নিভৃত এর জন্য তৈরি খেজুর পরোটা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করব বলে এলাম।আজকের রেসিপিটি মূলত আমার ছেলের জন্য ছিল।তবে এটি অনেক বেশি পুষ্টিকর বলে মনে করি।কারণ আমরা সচরাচর পরোটা খেয়ে থাকি তেলেভাজা,কিন্তু বাটার বা ঘি অনেক বেশি উপকারী আমাদের জন্য।যদিও খাটি বাটার বা ঘি হয়তো খুব বেশি একটা পাওয়া যায় না। তবে নরমাল তেল থেকে এটি অনেক বেশি সুস্বাদু এবং উপকারী শরীরের জন্য। যাইহোক বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাটার অথবা ঘি ব্যবহার করাই উত্তম।
আমি নিভৃতকে কখনো বাইরের খাবারে অভ্যস্ত করতে চাই না। আর সেজন্যই মূলত কেক, বিস্কিট বা অন্যান্য জিনিসপত্র যেগুলো বাজারে বিক্রি করা হয় সেগুলো আমি ওকে খাওয়াই না। আমি চেষ্টা করি সব সময় ঘরে ওর জন্য খাবার তৈরি করতে। পাউরুটি দেখলে ও খুব পছন্দ করে। কিন্তু বাজারে এগুলো তৈরি করতে কি রকম পরিবেশে করা হয় তা আমার জানা নেই। তবে এটা নিশ্চিত যে খুব বেশি ভালো বা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয় না। আর যেটা বাচ্চাদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।
সেজন্যই মূলত আমি বাসায় তৈরি করি। একদিন আমি ভাবলাম যে তার জন্য পরোটা তৈরি করব। কিন্তু খেজুর খেতে চায় না। তাই ভাবলাম পরোটার মধ্যে দিয়ে দেখি সে খেজুর খায় কিনা। আর এক্ষেত্রে পরোটাও মিষ্টি হবে। আর যেই ভাবনা সেই কাজ। তাই তৈরি করে ফেললাম এই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর পরোটা। যেটা খেতে এবং পুষ্টির দিক দিয়ে সব দিক দিয়ে ভালো ছিল। তবে আমাদের জন্য ভাবছি এই পরোটা তৈরি করব। তবে সেটা অন্য কোন দিন সময় পেলে। যাইহোক চলুন রেসিপিটা দেখে নেয়া যাক।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আটা | ১কাপ |
লবন | পরিমাণ মত |
বাটার | ১টেবিল চামচ |
খেজুর | ২টি |
পানি | পরিমাণ মত |
প্রথম ধাপ |
---|
প্রথমেই আমি বাটিতে এক কাপ পরিমাণ আটা নিয়ে নিলাম। তারপর পরিমাণ মত লবণ দিলাম। চুলায় পানি গরম বসিয়ে দিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
পানি ফুটলে তখন সেই লবণ মিশ্রিত আটার মধ্যে অল্প অল্প করে দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে থাকলাম।অবশ্যই চামচ ব্যবহার করতে হবে প্রথমে নাহলে হাত পুড়ে যাবে।তারপর হাত দিয়ে মেখে একটি ডো তৈরি করলাম।
তৃতীয় ধাপ |
---|
তারপর রেগুলার রুটির মত গোল করে বেলে নিলাম।আর তাওয়ার মধ্যে আধা চা চামচ বাটার গরম করে সেই রুটির মধ্যে দিলাম।তারপর ছড়িয়ে দিলাম হাত দিয়ে।
চতুর্থ ধাপ |
---|
এই ধাপে খেজুর কুচি করে কেটে নিয়ে তারপর সেই বাটার মিশ্রিত রুটিতে দিয়ে দিলাম।তারপর পরোটার মত ফোল্ড করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ |
---|
এই ধাপে খুব সাবধানেই এটাকে বেলোনের সাহায্যে বেলে নিলাম যাতে খেজুরগুলো বাহিরে বেরিয়ে না আসে।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
তারপর একটি তাওয়া গরম হলে এর মধ্যে পরোটা দিয়ে দিলাম। উল্টেপাল্টে দুই পিঠ ভালোভাবে ভেজে নিলাম। তারপরে একটু বাটার সেই পরোটার মধ্যে দিয়ে আবারো ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। বাটারে সুগন্ধে পরোটাটা যেন অসাধারণ খেতে হয়েছে।
পরিবেশন |
---|
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি তো দেখছি আপনার ছেলের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন। ব্যক্তিগতভাবে আমিও এটাই মনে করি যে ছোট বাচ্চাদের বেশি বেশি তেল জাতীয় জিনিস খাবার না খাওয়ানো। আর বর্তমান সময়ে বাজারে যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে অনেকটাই ভেজাল থাকে আর এই ভেজাল খাওয়ার ফলে শিশুর স্বাস্থ্যের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। বাসায় নিজে খেজুর পরোটা তৈরি করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। শিশু ভাল থাকলে পরেই তো ভালো থাকবে মা এবং পরিবার। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ইউনিক ধরনের একটি রেসিপি তুলে ধরার জন্য।
আসলে বাজার থেকে কিনে আনা জিনিসগুলো থেকে নিজেদের তৈরি করা খাবার গুলোর মজাটাই আলাদা। আমাদের সবার এরকম সচেতন হওয়া উচিত। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। খেজুর খাওয়ার পদ্ধতি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ।পরোটার সাথে খেজুর মিশিয়ে দিয়েছেন। তৈরি করা ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপনি একদম ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। পরোটা খেয়েছি কিন্তু কখনো খেজুর দিয়ে তৈরি করে খাওয়া হয়নি এই প্রথম দেখলাম। কোনদিন সুযোগ হলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখব। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমিও আমার বাচ্চাদের বাইরের খাবারে অভ্যস্ত করতে চাই না। অনেক ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটা ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আমার ছেলেটা একদম ভিন্ন হয়েছে আর এর দোষ কাকে দেবো বুঝতে পারছি না। যখন ছোট ছিল তখন বাবা,দাদা,মামাসহ সবাই দোকানে নিয়ে মজা কিনে দিয়ে অভ্যাস খারাপ বানিয়ে দিয়েছে। শহরে থাকি বলে নিচে নামলেই দোকান তারজন্য অভ্যাস পাল্টাতেও পারিনা। যাই হোক আপনি ছেলেকে বাহিরের খাবার দেন না জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনি ছেলের জন্য পুষ্টিগুণে ভরা খুবই মজাদার পরোটা বানিয়েছেন। আপনার ছেলে যেহেতু খেজুর খায় না তারজন্য আপনি খুব ভালো পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। এরপর নইশ্চয়ই আপনার ছেলে খেয়ে মজা পেয়েছে। আপনার কাছ থেকে ভিন্ন রেসিপি শিখতে পারলাম। ধন্যবাদ।
বাইরের জিনিস আসলেই খাওয়া ঠিক নয়।আপনি সুন্দর করে বাড়িতেই বানিয়েছেন খেজুর পরোটা বেশ লোভনীয় হয়েছে। ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।সব মিলিয়ে খুব আকর্ষণীয় হয়েছে। ধন্যবাদ লোভনীয় খেজুর পরোটা শেয়ার করার জন্য।
দারুন আইডিয়া আপনার বাচ্চা এক সাথে পরোটা খাবে সেই সাথে খেজুর খাবে। যেহেতু অনেক পুষ্টিকর খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য। খুব ভালো করলেন আপু আপনি খেজুর পরোটা তৈরি করলেন। বাটার কিংবা ঘি দিয়ে তৈরি করা পরোটার স্বাদ আলাদা মজা। ঘিয়ে ভাজা পরোটার স্বাদের তুলনা হয়না আপু। আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। অনেক সুন্দর করে আপনি রেসিপিটি শেয়ার করলেন বেশ ভালো লাগলো।
আপনি আপনার ছেলে নিভৃতকে বাইরের খাবার খাওয়াতে চান না সেটা জেনে ভালো লাগলো আপু। সত্যি বলতে বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো কাজ নয়। সব কিছু বাড়িতে তৈরি করে খাওয়াই উত্তম । যাই হোক আপনার এই খেজুর পরোটা রেসিপিটির নাম আমি আজ প্রথমই শুনলাম আপু। নতুন একটি রেসিপি শেখার সুযোগ হলো আজ।