ভাগ্নের জন্মদিনে ছোটোখাটো আয়োজন।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
গতকাল তো আরফানের জন্মদিনের এক পর্ব শেয়ার করেছিলাম।আর আজ বাকিটা শেয়ার করব।আসলে পর্ব আকারে অনেক দেরি করে দিলে পড়তে ইন্টারেস্টেড লাগে না। তাই ভাবলাম বাকি পর্বটা আজই শেয়ার করি।
আমি, নিভৃত আর আমার হাজবেন্ড আমরা একই বাইকে করে যাচ্ছিলাম। আর আমার দেবর সে আরেক বাইকে করে গেল। তখন দেবরের কাছে কেক এবং গিফটের সামগ্রী গুলো দিয়ে আমরা নিভৃতসহ ধীরে ধীরে তাদের বাড়ির দিকে চলতে লাগলাম। নিভৃত বাইকের মধ্যে দুষ্টামি করছিল তাই আমার হাসবেন্ড একটু ধীরে ধীরে বাইক চালিয়েছে। আর আমার দেবর বাড়ির সামনে গিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করেছিল। পরবর্তীতে আমরা সে জায়গা থেকে একসাথে বাড়িতে ঢুকি।
আমরা যখন সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকলাম তখন আরফান সে গাড়ির হেড লাইটের আলো দেখে অবাক হয়ে গেল। হঠাৎ করে দুটি বাইকে করে কে আসলো।যখন আমার দেবর তাকে ডাক দিল তখন সে এসে দেখে আমরা, তাই সে খুশিতে আত্মহারা। যাই হোক সে তার আম্মুকে এবং দাদুকে বলতে লাগলো যে মামনি এসেছে, বাবু এসেছে দরজা খুলেন,তখন তারা দরজা খুলে। দরজা খোলার পর ভিতরে ঢোকার পরে সেখানে সবাইতো অবাক হয়ে গেল যে আমরা কিভাবে জানি।
আর আমরা যে কেকের আয়োজন করব তাদের কল্পনাও ছিল না। তখন তারা আমাদের সবার সাথে দেখা করতে এলো এবং আমার ননদও অনেক বেশি খুশি হয়েছে। এটা তো স্বাভাবিক যে কারো বাচ্চার জন্য যদি সারপ্রাইজ গিফট কেউ রাখে তখন বাচ্চার মা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। কথায় আছে না বুড়োর মন পেতে হলে ছেলের হাতে কলা দাও। যাই হোক আমার যদিও তেমন কোন ইনটেনশন ছিল না। জাস্ট ওই যে বললাম না আদরের ভাগ্নে সেজন্যই এই আয়োজনটা করা।
আমি মামনি হিসেবে যেমন আরফান আমার আদরের। আর তার মামাদের জন্য তো সে একটা কলিজার টুকরা। যাইহোক গিফট গুলো প্রথমে তাদের হাতে উঠিয়ে দিলাম। এরপর তাদেরকে বার্থডে ক্যাপ দেয়া হলো। বার্থডে ক্যাপ এবং গিফট দুটো করে নেয়া হয়েছে। যেহেতু তার এক জেঠাতো ভাই আছে সেজন্য। আর শুধু জামা এবং প্যান্ট একটাই নেয়া হয়েছিল। তখন আরফান জামা এবং প্যান্ট পরে আসে। এদিক থেকে আমার ননদ এবং তার জা সহ আমাদেরকে বিভিন্ন আইটেমের নাস্তা দেয়।
কিন্তু রমজানের রাত বলে কথা। রমজানের ইফতার করার পরে নাস্তা খাওয়াটা অসম্ভব ব্যাপার। তাই আমরা কিছুই খেলাম না শুধু আনার খেলাম একটু। এরপরে দেখলাম যে তারা বিরিয়ানির আয়োজন করেছে। যদিও তারা এই উপলক্ষে আয়োজন করেনি, তবে আরফানের মায়ের মনে ছিল তাই সে এই আয়োজনটা করেছে। যদিও ফ্যামিলির বাকিরা জানে না যে তার বার্থডে। পরে আমরা যখন কেক নিয়ে গেলাম তখন সবাই অবাক হয়ে গেল।
যাইহোক এর পরই আমরা সবাই মোমবাতি জ্বালিয়ে কেক কাটার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। অবশেষে কেক কেটে সবাই আনন্দ করে খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে যখনই আমরা তাদের থেকে বিদায় নেব ওই সময় হঠাৎ বৃষ্টি চলে আসলো। সেই বৃষ্টির কারণে আমরা আর বেরোতে পারছিলাম না। প্রায় এক ঘন্টার উপরে বৃষ্টি হয়েছে। আর একঘন্টা পরেও হালকা হালকা বৃষ্টি বাইরে আছে। তবুও আমরা সেখান থেকে ফিরে আসতে হল এই হালকা বৃষ্টির মধ্যে। কারণ পরেরদিন আমার কন্টেস্টের রেসিপি বানানোর কথা তাই।
যাইহোক আমরা সেখান থেকে নিভৃতের জন্য মোটা একটি টাওয়াল নিলাম।আর সেটা পেঁচিয়ে ধীরে ধীরে বাড়ির পাশে দিয়ে যে রাস্তাটা গিয়েছে সে রাস্তা দিয়েই দ্রুত চলে গেলাম বাড়ির দিকে। ও হ্যাঁ আমরা আসার সময় আমাদের বাসার দুজনের জন্য তারা কেক পাঠিয়ে দিল। সর্বোপরি সবাই অনেক আনন্দ করেছে, আমরাও অনেক আনন্দ করেছি। আনন্দ শেষে সবাই যার যার গন্তব্যে ফিরলাম। তো এই ছিল আজকের ব্লগ আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ আপু আরফানের জন্মদিনে দেখছি দারুন মজা করেছেন আপনারা। তার থেকেও বেশি মজা পেয়েছে আরফান এবং তার পরিবার। কেননা আপনি আপনার হাজব্যান্ড এবং দেবর সহ যখন তাদের বাসায় পৌঁছালেন তখন আরফান তো দেখছি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিল। আপনি একটা ঠিক কথাই বলেছেন আপু ছেলের মন পেতে হলে বুড়ো কে কলা দিতে হবে হা হা। বেশ দারুন কথা বলেন তো আপু আপনি। অবশেষে সব অনুষ্ঠান শেষ করে বৃষ্টির পরেও বাসায় ফিরলেন সাথে আপনাদের কেক পাঠিয়ে দিয়েছিল বাকি দুজনের শুনে বেশ খুশি হলাম। তবে কোনটেস্ট এর রেসিপি পোষ্ট এর অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আসলে বিষয়টা সে রকম না, তবে আদর আন্তরিকতা যদি থাকে তাহলে কারো মন পাওয়ার জন্য কিছু করা লাগে না।আপনি যদি কারো প্রতি আন্তরিক হন দেখবেন আপনার প্রতি আন্তরিকতা দেখাবে যদি মন মানসিকতা তার ভালো হয় ।
আপনার ভাগ্নের জন্মদিন উপলক্ষে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন। আর আফরান ও আফরানের ফ্যামিলি আপনাদের কে দেখে অনেক খুশি হয়েছে এভাবে ঘরোয়া ভাবে কোন অনুষ্ঠান পালন করতে বেশ ভালই লাগে। বৃষ্টির পরেও আবার বাড়ি ফিরে এসেছেন এবং সাথে কেক পাঠিয়ে দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আর কনটেস্টে আপনৈ অংশগ্রহণ করবেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু আমার শাশুড়ি আর জা যেতে পারেনি তাই তাদের জন্য কেক পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমি নিজেও কিছুটা অসুস্থ ছিলাম তবুও ভাগ্নে খুব আদরের ছিল তাই চলে গেলাম।
আরফানের জন্মদিনের প্রথম পর্ব আমি পড়েছি খুবই ভালো লেগেছিল, দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। আসলে দ্বিতীয় পর্ব বেশি দিন পরে দিলে পড়ার প্রতি একটা ইন্টারেস্ট থাকে না।আজকে শেয়ার করে ভালো কাজ করেছেন। আসলে আরফান কার মামাদের কলিজার টুকরা এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আরাফের জন্মদিন উপলক্ষে আপনারা অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন। আর ইফতারের পরে খুব একটা খাওয়া যায় না ঠিকই বলেছেন, শুধু আনার খেয়েছেন সেই দিনটা অনেক আনন্দের ছিল। দোয়া রইলো আরফানের জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সব সময়।
আপনার ভাগ্নে কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনার ভাগ্নের জন্মদিন উপলক্ষে বেশ সুন্দর আয়োজন করেছেন। এবং দেখে বোঝা যাচ্ছে সবাই মিলে সময়টা বেশ সুন্দর উপভোগ করেছেন। ভালো লাগলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া,মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো।।
আরফান সেদিন অনেক খুশি হয়েছে।আর সে আসলেই আমাদের কলিজা।আর সে কারণেই এই আয়োজন করা।যাক সল্প সময়ে চেষ্টা করেছি তাকে একটু আনন্দ দিতে।তোমাকে ধন্যবাদ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ইচ্ছে ছিল তো অনেক আগে থেকে তাই হয়তো আগের দিনই মনে পড়ে গেল।কথায় আছে না নিয়ত যেমন ফলাফলও তেমন।