নাটক রিভিউ || পরস্পর।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এমন একটা সময় ছিল যখন আমি সবসময়ই নাটক দেখার চেষ্টা করতাম৷ সেই সময় নাটক দেখার প্রতি অনেকটাই আসক্ত ছিলাম। নাটক দেখেই আমার পুরো দিনের অবসর সময়টা পার করে দিতাম৷ তবে এখন কাজের চাপের কারণে তেমন একটা নাটক দেখা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে এখনো সময় পেলে নাটক দেখি। তাই আগের দেখাএকটি নাটক আবার দেখে নিলাম এবং এর রিভিউ আপনাদের জন্য তৈরি করে নিলাম৷
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | পরস্পর |
---|---|
পরিচালক | সাজ্জাদ হোসাইন বাপ্পি |
অভিনয়ে | খাইরুল বাশার, তাসনিয়া ফারিন সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৯ মে ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকটি শুরু হলেই দেখা যায় নায়ক তার ব্যবসা সংক্রান্ত হিসেব নিকেশ করছে৷ এই নাটকের নায়কের নাম হচ্ছে রকিবুল এবং সে ডিমের ব্যবসা করত৷ সে ব্যবসায় সবসময়ই ব্যস্ত থাকতো৷ তাই একদিন তার মা এবং তার বোন তার দোকানে আসে এবং সেখানে তাকে মেয়ে দেখার জন্য নিয়ে যায়৷ তখন সে সেখানে যায় পাত্রী দেখার জন্য৷ সেখানে পাত্রীর নাম হচ্ছে নাজিয়া৷ সে নাজিয়ার সাথে বিভিন্নরকম কথা বলে যা শুনে নাজিয়া অনেক হাসতে থাকে৷ রকিবুল নাজিয়াকে জিজ্ঞাসা করে যে এখানে ডিমের দাম কত,বুঝেন কি একটা অবস্থা,মেয়ে দেখতে গিয়েও ডিমের ব্যবসা,হাহাহা৷
এরকম প্রশ্ন শুনে নাজিয়া একেবারে হতবাক হয়ে যায়৷ যখন সে নাজিয়াকে প্রশ্নটি করে তখন নাজিয়া এই প্রশ্নের উত্তর কিছুক্ষণ পরে দিল। সাথেসাথেই রকিবুল দোকানের যে লোকজন ছিল তাদেরকে কল দিয়ে বলল যাতে করে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেয়। এই কথাটি শুনে নাজিয়া আরো একটু অবাক হয়। তখন রকিবুল বলে যে তার ডিমের ব্যবসা রয়েছে। তাই সে এই কাজটি করেছে৷ এরপর তারা দুজনে আবার তাদের মা-বাবার কাছে চলে আসে। এরপর রকিবুলের মা বাবা নাজিয়ার মা বাবাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে যে কখন তাদের বিয়ের ডেট দিবে। তখন তার মা বলে যে রকিবুল এর কাছে আর সময় নেই৷ সে এখনই তাকে নিয়ে যাবে৷ তখন সে নাজিয়াকে বিয়ে করে তার সাথে বাসায় নিয়ে যায়৷
বিয়ে করে নিয়ে যায় সাথে করে। আর এরপর তাদের জীবন সুন্দরভাবে চলতে থাকে এবং তারা দুজন অনেক হাসিখুশি থাকে। বিয়ের পরদিনই সে ব্যবসায় মনোযোগ দেয়,তার মা তাকে কিছু কথা বলে যেটা সে পাত্তাই দেয় না।তার যে বউ আছে সেটাও যেন সে জানে না।যাইহোক তবুও তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরিও করে৷ একদিন রকিবুল খাবার খাচ্ছিল এবং সেখানে নাজিয়া তাকে খাবার এনে দিল। যখন রকিবুল সেখানে দেখল যে তার খাবার টেবিলে ডিম নেই, তখন সে অনেক রাগান্বিত হয়ে যায়। সে তার মাকে জিজ্ঞাসা করে যে সে ডিম ছাড়া কখনো খাবার খায়নি, এখন কেন ডিম তার খাবার টেবিলে আসলো না৷
তখন রকিবুল অনেক রাগান্বিত হয়ে যায়৷ তাই তিনি তাকে অনেক বকাবকি করে। এরপর রকিবুল ভাত না খেয়েই বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায়৷ এরপর নাজিয়ার পড়াশোনার কথা তারা নাজিয়া তার শাশুড়ীকে বলেছিল,ক্লাস শুরু হয়েছে,সে এখন পড়াশোনা করতে চায়৷ তখন রকিবুলের মা বলে যে পড়াশোনা করা লাগবে না৷ সে যেভাবে আছে সে যেন সেভাবে থাকে,আর মূলত বিয়ের পর পড়াশোনা না করাটাকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
তখন নাজিয়া বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে,এক পর্যায়ে সে মেজাজ খারাপ করে ফেলে। রকিবুল যখন নাজিয়ার মুখে এরকম উচ্চস্বরে কথা শুনতে পায় তখন তাকে চড় মারে৷ এরপর নাজিয়া সেখান থেকে রাগ করে চলে যায়৷ এরপর দিন রকিবুল নাজিয়াকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়৷ সেখানে সে নাজিয়ার সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে তার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করে৷
এরপর দিন আবারও রকিবুল নাজিয়ার সাথে রাগারাগি করতে থাকে৷ রাগারাগির একপর্যায়ে যখন তার রাগারাগির মাত্রা একেবারেই অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায় তখন নাজিয়া তার মোবাইলের মধ্যে ক্যারাটে শিখেছিল কিভাবে মারামারি করতে হয়৷ সে সেখান থেকে শিখে নিয়ে রকিবুলকে অনেক মারতে থাকে৷ সে খুব ভালোভাবেই সবকিছু প্র্যাকটিস করে নিয়েছিল আগে থেকেই৷ যখন রকিবুল তার সাথে বিবাদ করতে আসলো তখন সে খুব ভালোভাবেই রাকিবুলকে মারল। সে একেবারে মারা যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে গিয়েছিল৷ তার সব জায়গায় ব্যথা হয়ে গিয়েছিল৷
তখন রবিউলের মা এবং বোন বাজার থেকে এসে এই বিষয়টি দেখে একেবারেই অবাক হয়ে যান৷ তখন ওনারা নাজিয়ার মা বাবার কাছে গিয়ে সেই বিষয়টি বিচার দেন৷ সকলে মিলে নাজিয়াকে বুঝায় এবং বুঝিয়ে দেওয়ার পরে সে এই বিষয়টি বুঝে যায়৷ এরপর দিন রকিবুল বলে যে সে এতদিন তার সাথে অনেক অন্যায় করেছে এবং অত্যাচার করেছে এখন থেকে সে আর কিছুই করবে না৷ তখন নাজিয়াও তার কাছে ক্ষমা চায়। এভাবে দুজন দুজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে দুজনে মিল হয়ে যায়৷ এভাবে নাটকটি সুন্দর একটি দৃশ্য নিয়ে শেষ হয়ে যায়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
আজকের নাটকটা একটা শর্ট ভিডিও দেখেই মূলত পুরো নাটক দেখেছিলাম।খুবই সুন্দর একটি নাটক এটি৷ রকিবুল এবং নাজিয়ার এরকম একটি ঘটনা নাটকের মধ্যে দেখেই আমি চিন্তা করলাম এমন তো অনেক বাস্তবিক ঘটনা আছে।এটা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অনেক মানুষ তাদের ছেলেদেরকে বিয়ে করিয়ে আনেন এবং মেয়ের কাছে বা তার পরিবারের কাছে কিছু কথা আশ্বাস দিয়ে আসেন। যা পরে তারা পালন করতে পারেন না। ঠিক এরকম একটি ঘটনা এখানে ঘটেছে। যখন নাজিয়ার পড়াশোনা করার ইচ্ছে ছিল তখন রকিবুলের পরিবার বলেছিল যে তাকে পড়াশোনা করাবে। তবে বিয়ের পর এক পর্যায়ে তার পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয়।সেখানে নাজিয়ার সাথে তাদের ঝামেলা হয়ে যায়৷ আর সেটা সহ্য করতে করতে এক পর্যায়ে গিয়ে সে এটার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এভাবে একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার ফলে তাদের দুই পরিবারের কাছে এর বিচার চলে যায়৷ পরবর্তীতে তাদের মিল হয়ে যাওয়ার পরে নাটকটি খুব সুন্দর ভাবে শেষ হয়ে যায়৷ বাস্তব জীবনেও এরকম অনেক ঘটনা আমরা দেখতে পাই৷ যার সাক্ষী আমরা প্রতিনিয়তই হচ্ছে৷তবে সবাই কিন্তু এরকম প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে না।নাজিয়া তার চরিত্রে মেয়েদের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার একটা শিক্ষা দিয়েছে। যেটা সবাই চাইলেও পারে না।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৯/১০
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
খুব সুন্দর হবে নাটক টি আপনি আপনার মতন করে রিভিউ করেছেন। নাটকটি আমি দেখেছিলাম ভীষণ মজার এবং শিক্ষা নিও। প্রথমে ফারিনকে দেখতে যেয়ে বিয়ে করে আনে। একদিন খাবার টেবিলে ডিম পায় না এবং তার পরের একদিন খায়রুল বাশার বাসায় আসে।সে ফারিন কে দেখে ফোন টিপতে তখন সে খাবার চায়। কিন্তু ফারিন দিতে একটু দেরি করে ।তখন সে ফারিনকে থাপ্পড় মারে তারপরে একদিন ফারিন মারে বাশার কে কি যে হাসি পাচ্ছিল তখন। সবমিলে খুব সুন্দর ভাবে নাটক টি আপনি রিভিউ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটকটা খুব সুন্দর ছিল আপু, অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আপনিও দেখেছেন শুনে।
অসাধারণ
হায়রে আপু আর নাটক খোজেঁ পেলেন না। খুঁজে খুঁজে এই নাটকটির রিভিউ করতে হলো আপনাকে। আমি তো নাটকটি দেখে হাসতে হাসতে পেটের ভাত হজম হয়ে গেছে। এমন সুন্দর একটি নাটক তো বার বারই দেখা যায়। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য।
আপু আমি যখন এই নাটকের মেইন অংশটা দেখলাম মানে মেয়ে দেখতে গিয়েও ডিমের কথা জিজ্ঞেস করল তখনই তো ভাবলাম যে নাটকটা অনেক হাস্যকর হবে। সেজন্যই দেখার জন্য চলে গেলাম।
নাটকটি দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। নাটকটি দেখে অনেক মজা পেয়েছি।আজকে আপনি এই নাটকের রিভিউ করলেন,খুবই সুন্দর হবে গুছিয়ে নাটকের রিভিউ করেছেন।ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি নাটকের এত সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কখনো মন খারাপ থাকলে এই নাটকটা দেখলেই কিন্তু হাসি পেয়ে যাবে।
আপনার মেজো জ্যাঠার মৃত্যুর কথা শুনে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। আসলে একটা মানুষ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলে অনেক কষ্ট হয়। মন খারাপ হলেও আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। আজকে অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। এই নাটকের কয়েকটা শর্ট ভিডিও আমিও দেখেছি। নাটকটা দেখব ভেবেছিলাম সম্পূর্ণভাবে কিন্তু দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউর মাধ্যমে আজকে পুরো কাহিনীটা জেনে নিতে পেরে ভালো লাগলো।
নাটকটা খুব বেশি সময় নয় আপু দেখতে পারেন সময় করে। খুব সুন্দর একটা নাটক এটি।
আপু আমার কাছে মনে হয় এ নাটকটির নাম পরস্পর না দিয়ে ডিম দিলে বেশি ভালো হতো। নাটকটি আমি অনেকবার দেখেছি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লাগে নায়িকা যখন ক্যারাটে শিখে নায়ক কে মারে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য।
হাহাহা একদম ঠিক বলেছেন আপু। ডিমের ব্যবসা যেহেতু করে, নাটকটির নাম ডিম ব্যবসায়ী দিলে ভালো হতো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরস্পর নাটকটির শর্ট ভিডিও আমিও দেখেছি কিন্তু পুরো নাটকটি দেখা হয়নি তবে শর্ট ভিডিও দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনার আজকে নাটক রিভিউটি পুরোটা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো, আসলে আমাদের সমাজে এখনো এই প্রথা আছে, বিয়ের আগে ঠিক একথাই বলে মেয়ের সব ইচ্ছা পূরণ করা হবে লেখাপড়া করানো হবে কিন্তু বিয়ের পরে সব ভুলে যাই, ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য।
আমি কিন্তু শর্ট ভিডিও দেখে নাটক দেখতে গিয়েছিলাম। আসলে এই নাটকটা অনেক হাস্যকর এবং শিক্ষনীয়।
ঠিক বলেছেন আপু মূলত মেয়েদের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার শিক্ষা টা এই নাটক থেকে পাওয়া যায়। নাটক টা অনেক আগে আমিও দেখেছিলাম। আপনার মত আমিও একটা শর্ট ভিডিও দেখেই এই নাটকটা দেখেছিলাম। আর তাদের মারামারির দৃশ্যটাই শর্ট ভিডিওতে দেখেছিলাম। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে পুরো নাটকটার রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু।
আমি মূলত ডিমের কথা যখন জিজ্ঞেস করছিল বিয়ের আগে মেয়ে দেখতে গিয়ে তখনকার শর্ট ভিডিওটা দেখেছিলাম, সেজন্যই মূলত নাটকটা দেখলাম।
এই নাটকটি আমি কিছুদিন আগেই দেখেছি আপু। আমার কাছে ভালোই লেগেছিল। দুজনের মাঝে বোঝাপড়াটা খুবই দরকারি। আর গায়ে হাত তোলাটা আমার কাছে অন্যায় মনে হয়। তবে শেষে মেয়েটি প্রতিবাদী হয়েছে বলেই ছেলেটি তার ভুল বুঝতে পেরেছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকারভাবে নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই জন্যই তো সে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে, আর এটাই শিক্ষা দিয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া নাটকটা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছেও।