নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণ করার চেষ্টা না করে অন্যকে গুরুত্ব দেয়ার প্রবণতা তৈরি করা উচিত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আপনাদের সাথে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনুপ্রেরণা, উদ্দীপনা বা পরামর্শ নয় আজকে নিজের জীবনের উপলব্ধি থেকে কিছু লিখা লিখলাম। আশা করি ভালো লাগবে।
নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণ করার চেষ্টা না করে অন্যকে গুরুত্ব দেয়ার প্রবণতা তৈরি করা উচিত। |
---|
ছোট থেকেই আমরা কথা শিখি। হয়তোবা আমাদের বাবা-মায়ের কাছে বা পরিবারের সবার কাছেই কথা শিখি। তখন বয়সটা দেড় থেকে দুই বছর বা তার একটু বেশি সময় ধরে কথা শিখতে সময় লাগে। কিন্তু হয়তো সারাটা জীবন সময় লেগে যায় আমাদের এটা বুঝতে যে আমরা কোথায়, কখন, কি বলতে হবে। আমরা কথা বলার মাধ্যমেই হয়তো অনেকের ব্যক্তিত্ব খুঁজে থাকি।
কথা সব সময় বেশি বলা যেমন ভালো না ঠিক তেমনি একেবারে কম বলাও ভালো দেখায় না। ব্যক্তিগত জীবনের উপলব্ধি থেকে আজকে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করব। মূলত বলতে চাই, কথায় আছে জ্ঞানী লোকের কথা কম। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কম কথাও জ্ঞানী এর পরিচয় দেয় না। আবার মাঝে মাঝে বেশি কথা বলাটাও এক ধরনের ব্যক্তিত্বহীনতার লক্ষণ।
আমরা আমাদের আশেপাশে অনেকেই দেখি কেউ হয়তো কথা কম বলে, কেউ বা বেশি বলে। আবার এর মধ্যে অনেক রকম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ রয়েছে যারা কথা কম বলে তারা অনেকেই চেষ্টা করে অন্যের কথার গুরুত্ব দিতে। তবে মাঝে মাঝে এটাও দেখা যায় যারা বেশি কথা বলে তারা অনেক সময় নিজেকে জ্ঞানী জাহির করার চেষ্টায় মগ্ন থাকে। অন্যের কথার গুরুত্ব দেয়া তো দূরের কথা তাকে কথা বলতে দেয়ার সুযোগ টাও দেয় না। এইরকম পরিস্থিতিতে আমি অনেকবারই পড়েছি।
সেই স্কুল জীবন থেকে অর্থাৎ যখন থেকে এসব বিষয়ে কিছুটা বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই দেখতাম। কোন সমালোচনা বা কয়েকজনের মধ্যে কিছু কথা হলে সেই কথার মধ্যে যদি কেউ কিছু বলতে চায় তখন অন্যজন নিজের কথাটাকেই আগে বলতে যায়। আর প্রথম জনের কথাটা থামিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে এইরকম যদি বারবার ঘটে তখন কথা বলাটাই বন্ধ করে দিতে হয়।যে অন্যের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে নিজে সে সম্পর্কে বলতে চায় সে মানুষটা মনে করে সে অনেক বেশি জ্ঞানী। সেজন্যই সে অন্যকে কথা বলতে না দিয়ে নিজেই কথা বলতে থাকে।তখন তার স্বর অনেক বেশি হয়ে যায় আর অন্যরা বলতে গিয়েও নিশ্চুপ হয়ে যায়।
Source
যেহেতু চুপ করে শুনতে থাকে সবাই, তাই সে ভাবে তার কথাই ঠিক,আর সে ই সবার থেকে বেশি জানে। কিন্তু সে এটা বুঝে না অন্যরা নিজেকে জাহির করার চেষ্টা থেকে বিরত রয়েছে। যে নিজেকে জ্ঞানী প্রকাশ করার চেষ্টা করছে সে আসলে বোকা ছাড়া কিছুই নয়।এই বিষয়টা আমি অনেক খেয়াল করেছি। নিজেকে জ্ঞানী বা বিদ্যাসাগর মনে করে বড় হওয়া থেকে এই ক্ষেত্রে কিছু না বলে চুপ থাকাটাই শ্রেয় মনে করি।
আজকের এই কথাগুলো লিখলাম,কারণ এই ঘটনার প্রত্যক্ষ দর্শী আমি।এমন কিছু ঘটনা আমার সাথেও ঘটেছে আর আমার সামনেও ঘটেছে।তাই যেকোনো আলোচনা বা সমালোচনায় যদি নিজের মতামত প্রকাশে বাধা পাই বা অন্যকে দেখি সে নিজেকে জাহির করা বা সে-ই সঠিক তা প্রমাণ করার চেষ্টায় মগ্ন থাকে তখন আমি চুপ করে যাই,আর তার কথাটা তাকে বলতে দেয়ার সুযোগ দেই।কারণ আমি নিজেকে জাহির করার চেষ্টা থেকে বিরত থেকে অন্যকে প্রাধান্য দিতে বেশি পছন্দ করি।
এটি সম্পূর্ণভাবে আমার ব্যক্তিগত মতামত থেকে লিখা।হয়তো আপনাদের কারো সাথে মিলে যেতে পারে।যদি মিলে যায় কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। |
---|
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | বাস্তবতা নিয়ে ব্লগ |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
সত্যি এরকম অনেক কথা আছে যা আমরা বলতে চাইলেও বলতে পারি না অন্যের কারণে। তারা অন্যজনের কথা কেড়ে নেয় নিজের কথা দিয়ে। সেজন্য আমরা কিছু বলতে পারি না তাই আমাদের কথা বন্ধ করে দিতে হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন জ্ঞানী লোকে কথা কম বলে। এটা আমি একদম সত্যি বলে জানি। যখন এরকম কিছু ঘটে থাকে তখন আমার কাছে ভীষণ বিরক্ত লাগে এরকম মানুষের সাথে কথা বলতে। আমাদের সবারই উচিত অন্যজনের কথা কে গুরুত্ব দেওয়া। খুবই ভালো একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। আমাদের বেশিরভাগ মানুষের সাথে এরকম হয়ে থাকে।
আমার পোস্টটি পড়ে এবং মর্মার্থ বুঝে, সুন্দর ও সাবলীল একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ওয়ালাইকুম আসসালাম,
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন মানুষের কথা বলার ধরনের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিত্ব বোঝা যায়। আসলে অনেকেই এমন আছে অন্যের কথা থামিয়ে নিজে কথা বলতে চাই। আপনি কথা নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সবসময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে, সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন,।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ,।
আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র। আমরা সব সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজের বুঝটাই বুঝতে চাই। অথচ আমাদের সবার উচিৎ অন্যের মত কে প্রাধান্য দেওয়া। তাহলেই তো সব কিছু ঠিক ঠাক ভাবে হবে। সুন্দর লিখেছেন আপু। ভালো লাগলো।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সর্বদা এই কামনা করি।
নিজেকে যে জ্ঞানী প্রমাণ করার চেষ্টা করে তার চেয়ে বোকা এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই এই কথাটি আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি। এছাড়াও আমাদের সকলের উচিত নিজের কাজকে প্রাধান্য দেওয়া এবং অন্যদের কথায় গুরুত্ব দেওয়া। তাই বলে অন্যদের যে সব কথায় গুরুত্ব দিতে হবে সেটার প্রয়োজনীয়তা মনে করছি না আমি। আপনি আপনি চমৎকার ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
একদম যথাযথ বলেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন আপু এমন অনেক লোক আছে যারা নিজেদের জ্ঞানকে প্রকাশ করার জন্য বেশি উৎসাহী। অন্যের থেকে শোনার চেয়ে নিজেই বলতে ভালোবাসে। আসলে অন্যের কথা শুনলে যে আরো অনেক কিছু শেখা যায় তারা সে জিনিসটি বুঝতে চায় না। এমন লোকজনের সঙ্গে কথা বললে আসলেই মাঝেমধ্যে অনেক বিরক্ত লাগে। খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমাদের সকলেরই উচিত কেউ কোন কথা বলতে চাইলে তা মনোযোগ দিয়ে শোনা। তারপর নিজের কথা বলা। কিন্তু তা অনেক কম লোকই করে।
চমৎকার মন্তব্যের পাশাপাশি সহযোগিতা মূলক আচরণ করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু কথা সব সময় বেশি বলা যেমন ভালো না ঠিক তেমনি একেবারে কম বলা ও ভালো দেখায় না। এখনকার সমাজে এমন পরিস্থিতি সব সময় সব জায়গায় সব কথা বলা যায় না। আপনার পোস্টটি পড়ে কিছুই বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে চমৎকার মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদানের জন্য।