প্রথমেই একটি পরিষ্কার কড়াই নিলাম।এরমধ্যে ২০০গ্রাম পরিমাণ তরল দুধ দিয়ে দিলাম। তারপর ১/৩ কাপ পরিমাণ চিনি দিয়ে দিলাম।
এই ধাপে যেকোনো ব্র্যান্ডের কোকো পাউডার ইউজ করা যাবে। চকোলেট ফ্লেভারের জন্য আমি দেড় টেবিল চামচ পরিমাণ কোকো পাউডার নিলাম। তারপর সেই দুধের মধ্যে দিয়ে সবকিছু ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।
এইধাপে চুলার জ্বাল দিয়ে দিলাম। এর আগে কিন্তু চুলার আগুন জ্বালাইনি,এই পর্যায়ে এসেই আগুন জ্বালালাম।তারপর বেশ কিছুক্ষণ অনবরত নেড়েচেড়ে রান্না করলাম।৫মিনিটের মধ্যেই এটা অনেকটা ঘন হয়ে এসেছে।চুলার আঁচ মিডিয়ামে রেখে রান্না করেছি। কিছুটা পাতলা থাকা অবস্থায় নামিয়ে নিলাম।তৈরি হয়ে গেল চকোলেট গানাশ।
এখন একটা বাটিতে হুইপড ক্রিমের একটা প্যাকেট নিলাম।উপকরণে যেই বক্স আছে সেটাতে ২টা প্যাকেট থাকে।এখানে একটা নিয়েছি। সাথে ১০০ গ্রাম ফ্রিজের ঠান্ডা তরল দুধ দিলাম।
এখন হ্যান্ডবিটার দিয়ে ৩স্পিডে ভালোভাবে বিট করলাম। বিট করতে করতে অনেকটা ফোম বা ক্রিমি হয়ে আসবে।
এই ধাপে পূর্বে তৈরি করা চকোলেট গানাশ দিয়ে দিলাম তারপর আবারও কিছুক্ষণ বিট করে নিলাম। এভাবে তৈরি হয়ে গেল আইসক্রিমের বেইস টা।
এখন একটি স্প্যাচুলার সাহায্যে বাটির চারপাশের আইসক্রিমটা নিয়ে ভালোভাবে একসাথ করে নিলাম। তারপর একটা আইসক্রিমের বক্সে ঢেলেই সমান করে নিলাম।
এখন অল্প একটু চকোলেট গানাশ ছিল সেটাতে হালকা একটু দুধ দিয়ে একটু পাতলা করে নিলাম। তারপর আইসক্রিমের উপরে ফোঁটা ফোঁটা করে দিয়ে এবং একটা কাঠির সাহায্যে এগুলোকে ডিজাইন করে নিলাম। তারপর ফ্রিজে রেখে দিলাম সারারাতের জন্য।
ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করার পর দেখুন একদম জমে আইসক্রিম হয়ে গিয়েছে। এটাতে কোন বরফ নেই কারণ এটা সম্পূর্ণটাই ক্রিম দিয়ে তৈরি। আর আমি চামচ দিয়ে উঠিয়ে নিয়েছি। এটা দেখলেই বোঝা যায় যে আসলে এটা শক্ত হয়ে আইসক্রিম হয়ে গিয়েছে। যাইহোক আইসক্রিমের একটা বাটিতে সার্ভ করে নিলাম।
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
এই প্রচন্ড গরমে আইসক্রিমের কথা শুনলেই যেন লোভ লাগে। আপনার আইসক্রিম তৈরির রেসিপি বেশ দারুন ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সর্বশেষ দেখি আইসক্রিমটা বেশ ভালোই হয়েছে অনেক লোভনীয় লাগছে বটে।
জ্বী ভাইয়া আইসক্রিমটা দারুণ হয়েছিল খেতেও মজা লেগেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাসায় বসে মজাদার চকোলেট আইসক্রিম তৈরি করেছেন। আপনি বেশ দারুন ভাবে আইসক্রিম তৈরির সম্পুর্ন করেছেন। আমি প্রথমে আপনার আইসক্রিম টি দেখে দধি মনে করেছিলাম, কিন্তু পরে দেখতে পারলাম এটি একটি চকলেট আইসক্রিম। যাইহোক, এই প্রচন্ড গরমের একটি আরামদায়ক খাবার তৈরি করেছেন। খেতে বেশ ভালোই লেগেছে আপনার।
আগামীকাল ভ্যানিলা আইসক্রিম তৈরি করব, পারলে সেটাও শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে।
এই গরমে আইসক্রিম খেলে খুবই ভালো লাগে। আর আপনি বাসায় খুবই সুন্দর ভাবে এত মজাদার আইসক্রিম তৈরি করেছেন। ধাপগুলো দেখে খুব সহজে আইসক্রিম তৈরি করা শিখে নিলাম, খেতেও নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছিল।
আমি চেষ্টা করি বাসায় বিভিন্ন জিনিস ট্রাই করার। কারণ এটা স্বাস্থ্যকর হয়, ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে বাসায় স্পেশাল কিছু রান্না হলে সেই স্পেশাল রান্নাটা আপনি করে থাকেন। এ থেকেই বোঝা যায় যে রান্নাবান্না করার ব্যাপারে আপনি অনেক বেশি পারদর্শী। বাসায় তৈরি মজাদার চকলেট আইসক্রিম এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। মজাদার এই চকলেট আইসক্রিম আমাদের সকলের মাঝে তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
না ভাইয়া এটা ঠিক বলা যায় না, কারণ পারদর্শী এখনো হয়নি। টুকিটাকি রান্না করতে পারি এই আর কি।
এই গরমে আইসক্রিম তাও আবার মজাদার চকলেট আইসক্রিম। দেখেই তো খেতে মন চাচ্ছে আপু।আইসক্রিম রেসিপিটি বানানোর পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর ও সুস্বাদু করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় চকলেট আইসক্রিম টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
খেতে মজা ছিল আপু, ট্রাই করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি বাসায় স্পেশাল রান্না কিছু করেন জেনে ভালো লাগলো। চকোলেট আইসক্রিম খেতে ভীষণ মজা লাগে। যে গরম পরেছে এধরনের চকোলেট আইসক্রিম হলে তো জমিয়ে খাওয়া যায়। চমৎকার ভাবে পরিবেশন করেছেন। সবাই দেখে কিন্তু খেতে চাইবে আপু।
এক বসাতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভাইয়া। তাই ভ্যানিলা আইসক্রিন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এই সময় এটা কি দেখালেন আপু। এই গরমের সময় আইসক্রিম পেলে তো অনেক বেশি মজা করে খাওয়া যেত। আপনি তো দেখছি আমার পছন্দের চকলেট নিজের হাতেই তৈরি করে নিয়েছেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এরকম আইসক্রিম আমি কয়েকবার তৈরি করেছিলাম। কিন্তু কখনো চকলেট আইসক্রিম তৈরি করা হয়নি। এই গরমের সময় আইসক্রিম খেতে অসম্ভব ভালো লাগবে। মাঝেমধ্যে ঘরে এই ধরনের জিনিসগুলো তৈরি করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি যেভাবে পরিবেশন করেছেন, ইচ্ছে করছে বাটিটা নিয়ে এখনই আইসক্রিমগুলো খেয়ে ফেলি।
কি আর করার, আমি যতবার দেখি ততবারই তো খেতে ইচ্ছে করে। এক বসাতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার চমৎকার এই রেসিপি দেখে মুগ্ধ হলাম। খুবই সুন্দর ভাবে আপনি তা তৈরি করে দেখিয়েছেন। এমন চকোলেট আইসক্রিম আশা করি খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল।
খেতে তো অসাধারণ ছিল ভাইয়া, খুব সহজেই কিন্তু বানিয়ে নিতে পারবেন। ভাবীকে বলবেন বানিয়ে দেবে।
সেদিন আইসক্রিমটি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। তবে ছোট বানানোতে নিজের ভাগে কম পড়েছে😋।যাই হোক আগামীতে বানালে আরেকটু বড় করে বানাতে হবে। না হলে এত সুস্বাদু আইসক্রিম অল্প খেয়ে পোষায় না। 😋🤪😋🤪
কি আর করার, হুইপড ক্রিম কম থাকার কারণেই মূলত কম বানিয়েছি। সামনে একটা লিকুইড ক্রিম কিনলে ইচ্ছামত তৈরি করা যাবে।