মুসাপুর যাওয়ার পথে বাংলাবাজার ব্রিজের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ আবার চলে এলাম আপনাদের মাঝে ভিন্ন রকম একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আসলে পোস্ট ভ্যারিয়েশন এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম টপিক নির্বাচন করতে হয়। সেই হিসেবে আমি আজকের টপিক নির্বাচন করলাম ভ্রমন পোস্ট দিয়ে। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেছি যেগুলো এখনো পেন্ডিং রয়েছে। আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি। তবে রিসেন্ট একটা জায়গায় গিয়েছিলাম সেটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আমাদের পাশের জেলা কোম্পানীগঞ্জের মধ্যে একটা পর্যটক কেন্দ্র আছে যেটা মুসাপুর নামে পরিচিত। যাই হোক একদিন বিকেলবেলা হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম যে মুসাপুর থেকে ঘুরে আসা যাক। কারণ আমি তখনো পর্যন্ত যেতে পারিনি। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর পরই কিন্তু আমরা বের হয়ে গেলাম। আমরা তিনজন গিয়েছিলাম সাথে আমার ছোট বোনও ছিল। যাই হোক বাইকে করেই কিন্তু পুরো পথ জার্নি করেছিলাম। প্রথম দিকে চলে গেলাম বাংলাবাজারের দিকে।
বাংলা বাজারের ওখানে একটা ব্রিজ আছে যেটা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। সেজন্য প্রথমেই আমরা বাংলাবাজার ব্রিজের ওখানে চলে গেলাম। তারপর ব্রিজের নিচে নদীর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। দেখলাম জায়গাটা অনেক বেশি মনোরম এবং সুন্দর। ইচ্ছে হচ্ছিলো সেখানেই যেন একটা বাড়ি করে থেকে যাই। আসলে তীব্র গরমের মধ্যে এরকম ঠান্ডা আবহাওয়া সেখানেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল। নদীটা বিশাল বড় আবার মুসাপুরের ক্লোজারের সাথে সংযুক্ত ছিল।
যাই হোক যখন আমরা সেখানে গেলাম তখন দেখলাম নিচের দিকে নদীর পাড়ে অনেকগুলো পাথরের ব্লক রাখা আছে। আর সেগুলোতে হাঁটতে কিন্তু বেশ ভালই লাগছিল। যদিও কিছুটা গরম ছিল তবে খালি পায়ে হাঁটতে বেশি মজা লাগছিল আমার কাছে। আর সবচেয়ে বেশি মজা করেছিল নিভৃত। কারণ সে ঘুরতে বরাবরই পছন্দ করে। সেই ছোটবেলা থেকেই কিন্তু তার অনেক জায়গায় ঘুরাঘুরি হয়ে গিয়েছে। আর সেজন্য যখন সে শুনে যে বাইরে যাবে তখন আনন্দে থাকে। যাই হোক সে দেখলাম খুব আনন্দ করছে, দৌড়াদৌড়ি করছে। আর যেহেতু বাতাস আসছে সে হাত মেলে বাতাস ধরার বৃথা চেষ্টা করছিল।
তারপর আমরা সবাই ব্লকের মাঝে হাঁটার জন্য গেলাম। সেখানে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে জায়গাটা এত বেশি সুন্দর লাগছিল যে প্রত্যেকটা ছবি অনেক সুন্দর হয়েছিল। আর অনেক বেশি বাতাস ছিল এজন্য হাঁটতেও ভয় লাগছিল যদি পড়ে যাই। তবুও কিছুক্ষণ সেখানে থেকে ফটোগ্রাফি করলাম। নিভৃত পানিতে নামার জন্য লাফাচ্ছিল, সেজন্য আবার উপরে উঠে এলাম। সে পানি দেখলেই সেখানে চলে যেতে চায়।
নদীর কিনারা থেকে উপরে ওঠার পর আমরা কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম । ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্রিজটাকে রেখে ছবি তোলায় আরো বেশি সুন্দর লাগছিল প্রকৃতি।সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় পার করলাম। কারণ নিভৃত সেখান থেকে যেতে চাচ্ছিল না। তারপর আমরা আবার উপরে চলে গেলাম। সেখান থেকে ব্রিজের উপরে গেলাম। এই ব্রিজটা নদীর কিনারা থেকে দেখতে যত সুন্দর লাগে উপর থেকে দেখতে তেমন ভালো লাগে না। কারণ উপর দিয়ে তো আর এই ব্রিজের দৃশ্যটা দেখা যায় না।
এরপর আমরা আবার মুসাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কারণ সেখানে যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে যায় ফিরতে ফিরতে একদম রাত হয়ে যাবে। তারপর সেখানে গিয়েও অনেকক্ষণ সময় কাটালাম। সেটা না হয় আরেকদিন আরেকটা পর্ব নিয়ে চলে আসবো আপনাদের মাঝে। আজকের মত এতটুকুই ছিল।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাংলাবাজার ব্রিজের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত।পড়ে বেশ ভাল লাগলো। সত্যি আপু এরকম জায়গায় কিছুটা সময় কাটাতে অনেকেই পছন্দ করবে। আপনাদের ওখানে ঘোরাঘুরিরঅনুভূতিটা নিভৃতকে দেখে বুঝা যাচ্ছে কতটা ভালো সময় কাটিয়েছেন। জায়গাটিও কিন্তু বেশ অসাধারণ। সত্যি আপু এরকম জায়গায় ঘর বানিয়ে থাকতে আমারও বড় ইচ্ছে হয়।
নিভৃত বাইরে যেতে পারলে খুবই খুশি থাকে। আর এদিক সেদিক ঘুরতে পারলেই সে আনন্দিত বেশি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এই ব্রিজটার ফটোগ্রাফি সম্ভবত কয়েকদিন আগে একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট এ দেখেছিলাম। জায়গাটা সত্যিই ভীষণ সুন্দর। বিশেষ করে পাথরগুলো থাকার কারণে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনারা নিশ্চয়ই চমৎকার কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বড় বড় ঘাসগুলোর মধ্যে আপনার ছবিটা বেশ সুন্দর হয়েছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হয়তো দেখতে পারেন আপু কারণ আমাদের অনেকেই কিন্তু ওখানে যায় এবং ফটোগ্রাফি করে। যাই হোক খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা দেখে।
বাংলাবাজার যাওয়ার সময় ব্রিজের আশেপাশে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।বাবুর দেখে মনে হচ্ছে অনেক খুশি হয়েছিল খোলা জায়গায় খেলতে পেরে।অসাধারণ একটি পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন,ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু নিভৃত যদি বাইরে কোথাও বেরোতে পারে তাহলে সে খুবই খুশি থাকে।
বেড়ানোর বর্ণনা ভীষণ সুন্দর হয়েছে। নদীটি খুব সুন্দর। আর ঠিকই বলেছেন, নদীর ওপরের ব্রিজটি আরো সুন্দর। কিন্তু একটি কথা বলার আছে। নদীর পাশে বোল্ডার গুলোর উপর যেভাবে দাঁড়িয়ে আছেন সকলে তা বিপদজনক। খুব সাবধানে দাঁড়িয়ে ছিলেন আশা করি। ছবিগুলো খুব জীবন্ত হয়েছে। বেড়ানো মানুষের মন ভালো করে। আর আপনার শিশুপুত্রটি যে এই টুর খুব এনজয় করেছে তা বেশ বুঝতে পারছি।
জি ভাইয়া খুব সাবধানে হেটেছিলাম কারণ হয়তো পড়ে যেতাম। তবে, সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করে পা দিয়েছি। যাই হোক খুব ভালো লাগলো আপনার মতামত দেখে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন খোলামেলা পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আরো বেশি ভালো লাগছে বাবুকে হাসি খুশি এবং খেলতে দেখে। এমন জায়গায় গেলে বাচ্চার অনেক খুশি হয়। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের ঘোরাঘুরি মুহূর্ত পড়ে। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু, নিভৃত বাইরে ঘুরতে বেরোলে অনেক বেশি আনন্দিত থাকে। এজন্য মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে যাই। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।