কক্সবাজারে মেলায় ঘুরাঘুরি করার অনুভূতি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
সেদিন বিচে গোসল করার পর সবাই বাসায় গেলাম, ফ্রেশ হলাম। তবে সবার চেহারার অবস্থা বেহাল দশা।লবণাক্ত পানি আর রোদের কারণে সবাই যেন কালো হয়ে গেল। আয়নার দিকে তাকিয়ে চেনা যায় না কাউকেউ,হাহাহা। যাইহোক তারপর আমরা দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য বের হয়ে গেলাম।খাবার খেলাম ভর্তা প্লেটার আর মাছ দিয়ে। যদিও কোনো রেস্টুরেন্টের খাবারই আমার ভালো লাগে নি।
যাইহোক দুপুরের খাওয়া শেষে আবার চলে এলাম বাসায়। তারপর কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। কারণ অনেক টায়ার্ড হয়ে গিয়েছিলাম তাই একটু রেস্ট নিয়ে ৪টার পর বের হলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মেলায় যাওয়া।আর সেই মতে আমরা মেলায় চলে গেলাম। লাবণী বিচের রাস্তার পাশ দিয়েই মেলায় চলে গেলাম।মেলায় গিয়ে প্রথমে বাইরের কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
তারপর টিকেট কেটে নিলাম মেলায় যাওয়ার জন্য। আমরা চারজন ছিলাম আর বাবু তো একদম ছোট তার জন্য টিকিট লাগেনি। এরপর মেলায় প্রবেশ পথেই দুই পাশ দিয়ে অনেকগুলা দোকান দেখতে পেলাম। আসলে সচরাচর এমনিতে যে মেলাগুলো হয় সেরকম মেলাগুলোর মতোই। শুধুমাত্র বীচের জিনিসপত্র গুলো একটু বেশি প্রাধান্য পেয়েছে এটাই দেখলাম।যাইহোক প্রথমেই সামনের অংশে গিয়ে সবারই কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
তারপর একপাশ দিয়ে হাটা শুরু করলাম। বিভিন্নরকম জিনিসপত্র দেখলাম। একটা ডেকোরেশন করার ট্রে আমার খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু সেটার মান আর দাম ছিল আকাশপাতাল তফাৎ।দেখতে খুব সুন্দর ছিল তবে কোয়ালিটি তেমন ভালো না।আর সেটার দাম ৬০০টাকা।তাই আর দেখলাম না।এরপর অন্যদিকেও হাটাহাটি করলাম। বিকেলের শুরুতেই গিয়েছি তাই মানুষজন তেমন ছিল না।
তারপর দেখলাম বিশাল একটা আচারের দোকান। অনেক রকমের আচার ছিল সেখানে। আচারগুলা দেখে খুব ইচ্ছে করছিল খেয়ে ফেলি। কিন্তু সবগুলা তো আর খাওয়া সম্ভব না। সময় অনেক পুরনো আচার হওয়ার কারণে খেতেও তেমন একটা ভালো হয় না। তাই অনেক চিন্তা ভাবনা করে প্রথমতই একটা আচার সিলেক্ট করলাম। এটা খেতে দারুণ ছিল। তারপর এক এক করে সবাই একটা একটা করে সিলেক্ট করে নিল। কিন্তু মিক্স আচারটা আমার একদমই ভালো লাগেনি। আরো একটা কি যেন মিষ্টি আচার ছিল, সেটাও ভালো লাগেনি। প্রথমটাই ভালো লেগেছিল আর সেটা ছিল আনারসের আচার।
যাইহোক আচার খাওয়ার পর আমরা আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম এবং অপর পাশে একটা বড় পুকুরের মতো জায়গা পেরিয়ে গেলাম। সেখানে দেখলাম তেমন কিছুই নেই। শুধুমাত্র একটা খাবারের দোকান ছিল। মেলাটা খুব বেশি জমজমাট মনে হয়নি। জানিনা রাতের বেলা বা বিকেল গড়াতে কেমন হয়। আমরা সেখানে ঘুরাঘুরি করার পর বাইরে বের হওয়ার সময় বাদামের খাস্তা ছিল,সেটা খেয়েছিলাম। তারপর চলে গেলাম বিচে। সে নিয়ে আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হব। আজকের মতো এতোটুকুই।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি।আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মেলায় ঘুরতে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। এবং অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে আপনার ঘুরতে যেয়ে তোলা অনেকগুলো ফোটোগ্রাফিতে আপনাকে দেখতে অনেক চমৎকার লাগছে ও ওখানকার পরিবেশ অনেক চমৎকা লাগছে। এবং আপনার আচার দেখে জিভে জল চলে আসছে। সুন্দর একটি পোস্ট সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। এটা ঠিক বলেছেন আচার দেখলেই জিভে জল চলে আসে।
কক্সবাজারে যাওয়ার সৌভাগ্য এখনো হয়নি। তবে যাওয়ার খুব ইচ্ছে। আপনি কক্সবাজারে মেলায় ঘুরাঘুরির অনুভূতি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। এবং শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর ছিল। আচারের ফটোগ্রাফি দেখে খুব লোভনীয় লাগছে । আপনার মেলায় ঘুরার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এ পর্যন্ত দুইবার যাওয়া হয়েছে তবে সময় পেলে আবারো যাব।
আপনারা কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা আমি জানি। আর সেখানে মেলায় বেশ সুন্দর ঘোরাঘুরির মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মেলায় ঘুরতে গেলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিসটাকে খাবার এবং বিভিন্ন জিনিস। আপনাদের আচার খাওয়ার মুহূর্তটা কিন্তু ভালো লেগেছে। এছাড়াও বিভিন্ন জিনিসের দোকান টা দেখে ভালো লাগলো। বিশেষ করে কক্সবাজার সহ নদী এলাকা সমুদ্র এলাকায় এই সমস্ত দোকান বেশি দেখা যায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আর কক্সবাজারে ঘোরাঘুরি করে অনেক মজা লেগেছিল।
আপনারা তো কক্সবাজারে এসে বেশ আনন্দ করলেন। যেহেতু প্রথমে সকাল সকাল সমুদ্র সৈকতে গোসল করলেন। লবণাক্ত পানিতে গোসল করলে একটু কালো হওয়ার হা হা হা। বেশ খাওয়া দাওয়া করলেন ভর্তার প্লেট দিয়ে। আর মেলাতে তো অনেক ঘোরাঘুরি করলেন যেহেতু আপনারা দিনের বেলায় গেলে মানুষের ভিড় কম ছিল অনেক ভালো হলো। অনেক ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা মুহূর্তটি পড়ে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। বিশেষত আপনার সাথে দেখা করতে পেরেই তো অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।