প্রথমত আমি সবগুলো সবজি ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম।তারপর পেঁপে আলু এবং গাজরের খোসা ছাড়িয়ে নিলাম।এরপর সবগুলো সবজি ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি। সবগুলো একই সাইজ করে কেটে নিয়েছি। সাথে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ এগুলো কেটে নিলাম।
একটি কড়াইতে আমি পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে এলে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি এবং পেয়াজ পাতাগুলো দিয়ে দিলাম। এগুলো বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভেজে নিলাম।
এরপর দিয়ে দিলাম রসুন বাটা। রসুন বাটা দেয়ার পর আবারও কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম। এরপরে কেটে রাখা সবজি গুলো দিয়ে দিলাম।
এইভাবে সবগুলো কিছুক্ষনের জন্য ভেজে নিলাম। তারপর লবণ, হলুদ গুড়ো,মরিচ গুড়ো দিয়ে আবারো নেড়ে ভাজতে থাকলাম।
ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আমি অনেকক্ষণ ধরে ভেজে নিলাম, যতক্ষণ পর্যন্ত না এগুলো ভালোভাবে রান্না হয়ে যায়। রান্নার শেষ পর্যায়ে ধনে পাতা দিয়ে লবণ চেক করে নিলাম। তারপর চুলা থেকে নামিয়ে একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম।
অন্য একটি বাটিতে আটা নিয়ে নিলাম।এরমধ্যে আধা চা চামচ পরিমাণ লবণ দিয়ে দিলাম।তারপর ১টেবিল চামচ তেল গরম করে আটার মধ্যে দিয়ে দিলাম।তারপর ভালোভাবে কিছুক্ষণ মেখে তারপর অল্প অল্প ঠান্ডা পানি দিয়ে একটা সফট ডো তৈরি করে নিলাম।
এখন সেই ডো থেকে ছোট করে নিয়ে রুটি তৈরি করে নিলাম।এক্ষেত্রে একদম ছোট রুতি বানালাম।
তারপর লম্বালম্বিভাবে সেই সবজি দিয়ে দিলাম।তারপর হাতের সাহায্যে আমি বেণীর মত ডিজাইন করলাম।আমি ছবির মাধ্যমেই ডিজাইনটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
এখানে আমি সবগুলো এক এক করে তৈরি করে নিয়েছি।তৈরি করার পর আমি আলাদাভাবে টিস্যুর উপরে রেখে দিলাম।যাতে একটার সাথে একটা লেগে না যায়।
এখন ভেজে নেব,সেজন্য পরিমাণ মত তেল ফ্রাইপ্যানে দিয়ে দিলাম।তেল গরম হয়ে এলে এক এক করে দিয়ে দিলাম পিঠাগুলো।এপাশ ওপাশ ভালোভাবে ভেজে আমি পিঠাগুলো নামিয়ে নিলাম।
সবশেষে আমি পিঠাগুলো পরিবেশন করে নিলাম।আসলে এটা সালাদ বা টমেটো সস দিয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে।আমি তো এই পিঠাগুলো খেতে খুবই পছন্দ করি।
আজকের এই বউ পিঠা তৈরির রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
আপনি ঠিক বলছেন এখন যেহেতু শীতকাল বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।এই পিঠাকে বউ পিঠা বলেন আজ প্রথম শুনেছি আপনার থেকে জানতে পেরেছি।তবে যে পিঠা হোক না কেন দেখতে কিন্তু অসাধারণ দেখাচ্ছ।আশা করি খেতেও অনেক মজা হবে।
খেতেও দারুণ হয়।তবে এটি মাংস দিয়েও করা যায়।ভালোই লাগে খেতে।
আসলে একই খাবার খেতে খেতে আমরা একটা সময় হয়তো সেই খাবারটা আর খেতে চাই না, খাবারে ভিন্নতা নিয়ে আসাটা খুবই জরুরী। আমিও আপনার মত ঝাল অনেক বেশি পছন্দ করি আমার কাছে ঝাল পিঠা অনেক বেশি ভালো লাগে। কিন্তু আপনার এই পিঠার নাম আমি যখন শুনলাম তখন আমি রীতিমতো সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম এটা আবার কেমন নাম..!! যদিও এ ধরনের পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল।
আমি নিজেও প্রথমবার নাম শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে খেয়ে খুবই ভালো লেগেছে। এটি তিনভাবেই তৈরি করা যায়। সামনে সুযোগ পেলে বাকি দুই পদ্ধতিও দেখাবো।
আসলেই আপু চারদিকে পিঠা খাওয়া ধুম পড়েছে ৷ আপনিও আজ দারুণ একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ তবে আমার কাছে ও একটু পিঠার নাম শুনে অবাক লাগলো ৷ বউ পিঠা কখনো খাইনি এবং এমন নামও শুনিনি ৷ তবে যাই হোক আপনার রেসিপি থেকে ইউনিক একটি পিঠার তৈরি শিখতে পারলাম ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
জি ভাইয়া,ধুম পড়েছে তো।কিন্তু এই ঠান্ডায় তো বানিয়ে খেতে ইচ্ছে করে না,ইচ্ছে করে কম্বল মুড়িয়ে ঘুমাই আর খাই🤭
বউ পিঠার নাম আজকে প্রথম শুনলাম আপু। তবে আপনার মামার বিয়ের পর আপনি এই পিঠাটি প্রথম খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে নতুন নতুন পিঠার রেসিপি শিখতে ভালো লাগে। শীতে মজার মজার পিঠা তৈরি করতে ইচ্ছা করে। তবে এই পিঠাগুলো দেখতে অনেকটা বেনি পিঠার মত লাগছে। আপনার তৈরি করা পিঠার রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শীতকালীন সবজি গুলো দেওয়াতে খেতে নিশ্চয়ই আরো বেশি ভালো হয়েছে। ঝাল ঝাল পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে।
আপু,মামার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৯ বছর। আর তখন থেকেই এই পিঠা খাই।মামনি অনেক রকম বানাতো,অনেক কিছুই তার কাছে শেখা।আর এই পিঠা কিন্তু খেতে দারুণ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে আপু শীতকাল মানেই পিঠাপুলির সময়। আপনার বউ পিঠা রেসিপিটি আমার কাছে একদম ইউনিক একটি রেসিপি লেগেছে। জামাই পিঠার নাম শুনেছি কিন্তু বউ পিঠার নাম কখনো শুনিনি। বেশ ভালই লাগলো নামটি শুনে। আর চমৎকার করে বানিয়েছেন দেখতে এত বেশি চমৎকার লাগছে কি আর বলব ।হাত দিয়ে কি সুন্দর করে বেনি তৈরি করেছেন সত্যি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আপনার পিঠাটি । খেতেও নিশ্চয়ই বেশ মজার হয়েছে ।অনেকগুলো সবজি দিয়েছেন খেতে তো মজা হবারই কথা। বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
জামাই পিঠার নাম আমিও শুনেছি,যেগুলোকে আমরা ছাচের পিঠা বলি।তবে এই বউ পিঠার নাম আমিও প্রথমবার শুনে অবাক হয়েছিলাম।
Hi, @bristy1,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
বউ পিঠা নামটাও প্রথম শুনলাম এবং দেখলাম ও।নাম টা যেমন মিষ্টি খেতেও নিশ্চয় সুস্বাদু ছিল।এত সবজি দিতে পিঠা টি তৈরি করেছেন।মজাদার এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ছিল মনে হয় ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু খেতে খুবই মজার ছিল। আর আমি সবজি দিয়েই তৈরি করেছি। এর আগে মাংস এবং ঝুরো নারকেল দিয়েও তৈরি করেছিলাম।
একবার আমি জামাই পিঠা নামে একটি পিঠার নাম শুনেছি। কিন্তু বউ পিঠা আজ প্রথম শুনলাম। ঝাল পিঠা বরাবরই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। পিঠাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বিভিন্ন রকম সবজি ব্যবহার করার কারণে পিঠাগুলো খেতে ও নিশ্চয় সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন তৈরি করে দেখব। ধন্যবাদ সুস্বাদু ও ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এটা অনেকভাবে তৈরি করা যায় আপু।মাংস, সবজি, আবার নারকেল দিয়ে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু পিঠার নাম শুনেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। শীত কাল আসলেই বিভিন্ন ধরনের পিঠা। মজাদার স্বাদে বউ পিঠা তৈরির রেসিপি খুব ভালো ছিলো। আমার কাছে রেসিপি নতুন মনে হচ্ছে। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আশা করি এই পিঠা আগে কেউ খায় নি।এটি কিন্তু অনেক মজাদার আর মুখরোচক পিঠা।খেতে ভালোই লাগে।