সবাই মিলে বেড়াতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

20221028_120619.jpg

কয়েকদিন আগের একটি ঘটনা যখন আমরা সবাই গিয়েছিলাম আমার এক ননদের বাড়িতে। মূলত সে বাড়িতে যাওয়ার প্ল্যান হয়েছিল একদিন আগেই। তারা আমাদের সবাইকে দাওয়াত দিয়েছিল তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। যদিও যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু যেতে হয়েছে। তখন বাবু অসুস্থ ছিল আর আমি ওর অসুস্থতার সময় বাইরে তেমন একটা বের হতে চাই না। আর যেহেতু ননদের বাড়িতে যাওয়ার ছিল আর সেই হিসেবে শশুর বলল যেতে তো হবেই সবাইকে, কারণ পরে কখনো আর যাব না।আর সেজন্য খুব সাবধানতার সাথেই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আবার তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছিলাম।

IMG-20230103-WA0030.jpg

IMG-20230124-WA0019.jpg

আমরা গিয়েছিলাম দুপুর বেলার দিকে। অর্থাৎ দুপুর বারোটা বাজে আমাদের গাড়ি এসেছিল। তখন আমরা সবাই রেডি হয়ে নিয়েছিলাম এবং সে বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। গাড়িতে উঠার পর নিভৃতকে দেখি খুবই খুশি। কারণ সে যদি কোথাও যায় তখন সে খুব খুশি থাকে। বাইরের আবহাওয়া তার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া নতুন কোথাও যেতে পারলে বাচ্চারা এমনিতেই অনেক বেশি খুশি হয়। সেই হিসেবে নিভৃতও অনেক খুশি ছিল। যাইহোক আমরা সিএনজিতে বসেই কিছু ছবি তুললাম।

IMG-20230124-WA0044.jpg

IMG-20230124-WA0045.jpg
যে এলাকায় গিয়েছিলাম সেখানে অনেক বেশি সবজি করা হয়। যদিও আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় এক ঘন্টার পথ, কিন্তু রাস্তা ফাঁকা থাকার কারণে খুব তাড়াতাড়ি যেতে পেরেছি। আর এছাড়াও রাস্তা ভালই ছিল। তবে তাদের বাড়ির কাছাকাছি যখন গিয়েছি তখন ওদিকে রাস্তাগুলো খুব ভাঙ্গা ছিল। আর ভাঙ্গা রাস্তার মধ্য দিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হয়েছিল। কারণ বাবু অসুস্থ আর সে এরকম ঝাকানি সহ্য করতে পারে না। যাইহোক যেতে যেতে অনেকগুলো ছবি তুলেছি সিএনজিতে থেকে। কারণ সেখানে শাক-সবজি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
IMG-20230124-WA0056.jpg

আমাদের এদিকে সচরাচর কেউ সবজি তেমন একটা করে না। কিন্তু সেদিকের মানুষজন জমিতে জমিতে অনেক ধরনের শীতকালীন শাকসবজির করেছে। যা দেখে মন জুড়িয়ে গেল। সেখানে যাওয়ার পর আমরা কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে নাস্তা করলাম। তারপর একটু ঘুরাঘুরি করলাম। আমি, আমার ছেলে এবং হাজবেন্ড ছাদে গিয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম। আর সেখানে নিভৃত অনেক বেশি খুশি ছিল। কারণ বাইরের পরিবেশ, তাছাড়া নতুন বাড়িতে গিয়ে সে খুবই আনন্দিত হয়েছে। অনেক জনের সাথে সেখানে মিলিত হয়েছিলাম। কারণ আমার ননদের অনেক আত্মীয়-স্বজন সেখানে এসেছিল। একসাথে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল।

IMG-20230124-WA0012.jpg
তারপর খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। তাদের বাড়িটা বেশ খোলামেলা আর বড় ছিল। এজন্য বাড়ির মধ্যে হাঁটাচলা করলাম কিছুক্ষণ। আর তেমন মানুষজন ছিল না। তাছাড়া নিভৃত তার পরিচিতদের কোলেই গিয়েছে এবং নিভৃতকে পেয়ে সবাই খুব আনন্দ উপভোগ করেছে। যদিও আমার ননদেরও ছোট একটা ছেলে ছিল নিভৃতের থেকে এক মাসের ছোট। সেও সেদিন অনেক বেশি খুশি ছিল। কারণ তার পরিচিত মুখগুলো আবার সে দেখতে পেল। বাচ্চাদের এরকম আনন্দময় মুহূর্তগুলো দেখতে কার না ভালো লাগে।

IMG-20230124-WA0024.jpg

IMG-20230124-WA0041.jpg

আর আমার ছেলে, আমার ননদের ছেলে দুজনই একসাথে অসুস্থ কিন্তু তারা নতুন পরিবেশে নতুন মানুষদেরকে দেখে অনেক বেশি আনন্দিত ছিল। তাদের দিনটি ভালই কেটেছিল। তার পাশাপাশি আমাদেরও খুব ভালো লেগেছিল। প্রথমবার গিয়েছিলাম সে বাড়িতে, তবে বেশিক্ষণ ছিলাম না। খাওয়া দাওয়ার পর এক ঘন্টা থেকে আবার চলে এসেছি।নিভৃতের আবার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে সেজন্য আমরা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসলাম। এই মুহূর্তগুলো ছবিতে বন্দি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে। আশা করি আপনাদের কাছে ভালই লাগবে।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণকবিতা
ক্যামেরা.মডেলজে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার@bristy1
লোকেশনফেনী

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Sort:  
 2 years ago 

আসলে এই সময়টাতে বাচ্চারা অনেক বেশি অসুস্থ হচ্ছে, তবুও সাহস করে ননদের বাড়ি থেকে ঘুরে এলেন। জায়গাটা বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের বলছিলেন। দুটো বাচ্চা কিছুটা সমবয়সী থাকলে একসাথে ভালোই লাগে। যাক আপনাদের বেড়ানোর পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। নিভৃতকে বেশ হাসিখুশি দেখাচ্ছে ছবিতে। দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আসলে এই সময়টাতে বাচ্চারা অনেক বেশি অসুস্থ হচ্ছে, তবুও সাহস করে ননদের বাড়ি থেকে ঘুরে এলাম।

 2 years ago 

আসলে বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে কোথাও বের হতে ভালো লাগে না। এটা ঠিক সব বাচ্চারা বাহিরে বের হতে পারলেই অনেক খুশি।আর গাড়িতে উঠলে তো আরো খুশি।যাই হোক পরিবার নিয়ে ননদের বাসায় বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

মনের কথা বলেছেন আপু আসলে বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে কোথাও বের হতে ভালো লাগে না।

 2 years ago 

আপু সবাই মিলে বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আমার তো অনেক ভালো লাগে। আপনি ও আপনার ভাই সহ আপনারা ননদের বাসায় বেড়াতে গিয়েছেন। আর এই বেড়াতে যাওয়ায় বাচ্চারা অনেক খুশি হয়েছে।

 2 years ago 

জি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবাই মিলে বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago (edited)

গ্রামীন পরিবেশের পরিবারের সবাইকে নিয়ে এত সুন্দর একটি ভ্রমণের মুহূর্ত খুবই ভালো লাগলো দেখে। আসলে সবাই সাথে নিয়ে এরাকম ভ্রমণের মজাটা অন্যরকম। তবে বাচ্চারা যদি সুস্থ থাকে তাহলে খুবই ভালো লাগে।বাচ্চাদের সহ আপনাদেরও সুস্থতা কামনা করছি।

 2 years ago 

আপনার কথার সাথে আমি একমত আসলে সবাই সাথে নিয়ে এরাকম ভ্রমণের মজাটা অন্যরকম।

 2 years ago 

আপু ভাই সহ ননদের বাড়ির যাওয়ার মূহুর্তে বাইরের প্রকৃতির বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো দেখে ৷ আচ্ছা বাবু তো দেখছি অনেক কিউট ৷ একদম আপনার মতো যা হোক আপনার পরিবারে জন্য রইল অনেক শুভকামনা ৷ আর ছোট্ট বাবুর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া বাবুর জন্য শুভকামনা জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন সর্বদায় এই কামনা করি।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

সব সময় সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপু আপনি ননদের বাসায় যাওয়ার সময় বেশকিছু ফটোগ্রাফি করেছেন যা অনেক সুন্দর হয়েছে। সবাই একসাথে বেড়াতে গেলে খুব ভাল ই লাগে। নিভৃতকে খুব হাসি খুশি লাগছে। আসলে বাচ্চারা ঘোরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করে। সবাইকে খুব ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য। চাল থাকবেন সবাই।

 2 years ago 

জি আপু একদম ঠিক বলেছেন আসলে বাচ্চারা ঘোরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করে।ধন্যবাদ আপনাকে যথাযথ একটা মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

এভাবে সবাই মিলে যদি একত্রে ঘুরতে যাওয়া হয় তাহলে মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর কাটে।কিছু সম্বন্ধ আছে তাদের দাওয়াতে যেত হয় না গেলে একদম পারা যায় না।সব বাচ্চারা এইরকম আসলে বাইরে যাবার জন্য অনেক বেশি ছটফট করে এবং বাইরের পরিবেশ গুলো তো অনেক বেশি আনন্দ করে।ননদের বাসায় দাওয়াতে যেয়ে তো অনেক ভালো করেছেন অনেক কিছু ঘোরাফেরা করে দেখছেন ভাল লাগার মত।

 2 years ago 

আপনার কথার সাথে আমি সহমত সহমত পোষণ করছি আপু। সবাই মিলে যদি একত্রে ঘুরতে যাওয়া হলে মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর কাটে।কিছু সম্বন্ধ আছে তাদের দাওয়াতে না গেলে একদম পারা যায় না।

 2 years ago 

যেহেতু নিভৃত অসুস্থ ছিল সে কারণে বেশিক্ষণ থাকতে পারেন নি। কিন্তু তার যে ছবিগুলো আপনি ক্যামেরায় বন্দি করেছেন সেগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে দেখে। তাড়াতাড়ি চলে এসে ভালোই করেছেন না হলে নিভৃতের ঠান্ডা লেগে যেত। নিভৃতের তার বাবার সাথে এবং আপনার সাথে ছবিগুলো অসাধারণ ছিল। নিভৃত যেন খুবই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে পড়ে সেই কামনা করি। ভালো করে তার খেয়াল রাখবেন। ভালোই লাগলো পড়ে।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া তা না হলে নিভৃতের ঠান্ডা লেগে যেত।ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 63122.96
ETH 2686.06
USDT 1.00
SBD 2.57