কক্সবাজারে রাজা চা খাওয়ার মূহুর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজ চলে এলাম আপনাদের সাথে একটা দারুণ মুহূর্ত শেয়ার করতে।কক্সবাজারের প্রথমদিনের কিছু মূহুর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম তবে সন্ধ্যাবেলার আরও একটা মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
সেদিন মূলত আমরা সবাই মিলে সন্ধ্যাবেলায় নাস্তা করে নেয়ার পর ভেবেছিলাম বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিব। কিন্তু পরক্ষণে ওই ভাইয়া বলল এখানে রাজা চা নামে একটা চা আছে খেতেও নাকি খুব মজা হয়। আমরা চাইলে সেখানে যেতে পারি। তখন ভাবলাম যে সেখানে যাওয়া যাক।আর নাস্তা করার পর চা না খেলে ভালো লাগে না। সে জন্যই মূলত উপভোগ করতে আসলাম। আমাদের ফেনীতে একটা রেস্টুরেন্ট আছে চায়ের গ্রাম নামে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায়। এখানে অনেকগুলো চায়ের সমাহার দেখেছি।
তবে আমরা প্রথমত গিয়ে দেখলাম সেখানে অনেক মানুষ। বাইরে বসার জায়গা নেই। ভেবেছিলাম বাইরেই বসবো। কিন্তু অনেক মানুষ হওয়ার কারণে বাইরে জায়গাটা একদম খালি নেই,কিন্তু ভেতরে অনেক জায়গা রয়েছে। তবে ভিতরে কিছুটা গরম আর বাইরের প্রকৃতির উপভোগ করতে করতে চা খাওয়ার মজাই আলাদা।কিন্তু জায়গা নেই কি আর করার ভিতরেই বসলাম।
যাইহোক সবাই মিলে ভিতরের চলে গেলাম।পরিবেশটা দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। কারণ সেখানে অনেকগুলো ছবি ছিল। যেখানে রাজা চায়ের সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশের স্পিকার পর্যন্ত নাকি এই চায়ের স্বাদ গ্রহণ করেছিল। জানিনা এটার সত্যতা কতটুকু। তবে ছবিতে সেই বিখ্যাত রাজা যিনি চায়ের জন্য খ্যাত হয়েছেন তার ছবি ছিল।এভাবে আরও অনেককে নাকি তিনি তার স্পেশাল চা খাইয়েছিলেন।
তাছাড়া দেখলাম অনেকগুলো জিনিস সেখানে সাজানো রয়েছে। যেমন অনেকগুলো চায়ের কাপ আবার ট্রফির মত অনেক কিছু ছিল। সেখানে মূলত এই রাজা চায়ের ব্রাঞ্চ ছিল এটি। অনেক ব্রাঞ্চ নাকি বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। বলেছিল কয়েকটা ব্রাঞ্চ দেশের অনেকগুলো জায়গায় রয়েছে তবে কয়টা ব্রাঞ্চ আছে সেটা আমার মনে নেই। যাই হোক আমরা সবাই আমাদের জন্য স্পেশাল রাজা ছাড়া অর্ডার দিয়েছিলাম।
আসলে আমরা তো পূর্বে সেই চায়ের স্বাদ গ্রহণ করি নি। মূলত সেখানে স্পেশাল চা টা খেয়েছি। আর ভাইয়াটাও সাথে থাকার কারণে তিনি বলেছিলেন এই চা টা ভালো হবে। যাইহোক তিনি অবশ্য উনার জন্য লাল চায়ের অর্ডার দিয়েছিল। কারণ তিনি এই চা গুলোর স্বাদ পূর্বে গ্রহণ করেছে। সেজন্য তার সেদিন লাল চা খাওয়ার ইচ্ছে হলো। যাই হোক প্রথমত আমরা আমাদের সবার জন্য চারটা রাজা স্পেশাল চা এবং একটা লাল চায়ের অর্ডার দিয়েছিলাম।
তারা ভুলবশত ভেবেছিল টোটাল চারটা চা অর্ডার দিয়েছি। সেজন্যই তারা প্রথমে তিনটা স্পেশাল চা আর একটা লাল চা দিয়েছিল। এরপর যখন বলেছিলাম আরও একটা অর্ডার ছিল তখন আরেকটা দিয়ে গেল। যাই হোক চা উপভোগ করছি আর চারিদিকের ছবিগুলো দেখছিলাম। যাই হোক আমরা সবাই মিলে চা খেয়ে নিলাম। তারপর সবাই একসাথে বের হয়ে গেলাম। বের হতে হতে অনেকগুলো ছবি তুলেছি। কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সবগুলো ছবি তো আর আসলে শেয়ার করা সম্ভব নয়। যাইহোক তারপর সবাই বের হয়ে আরো কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করলাম। তারপর বাসায় চলে গেলাম। ভেবেছিলাম আগে বাসায় যাব কিন্তু পারলাম না।
যাইহোক সর্বপরি বলতে হয় ফেনীতে চায়ের গ্রামে আমরা যেই চা খেয়েছিলাম সেগুলোই আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল। আসলে স্পেশাল চা বললেও এখানে স্পেশালিটির কিছুই নেই। যেহেতু একটা টুরিস্ট প্লেস সেই হিসেবে এগুলো একটু দাম রাখা হয়। যাই হোক এরপর আবারও গিয়েছিলাম শামশুন্নাহার আপু সহ। তখন আবার আরেকটা চায়ের অর্ডার দিয়েছিলাম। সেই মুহূর্ত আপনাদের মাঝে অন্যদিন শেয়ার করব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কক্সবাজারে গিয়েছিলাম কিন্তু রাজা চা সম্পর্কে জানতাম না মিস করে ফেলেছি দেখছি। আপনার অনুভূতি পড়ে এখন মনে হচ্ছে চা খাওয়ার জন্য হলেও আরেকবার কক্সবাজার যেতে হবে
লাবণী বিচের যেতে পথেই পড়ে এই রাজা। যা আসলে আমরাও জানতাম না। সেই ভাইয়াই আমাদের নিয়ে গিয়েছিল। পরে আবার শামসুননাহার আপু সহ আরেক দিন গিয়েছিলাম।
কক্সবাজারের এই চা সম্পর্কে শুনেছিলাম তবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও চাগুলো দেখতে খুব ভালই লাগছিল তবে আপনি বললেন তেমন স্পেশাল কিছু নেই। আসলে কিছু কিছু জিনিস নাম দিয়েই অনেক খ্যাতি অর্জন করে আর এরকম টুরিস্ট প্লেস হওয়ার কারণে অনেক বেশি দাম ও রাখে। শামশুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করেছেন জেনে ভালো লাগলো।
হ্যা আপু,টুরিস্ট প্লেস আর নামেই খ্যাতি পেয়েছে।
আমি নিজেও অনেকবার স্পেশাল চা খেয়েছি আপু, তবে আমিও কখনো এরকম স্পেশাল চা তে স্পেশাল কিছু খুঁজে পাইনি কোনদিন। তবে বাংলাদেশের স্পিকার পর্যন্ত যেহেতু এই চায়ের স্বাদ গ্রহণ করেছে, তার মানে যথেষ্ট ভালো হওয়ার কথা। তাছাড়া চা খেতে হয় খোলা আকাশের নিচে বসে, আমি নিজেও ঘরের ভেতরে বসে চা খাওয়ার পক্ষপাতী নই আপু। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে।
যত ভালো বা স্পেশাল বলে ততটাও না।অনেকসময় চায়ের স্বাদটাও পাওয়া যায় না।
কক্সবাজারে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল বহুদিনের।অবশেষে বছরের প্রথমেই চলে গেলাম কক্সবাজারে। আর প্রথমদিন জার্নি করে হলেও খুব ভালো লেগেছে বিচে গিয়ে।আর শেষে রাজা চা খেয়ে আরও মজা লেগেছে। তবে ভিতরের পরিবেশটা আসলেই খুব গরম ছিল। বাইরে বসতে পারলে ভালো লাগতো। অনেক ধন্যবাদ মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
ইনশাল্লাহ আবারও যাওয়া হবে কক্সবাজার ট্যুরে।