বিকেলের সময়টা নার্সারিতে ঘুরাঘুরি।

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

বিকেলের দিকে চলে গেলাম বাজারে।দুপুরে খাওয়ার পর আর ঘুমাইনি।বাজারে যেতে হবে কিছু জিনিসপত্র কিনতে। মূলত আমার বাংলা ব্লগে চলমান কন্টেস্ট এর জন্যই কিছু উপকরণ বাজার থেকে নিয়ে আসতে হবে।আর আমাদের স্থানীয় বাজার হলো দুধমুখাতে।যেহেতু আমার হাজব্যন্ড তার জন্য কিছু জিনিস কিনবে তাই সে যাবে বলেছে।পরে বলল যে আমিও সাথে যেতে। একসাথে নার্সারিতে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিতে পারবো।

IMG-20231202-WA0021.jpg

এজন্যই মূলত ৩টায় রেডি হয়ে গেলাম। বাবু যেহেতু ঘুমাচ্ছিল তাকে আর উঠাই নি।সে তার মামমামের কাছে থাকবে। আর ঘুম থেকে উঠতেও কিছুটা দেরি হবে।এমনিতে ঘুমের মধ্যে উঠিয়ে নিলে আরও বেশি কান্নাকাটি করবে।যাইহোক তারপর তো বেরিয়ে গেলাম দুজনে।প্রায় কিছুটা পথ হেটে হেটে গেলাম কোনো গাড়ি ছিলনা। এরপর একটা রিক্সা দেখতে পেলাম।তাই আমরা সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম রিক্সা ব্যাক করার জন্য।সেখানে একজন লোক ছিল বিধায় তাকে দিয়ে এসে তারপর আমাদের নিলো।আসলে সেই সময় রিক্সায় করে যেতে ভালোই লাগছিল।ওয়েদার ছিল কিছুটা ঠান্ডা যেটা মানানসই ছিল।

IMG-20231202-WA0029.jpg

20231201_160430.jpg

যাইহোক দুজন মিলে সেখানে চলে গিয়েছি, তারপর আমরা নার্সারির দিকে গেলাম। নার্সারিতে যাওয়ার পর দেখলাম সেখানে কিছু লোক আছে। আর অনেকগুলো চারা দেখা যাচ্ছে। নার্সারীর পরিবেশ মূলত আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।কারণ সেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা রয়েছে। ফুল, ফল এবং বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছও পাওয়া যায়। মূলত আমরা গিয়েছিলাম সেখানে নতুন কোন গাছ উঠেছে কিনা দেখতে। আর এখান থেকে বিজলী প্লাস মরিচ এবং আমেরিকান বেগুন গাছের চারা নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা যেগুলোর জন্য গিয়েছিলাম সেখানে, সেই গাছগুলো ছিল না। অন্যান্য গাছ ছিল তবে প্রয়োজন ছিল না বিধায় আমরা কোন গাছ নেইনি।

20231201_160424.jpg

20231201_160116.jpg

তবে নার্সারীর আশেপাশে অনেক জায়গায় ঘুরেছি এবং একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম নার্সারির পরিধি আরো বৃদ্ধি করেছে। সেখানে কমলা গাছ ছিল, আর তার ফুলের সুগন্ধ অনেক বেশি মনোমুগ্ধকর ছিল। যেহেতু নার্সারিতে গেলাম, ফুলের বাগানে গেলাম নিজের ফটোগ্রাফি আর ফুলের ফটোগ্রাফি করবো না তা কি হয়। কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম এবং আমার হাজবেন্ড আমাকে অনেকগুলো ছবি তুলে দিয়েছিল। নার্সারির পাশে বড় একটা বিল্ডিং নতুন করে করেছিল। বিল্ডিং টা দেখতে বেশ সুন্দর দেখা যাচ্ছিল। সর্বোপরি পরিবেশটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। তবে শীতকাল আসছে উপলক্ষে অনেকগুলো গাছ প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেটা ওই বাগান থেকে কিছুটা দূরে দেখলে লক্ষ্য করা যায়। দোকানের মালিক অনেকগুলো চারার প্রসেসিং করছিল।

IMG-20231202-WA0013.jpg

IMG-20231202-WA0019.jpg

সেখানে একপাশে অনেকগুলো গাছ ছিল যেগুলো আমার শ্বশুরবাড়ির সামনের বাগানে লাগানো হয়েছে। গাছগুলো একসাথে দেখতে কিন্তু বেশ দারুন লাগছে। রোদের আলো একদম সরাসরি পড়ছিল বিধায় ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালোভাবে করতে পারিনি। আর সেখানে দাঁড়াতে অসুবিধা হচ্ছিল। চোখের মধ্যে রোদের আলো পড়লে কিছুটা অস্বস্তি লাগছিল আমার। যাইহোক সেখানে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করলাম। সেখানে দেখলাম ড্রাগনের চারা এবং ওয়াল-কার্পেট গাছ ছিল। যেগুলো দেখে কিনতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু এই সময়ে এগুলোর যত্ন নেয়া সম্ভব নয় বলেই মূলত গাছগুলো আর কেনা হয়নি।
IMG-20231202-WA0025.jpg

IMG-20231202-WA0023.jpg

নার্সারির পাশেই রয়েছে একটা কাবাব হাউজ।নাম ছিল নবাবী কাবাব হাউজ। সেখানেও গিয়েছিলাম। সেই নিয়ে অন্যদিন আপনাদের সামনে আবার হাজির হব। আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণঘুরাঘুরি
ক্যামেরা.মডেলজে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার@bristy1
লোকেশনফেনী

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি।আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Sort:  
 9 months ago 

আপু নার্সারিতে আপনারা দুজনে বেশ ভালো একটি সময় কাটেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ঠিকই বলেছেন আপু নার্সারিতে যাব আর ফটোগ্রাফি করবো না তা কি করে হয়। যাইহোক আপু নার্সারিতে গিয়ে নবাবী কাবাব হাউজে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। দুজনে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ আপু।

 8 months ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন সব সময়।।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 9 months ago 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বিকেল বেলায় নার্সারিতে ঘোরাঘুরি করে কিছু ফটোগ্রাফি। আসলে বিকেল বেলায় মনোরম পরিবেশ নার্সারির মধ্যে গাছপালায় ও ফুল দেখে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। নার্সারির পাশেই ছিল নবাবী কাবাব হাউজ সেখানে আপনি এবং ভাই গিয়েছিলেন জানতে পারলাম। আশা করি পরবর্তী পর্বে এই বিষয়ে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 8 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

 9 months ago (edited)

বেশ ভালো লাগলো আপনার নার্সারিতে ঘুরতে যাওয়া দেখে। সেই সাথে আপনার সাথে সাথে বেশ উপভোগ করেছি আপনার অনুভূতি গুলো। আমার মনে হচেছ নার্সারিতে গিয়ে আপনি অনেক ইনজয় করেছেন। তবে আপনাদের নার্সারিটি কিন্তু দারুন সুন্দর। সবুজে সবুজে ভরা। দেখেই যেন মন ভরে গেল। অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের খাওয়া দাওয়ার কাহিনী পড়ার।

 8 months ago 

জি আপু নার্সারিতে গিয়ে বেশ ভালোই আনন্দ করেছি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

 9 months ago 

খুব ভালো লাগলো আপু আপনার ঘুরাঘুরি ও বাজারে গিয়ে কিছু কেনাকাটার গল্প গুলো পোস্টে পড়ে।নার্সারিতে গেলে সবুজের সমারোহতে মনটা সত্যি উৎফুল্লতায় ভরে যায়। খুব ভালো সময় পার করেছেন দেখছি।বাবুরা সত্যি ঘুম থেকে উঠলে কান্নাকাটি করে। তাই ভালো করেছেন রেখে গিয়ে কারণ অস্তিত্ব অনুভব করে বাইরে গেলে।কাবাব হাউসে গিয়ে সুন্দর একটি সময় পার করেছে এবং খেয়েছে। খুব ভালো লাগলো পুরা পোস্ট টি পড়ে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 8 months ago 

নার্সারি যখন পরিপূর্ণভাবে সাজানো হবে তখন আবার যাব আবার আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করব।

 9 months ago 

চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল আর সেখানে যাওয়ার পথেই নার্সারিতে গিয়েছিলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। এখন শীতের সময় আর শীতের সময় নার্সারি গুলো ফুলে ফুলে ভরে উঠে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। আপনারা দুজন সেখানে গিয়ে খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে ভাইয়া আপনাকে অনেকগুলো ছবি তুলে দিয়েছে। যদিও রোদ্রের কারণে ছবি তুলতে অনেকটাই সমস্যা হয়েছিল। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

এক ঢিলে তিন পাখি মারলাম আর কি ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

অবসর সময় একটু ঘুরাঘুরি করতে ভালই লাগে। আর নার্সারিতে ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। চারদিকে সবুজের সমরহ। আর নার্সারিতে গিয়ে কাবাবি হাউজে গিয়েছেন জেনে ভালই লাগলো। দুজনে মিলে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। পরবর্তীতে নবাবি কাবাব হাউজের খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 8 months ago 

আমার তো প্রতিদিনই মন চায় কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই কিন্তু বাড়িতে থাকার কারণে এখন তা সম্ভব হয় না।

 9 months ago 

ছোট বাচ্চাদের ঘুম পূর্ণ না হলে তারা কান্নাকাটি করে। ভালো করেছেন বাচ্চাকে ঘুম থেকে না উঠিয়ে দুজনে মিলে গিয়েছেন। দুজনের কিছুটা বাইরে ঘোরা হয়ে গেল। তাছাড়া নার্সারিতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি করা যায়। নার্সারীর পাশের কাবাব হাউজ এ গিয়ে বেশ খাওয়া-দাওয়া করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। সেই পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

 8 months ago 

অলরেডি সেই পর্ব শেয়ার করেছি। অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.033
BTC 63915.30
ETH 2740.13
USDT 1.00
SBD 2.59