প্রথমবার ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
প্রিয় বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি প্রথম বারের মত ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। গত ৬ তারিখ সকালবেলা আমরা ফেনীতে যে বাসা নিয়েছিলাম সেটা ছেড়ে দিয়েছি এবং বাসা থেকে সরাসরি ট্রেনে করে চলে এলাম চট্টগ্রামে। কারণ বাসার পিছনেই ছিল রেলওয়ে স্টেশন। সেই হিসেবে ভাবলাম এই বার ট্রেনে করে চট্টগ্রাম যাব। সেজন্য আমরা সকাল সকাল সব কিছু গুছিয়ে জিনিসপত্রগুলো বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম আমার ভাইয়ের মাধ্যমে।কারণ এতগুলো জামাকাপড় নিয়ে তো আর বাসায় যাওয়া যাবে না।
আমরা সকাল এগারোটা পর্যন্ত বাসায় ছিলাম। তারপর রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে সবার সাথে দেখা করে চলে গেলাম মালিকের বাসায়। তখন মালিকের কাছে চাবি দিয়ে তার থেকে বিদায় নিয়ে আবার আমরা বের হয়ে গেলাম। সত্যি বলতে ভদ্রমহিলা খুব ভালো মনের মানুষ, আমি চট্টগ্রাম পৌঁছেছে কিনা সেটা খবর নিল।যাইহোক যেহেতু সকালবেলা তেমন কিছু খাওয়া হয়নি সেই হিসেবে বাসার সামনে একটা হোটেলে গেলাম। সেখানে সকালের নাস্তা সেরে নিলাম।সত্যি বলতে সেখানে চা খেয়ে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। যাইহোক সকালের খাওয়া দাওয়ার পর প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজতে চলল তখন আমরা সবাই স্টেশনের দিকেই চলে গেলাম। তবে গুটি গুটি বৃষ্টি পড়ছিল এবং সেই বৃষ্টির ফলে বাবু কিছুটা ভিজে গিয়েছিল আর রাতেই ওর জ্বর উঠে গেছে।
স্টেশনে যাওয়ার পর আমরা প্লাটফর্মে বসে ছিলাম। যেহেতু আমাদের ট্রেনের সময় ছিল বারোটা তেইশ এ ছেড়ে দিবে সেই হিসেবে বারোটার পরপরই ট্রেন আসার কথা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ট্রেন আসতে লেট হয়েছে। যাই হোক আরো অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম। প্রথমে একটা প্লাটফর্মে ছিলাম যখন আমাদের ট্রেনের এনাউন্সমেন্ট দেয়া হয়েছিল তখন আরেকটা প্লাটফর্মে চলে গিয়েছি। সেখানে বাবু তার বাবার হাত ধরে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে লাগলো একা একা। কিছুক্ষণ গিয়ে সে আবার ঘুরে উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করে। বেশ অনেকক্ষণ যাবৎ হাঁটাহাঁটি করতে লাগলো। অবশেষে প্রায় একটা বাজলো তারপরই ট্রেনের আগমন হল। যদিও ট্রেন সেখানে খুব বেশিক্ষণ দাঁড়ায়নি। পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মতই দাঁড়িয়েছে তারপর আবার ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে।
ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিভৃতের ঘুম চলে এসেছিল। যদিও সে তার বাবার কোলে ঘুমিয়ে ছিল। বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আমার ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে একটা চিপস নিয়ে নিলাম এবং খাওয়া শুরু করলাম। আসলে ট্রেন বা বাস যেখানেই হোক না কেন যদি দূরের জার্নি হয় তখন এরকম চিপস চানাচুর বা ঝাল আইটেমগুলো খেতে আমার ভালোই লাগে। তাছাড়া এগুলো না খেলে আমার আবার উল্টাপাল্টা অবস্থায় শুরু হয়ে যায়,মানে বমি হয়। যাইহোক গুটি গুটি বৃষ্টি পড়ছিল, জানালাটাও খোলা রেখেছিলাম আর আমার বেশ ভালোই লাগছিল। প্রথমবারের মতো ট্রেনে যেতে যেতে অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ করেছিলাম।
সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কোন জ্যাম নেই বা কোন যানবাহনের গন্ধটা নেই।ওই গন্ধের কারণে আমার বমির ভাব বেশি হয়ে যায়। এজন্যই বাস জার্নিতে বমি হয়ে যায়। তবে ট্রেন জার্নি আমার বেশ ভালোই লেগেছে। যখন ব্রীজের উপরে ট্রেনটা ওঠতো তখন খুব জোরে একটা সাউন্ড হতো। একটা আওয়াজের সময় নিভৃত ঘুম থেকে উঠে যায় এবং পরবর্তীতে সে জায়গা গুলো দেখতে লাগলো জানলা দিয়ে। কিন্তু যখন ট্রেন থেমেছিল তখন সে বাইরের জানালায় বসে বাইরের দৃশ্য দেখছিল এবং আনন্দ উপভোগ করছিল। তখন আমি কিছু ভিডিও করে রেখেছিলাম।
তবে চট্টগ্রাম স্টেশন এর কাছে যাওয়ার পূর্বে একটা জায়গায় কিছু মানুষ মাছ ধরছিল। একটা মানুষের হাতে দেখলাম একটা পলিথিনের মধ্যে কৈ মাছ, শোল মাছ, তেলাপিয়া মাছ, আরও কি কি। যাইহোক তারপর আমরা স্টেশনে নেমে একটা সিএনজি করে বাসায় চলে গেলাম। সত্যিই আমার খুব বেশি ভালো লেগেছিল ট্রেনে ভ্রমণ করে। বাড়িতে ফেরার সময় আবারও ট্রেনে করেই যাব সেজন্য আগে থেকে টিকিট কেটে রেখেছে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপনার প্রথম ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। আসলে ট্রেনে জার্নি করতে অনেক আরামদায়ক। আর যারা বাসে বমি করে তাদের জন্য তো খুবই ভালো। আবার ট্রেন অনেক দ্রুত যায়। এতে সময় অনেকটা কাজে লাগে। ধন্যবাদ আপু এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেকগুলো স্বপ্নের মাঝে তাহলে আরো একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। নিভৃত ও অনেক বেশি খুশি ছিল। যতক্ষণ সে ঘুমিয়ে ছিল তার বেশি লাফালাফি করেছে ট্রেনের মধ্যে। যাই হোক সব মিলিয়ে ভালো একটি মুহূর্ত ছিল। ধন্যবাদ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যারা বাসে জার্নি করতে পারে না তাদের জন্য ট্রেন জার্নি খুবই ভালো। এতে বমি হওয়ার সম্ভাবনা একদমই থাকে না। তাছাড়া ট্রেন জার্নি অনেকটা নিরাপদও বটে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ট্রেনে জার্নি করতে। ট্রেনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে আপনার ছেলে তো ভালো হয়েছে। বাইরের প্রকৃতির খুব সুন্দর উপভোগ করতে পেরেছে। দেখতেই ভালো লাগছে।
প্রথমবার ট্রেনে বেশ ভালো এনজয় করেছেন বোঝা যাচ্ছে । আসলে যাদের বমির প্রবণতা থাকে তাদের জন্য ট্রেনই ভালো । ট্রেনে জার্নি করতে বেশ ভালই লাগে ।বাচ্চারাও ট্রেনে বেশ ইনজয় করে। তবে এখনকার বৃষ্টির সময় বাচ্চাদের গায়ে একটু বৃষ্টি পড়লেই জ্বর উঠে যায় এজন্য সাবধানে থাকতে হয়। ধন্যবাদ।
আসলেই আপু প্রথমবার ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অনেক সুন্দর মধুর হয়। এটা আপনার প্রথম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ছিল। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। আর আপনার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে যানবাহনের কোন গন্ধ নেই জ্যাম নেই। আপনি দেখছি ট্রেনে চানাচুর ঝালের কিছু কিনে খেয়েছেন। ইনফর্মনের সময় এগুলো খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনার প্রথম ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে ট্রেন জার্নি করতে অনেক ভালো লাগে। যেহেতু আপনার প্রথম ট্রেন ভ্রমণ অনুভূতিটাই অন্যরকম যেটা আপনি ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন। সেই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লেগেছে আপু।
যদিও ট্রেন জার্নি খুব কমই হয়। তবে ট্রেন জার্নি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। যানজট না থাকার কারণে। আপনার ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। আর ট্রেনের ভিতর থেকে বাহিরের দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ছোটবেলায় একবার ট্রেনে উঠেছিলাম মনে নেই বললেই চলে কেমন অনুভূতি ছিল। তবে আপনার অনুভূতি পড়ে আবার ইচ্ছে করছে ট্রেনে উঠতে। আমাদের এখানে কোন রেলস্টেশন নেই তাই আর ট্রেনে ওঠার ইচ্ছে থাকলেও উঠতে পারবো না।প্রথমবার ট্রেনে ওঠার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।