শখের খরগোশ নিয়ে স্মৃতিময় সময়ের কিছু অংশ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজ আমি আপনাদের মাঝে পছন্দের একটি বিষয় নিয়ে এসেছি। যেটা আমার অনেক বড় একটা শখ ছিল এবং এখনো আছে। এই শখটা সেই ছোটবেলা থেকেই। আমার মামাকে দেখেছি একটা খরগোশ পালন করতে আর সেই থেকে খরগোশ পালন করার শখ আমার নিজের মধ্যে ছিল। আমি প্রায় সময় আব্বুকে বলতাম খরগোশ কিনে দেয়ার জন্য। কিন্তু তখন অনেক খোঁজার পরেও খরগোশ পায়নি, আর পড়ালেখা নিয়ে মোটামুটি বেশ ভালোই ব্যস্ত থাকতে হতো তাই তখন থেকে ধীরে ধীরে শখটাকে ধামাচাপা দিয়ে দিলাম।তাই আর কেনা হয়নি।
কিন্তু এই খরগোশ আমার যে খুব পছন্দের ছিল সেটা অনেকেই জানতো। তবে একদিন হঠাৎ করেই আমরা সবাই মিলে খরগোশের কথা বলতেছিলাম তখন আমার হাজব্যান্ড সে ব্যাপারটা শুনেছে, যদিও বিয়ের আগের কথা সেটা। অবশ্য সে আমাদের সকলের সাথেই ছিল। যখন খরগোশের ভিডিও দেখছিলাম তখন বলছিলাম খরগোশের কথা। ছোটবেলায় মামার খরগোশটা হারিয়ে যাওয়ার পর আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। পরবর্তীতে তার দুইদিন পর খরগোশটাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তখন আমার কি যে খারাপ লাগছিল তা বলে বোঝানোর মত নয়। কারণ সে খরগোশের পেছনে মামার থেকে আমি বেশি সময় দিতাম। ওই খরগোশের খাওয়ার সবকিছু আমি ব্যবস্থা করতাম। যখন নানার বাড়িতে থাকতাম তখন আমার বেশিরভাগ সময় কাটতো সেই খরগোশটার সাথে।
যাইহোক ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ৭ তারিখ। তারিখটা আমার এখনো মনে আছে কারণ তার আগের দিন আমার এঙ্গেজমেন্ট হয়েছিল। তো ৭তারিখ সন্ধ্যায় আমার হাজব্যান্ড যখন বসুরহাটের দিকে গিয়েছিল তখন খরগোশ দেখতে পেল।সেই সময়ে খাঁচাসহ খরগোশটি নিয়ে এসেছিল। সত্যি বলতে হঠাৎ করেই খরগোশটা দেখে আমি অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছিলাম। আর আমার পছন্দের রঙের খরগোশ হওয়ার কারণে তো আরো বেশি আনন্দ পেয়েছি। কারণ সাদা রংয়ের খরগোশ এবং গোলাপি রঙের চোখ এই খরগোশ গুলো দেখতে এত মায়াবী লাগে যা হয়তোবা একদম সামনাসামনি দেখলেই বোঝা যায়।
তবে আজকে আমি স্বাভাবিকভাবে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। তবে আশা রাখি এ খরগোশ গুলো নিয়ে আমার বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা এবং আনন্দময় মুহূর্তগুলো আবারো আরেকটি পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করব। তবে বেসিকলি কিছু কথা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করতে চাই। আমার যে খরগোশটি ছিল সেটি প্রায় দেড় বছর এর চেয়েও বেশি বেঁচে ছিল। এটি এ দেড় বছরের মধ্যে প্রায় ছয় বার বাচ্চা দিয়েছে। তবে জীবিত অবস্থায় বারোটা বাচ্চা আমি লালন পালন করেছি। দুই বারের বাচ্চা গুলো মারা গিয়েছিল। সেই বড় খরগোশটা এবং পাশাপাশি বাচ্চা খরগোশগুলো নিয়ে আমার সময় বেশ ভালোই কেটে যেত।
যাইহোক আজ এখানেই শেষ করতে চাই। এই খরগোশগুলো নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত রয়েছে। সেগুলো আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে এবং আপনাদের কাছেও পড়তে বোরিং লাগবে। এটি পরবর্তীতে আরেকদিন শেয়ার করব। এখানে আমার পছন্দের তিনটি ফটোগ্রাফি রয়েছে। দুটি ফটোগ্রাফি একদম উপরেই শেয়ার করলাম আর একটা ফটোগ্রাফি একদম নিচেই শেয়ার করলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | শখের খরগোশ |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
https://twitter.com/bristy110/status/1683895961968578561?s=20
আমারও অনেক দিনের শখ খরগোশ পোষ। আপনি আগে যে ভিডিও গুলো শেয়ার করেছিলেন সেগুলো দেখে আমার ইচ্ছাটা আরো বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। খরগোশের বাচ্চাগুলো দেখছি অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এভাবে পাশে থাকবেন।
খরগোশ নিয়ে আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার খরগোশ গুলো দেখতে অনেক কিউট ছিলো। আপনার পোস্ট ভিজিট করে আমার পোশা খরগোশ এর কথা মনে পড়ে গেলো। আমার কাছেও দুটি খরগোশ ছিলো। একদিন বাসায় থেকে বের হয়ে একজায়গায় গিয়েছিলাম। বাসায় এসে দেখি কুকুর খরগোশ গুলোকে কামর দিয়েছিলো। পরে ভীষণ খারাপ লেগেছিলো।
আমার শেষ ৩টি খরগোশ ছিল।সেগুলোকেও কুকুরে কামড় দিয়েছিল।