পরিবেশ পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়াটাই কঠিন বাস্তবতা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজকে আপনাদের মাঝে কিছু কথা তুলে ধরার জন্য এসেছি। আসলে আমাদের জীবন সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে মানিয়ে নিতে বাধ্য হয়। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়াই কিন্তু উত্তম। আর এই নিয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
জীবন যেখানে যেমন সেখানে সেই ভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। কারণ পৃথিবীটা এমনই। বাস্তবতার ভিত্তিতে প্রত্যেকটা জায়গায় নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারলেই জীবনের সার্থকতা। কারণ আপনার ইচ্ছে মত কিন্তু কখনোই কোনো পরিবেশ চলে না,চলবে না। পরিবেশের নিয়মেই কিন্তু আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে।
আমাদের জীবন চলার পথ প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই ভিন্ন ভিন্ন রকম। কারণ আমরা ছোট থেকেই সেভাবে বড় হয়েছি। সেখান থেকে আমরা প্রাথমিকভাবে শিক্ষা গ্রহণের একটা গণ্ডি পার হতে হয়। সেখানে কিন্তু আমরা সেই ছোটবেলার মতোই চলাফেরা করতে পারি না। এর কারণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম আমাদের ইচ্ছেমতো নয়। আমাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মেই চলতে হবে। কারণ সেখানের গাঠনিক দিকটা হলো সার্বজনীন। সেখানে ব্যক্তিগত কোন নিয়ম মানার মতো জায়গা নেই।
এরপর আবার আমাদের মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে হয়। সেখানেও কিন্তু বিভিন্ন রকম ভাবে আমাদের জীবন পরিচালিত হয়। প্রাথমিকের মত আবার মাধ্যমিকে কিন্তু একই ধরনের নিয়ম আপনাকে মানতে হবে না। প্রত্যেকটা জায়গা প্রত্যেকটা পরিবেশেই আপনি আলাদা আলাদা ভাবে উপভোগ করবেন। আলাদা আলাদা ভাবে এডভেঞ্চার হবে। আপনি নতুন কিছু শিখতে পারবেন নতুন কিছু জানতে পারবেন। অনেক বিপদে পড়বেন, বিপদ থেকে কাটিয়ে উঠবেন।বন্ধু তৈরি হবে,শত্রুও তৈরি হবে।
কিন্তু একটা মানুষের জীবনে তার বাস্তবতা গুলো উপলব্ধি করতে পারে। প্রকৃতি কখনো আপনার নিয়মে চলবেনা। প্রকৃতির সাথে কিন্তু আপনি নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। আর প্রকৃতিকে সেভাবেই আপনি আপনার মত করে করে নিতে হবে। মাটির আকার দিয়ে বিভিন্ন রকম হাড়ি পাতিল যেমন তৈরি করা হয় ঠিক সেভাবে আপনিও কিন্তু পরিবেশটাকে সেভাবেই গঠিত করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি সবকিছুই কিন্তু খাপ খাইয়ে নেয়ার মনোভাব থাকতে হবে।
বাস্তব জীবনের ভিত্তিতে আপনার ইচ্ছেমতো কোন কিছুই হবে না। কারন পারিপার্শ্বিক সবকিছুই কিন্তু আপনার ইচ্ছে মতো নয়। সবাই সবার মতো করেই চলছে। এজন্যই মূলত প্রাকৃতিকভাবে যে নিয়ম বিদ্যমান সেভাবে কিন্তু আপনি চলবেন। তাহলেই সবকিছু সুন্দর। আপনি যদি নিজের নিয়মটা সবার মাঝে উপস্থাপন করতে চান তখন সেটা বেমানান হবে। কারণ প্রকৃতি যেভাবে চলছে তাকে সেভাবে চলতে দিয়ে সবকিছু সুন্দরভাবেই সংঘটিত করা উচিত। আপনি নিজেকে সবকিছুর সাথে খাপ খাওয়াতে হবে। প্রকৃতি আপনার সাথে খাপ খাওয়াতে পারবে না।
পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন আপনি নিজেকে যদি সেখানে খাপ খাওয়াতে পারেন তাহলেই আপনি সার্থক। অন্যথায় আপনি জীবনে বৃথা চেষ্টা করে যাবেন। তাই সব কিছুর সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে শিখতে হবে এবং মানিয়ে নেয়া শিখতে হবে, তাহলে সবকিছু সুন্দর।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবেশ পরিস্থিতির উপর আমাদের আসলে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কখন আমরা কি অবস্থায় থাকবো একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানেন। যাইহোক আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শান্ত থাকার চেষ্টা করবো এবং সাহসীকতার সাথে মোকাবেলা করবো।
আপনি বেশ গুছিয়ে লিখা গুলো উপস্থাপন করেছেন, ধন্যবাদ আপু।
খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন ভালো লাগলো অনেক। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক বলেছেন আপু, পরিবেশ এবং পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে আমাদের সবকিছুতেই মানিয়ে নেওয়া উত্তম। বাস্তব জীবনে কোন কিছুই আমাদের ইচ্ছেমতো হবে না। প্রকৃতি সবসময় তার নিজের নিয়মে চলবে। তাই প্রকৃতির সাথে সব পরিস্থিতিতে আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হবে। তাহলে আমাদের জীবন সুন্দর হবে। সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন আপু।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু।কথাগুলো খুব ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।