প্রথমবারের মত রেস্টুরেন্টে নিভৃত।গ্র্যান্ড সুইটস এ আমরা একদিন।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
গত পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম সে মূহুর্তটা। এরপরেই আমি গিয়েছিলাম বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে। সেটি হল গ্র্যান্ড সুইটস নামের একটি রেস্টুরেন্ট। যদিও আমি বাইরে থেকে ফটোগ্রাফি করতে পারিনি।
প্রথমত আমরা রেস্টুরেন্টের ভেতরে চলে গিয়েছিলাম। আর এই রেস্টুরেন্টটি হল আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোরে। এর উপরে হলো একটি শপিংমল। আর আন্ডার গ্রাউন্ডে খুব সুন্দর করে এই রেস্টুরেন্ট চালু করা হয়েছে। এটি বহু বছর আগের রেস্টুরেন্ট। আর এর মান অনেক ভালো। আমাদের দাগনভূঞা বাজারের মধ্যে গ্র্যান্ড সুইটস সেরা বলা যায়।
আমরা সেখানে গিয়ে কিছুক্ষন ওয়েট করলাম। তখন আমার হাজব্যান্ড একজন ওয়েটারকে জিজ্ঞেস করল ক্ষীরমোহন আর ছানার সন্দেশ আছে কিনা। কারণ আমি এই দুটি মিষ্টি খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি রসমালাই এবং দই খেতেও খুব ভালো লাগে।সেজন্যই একটি ছানার সন্দেশ এবং ক্ষীরমোহন অর্ডার করে। তারসাথে দুটো লাচ্ছি অর্ডার করেছিল।
যেহেতু আমরা বেশিক্ষণ সময় রেস্টুরেন্টে থাকতে পারবো না তাই খুব তাড়াতাড়ি আমরা খেয়ে নিলাম এবং বের হয়ে এলাম। তার কারণ হচ্ছে আমার ছেলে সেখানে কান্নাকাটি শুরু করে দিবে। সেখানে আমি যখন ওকে কোলে নিয়ে বসে ছিলাম তখন সে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। যেহেতু আমরা বিকেলের শুরুতেই গিয়েছিলাম তো সেখানে অনেক ফাঁকা ছিল। এখানে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে হাটাহাটি করছিলাম। তখন ওর আব্বুর কিছু ছবি তুলে নিয়েছিল। আর আমিও কিছু ছবি তুললাম।
আমাদের তিনজনের কিছু ছবি তুললাম। এই প্রথম আমি আমার বাবুকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেলাম। আসলে সময়টা স্বল্প হলেও খুবই ভালো লেগেছিল। আর ও চারিদিকে ডেকোরেশন গুলা দেখছিল। যেহেতু বাচ্চারা বিভিন্ন রকম আলো দেখতে পছন্দ করে সেহেতু সেখানে লাইটের ডেকোরেশনের কারণে সে বারবার তাকাচ্ছে।ভিতরে কাজ চলছে কারণ এই রেস্টুরেন্ট আরও বড় আকারের করা হচ্ছে।
খাওয়া শেষে আমার হাজব্যন্ড বিল পে করে দিল। যাওয়ার সময় আমরা রসমালাই এবং দধি কিনে নিয়েছিলাম বাড়িতে গিয়ে তার দাদার কে খাওয়ানোর জন্য। আর নিভৃত যেহেতু প্রথম রেস্টুরেন্টে গিয়েছিল, সে জন্যই সে তার দাদার জন্য কিছু নিয়ে গিয়েছিল। দাদা তো পেয়ে খুবই খুশি কারণ তার নাতি তার জন্য নিয়ে এসেছে।
যাইহোক এটি ছিল আমার আজকের পর্ব। প্রথমবারের মত আমার ছেলেটা রেস্টুরেন্টে গেল। এর কিছুটা সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার আজকের এই পোস্ট।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নিভৃত এর রেস্টুরেন্টে গমন। |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 @bristy1 |
লোকেশন | https://maps.app.goo.gl/wfEk9fkRQCFDEnfi9 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার কাছে বাবুকে ভাইয়ার মত লাগছে😄।গত পর্বের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর্ব পড়েছিলাম।বাচ্চারা আসলে এমনেই ভালো মহূর্তে বিরক্ত করে 🤪🤪।যাই তাড়াতাড়ি করে হলেও বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ
জ্বী আপু অল্প সময়ের জন্য হলেও খুব ভালো লেগেছিল কারণ হঠাৎ করেই সেখানে যাওয়া।
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরেই রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন। আসলেও আমারও তেমন রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে বের হওয়া হয় না। যখন মার্কেটে বা ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয় তখনই মূলত রেস্টুরেন্টে যাই। যাই হোক নিভৃত বাবুকে দেখে বেশ ভালো লাগছে।
যাই হোক দেখে বেশ ভালো লাগছে। এমন ঝলমলে কিছু দেখলে বাচ্চারা সেদিকে একটু বেশি নজর দেয়। যাইহোক আপনি বাবু ও ভাইয়াকে একসাথে দেখে পোস্ট টা একটু বেশি উপভোগ করলাম।
হ্যাঁ আপু একদম ঠিক বলেছেন। নিভৃত সবসময় আলোকিত জায়গাগুলোতে বেশি তাকিয়ে থাকে। এমনিতেও মোবাইলের দিকে তার নজর বেশি🤣
গ্রান্ড সুইটস অনেক ভালো একটি রেস্টুরেন্ট। নিবৃত তাহলে রেস্টুরেন্টে খেতে গেল। ক্ষীর মন আমারও অনেক পছন্দের একটি মিষ্টি। আর এই গরমের মধ্যে লাচ্চি খেতেও ভীষণ ভালোই লেগেছে নিশ্চয়ই। বেশ ভালো একটা সময় উপভোগ করেছেন। পরিবারের সবাই মিলে ভাল থাকুন এটাই কামনা।
খেতে পারুক আর না পারুক গেলেই সে খুশি। তার চেহারা দেখেই তা বোঝা যায়। ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু প্রথমবারের মতো আপনারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব এনজয় করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। আমার ছানার সন্দেশ ,মিষ্টি গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার ছেলে সেখানে গিয়ে বেশ কান্নাকাটি করছে। আপনাদের তিনজনকে একসাথে খুবই ভালো লাগছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু,আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
প্রথমে বাবুর সুস্থতা কামনা করি ৷ আপনি বাবুকে ডাক্তারের নিয়ে গেছেন আসার পথে রেস্টুরেন্টে ঢুকেছেন ৷ বেশ সুন্দর পরিবেশ ছিল ৷ তার সাথে খাবার গুলো৷ ক্ষীরমোহন আর ছানার সন্দেশ বেশি পছন্দ করেন শুনে ভালো লাগলো ৷ আবার রসমালাই সব মিলে রেস্টুরেন্টে বেশ ভালো কিছু খাবার খেয়েছেন ৷
আর বাবুকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে ৷
বাবু আবারও অসুস্থ হয়ে গেল ভাইয়া,মনটা তাই ভালো নেই।
প্রথমে আপনার বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। রেস্টুরেন্ট মনে হয় অনেক দারুন একটি সময় পার করলেন। আর এই গরমে লাচ্ছি খেতে মনে হয় খুব ভালো লাগলো আপনার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য। এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি আপু,গরমের সময়ে লাচ্ছি খেতে ভালোই লাগে।
দাগনভূঞা এর সাথে অনেক স্মৃতি মিশে আছে আমার। আমার প্রিয় মানুষটিও সেখানেই থাকতো। যদিও এখন আর নাই। ওর নাম ও আপনার নামেই ছিলো। যাক নেভলু ভাই ও আপনাদের বাবু সহ অনেক উপভোগ করেছেন দেখা যায়। রেস্টুরেন্ট টিও সুন্দর ছিলো। মাশ আল্লাহ আপনাদের বাবুকে অনেক কিউট লাগছে।
ভাইয়া,আপনার প্রিয় মানুষ সম্পর্কে জানার খুব ইচ্ছে হচ্ছে।আমার নামে আবার দাগনভুঞাতে বাড়ি,,জানাবেন ভাইয়া।