ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের ব্লগ||রেনডম ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব। আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি এগুলো নানুর বাড়িতে তোলা। সেখানে অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি করেছি। অনেক আগে যখন নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। কিন্তু আপনাদের মাঝে অনেকগুলো শেয়ার করেছি। তবে আজকে গ্যালারিতে গিয়ে দেখি অনেকগুলো ছবি রয়ে গিয়েছে। তাই ভাবলাম এই বাকি ছবিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। কারণ সবগুলো ছবি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো।
এটি হচ্ছে একটি পাতাবাহার গাছ,আর এই পাতাবাহার গাছটি কচু পাতার মতো দেখতে। এগুলো অনেক বেশি সুন্দর লাগে আমার কাছে। আপনাদের আমি আগেই বলেছিলাম আমার মামা ছাদের উপরে অনেকগুলো টবের মধ্যে বিভিন্ন রকম পাতা বাহারের গাছ লাগিয়েছিল। তার মধ্যে কয়েকটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আরো একটি পাতাবাহার গাছের ছবি শেয়ার করলাম। এই গাছটি দোতলায় বারান্দার মধ্যেও লাগানো আছে। তবে ছাদের উপরে এই গাছটি অনেক বেশি ছড়িয়ে রয়েছে, যার কারণে দেখতে অনেক ভালো লাগে।
এগুলো হচ্ছে পাথরকুচি গাছের চারা। আমার ছোট আন্টি চারা গুলো রোপন করেছে। তবে সে নাকি চারা গুলো অন্য বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিল। কারণ আমার মামার কাছে যে পাথরকুচি গাছগুলো ছিল সেগুলো সবগুলোই মারা গিয়েছে। তারপর আমার ছোট আন্টি পাথরকুচি গাছের জন্য মামাকে বলেছিল কিন্তু মামা পায়নি। আর তাই ছোট আন্টি তার এক ফ্রেন্ডের বাড়ি থেকেই এই পাথরকুচি গাছের চারাগুলো নিয়ে এসেছিল। তারপর সে একটি টবের মধ্যে চারা গুলো লাগিয়ে দিয়েছে। এগুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। পাথরকুচির পাতা থেকেই কিন্তু গাছ জন্মায়।
কমলা এবং লাল মিশ্রিত রঙে গোলাপ ফুল দেখতে পাচ্ছেন আপনারা। আর এই ফুলের কলিটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর। কয়েকটি গোলাপ ফুল ফোটার পাশাপাশি অনেকগুলো কলিও ফুটেছিল। আর আমি এই কয়েকটি কলির ছবি তুলে নিয়েছিলাম,আর গ্যালারিতে দেখলাম ছবিগুলো পড়ে আছে তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।এই ফুলটি এখন দেখতে এক রকম কিন্তু পরবর্তীতে যখন সম্পূর্ণভাবে ফুটবে তখন অন্যরকম হয়ে যাবে।
এই গাছ গুলোকে পাতা বাহার গাছ নামেই চিনি। এই পাতাবাহার গাছটির পাতাগুলো অন্যান্য পাতাবাহার এর মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় না। এগুলো একগুচ্ছ আকারেই থাকে আর দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। কারণ এগুলোর বৈশিষ্ট্য এক রকম আর এগুলো কয়েকটি পাতা বিশিষ্ট পাতাবাহার গাছ । আপনারা পাতা গুলোর দিকে খেয়াল করলে দেখবেন পাতা গুলো একদম ভিন্ন রকম, আর দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগে।
গোলাপ ফুলটি দেখতে খুব বেশি সুন্দর লাগছে। কারণ একদম হালকা গোলাপি রঙের এই গোলাপ ফুলটি সম্পূর্ণভাবে ফুটে রয়েছে। এর ভিতরে যে রং গুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। গোলাপ ফুলের সুগন্ধ অনেক বেশি ভালো লাগে। আর গোলাপ ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম আছে।সবাই গোলাপ ফুল পছন্দ করে আমিও গোলাপ অনেক পছন্দ করি।
ছবিটিতে খুব ছোট দুটি মুরগির বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। আমি এর আগেও আপনাদের সাথে একটি ছবি শেয়ার করছিলাম। তবে এই মুরগির বাচ্চা গুলোকে টেবিলের উপরে রাখা ছিল। তারা একে অপরের সাথে খুব সুন্দর ভাবে খেলা করছিল। আর এই মুহূর্তটাকে আমি ক্যাপচার করে নিলাম। আসলে এই ছোট ছোট মুরগির বাচ্চাগুলো সাদা আর কালো হওয়াতে অনেক বেশি মায়া লাগে। এজন্যই আমার কাছে ভালো লেগেছিল খুব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এটি একটি নয়নতারা ফুলের গাছ। আর তার পাশাপাশি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ছোট্ট একটি নয়নতারা ফুল ফুটছে। এটি গোলাপি রঙের নয়নতারা ফুল। আর নয়নতারা ফুল গাছটি খুব বেশি বড় নয়। এটি ছোট তাছাড়া তার পাশে কয়েকটি টবের মধ্যে নয়নতারা ফুল গাছ রয়েছে। সেখানে সাদা রঙের নয়নতারা ফুলও রয়েছে। আর এই ফুলটি ফুটছে দেখে আমি ছবি তুলে নিলাম।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
|---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
|---|
| ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
|---|---|
| ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
| ক্যামেরা.মডেল | M12 |
| ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আপনি খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফুলের ফটোগ্রাফি সব সময়ই ভাল লাগে। পাতা বাহারের সৌন্দর্য ও কোন অংশে কম নয়। আর হে,মুরগির বাচ্চা দুটির ফটোগ্রাফি আগেও দেখেছি। দুজন টেবিলে বসে দুস্টমি করছিল,তখন আপনি দুজনের ফটোগ্রাফি করেছেন।খুব সুন্দর হয়েছে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঠিক আপু ফুলের ফটোগ্রাফি আমার ও সব সময়ই ভাল লাগে। পাতা বাহারের সৌন্দর্য ও কোন অংশে কম নয়।
আপু আপনার সব গুলো ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর। বিশেষ করে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো,আর পাথরকুচি গাছের চারা,পাতা বাহার গাছ গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আর মুরগির বাচ্চা গুলো দেখে হাসিঁ পাচ্ছে। একটি হলো আফ্রিকান আরেকটি হলো বৃটিশ,হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া বিশেষ করে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো,আর পাথরকুচি গাছের চারা,পাতা বাহার গাছ গুলো অনেক সুন্দর ছিলো।
খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশি দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে মুরগির বাচ্চা গুলো দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আমাদের বাসায় কয়েকটি মুরগির বাচ্চা রয়েছে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আপনি নয়নতারা ফুলের খুব সুন্দর ক্যামেরা বন্দি করেছেন। বেশ
অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য।
আপনি চমৎকার চমৎকার কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে ছোট মুরগির বাচ্চা দুটি দেখতে অসাধারণ দেখাচ্ছে। কি চমৎকার দুই কালারের দুটি মুরগির বাচ্চা। এরকম দুই কালারের মুরগির বাচ্চা হঠাৎ করে দেখাও যায় না একসাথে। আজকে আপনার ফটোগ্রাফির করার মাঝে আমি দেখতে পেলাম। আমার কাছে অসাধারণ লাগবে একেবারে।
আপনার সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
পোস্টের নামটা শুনেই তো বেশ ভাল লাগলো। আপনি তো দেখছি ভিন্ন ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি করে তাক লাগিয়ে দিলেন। তার মধ্যে ফুল আর পাতা বাহার তার তো কোন তুলনাই হয় না। দেখতে তো বেশ ভালই লাগছে আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টে ভিন্ন ভিন্ন ছবি গুলো।
আপনার প্রশংসা মূলক মন্তব্য পেয়ে আমার খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপু।।
নানুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুবাদ অনেক গুলো ফটোগ্রাফি নিয়েছেন আপনি।যা আমাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করতেছেন দেখতে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো।দুইটা মুরগির বাচ্চা একে অপরের সাথে খেলা করতেছে দারুন হয়েছে ফটোগ্রাফি।আমার কাছে নয়ন তারা ফুলের কলি অনেক ভাল লেগেছে।
আমার কছে ও সেগুলো খুব ভালো লাগছে।দুইটা মুরগির বাচ্চা একে অপরের সাথে খেলা করতেছে দারুন হয়েছে ফটোগ্রাফি।
আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলাম আসলে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। উনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। তবে ফটোগ্রাফির মধ্যে মুরগির বাচ্চা দুটো আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। এছাড়া পাথরকুচি ছাড়া পাতাবাহারের কাজগুলো অনেক সুন্দর লাগছে। আর এই ফটোগ্রাফি গুলা আপনি আপনার নানুর বাড়ি যাওয়ার সময় করেছিলেন।
আমার কাছে ও মুরগির বাচ্চা দুটো অসম্ভব সুন্দর লেগেছে।অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।