সবাই মিলে আরেকদিন চায়ের গ্রামে।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।এই অসময়েও সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
সবাই মিলে আরো একদিন চায়ের গ্রামে গিয়েছিলাম মূলত বেশ কিছুদিন আগের কথা।যখন ছোট আন্টি আর নানু বাসায় এসেছিল তখনকার ঘটনা।আম্মুসহ এসেছিল যদিও কিন্তু আম্মু পরদিন আবার বাড়িতে চলে যায়, আর আমি একরকম জোর করেই নানু আর খালামণিকে রেখে দেই।কারণ আমরা বাসা ছেড়ে দিলে তখন তো আর কেউ আসবে না,ঘুরাঘুরিও হবে না।তাই সেদিন আম্মু চলে গেলেও নানুকে রেখে দেই।আর যেহেতু সেদিন বিকেলে আমার ক্লাস ছিল না তাই আমরা ভাবলাম বাইরে থেকে একটু হেটে আসা যাক।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো, সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগেই বেরোলাম। আমি, নানু,খালামনি, ছোট বোন, হাজব্যন্ড আর বাবু। বাবুও অনেকদিন বাইরে যায়নি, কারণ আমি তাকে বাসায় রেখে যেতাম।যাইহোক বাইরে বেরিয়ে সে খুবই খুশি। সবাই মিলে হাটতে হাটতে চলে গেলাম প্রথমে দিঘীর পাড়ে।সেখানে প্রায়ই যাওয়া হয়েছে তাও আবার সন্ধ্যের সময়। কারণ আমার ক্লাস যাওয়ার পথ সেদিক দিয়েই। আর সেদিন গিয়ে দেখি মানুষের কোলাহল। চারিদিকে মানুষজন, সবাই সবার মত ব্যস্ত। এদিকে নানুকে চারিদিক ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছে আমার হাজব্যন্ড। আমি আমার ছোট বোন আর খালামনিকে নিয়ে হাটছি আর চারিদিক দেখাচ্ছি।
দিঘীর পাড়ে অনেক দোকান আছে, ফুসকা,চটপটি, হালিম তাছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রকম শরবত যেহেতু সেদিন প্রচণ্ড গরম ছিল তাই দিঘীর ভেতরের দিকে যেতেই প্রথমে চোখে পড়ল বরফ পানি দিয়ে লেবুর শরবত তৈরি করছে।আমার হাজব্যন্ড বলল শরবত খাওয়ার কথা,কিন্তু আমি তখন না করেছি কারণ কিভাবে বানায় স্বাস্থ্যকর কিনা।পরে দেখলাম দোকানদার খুব পরিচ্ছন্নতার সাথে সবকিছু তৈরি করছে,তাই ঠান্ডা ঠান্ডা শরবত খেয়ে নিলাম।সত্যি বলতে সেই এক গ্লাস শরবত খেয়ে সবারই মন জুড়িয়ে গেল।একে তো তীব্র রোদের গরম, বাইরে মানুষের গরম আর এর মাঝে ঠান্ডা ঠান্ডা লেবুর শরবত খেয়ে ভালোই লেগেছিল।
যাইহোক চারদিকে ঘুরলাম বেশ আনন্দ করলাম।আমার ছোট আন্টি তো বারবার বলছে আমি কি সবসময় একা বের হই,ভয় লাগে না রাস্তা পার হতে এত গাড়ি। আমি তো হাসতে হাসতেই শেষ,কারণ ও সবসময় রাস্তা পার হতে ভয় পায়।ও তেমন কোথাও যায় না বা বড় রাস্তা পার হতে হয় না দেখেই এই কথা আরকি। তো বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ হাটাহাটি করলাম।যেহেতু সেখানে বসে খাওয়ার মত প্লেস ভালো ছিল না, কারণ নানুও ছিল সাথে তাই আর সেখানে বসি নি কোথাও।পরে ভাবলাম সবাই মিলে একবার চায়ের গ্রামে চলে যাই হেটে হেটে।কারণ হেটে যেতে ৫-৭ মিনিট লাগে। সকলে একসাথে হেটে হেটে যাচ্ছি আর বেশ মজা নিচ্ছি।রাতের বেলা রাস্তায় হাটতে ভালোই লাগে কিন্তু।তো সবাই সেখানে চলে গেলাম।
আমরা সেখানে যাওয়ার পর নিভৃত বেশ খুশি, সে টেবিলের উপরে বসে খেলছে।আর সেখানে আমার শাশুড়ি সহ একদিন গিয়েছিলাম আর সেদিন নানুরা সহ ২য় দিন গেলাম।জায়গাটা আমার খুব ভালো লেগেছিল,সাথে তাদের ফুসকা আর রিমিক্স চা টা।সবাই মিলে বসে আছি, এদিকে আসার সময়ই আমার হাজব্যন্ড ফুসকা আর চা অর্ডার দিয়ে এসেছে।হাতে একটা রিমোট দিয়ে দেয়,খাওয়ার রেডি হলে রিমোটের সাহায্যে নক দেয়।যাইহোক খাবার আসলো, তখন নানু বলছে এত সুন্দর করে সাজিয়ে দেয় কেন,বললাম ফ্যামিলি সহ একসাথে বসে খেতে পারবে তাই।
এদিকে আমি ফুসকা বানাচ্ছি আর সবাইকে সার্ভ করছি।নানু বলে ঝাল কম দিতে আর ছোট আন্টি বলে ঝাল বেশি দিতে।এদিকে লাস্ট ফুসকায় ঝাল বেশি দিয়ে খেয়েছে সে,আর বলে ইসস এতক্ষণ বেশি ঝাল দিয়ে খেতে ভালো লাগতো,হাহাহা।পরবর্তীতে চা এলো,চা খেয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম।এত সুন্দর জায়গায় যাব আর ছবি তুলবো না তা কি হয়। এরপর তো সবাই বেরিয়ে গেলাম,আর রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে গেলাম।কারণ খাওয়ার পর আর হাটতে ইচ্ছে করছিলো না,৫মিনিটের পর তাও রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে গেলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ,ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
💐💐❤❤❤🙏
পরিবারের সাথে এরকম সময় কাটাতে পারলে ভালই লাগে। যেটা আপনি আজকে খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। চায়ের গ্রাম অনেক জনপ্রিয়তা সেটা পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। ছোট বোন খালামণি নিজের সন্তানকে নিয়ে দারুন একটা সময় এরকম সুন্দর মুহূর্ত সবাই চায় উপভোগ করতে।
ঠিক ভাইয়া পরিবারের সাথে এরকম সময় কাটাতে পারলে ভালই লাগে।
আপনাদের এ চায়ের গ্রামের কথা এর আগেও শুনেছি। আসলে পরিবার পরিজন নিয়ে এমন জায়গায় ঘুরে বেড়ালে কিন্ত বেশ ভালোই লাগে। আবার ঘুরে ঘুরে এটা ওটা খাওয়া তার মজাও আলাদা। তবে এখন কিন্তু মানুষ বেশ সচেতন হয়ে গেছে। যার কারনে বাহিরের খাবার গুলো এখন অনেকাংশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
একদম আপু ঘুরে ঘুরে এটা ওটা খাওয়া তার মজাও আলাদা।
পরিবারের সবাই মিলে চায়ের গ্রামে আবার গেলেন অনেক ভাল লাগলো দেখে। চায়ের গ্রাম জায়গাটি খুব সুন্দর দেখতে। খুব সুন্দর একটি মুহূর্তে ছিল সবার। চায়ের গ্রামের বসার জায়গা টি খুব সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু চায়ের গ্রাম জায়গাটি খুব সুন্দর দেখতে।
পরিবারের সাথে এমন ভাবে কখনো কোথাও যাওয়া হয় নি। চায়ের গ্রামের পরিবেশটা বেশ ভালো। এমন সুন্দর পরিবেশে পরিবারের সাথে খুব সময় পার করেছেন দেখে মনে হচ্ছে। আপনার জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা।
জি ভাইয়া পরিবারের সাথে খুব সুন্দর সময় পার করেছি।
পরিবারের সবাই কে নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।চায়ের গ্রাম নামটা কিন্তু দারুন।এখানে কি আপু শুধু চা আর চা 😃।আমি কিন্তু খুব চা পছন্দ করি।আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ জানাই শেয়ার করার জন্য।
জি আপু চায়ের গ্রাম নামটা কিন্তু দারুন।
বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার এই সুন্দর পোস্ট করে আসলে মাঝেমধ্যে বাইরে যদি এভাবে হালকা কিছু খেতে যাওয়া হয় তাহলে কতই না আনন্দ লাগে। তবে আপনি সেখানে উল্লেখ করেছেন ফুচকা হালিম চটপটি সহ ঠান্ডা ঠান্ডা শরবতের আয়োজন রয়েছে এই সমস্ত দোকানগুলোতে আসলে এই কারণেই তো বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এবং সুন্দর সুন্দর রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য আসে। যাই হোক অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই আজকের পোস্ট।
জি ভাইয়া মাঝেমধ্যে বাইরে যদি এভাবে হালকা কিছু খেতে যাওয়া হয় তাহলে অনেক আনন্দ লাগে।