আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজকের রেসিপিটা একদম হঠাৎ করেই করেছিলাম।মূলত শরীরটা একদম ভালো যাচ্ছে না কয়েকদিন। গত কাল তো মাথা ব্যথা,সর্দি কাশি, গলা ব্যথা, আবার ভেতরে ভেতরে জ্বর অনুভূত হচ্ছিলো। তার সাথে অন্যান্য সমস্যা। আসলে অসুস্থতার মাঝে কিছু করতেও কষ্ট হয় খুব।এদিকে পরশুরাত হঠাৎ নিভৃতেরও জ্বর এলো।আর বাচ্চারা অসুস্থ হলে কেমন জ্বালাতন করে মায়েদের সেটা একজন বাচ্চার মা ছাড়া অন্য কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না।শরীর এবং মন কোনোটাই ভালো নেই। তবুও প্রাত্যহিক কাজগুলোতো করা লাগে।এই যেমন গতকাল সন্ধ্যায় আমার হাজব্যন্ড ১সপ্তাহের বাজার করে নিয়ে আসলো,কাঁচাবাজার।আসলে ওর ব্যস্ততার কারণে রেগুলার বাজার করা সম্ভব হয় না, তাই একদিনেই নিয়ে আসলো।
তো অন্যান্য বাজারের সাথে মাছও নিয়ে এলো একটা।আর সেটা ছিল বিগ্রেড মাছ। সেই মাছের আবার ডিমও হয়েছে অনেক।মানে মাছটা ডিমে ভর্তি বলা যায়। আর সে তো মাছের ডিম খুব পছন্দ করে।আর যেহেতু তাজা মাছ তাই ডিমের ভুনা করে ফেলতে বললো।শাশুড়ীমা মাছ কেটে দিল, পরে ডিম পরিষ্কার করে আমি বাকি সবকিছু রেডি করে নিলাম। রাত তখন ৯টার বেশি। এদিকে মাথাটাও ব্যথা করছে,সাথে কাশি,গলা ব্যথা বেড়েছে।তাই কিছু ছবি তুলে ঝটপট রেসিপি করে নিলাম। কথা অনেক হলো,এবার কাজে যাই।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
উপকরণ | পরিমাণ |
মাছের ডিম | ২০০ গ্রাম |
পেঁয়াজকুচি | ২টি |
টমেটো ফালি | ১ টি |
কাঁচামরিচ ফালি | ৬টি |
হলুদগুড়ো | ১চা চামচ |
মরিচগুড়ো | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
লবণ | ১ চা চামচ |
ধনেপাতাকুচি | ইচ্ছেমত |
তেল | ৩ টেবিল চামচ |
একটি কড়াইতে তেল দিলাম ৩টেবিল চামচ। তারপর গরম হয়ে এলে পেঁয়াজকুচি, কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে দিলাম। ভেজে নিলাম কিছুক্ষণ, তারপর আবার ১/২ চা চামচ লবণ দিলাম।
টমেটো ফালি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।তারপর রসুনবাটা দিলাম।এখন এভাবেই ২-৩ মিনিট ভাজলাম।
১চা চামচ মরিচগুড়ো, ১চা চামচ হলুদগুড়ো দিলাম। তারপর কিছুক্ষণ মসলা কষিয়ে নিলাম।
এইধাপে অল্প একটু পানি দিলাম,যাতে মসলা পুড়ে না যায়। তারপর মাছের ডিম দিয়ে দিলাম। আবার নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
এখন পানি দিয়ে দিলাম ২ কাপের মত।তারপর যখন কিছুটা রান্না হয়ে এলো তখন ধনিয়া পাতা দিলাম। আবারও বেশ কিছুক্ষণ রান্না করে একদম পানি শুকিয়ে নিলাম।ব্যাস রান্না হয়ে গেল মজাদার মাছের ডিম ভুনা।
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
আপনারা দুজনেই অসুস্থ জেনে খুব খারাপ লাগলো। আপনাদের সুস্থতা কামনা করছি আপু। অসুস্থ থাকার পরও আমাদের নিয়মিত প্রাত্যহিক জীবনের কাজগুলো করতেই হয়। আপনি খুব সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মাছের ডিম আমরাও এভাবে ভুনা করে খাই। বেশ দারুন লাগে এরকম মাছের ডিম ভুনা গরম ভাতের সাথে খেতে। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটা। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু দোয়া করার জন্য। যদিও রাতের বেলা খেয়েছিলাম সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা ভাত দিয়ে খেতে হয়েছে ডিম ভুনা। তবে মজা লেগেছিল খুব।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাছের ডিম ভুনা রেসিপি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার ধাপ গুলো উপস্থাপন দেখে।খুবই দারুন হয়েছে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য, ভাল থাকবেন।
মজাদার মাছের ডিম ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। ডিম ভুনা আমি খুবই পছন্দ করি।যার কারণে আপনার রেসিপিটা আমার ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
রেসিপিটা আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমারও খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজেদের অসুস্থতা থেকে বাচ্চাদের অসুস্থতায় বেশি কষ্ট হয়। নিজেরা তো তাও অসুস্থ থাকলেও সব কিছু ম্যানেজ করে নেয়া যায়। আবার বেশি অসুস্থ থাকলে কোন কাজ করতে ইচ্ছা করে না। যাইহোক আপু আজকে আপনার মাছের ডিমের রেসিপিটি কিন্তু বেশ লোভনীয় হয়েছে। এভাবে মাছের ডিম রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চারা অসুস্থ হলে কষ্ট বেশি মায়েদের হয়। যাই হোক মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
মাছের ডিম ভুনা রেসিপি দেখে তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। এই ধরনের ডিম ভুনা খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। প্রতিটি ধাপ অনেক চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ।
মাছের ডিম হলে এভাবে ভুনা করে খেতে বেশি ভালো লাগে এজন্য করা হয়, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মজাদার মাছের ডিম ভুনা রেসিপি তৈরি করে। আসলে এই রেসিপি খেতে আমার কাছে বেশ সুস্বাদু লাগে। আসলে এই রেসিপি তৈরি করে যদি গরম ভাত দিয়ে খাওয়া যায় তাহলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি স্টেপ আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
মজাদার মাছের ডিম ভুনা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। ডিম ভুনা আমি খুবই পছন্দ করি।কিছুদিন আগে খেয়েছিলাম। আজকে আপনার ডিম ভুনা রেসিপি কালারটা অসাধারণ হয়েছে। গরম ভাতের সাথে খেতে বেশি মজা লাগবে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাছের ডিম হলে এভাবে করা হয় ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
তাহলে তো অসুস্থতা নিয়ে ভালোই ভোগান্তিতে আছেন। ঠান্ডা কাশি জ্বর এগুলো প্রচন্ড গরমে বেশি হয়ে থাকে। ছোট্ট বাচ্চা অসুস্থ হলে তারা সবচেয়ে বেশি জ্বালাতন করে। যেটা সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিকর। দোয়া করি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। আজকে মাছের ডিম ভুনার দারুন রেসিপি করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আমাদের সাথে এত সুন্দর রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এই অসুস্থতা হলে কোন কিছু করতেই ভালো লাগে না ভাইয়া। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ মতামত ভাগ করে নেয়ার জন্য।
মাছের ডিম আমার খুব প্রিয় একটি রেসিপি। আমি খুব সুন্দর করে রেসিপিটি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখেই তো বুঝা যাচ্ছে যে বেশ স্বাদ হয়েছিল। ধন্যবাদ এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও মাছের ডিম খেতে ভালো লাগে অনেক বেশি। তাই মাঝে মাঝে এটা তৈরি করা হয়, ধন্যবাদ আপু।