন্দময় শৈশব আছে, সবার মুহূর্তগুলো জানতে চাই।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণশৈশবস্মৃতি
ক্যামেরা.মডেলজে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার@bristy1
লোকেশনফেনী

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

তাহলে ছোটবেলায় কাজিনের সুন্নতে খৎনা অনুষ্ঠানে গিয়ে অনেক মজাই করেছেন। আপনার মত আমরাও ছোটকালের সবাই একসাথে হলে এভাবে লুকোচুরি খেলতাম। যে যার মত করে পালিয়ে যেত আমরা খুঁজে বের করতাম। আসলে ছোটকালে স্মৃতিগুলো এখনো সব সময় মনে দোলা দিয়ে থাকে। মন চায় ছোটকালে আবার ফিরে যেতে। তবে আপনি তাদেরকে খুঁজতে গিয়ে পড়ে গিয়েছেন এবং কান্নাকাটি করতে লাগলেন। আপনার গল্পটি পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68221.63
ETH 3277.70
USDT 1.00
SBD 2.66