বাচ্চা খরগোশের ভিডিওগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে ভিন্ন একটি বিষয় নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
পোস্টের টাইটেল দেখেই বুঝে ফেলেছেন আশা করি আমি আজকে কি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। অনেকদিন পর আজকে ভিডিওগ্রাফি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আসলে এখনকার সময়গুলো কিভাবে যেন চলে যাচ্ছে বুঝাই না। কারণ এ ব্যস্ত সময় গুলোর মধ্যে নিজেই যেন সময় করে নির্দিষ্ট কোনো কাজ করতে পারি না। তবে আজ যেটি শেয়ার করবে এটি প্রায় দুই বছর আগের একটি ভিডিও।
আমার জীবনের একটি বিশেষ শখ ছিল খরগোশ পালন করা। এটি ছিল আমার দূর্বলতা এবং ভালোলাগা। আমি ছোটবেলায় খরগোশ পালন করতে চেয়েছিলাম,কিন্তু তখন বিভিন্ন কারণে আর খরগোশ পোষা হয়নি।২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর তারিখে একটি খরগোশ উপহার পেয়েছিলাম আমার হাজবেন্ড @nevlu123 এর তরফ থেকে। সেই দিন থেকেই আমি খরগোশ পালন করি। তখন ছিল একটি খরগোশ। সেই খরগোশটি ৩ বার বাচ্চা দিয়েছে। এই খরগোশগুলো নিয়েই আমার দিন কেটে যেত।ভিডিওটিতে দেখতে পাচ্ছেন এগুলো অনেকটাই ছোট। আমি প্রায় সময় এই খরগোশের বাচ্চাগুলোকে বিছানার উপর ছেড়ে দিতাম। এরা সারা বিছানা দৌড়াদৌড়ি করত। আমার হাতে পায়ে এসে বসে থাকত।অনেক বেশি সুন্দর এগুলো দেখতে। কারণ একদম ধবধবে সাদা আর গোলাপি রঙের চোখ। দেখতে যেন মায়া লেগে যায় এরকম।
খরগোশগুলো আমার খুব পছন্দের। আর যতবার বাচ্চা দিয়েছে ততবারই সবগুলো খরগোশ একই রকম সাদা এবং গোলাপি রঙের চোখের ছিল। ভিডিওতে যে সাইজ দেখতে পাচ্ছেন এই সাইজ থেকে আরেকটু বড় হলে এতোটুকু পর্যন্ত এদেরকে কোলে নিয়ে আদর করতে সত্যি খুব ভালো লাগে। কিন্তু বড় হয়ে গেলে এগুলো আর কোলে থাকে না। এখন আর এই খরগোশগুলো নেই। ভিডিও চেক করতে গিয়ে এই ভিডিওটি চোখে পড়লো। আর সত্যিই মনে পড়ে গেল সেই পুরনো দিনগুলো। আমার কাছে খুব ভালো লাগতেছে ভিডিওটা দেখে। এখনো ইচ্ছে করছে আরো একবার এগুলোকে হাতে নিয়ে দেখি। যাই হোক ভিডিওগ্রাফিটা তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো।
ভিডিওগ্রাফি।এই ছিল আমার আজকের ভিডিওগ্রাফি।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
|
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া কাছে থেকে খরগোশ উপহার পেয়েছিলেন। আর সেই থেকেই আপনার খরগোশ এর প্রতি ভালোলাগা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপু খরগোশ গুলো দেখতে ধবধবে সাদা। চোখ গুলো দেখতে আরো বেশি সুন্দর। অনেক সুন্দর করে ভিডিওগ্রাফি করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চা খরগোশগুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। আর এই খরগোশগুলোর খুবই সুন্দর ভিডিও করেছেন। আসলে খরগোশ আমারও খুবই প্রিয় আমার একটি খরগোশ ছিল। সেই খরগোশকে কুকুর খেয়ে ফেলেছিলো।
আপনার খরগোশের ভিডিও গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।
আমিও এক সময় খরগোশ এবং অনেকগুলা গিনি পিক পালন করতাম।
কারণবশত এখনো অবশ্য সবগুলা বিক্রি করে দিয়েছি। তবে সেই দিনগুলো বারবার ঘুরেফিরে মনে পড়ে এখনো।
বাচ্চা খরগোশের দারুন একটা ভিডিওগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। খরগোশের বাচ্চা গুলো দেখছি অনেক বড় এবং কিউট হয়ে গিয়েছে।
বাহ দারুন লাগলো আপু অনেক চমৎকার একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করলেন আপনি খরগোশের দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। যেহেতু আপনার শখের জিনিস খরগোশ পালন করা অনেক আগের একটি ভিডিও শেয়ার করলেন দেখার সুযোগ হয়ে গেল। খরগোশ অনেক সুন্দর লাগে যদি হয় এমন ছোট ছোট বাচ্চা তাহলে তো আরো দারুন লাগবে। চমৎকারভাবে আপনি ভিডিওটি করেছিলেন অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
খরগোশ পোষার আমার কিন্তু বড় শখ। কিন্তু তেমন একটা সময় বা সুযোগ হয়ে ওঠে না। যাইহোক আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে তার ভিডিওগ্রাফি করে উপস্থাপন করেছেন। খরগোশের বাচ্চাগুলো দেখতে বেশ কিউট।