সময় কত দ্রুত চলে যাচ্ছে,টেরই পাচ্ছিনা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজ আপনাদের সাথে খুব ছোট্ট একটা বিষয় শেয়ার করব, যেখানে অনেক মায়া মমতা,আবেগ ভালোবাসা জড়িত। আমরা ছোট বেলায় মা বাবাদের কাজ থেকে অনেক অনেক আদর যত্ন পেয়েই বড় হয়েছি।পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা হচ্ছে বাবা মায়ের ভালোবাসা। সেই ছোট থেকেই আমরা বাবা মায়ের আদর, শাসন, যত্ন সবকিছুকেই নিয়েই বড় হচ্ছি বা হয়েছি।তবে আমরা যত বড় হই না কেন বাবা মায়ের কাছে সবসময়ই ছোট।
কিন্তু সেই মায়াময় মুহূর্তগুলো দিনে দিনে হারিয়ে যায়। ছোট থেকে বড় হওয়া শুরু করতে করতেই বাড়ে ব্যস্ততা।সেই ছোট সোনামণিরা একটু বড় হলে তাদের স্কুলে পাঠাও, তাদের জন্য আলাদা একটা জগৎ তৈরি করার ব্যবস্থা করতে হয় তখন থেকে।কি অদ্ভুত তাই না,সেই ছোট ছোট মানুষগুলো একদিন বড় হয়ে যায় আবার তাদের ঘরেও ছোট ছোট মানুষ আসে। এভাবেই পরম্পরা চলে,ঘুরে ফিরে একই নিয়মে জীবন চলে।
আজ হঠাৎ সকাল বেলা গ্যালারিতে গিয়ে দেখলাম আমার এই ছোট্ট সোনামণির কিছু ছবি।গতকাল সেই বাইরে হাটছিল আমার হাত ধরেই। তখন কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম।সেই ছবিগুলো দেখে ভাবছি এইতো কিছুদিন আগেই তো যেন সে পৃথিবীতে এসেছিল।দেখতে দেখতে একটা বছর পার করে ফেলল।এখন ওর ১৬ মাস চলতেছে।তবে এই ১৬ মাসে সে আমাকে কি পরিমাণ জ্বালিয়েছে সেটা অন্য বাচ্চারা করে না সেটা একদমই নিশ্চিত।
সে জন্মেছিল দুপুর ২টায়,কিন্তু তখন অনেক লেট হয়ে গিয়েছিল।শ্বাস নিচ্ছিল ঠিকই কিন্তু কান্না করছিল না।তখন খুব ভয় পেয়েছিলাম,কারণ অনেকটা লেট হয়ে গিয়েছিল।এরপরে ইমারজেন্সিতে ভর্তি করানো হয় ওকে।আসলে পাব্লিক হসপিটালে আমার পক্ষে থাকাটা সম্ভব হচ্ছিলো না।সত্যি বলতে এখানে পাব্লিক হসপিটালের অবস্থা খুবই বাজে ছিল।যদিও আমরা প্রথম থেকেই প্রাইভেট হসপিটালে ছিলাম কিন্তু সেখানে ডাক্তারদের একরকম ডাকাতির চিন্তাধারা ছিল। কারণ তারা সি সেকশন এর নিশ্চয়তা দেয়, সাথে ভয় দেখায় যে বাচ্চার ক্ষতি হবে।কিন্তু এটা নিতান্তই তাদের টাকার ধান্দা।
যাইহোক সেখানে যেহেতু ভর্তি ছিল সেই হিসেবে ও নরমাল হয়ে আসার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সেখানে থেকে বের হয়ে যাব এবং অন্য কোনো প্রাইভেট হসপিটালে ট্রান্সফার করব শুধুমাত্র বাবুর জন্য।কিন্তু এদিকে আমার অবস্থাও খারাপ ছিল, সে জন্য ভুগতে হয়েছে দীর্ঘ ৩মাস।যেখানে সুস্থ হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে।কিন্তু কপাল খারাপ হলে কি আর করা। তা যাইহোক আমার মত কষ্টটা যেন কেউ না করে সেই দোয়া রইল।এই প্রচণ্ড অসুস্থতার মধ্যে ছেলেটাকেও দেখতে হয়েছিল সারা দিনরাত।কারণ সে ঘুমাতো না।কিছুক্ষণ পরপরই জেগে যেত আর কান্না করত।বলতে গেলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছি প্রথম ৬/৭ মাস।যেটা সীমাহীন ছিল।
তা যাইহোক এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেক কমেছে তার এসব কাণ্ডকারখানা। কিন্তু খাওয়া নিয়ে বায়না,মানে সে খাবে না।এটা ওটা কত কি তৈরি করছি ওর জন্য,কিন্তু না সে খাবে না।তার আকর্ষণ হলো কেক,বিস্কিট বা মিষ্টি জাতীয় কোনো জিনিস যেগুলো খেলে তার ক্ষতি হবে।তবে এসব ক্ষতিকর জিনিস খাওয়া থেকে না খেয়ে থাকা ভালো বলে আমি মনে করি।কারণ এই বয়সটা তার বুদ্ধি বিকাশ,শারীরিক বিকাশের সময়।এখন কিন্তু ইমিউনিটি গেইন করবে।এখনই যদি বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই তাহলে বরং অসুস্থ হবে, ভালো কিছু নয়।সত্যি বলতে বাবুর এই হাইজিনিক খাবারের বিষয়ে আমি একদম নাছোড়বান্দা, এটা ওটা তৈরি করব, তবে বাইরের খাবার দিবো না অন্তত ২ বছরের আগে।কারণ ওর গঠন আমি না করলে আর কেউই করতে পারবে না।
অনেক কিছুই তো লিখলাম আজ।আসলে নিজের বাবুকে নিয়ে লিখতে বসলে কখনোই লেখা শেষ হবে না। ওর এই অল্প সময়ের জীবনে অনেক অনেক আনন্দ এবং কষ্টের মুহূর্ত রয়েছে।অবশ্যই মাঝে মধ্যে শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রাইটিং |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আসলেই সময় কতো দ্রুত চলে যায় সেটা টের পাওয়া যায় না। মনে হয় চোখের পলকেই মাস চলে যায়। যাইহোক নিভৃত অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে মাশাল্লাহ।দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাবার এখন না খাওয়ানোই ভালো। বাসায় তৈরি করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবেন বেশি বেশি। খেতে না চাইলেও জোর করে খাওয়াবেন আপু। কারণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু আমরা যেন সময়ের সাথে পেরে উঠতে পারছিনা। সময় কিভাবে চলে যাচ্ছে। এই যে দেখেন আপনি দু'বছর আগে কত কষ্ট করেছেন। আপনার বাবুটাকে নিয়ে কিন্তু কষ্টের সময়টা আর রইল না ঠিকই চলেগেল। এখন আপনি বর্তমানে যে সময়টা নিয়ে আছেন দেখবেন এই সময়টা একদিন চলে যাবে। আপনার বাবুর প্রতি বেশি করে যত্ন নিবেন। দোয়া রইল আপনার বাবুর জন্য। ভালো থাকবেন আপনার জন্য আপনার বাবুর জন্য শুভকামনা রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চিন্তা করলে আসলেই অবাক লাগে। সেই তো নিভৃত পৃথিবীতে আগমন করল। আর এখন হাত ধরে হাঁটতে চায়। আসলে বাবা-মায়ের এই অনুভূতি শুধুমাত্র একান্ত তাদেরই উপলব্ধির বিষয়। ধন্যবাদ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/bristy110/status/1710198452754473390?s=20
একেবারে ঠিক বলেছেন আপু সরকারি হাসপাতালের অবস্থা খুবই বাজে। একেবারেই বিপদে না পড়লে কেউ যায় না। আপনার বাবুর জন্মের সময়ে তাকে নিয়ে বেশ শঙ্কায় ছিলেন। কিন্তু এখন সুস্থ্য আছে দেখে ভালো লাগল। আর এটা ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের হাইজিন এবং সুস্বাস্থ্য এর জন্য বাইরের খাবার না দেওয়াই ভালো। সত্যি সময় খুবই দ্রুত যায়। কিছু বোঝাই যায় না হা হা।
আপু একটা বাচ্চা বড় করা যে কত কষ্টের যে বড় করেছে সে বুঝতে পারে। আসলেই মনে করা হয় যে বাচ্চারা একটু বড় হলে শান্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু যত বড় হয় তত ঝামেলা বাড়তে থাকে। আমি মনে করি ছোট থাকতে অনেক বেশি ভালো থাকে। মাশাআল্লাহ দেখতে দেখতে হঠাৎ ১৬ মাস হয়ে গেল আপনার বাবুর। শুনে অনেক ভালো লাগলো। অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। সবাই ভাল থাকবেন।