নিজের হাতে দেয়া সিম্পল মেহেদী ডিজাইন।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
একটা সময় ছিল যখন ইচ্ছে হলেই মেহেদী দিতাম হাতে।ঈদ ছাড়াও মেহেদী দেয়া হতো।তখন আম্মুর কাছে আবদার করতাম মেহেদী লাগিয়ে দেয়ার জন্য।নয়তো বড় আপু বা ফুফুদের কাছে গিয়ে মেহেদী লাগাতাম।যত বড় হতে থাকলাম নিজে নিজে চেষ্টা করতাম। আর যখন থেকে নিজে লাগাতে পারি তখন অনেক লাগিয়েছি। কিন্তু ক্লাস নাইনে উঠার পর থেকে কেন জানি ঈদের সময়ও মেহেদী দিতে ইচ্ছে করতো না।তবে আমার পছন্দের ছিল একটা বিষয়,তা হলো বাম হাতের নখে গাছের মেহেদী দেয়া গাঢ় লাল বা খয়েরী করে।
যাইহোক আগেকার সময়গুলো মনে পড়লে মাঝে মাঝে খুব কষ্ট লাগে। ইচ্ছে করলেও তো আর ফিরে যাওয়া সম্ভব না। এই যে আজকের মেহেদী আর্ট দেখছেন এটা গত ২দিন আগে করেছি। মেহেদীটা ঈদ উপলক্ষে আনা হয়েছিল,কিন্তু প্যাকেট খোলাই হয়নি আর বিভিন্ন কাজের চাপে।তাই ভাবলাম এটা নষ্ট না করে সিম্পলি একটা ডিজাইন করি। ভাবনা মত কাজ করতে বসলাম। অল্প একটু করতে না করতেই ছেলে এসে হাজির।তার খালামণি একবার নিয়ে গিয়েছে তারপর সে আবার এসেছে। ঐ যে কাজ করছি দেখছে সেটাই হলো, ও আর যাবে না। আর আমার হাত ধরে শুধু টানাটানি করে কোনো কাজ করতে গেলে।পঞ্চম ধাপে খেয়াল করলে দেখবেন পুচকি একটা হাত আছে,টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল। যাইহোক আজ অনেক কথাই বলে ফেললাম,চলুন আমার হাতে মেহেদীর ডিজাইনটা দেখে আসেন।
এই মেহেদী আঁকার জন্য উপকরণ |
---|
স্মার্ট কোণ মেহেদী
প্রথম ধাপ |
---|
শুরুতেই আমি একটা বৃত্ত এঁকে নিলাম। তারপর এর চারপাশে ছোট ছোট করে পাপড়ির ডিজাইন করে নিলাম।তারপর বর্ডার একটু মোটা করে এঁকে আবারও বড় করে পাপড়ির মত এঁকে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
এইধাপে আমি পিছনের দিকে দুইটি গোল ডিজাইন দিয়ে পাতার মত এঁকে নিলাম।তারপর আবার হাতের উপর তালুর মুখি করে আরেকটা ডিজাইন এঁকে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ |
---|
এখন বাম পাশের দিকে দুইটা দাগ বাঁকা করে টেনে নিলাম।তার উপরের দিকেও আবার ফুলের মত করে ডিজাইন করে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ |
---|
এই ধাপে উপর তালুতে কিছু লতার মত আঁকলাম। তারপর আবার লতার উপরিভাগে কিছু পাতার মত শেপ এঁকে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ |
---|
এখন আবার কোনাকুনি ভাবে আঙুলের দিকে নিয়ে ডিজাইন করে নিলাম।এই যে দেখছেন আমার পিচ্ছি চলে এসেছিল, ডিস্টার্ব করছিল তখন।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
এখন বাকি আঙুলগুলোতেও ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ডিজাইন করে নিলাম। টুকটাক কিছু ডিজাইন করে সিম্পলি মেহেদী শেষ করে ফেললাম।
এই ছিল নিজ হাতে দেয়া মেহেদীর ডিজাইন।আশা করি সিম্পল এই ডিজাইন আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
খুবই চমৎকার একটি মেহেদী ডিজাইন শেয়ার করেছেন আপু। অসম্ভব সুন্দরভাবে নিজের হাতে মেহেদি ডিজাইনটি করেছেন।আপনার করা ডিজাইনটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই নিখুঁতভাবে প্রতিটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সময় করে করতে পারি না আপু,তবুও চেষ্টা করি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সিম্পল এর মধ্যে মেহেদি ডিজাইন টা কিন্তু খুব সুন্দর ভাবে নিজের হাতে আঁকিয়েছেন আপু। এই ধরনের সিম্পল মেহেদি ডিজাইন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। পর্যায়ক্রমে মেহেদি ডিজাইনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই সিম্পল মেহেদী লাগাতে গিয়ে ছেলে কতবার ডিস্টার্ব করেছে আর মেহেদী খারাপ করেছে আপু। এজন্যই দিতে পারি না।
আপনার মেহেদী ডিজাইন টি সিম্পল হলেও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে মেহেদী ডিজাইন, সিম্পল এই অনেক বেশি সুন্দর। অতিরিক্ত বেশি ডিজাইন করতে গেলে সব কিছু নষ্ট হয়ে যায়। আপনি আজকে একটি ইউনিক মেহেদী ডিজাইন আপনার হাতের মধ্যে অ্যাপলাই করেছেন। আপনার মেহেদী ডিজাইন টি সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,সিম্পল কিছুও দেখতে ভালো লাগে।
নিজের হাতে খুবই সুন্দর ও দক্ষতার সাথে মেহেদি দিয়েছেন। সেই মেহেদী দেওয়ার মুহূর্তগুলো আপনি ধাপে ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ডিজাইনটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে,।
এক সময় সব কিছুর প্রতি অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। পরে আসতে আসতে তা কমে যায়। আপনার ছেলে চলে এসেছে এর পরে ওর হাত সহ ছবিটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। এধরনের মেহেদী ডিজাইন গুলো দেখতে ভালো লাগে। আপনার হাতের সুন্দর ফুটে উঠেছে। শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন আপু।
ছেলে আরও অনেকবার চলে এসেছিল,ঐ যে মা কাজ করছে এটা দেখলেই হলো।
ছোট্ট সময় দেখতাম ঈদের আগের রাতে মেহেদী নেওয়ার ধুমধাম পড়ে যেত। বিশেষ করে বড় আপুদের কাছ থেকে মেহেদি নিয়ে অনেক আনন্দ পেতাম । আসলে ছোটবেলার সকল আনন্দ মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর। আজকে নিজের হাতে খুব সুন্দর করে মেহেদি ডিজাইন করেছেন । যদিও অনেক সুন্দর হয়েছে কিন্তু ছোটবেলার সেই অনুভূতিটা এখন আর কাজ করে না বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে। অনেক ভালো লাগলো মেহেদি ডিজাইন দেখে।
ছোটবেলার স্মৃতিগুলো সবসময়ই অনেক আনন্দের ছিল।আর মেহেদী দেয়াটাও অনেক ভালো লাগার বিষয় ছিল।
সিম্পল মেহেদী ডিজাইন অনেকটা ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে দিলেন। আপনার হাতে ধাপে ধাপে ডিজাইনটি দেওয়া দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হলাম। কারণ এই ডিজাইনটা আমিও শিখে নিয়েছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া,ভালো থাকবেন।
আপনার ভালো লাগা,মন্দ লাগা সম্পর্কে জানতে পেলাম।বাম হাতের নখে গাছের মেহেদী গাড় লাল,বা খয়েরী কালার করে লাগাতে ভালো লাগতো জেনে ভালো লাগলো।আপনার মেহেদীর ডিজাইন টা সত্যি স্পেশাল হয়েছে আপু।ভীষণ চমৎকার লাগছে আপনার হাতে।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে মেহেদী লাগানোর ডিজাইন আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।ভালো লাগলো আপনার মতামত পেয়ে
আসলে বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজেদের ভালোলাগাগুলো যেন আস্তে আস্তে কোথাও হারিয়ে যায়। বেশিরভাগ মেয়ে মেহেদি লাগাতে অনেক বেশি ভালোবাসে। কিন্তু বড় হওয়ার পাশাপাশি যেন তারা আর সময় পায় না মেহেদি লাগানোর জন্য। অনেক সুন্দর করে একটা সিম্পল মেহেদির ডিজাইন আপনি অংকন করেছেন। যেটা অনেক সুন্দর হয়েছে। বুঝতেই পারতেছি নিভৃত মাঝখানে এসে একটু ঝামেলা করেছিল। তার হাতেও একটু লাগিয়ে দিতেন তাহলে আর ঝামেলা করত না। যাইহোক নিখুঁতভাবে এবং সময় নিয়ে পুরোটা শেষ পর্যন্ত কমপ্লিট করতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বড় হওয়ার সাথে সাথে অনেক ইচ্ছে কিন্তু মরে যায়। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।