৭টি ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের ব্লগ||রেনডম ফটোগ্রাফি
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব। আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি এগুলো আমাদের স্থানীয় বাজারের একটি নার্সারি থেকে তোলা। এই ফটোগ্রাফিগুলো দেখতে আমার কাছে ভালো লাগে। প্রথম যখন নার্সারিতে গিয়েছিলাম তখন অনেকগুলো গাছ দেখেছিলাম। কিন্তু এবার খুব বেশি গাছ আনা হয়নি। অল্প কিছু গাছ রয়েছে। শীত আরও পড়তে পড়তে অনেক গাছ আনা হবে। তখন নার্সারি ফুলে ফুলে ভরে উঠবে। চারা প্রসেসিং করা হচ্ছিল বিধায় নার্সারি খুব বেশি একটা ভরপুর হয়নি। আগামীতে যদি কখনো যাই তাহলে অবশ্যই আপনাদের সাথে ছবিগুলো শেয়ার করব।
প্রথমত যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে ভিন্ন জাতের একটি জবা ফুলের ছবি।সেদিন নার্সারিতে এই জবা ফুলটি দেখেছিলাম।আগে অনেক গাছ ছিল। কিন্তু এবার শুধুমাত্র একটি গাছ দেখেছি।আর একটি গাছে একটি ফুলই ছিল।ফুলটা এককথায় জাস্ট অসাধারণ। এর রঙ দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।কমলার মধ্যে এই জবা ফুল মন কেড়ে নিয়েছিল।
এক টুকরো টগর ফুলের বাগান বলা যায় এটাকে। একপাশে টগর ফুলের চারা লাগানো আছে।এগুলো বড় হলে খুব সুন্দর করে ছড়িয়ে যায়। আর একটি ঝোপ আকারে দেখা যায়। সাদা সাদা ছোট ফুলে ভরে উঠে গাছ, দেখতে ভারী সুন্দর লাগে এই ফুলগুলো।সুগন্ধ না থাকলেও সৌন্দর্য বর্ধনে এটি অসাধারণ একটি গাছ।
এই যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটাতে দেখা যাচ্ছে খুবই সুন্দর একটি ফুলের চারার বাগান। আলাদাভাবে এই গাছগুলো সারি সারি করে লাগানো আছে। এগুলো হচ্ছে কাটা মুকুট ফুল। আমার কাছে দেখতে খুবই ভালো লাগে। এর গঠন এবং বৈশিষ্ট্য খুব দারুণ হয়। ফুলগুলো একগুচ্ছ ভাবে সবগুলো ফুটে থাকে। আর এজন্যই মূলত এগুলো দেখতে ভালো লাগে। বাগানের এক পাশে এগুলো অনেক সৌন্দর্য বর্ধিত করেছে।
এটি হচ্ছে বাগান বিলাস গাছে চারা। মূলত নার্সারিতে গেলে চারাগুলো পাওয়া যায়। গোলাপি রঙের এই বাগান বিলাসের চারা এটি একটি ড্রামের মধ্যে রোপন করা আছে। আর এ চারা গুলোতে দেখা যাচ্ছে ফুল ফুটেছে। নার্সারিতে শুধুমাত্র এই গোলাপি বাগান বিলাস ফুলের চারা ছিল। যদিও চারার প্রসেসিং করা হচ্ছে অন্য জায়গায়। আরো কিছুদিন পরে হয়তো নতুন নতুন গাছ দেখতে পাব।
এগুলো সবেমাত্র প্রসেসিং করে এনে রাখা হয়েছে। এই মরিচ গাছগুলো একটু ঝাল বেশি হয়ে থাকে। মরিচ গাছগুলো একসাথে চারা আকারে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। মূলত এই গাছগুলো এখান থেকে বিক্রি হয়ে যায় প্রতিনিয়ত। আমরা যখন গিয়েছি তখন, এখান থেকে বিভিন্ন রকম গাছ বিক্রি হচ্ছে।যদি আমাদের প্রয়োজনমতো গাছ পেতাম তাহলে সেখান থেকে কিনে নিতাম। তাছাড়া মরিচ গাছ দেখলেই কিন্তু আমার কিনতে ইচ্ছে করে।
এগুলো দেখে মনে হচ্ছে ঝাউ গাছ। যদিও আমি সঠিক জানি না এগুলো ঝাউ গাছের চারা কি না। কারণ এই গাছের পাতাগুলো দেখতে একদম ঝাউ গাছের মতো লাগছে। অনেকে আবার এই গাছগুলো সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাগানে লাগিয়ে থাকে। আমার শ্বশুরবাড়ির সামনের বাগানে এরকম অনেক গাছ লাগানো আছে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। সৌন্দর্য বর্ধনে বাগানের আশেপাশে এই গাছগুলো লাগানো যায়।
এই ছবিতে একসাথে তিনটি গাছের চারা দেখা যাচ্ছে। মানে যেহেতু নার্সারি সে হিসেবে এখানে একই রকম অনেকগুলো চারা উঠানো হয়। এখানে দেখা যাচ্ছে বেগুন, পেঁপে এবং মরিচ গাছের চারা। একটি ট্রের মধ্যে কিছু মরিচের চারা দেখা যাচ্ছে। এখানে ফুলও ফুটেছে এতো ছোট চারাতে। এই বেগুনের চারাগুলো হলো কাটাবেগুনের মানে ছোট জাতের। আমেরিকান বেগুন একটু লম্বা আকারের হয় আর বড় জাতের হয়ে থাকে। সেগুলো হলে হয়তো কয়েকটা চারা নেয়া যেত। যাই হোক নার্সারিতে ঘুরে ফিরে ফটোগ্রাফি গুলো করলাম।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকের ফটোগ্রাফিতে সবুজের সৌন্দর্যে ভরপুর তবে সর্বপ্রথম শেয়ার করা জবা ফুলের ফটোগ্রাফিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপু। চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেশ চমৎকারভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন অনেকগুলো ফুল আর পাতাবাহারের দৃশ্য। সুন্দরভাবেও সাজিয়েছেন আজকের এই পোস্ট। সব মিলে ছিল অসাধারণ। আপনার এই পোস্ট দেখতে পেরে আমি কিন্তু অনেক খুশি হয়েছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমিও মাঝে মাঝে ভিন্ন সৌন্দর্যের খোঁজে নার্সারি ভ্রমণ করে থাকি।
আপনি নার্সারি ভ্রমণ করে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
বিশেষ করে জবা ফুল এবং বাগান বিলাস অন্যতম।
জবা ফুলের ফটোগ্রাফি টা আমাকে মুগ্ধ করলো, সর্বোপরি আপনি দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন এবং প্রতিটা ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন এবং প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমাদের মনকে আলোকিত করতেছে। ফটোগ্রাফি আমাকে মুগ্ধ করছে, ভীষণ ভালো লাগছে। ছোট ছোট চারা গাছও আপনি তুলে ধরেছেন।
খুব সুন্দর কিছু ভিন্ন ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আপনি সব সময় খুব দারুন দারুন ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সবগুলা ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল ।তবে বিশেষ করে জবা ফুলের ফটোগ্রাফি ও বাগান বিলাসের চারার ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আহা ছবি গুলো কি দারুন৷ একদম যেনো প্রাণবন্ত কিছু ছবি দেখতে পেলাম। আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে শুরুর দিকের ছবি গুলো। বাকি ছবি গুলাও দারুন ছিলো আপু।।
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে জবা ফুলের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ওয়াও আপু নার্সারির ভেতরে ফুলের বাগান দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে প্রথম ফুলের ফটোগ্রাফিটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। কারণ জবা ফুল আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।