জেনারেল রাইটিং|| ধৈর্য্যই মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আসলে ধৈর্য্যের যে কত গুণ আছে শুধু তারাই বুঝতে পারে যারা ধৈর্য্য ধরেছে। ধৈর্য্যের মহৎ গুণ রয়েছে এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু ধৈর্য্য ধরাটা এবং এই গুণটা নিজের মধ্যে স্থাপন করাটা কয়জনে করতে পারি। হ্যাঁ আজকে এরকমই একটি বিষয়ে জেনারেল রাইটিং পোস্ট আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে যাচ্ছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমরা সকলেই জানি ধৈর্য্য একটি মহৎ গুণ, কিন্তু ধৈর্য্য ধরাটা সবার জন্য সহজ নয়। আমি মনে করি ধৈর্য্যের মাধ্যমে যতরকম সমস্যা আছে তার ৮০% সমাধান হয়ে যায়। তবে সেটা সফলভাবে ধৈর্য্য ধরে থাকতে পারলে। অন্যথায় হিতের বিপরীত হয়। কারণ ধৈর্য্য হারা হলে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আর শুধুমাত্র তারাই বিশৃঙ্খলা করে যারা ধৈর্য্য ধরতে পারে না।এই বিশৃঙ্খলা জীবনটাকেও এলোমেলো করে দেয়।
আমি অনেক দেখেছি অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান ধৈর্য্য ধরাতেই হয়ে গেছে। আবার এমনও দেখেছি অনেক ছোট একটি বিষয় ধৈর্য্য না ধরাতে সেটি অনেক বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এরকম ঘটনা আমরা গ্রামে অহরহ দেখতে পাই। তবে গ্রাম বলি আর বিশ্ব বলি বেশিরভাগই ধৈর্য্য হারা মানুষ রয়েছে।যারা সাময়িক চিন্তাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান করতে পারে না। আর এটাই তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
যাইহোক যারা ধৈর্য্যকে নিজের মধ্যে স্থাপন করতে পারে এবং ধৈর্য্য ধরে টিকে থাকতে পারে তারাই জীবনে সফল। কারণ যত দিক থেকে বাধা বিপত্তি আসবে।যত প্রতিকূলতার মাধ্যমে দিয়ে জীবন যাপন করবে ওই সমস্যার সম্মুখীন শুধুমাত্র ধৈর্য্য দিয়ে করলে সেটা সফলতায় পরিণত হবে। আর এটা অনেক দেখে এসেছি এবং এটি প্রমাণিত।শিক্ষাক্ষেত্রেও এটা খেয়াল করে দেখবেন,ধৈর্য্য ধরে লেখাপড়া করলে অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।কিন্তু কোনো কারণে ডিমোটিভেট হলে পড়ালেখাটাই শেষ হয়ে যায়।
আবার মানুষ কোন বিপদে পড়লে যদি ধৈর্য্যহারা হয়ে যায় তখন দেখা যায় বড় বড় স্টেপ নিয়ে ফেলে। আর ধৈর্য্য হারা হয়ে এই বড় বড় স্টেপই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়। সেজন্য মানুষের প্রয়োজন একটু ধৈর্য্য ধরা, সিচুয়েশন বুঝে স্টেপ নেওয়া। আর এতে করেই হয়তো তার সফলতা আসার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনেও দেখেছি,সবাই ধৈর্য্য ধরতে পারে না।কেউ অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠে,আর এমন এমন কিছু কাজ করে ফেলে যা তার সারাজীবনকেই বৃথা করে তোলে।
সেজন্য মানুষকে ধৈর্য্যশীল হওয়া অতীব গুরুত্বপূর্ণ।আর আমি মনে করে যদি ছোটবেলা থেকে মানুষ ধৈর্য্যশীল হয়ে ওঠে সে বড় হয়েও ধৈর্য্যশীল হয়ে থাকবে। তাই প্রজন্মকে ছোটবেলা থেকেই ধৈর্য্যশীল করে গড়ে তুলা দরকার। কারণ একটি শিশুকে যদি আপনি ধৈর্য্যশীল করে গড়ে তুলতে পারেন সে সমাজে নেতৃত্ব দেবে ধৈর্য্যশীল হয়ে এবং মানুষের কাছে পজিটিভ ও ধৈর্য্যশীল হয়ে থাকতে পারবে।ধৈর্য্যশীল মানুষরা কিন্তু প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই মনের মত সফলতা পায়। যেটা তাদের জন্য সারাজীবনের তৃপ্তি।
যাই হোক নিজের মনের কিছু কথা আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তবে আমি চিন্তিত, আমার নিভৃত কিন্তু একদমই ধৈর্য্য ধরতে চায় না, তবুও আমি চেষ্টা করি তার ধৈর্য্যের পরিধি বাড়াতে। আর নিজেরাও ধৈর্য্য ধরবেন এবং সবাইকে ধৈর্য্যশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
https://x.com/bristy110/status/1820674557256016027
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার কথার সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে একমত। ধৈর্য আসলেই একটা মহৎ গুণ। প্রত্যেকটা মানুষের ভেতর ধৈর্য থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে মানুষগুলো ধৈর্য ধরতে জানে তাদের জীবনে ভালো কিছু করা সম্ভব। আমরা অনেক সময় অনেক সমস্যায় ভুগে থাকি। ধৈর্য ধরে কাজ করলে সেই সমস্যা গুলো একসময় আমাদের কাছ থেকে চলে যায়। কথায় আছে ধৈর্যের ফল অতি মিষ্টি হয়। তাই আমাদেরকে ধৈর্য ধরে থাকতে হবে সবকিছুতেই। তবে আমরা ভালো ফল পাবো সেখান থেকে। নিভৃত এখনো পর্যন্ত অনেক ছোট। তবে বড় হওয়ার পাশাপাশি তাকে ধৈর্য ধরা অবশ্যই শিখাবেন। আস্তে আস্তে শিখে যাবে ধৈর্য ধরা।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন, ধৈর্যটাই মূলত জীবনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। যেটা দ্বারা নিশ্চুপভাবে কিন্তু অনেক কিছুই জয় করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ধৈর্য একটা মানুষকে নিজের জীবনের জিততে শেখায়। একজন মানুষের ভেতর ধৈর্য থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ধৈর্যের মাধ্যমে মানুষ সফল হবে। যে মানুষের ভেতর ধৈর্য থাকে না, সেই মানুষ কখনো ভালো কিছু করতে পারে না। ধৈর্য ধরে ধৈর্যের ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদেরকে সবকিছুতে। বিপদে পড়লেও আমাদেরকে ধৈর্য হারালে চলবে না। তোমরা যদি ধৈর্য হারিয়ে ফেলি তাহলে আমরা সেই বিপদ থেকে আর কখনো উঠতে পারবো না। খুব সুন্দর করে লিখেছেন আপু লেখাগুলো।
সব বিষয়ে ধৈর্য ধরতে হবে ধৈর্য ধরলেই মূলত অনেক কিছু জানা যায় শেখা যায় ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।