আমার বাংলা ব্লগ"প্রতিযোগিতা - ৫২ ||কুইলিং করা স্পেশাল ভ্যালেন্টাইনস কার্ডবুক।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
এই বড় প্রজেক্টটা সম্পূর্ণভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয় বিধায় দুই মিনিটের একটা ভিডিও শেয়ার করলাম। |
---|
ভালোবাসা কখনো একদিনের জন্য নয়,বা একজনের জন্যও নয়। ভালোবাসার মানুষ অনেকেই হয়। মা,বাবা, ভাই,বোন,স্বামী,স্ত্রী, সন্তান সবাই কিন্তু ভালোবাসার মানুষ।ভালোবাসার বর্ণনা মুখে ফুটিয়ে তোলা যায় না।তবে ভ্যালেন্টাইনস ডে তে প্রিয় মানুষকে দেয়ার জন্য কার্ড তৈরির কন্টেস্টটা ভালোই লেগেছে আমার।যাইহোক আমি আমার হাজব্যন্ড @nevlu123 এর জন্য এই স্পেশাল কুইলিং করা কার্ড বুক তৈরি করেছি।যার একেকটা পাতায় একেটা কার্ড আর ভালোবাসার মেসেজ রয়েছে।
@tangera আপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা প্রতিযোগিতা আমাদের সকলের মাঝে নিয়ে আসার জন্য। প্রতিবারের মতো এবারের কনটেস্টের আয়োজন দেখে খুশি হলেও খুব খারাপ লেগেছিল যখন আমরা কক্সবাজার যাওয়ার সময় কন্টেস্টটা এসেছিল। কারণ তখন কোনভাবেই কিন্তু আমরা কন্টেস্টে জয়েন করতে পারতাম না। এর কারণ হলো একে তো ঘুরতে গিয়েছি সেখানে গিয়ে ক্রাফ্টের কাজ করার মত সময় নেই। তাই ভেবেছিলাম এই সুন্দর কনটেস্টাতে হয়তো জয়েন করা হবে না। মনটা তখন খুব খারাপ ছিল। প্রতিবারই আমি যখন কনটেস্টে জয়েন করি তখন প্রথম সপ্তাহেই করে থাকি। কখনোই পরবর্তী সপ্তাহের জন্য অপেক্ষা করিনি।যাইহোক পরবর্তীতে বৃহস্পতিবারে যখন হ্যাংআউটের সময় জানতে পারলাম কনটেস্ট এর সময়সীমা আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে তখন সত্যি খুব ভালো লেগেছিল। আর সেই সময়টা আমি @samhunnahar আপুর বাসায় ছিলাম। যাইহোক মনে মনে ভেবেই রেখেছিলাম বাড়ি আসার পর কনটেস্টের এর কাজ ধরবো। সে অনুযায়ী আমরা তো শুক্রবার রাত ৮টার পরে বাড়িতে এলাম। তারপর দিন সকাল বেলা থেকে আমি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো গুছিয়ে রেখেছি যাতে সন্ধ্যায় বসে কাজ ধরতে পারি। সে অনুযায়ী সন্ধ্যায় কাজ করতে বসলাম।কিছুক্ষণ কাজ করার পর মাথা ব্যথা প্রচন্ড বেশি হয়ে গেছে যে কোন দিকে তাকাতে পারছিলাম না। আগে থেকেই হালকা মাথা ব্যথা ছিল। কি আর করার বাধ্য হয়ে রেখে দিতে হলো সেদিন,মানে শনিবার।
দিনের বেলা যেহেতু অন্যান্য কাজ থাকে তাই দিনের বেলা সময় দেয়া যায় না। তার পরের দিন হলো আরেকটা বিপত্তি। সারাদিন কারেন্ট নেই। কারেন্ট এসেছে রাত আটটা বাজে। তখন বসে অনেকটা কাজ সম্পন্ন করেছিলাম। আমি রাতের এগারোটা পর্যন্ত সেদিন কাজ করেছি। মোটামুটি অর্ধেক কাজ শেষ করে ফেলেছিলাম। এরপর গতকালই আমি সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার জন্য বসলাম। অর্থাৎ বিকেল ৪:০০ টায় বসে রাত ২ টায় কাজ শেষ করেছি। এর মাঝে নাস্তা করেছি কাজের ফাঁকে বসে, আর ডিনার করেছি দশ মিনিটের মধ্যে। তারপর এসে আবার কাজ শুরু করে দিয়েছি। কারণ পরদিন সকালবেলা আমাকে পোস্ট রেডি করতে হবে। সেজন্যই মূলত গত রাতেই আমি ক্রাফ্টের কাজ শেষ করে ফেলেছি ৯৫%।তবে ছবি এড করার জন্য আজকের দিনে সময়টা বেছে নিয়েছি। কারণ ছবি এড করে দিনের বেলায় ফটোশুট হবে।
আজকের এই বিশাল প্রজেক্টটা করার জন্য প্রায় তিন থেকে চার দিন সময় নিয়েই করতে হয়েছে।এখানে দেখতে পাবেন অনেকগুলো উপকরণ আমি ব্যবহার করেছি। আসলে যা ছিল তাই ব্যবহার করে কার্ডটা তৈরি করেছি। আর এক্ষেত্রে প্রজেক্টটা যেহেতু বড় তাই অনেকগুলো ছবি উঠেছে।৫০০ এর কাছাকাছি ছবি তোলা হয়েছিল। তার মাঝে বেছে বেছে কিছু ছবি কেটে দিয়েছি এবং কিছু ছবি নিয়েছি। তারপরও ছবিগুলো ফ্রেম করে দেখি ৫৬টা হলো। এতধাপ তো আর দেয়া যায় না।তাই আমি প্রত্যেকটা ধাপে দুটো করে ছবি দিয়ে বর্ণনা সহ পোস্টটি শেয়ার করলাম। কারণ এত বড় পোস্ট আসলে তৈরি করা যেমন অসম্ভব তেমনি পাঠকের কাছে ও দৃষ্টিকটু লাগবে। তবুও চেষ্টা করেছি আমার এই বড় প্রজেক্টটাকে আপনাদের মাঝে যথাযথভাবে শেয়ার করতে।সাথে ফাইনাল লুকের ছোট্ট একটা ভিডিও আকারে শেয়ার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ |
---|
- কার্ডবোর্ড
- সাদা কাগজ
- রঙিন কাগজ
- গ্লিটার পেপার
- আঠা
- কাঁচি
- উল সুতা
- পেন্সিল কম্পাস
- পেন্সিল
- স্কেল
- গ্লু গান
- মার্কার কলম
- রঙিন কলম
- রঙ-বেরঙের ক্লে
- ফিতা
- ঝালর ফিতা
- প্রিন্টেড টেপ
- এক্সট্রা ফ্লাওয়ার
ধাপ-১ |
---|
প্রথমে বড় একটা কার্ডবক্স নিলাম।একটা লাভ আকৃতি করে কেটে নিলাম।তারপর আরও ৩টি লাভ কেটে নিলাম একই মাপে।
এখন আরেকটা কার্ডবক্স নিলাম।এটা ফ্রাইপ্যানের প্যাকেট ছিলো।২পাশে ২পাতা মেলে মাঝখানে জয়েন্ট রেখে ২পাশেই একই মাপে ২টো লাভ এঁকে কেটে নিয়েছি।এটা একসাথে জয়েন করা।
ধাপ-২ |
---|
এখন সাদা কাগজ নিলাম।তারপর পূর্বে যে লাভ আকারের বোর্ড কেটেছি সেই মাপ নিয়ে ১০টা সাদা কাগজ কেটে নিয়েছি।
তারপর এক এক করে প্রত্যেকটা কার্ডবোর্ডে সাদা কাগজ আঠার সাহায্যে লাগিয়ে নিলাম।বোর্ডের ২পাশেই কাগজ লাগালাম।
ধাপ-৩ |
---|
এইধাপে জয়েন্ট করা কাগজের উল্টো পাশে সাদা কাগজ লাগিয়ে দিলাম।
এই ধাপে ২ কাগজের মাঝখানে যে ফাঁকা অংশ রয়েছে সেখানেও মাপ বরাবর সাদা কাগজ কেটে আঠার মাধ্যমে লাগিয়ে দিলাম। এপাশ-ওপাশ দুই পাশেই লাগিয়ে দিলাম।
ধাপ-৪ |
---|
এখন গোলাপি রঙের কাগজ লাভ আকারে কেটে নিলাম। তবে পূর্বের কার্ডের থেকে একটু ছোট করে মাপ নিয়ে কেটে নিয়েছি। এখানে জোড়া লাগানোর প্রয়োজন হয়েছে বিধায় জোড়া লাগিয়ে সবগুলো কেটে প্রথমে আলাদা যে তিনটি লাভ শেপের কাগজ ছিল সেটাতে লাগিয়ে দিলাম।
এই ধাপে মেইন যে জয়েন্ট করা কাগজ ছিল সেটার মধ্যে গোলাপি রঙের কাগজ এপাশ-পাশ দুই পাশেই আঠার সাহায্য লাগিয়ে দিলাম। এক্ষেত্রে সাইডে কিন্তু সাদা রঙের বিট দেখা যাচ্ছে।
ধাপ-৫ |
---|
এই ধাপে হলুদ রঙের কাগজ নিলাম। মাঝখান বরাবর পরিমাপ নিয়ে দুই পাশে ভাঁজ দিয়ে আবার গ্লু এর সাহায্যে মাঝখানের জয়েন্টের অংশ লাগিয়ে দিলাম।
গ্লু গান দিয়ে পুরো জায়গাটা কাগজের সাথে জুড়ে দিলাম এবং মাঝখানে লম্বালম্বি ভাবে একটি শক্ত কাগজ দিয়ে হলুদ রঙের কাগজ মুড়িয়ে মাঝখান বরাবর দিয়ে দিলাম। এখানে তিনটি পাতা লাগানোর জন্য ভিত্তি তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-৬ |
---|
একটি শক্ত কাগজ দিয়ে তার মধ্যে ( My Valentine) ইংলিশে লিখে ভাজ বরাবর কেটে জয়েন্ট এর পিছনের অংশে লাগিয়ে দিলাম।
এ ধাপে কালো এবং বেগুনি রংয়ের কাগজ কেটে লাভ আকারে তৈরি করে নিলাম। কালো রঙের কাগজের উপরে বেগুনী রঙের কাগজ বসিয়ে আঠা দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিলাম।তারপর লাভ কার্ডের একপাশে লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ-৭ |
---|
এখন ২টি বেগুনি আর ১টি কালো রঙের কাগজ কেটে নিন্মোক্ত ডিজাইন করলাম। তারপর ঐ লাভ শেপের নিচের দিকে লাগিয়ে দিলাম।
একটি সাদা রঙের শক্ত কাগজে একটা মেসেজ লিখলাম মার্কার দিয়ে। আর নীল মার্কার দিয়ে বর্ডার ডিজাইন করে নিলাম।লাভ শেপের অপর পাশে এই কার্ডটা বসিয়ে দিলাম।
ধাপ-৮ |
---|
৯সে.মি বর্গাকার একটি ঘর এঁকে নিলাম।তারপর প্রত্যেক লাইনের মাঝখান থেকে বিপরীত দিকে অর্ধবৃত্ত এঁকে নিলাম।চারদিকে ৪টি এঁকে নিয়েছি। তারপর বাইরের দাগ অনুযায়ী কেটে নিয়েছি। এরপর দাগ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।
মাত্র যেই কার্ডটি তৈরি করলাম তার থেকে একটু বড় আকারে বর্গাকার সাইজে হলুদ রঙের কাগজ কেটে নিলাম। তারপরে হলুদ রঙের কাগজের উপরে সাদা রঙের ডিজাইনিং কার্ডটি বসিয়ে দিলাম।নীল রঙের গ্লিটার পেপার থেকে লাভ শেপের ৪টি কেটে নিয়ে বসিয়ে দিলাম। নীল মার্কার দিয়ে আরো খুঁটিনাটি কিছু ডিজাইন করলাম।
ধাপ-৯ |
---|
নীল রংয়ের প্রিন্টেড টেপ দিয়ে মাঝখানের যে খালি অংশ রয়েছে সেটাতে ডিজাইন করে বসিয়ে দিলাম। তারপর গ্লু গানের সাহায্যে পূর্বে তৈরি করা কার্ডটি একপাশে বসালাম।
এখন লেইস যেটা আছে সেটা ওই কার্ডের পাশের কিনারা বরাবর করে কেটে নিয়ে গ্লু গানের সাহায্যে বসিয়ে দিলাম।
ধাপ-১০ |
---|
সাদা রঙের মোটা কার্ড এর মধ্যে আরেকটা মেসেজ লিখে উপরে দুই পাশে দুইটা বসিয়ে দিলাম।
সাদা আল নীল রঙের গ্লিটার পেপার থেকে লাভ আকারে কেটে এই পেজের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বসিয়ে দিলাম।
ধাপ-১১ |
---|
এখন বেগুনি রঙের ক্লে ডো নিয়ে প্রথমে গোল করে ডিজাইন করলাম। তারপর একটা ফুলের আকারে এঁকে তারপর কেটে নিলাম। এরপর ছোট একটা রেডিমেড ফুল বসিয়ে দিলাম।
সাদা রঙের কাগজ থেকে ৩০ সেন্টিমিটারের বর্গাকার একটি কাগজ কেটে নিলাম।তারপর নিম্নোক্ত ভাবে ভাঁজ করে নিলাম।
ধাপ-১২ |
---|
নীল রঙের দুটো কাগজ কেটে নিলাম। একটি কাগজের মাঝ বরাবর কেটে নিলাম। তারপর মাঝের ভাঁজে লাগিয়ে দিলাম। একটা কাগজ উপরের অংশে লাগিয়ে দিলাম।
সাদা রঙের গ্লিটার কাগজ থেকে ২টি লাভ শেপ কেটে নিলাম।তারপর উপরের দিকে লাগিয়ে দিলাম। একটা কাগজে মেসেজ লিখে সেটা লাগিয়ে দিলাম।
ধাপ-১৩ |
---|
এই ধাপে ছোট ছোট করে ক্লে দিয়ে বলের মত কিছু ডিজাইন করে নিলাম। এরপর গ্লু গানের সাহায্যে সুতা দিয়ে এটাকে বেঁধে নিলাম।
এরপর উলের সুতা নিয়ে হাতের তিন আঙ্গুলে ১০০ বার পেঁচিয়ে নিলাম।তারপর সেগুলোর মাঝখানে আবার সুতো দিয়ে বেঁধে নিলাম এবং সেখানে কাঁচি দিয়ে কেটে এগুলোকে চিরুনি দিয়ে আবার চিকন করে নিলাম। এরপর এগুলো লাভ শেপে সাইজ করে কেটে লাভ বানিয়ে নিলাম।
ধাপ-১৪ |
---|
এরপর পেন্সিল কম্পাস দিয়ে একটি বৃত্ত একে নিলাম এবং সেই বৃত্তটি কাঁচির সাহায্যে কেটে নিলাম এবং দু'পাশে নীল মার্কার কলম দিয়ে সেটি কালার করে নিলাম। এরপর সেখানে মাঝ বরাবর একটি মেসেজ লিখে নিলাম।
এরপর লাভটি গ্লু গানের সাহায্যে বসিয়ে নিলাম। এরপর বৃত্তের মাঝে থাকা সেই মেসেজটি আবার লাগিয়ে নিলাম। তারপর ক্লে দিয়ে ছোট ছোট করে বলের মতো করে পুনরায় আরো কিছু ডিজাইন করে নিলাম।
ধাপ-১৫ |
---|
এই ধাপে লাভ শেপের মধ্যে গ্লু গানের মাধ্যমে লেইস লাগিয়ে নিলাম।
এরপর ফটো সংযোজন করার জন্য আরো একটি বক্স বানিয়ে নিলাম এবং সেটার উপরে সাদা এবং নীল কালারের লাভ কেটে আঠার সাহায্যে বসিয়ে দিলাম। এরপর গ্লিটার কলম দিয়ে (Open it) লিখে দিলাম।
ধাপ-১৬ |
---|
এরপর সেই বক্সটার ভিতরে আরও একটি রঙিন কাগজ লাগিয়ে নিলাম।আর সেই বক্সটাকে ফিতা দিয়ে গ্লু গানের সাহায্যে বেঁধে নিলাম। এরপর সেটি গ্লু গানের মাধ্যমে লাভের মধ্যে বসিয়ে দিলাম।
এরপর নীল রঙিন কাগজ দিয়ে অনেকগুলো লাভ কেটে নিলাম এবং সেগুলোকে একটার উপরে আরেকটা দিয়ে পেজের মধ্যে লাগিয়ে দিলাম।
ধাপ-১৭ |
---|
এরপর সেই নীল কালারের ছোট ছোট লাভগুলোর নিচে কিছু আর্ট এবং একটি মেসেজ এবং কিছু ফিতা লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ-১৮ |
---|
এই ধাপে মেঘের ডিজাইনে একটা শক্ত কাগজ কেটে নিলাম। তারপর হলুদ কাগজ দিয়ে আবার কভার করে দিলাম।সাদা রঙের কাগজ দিয়ে মেঘের মত করে ডিজাইন করে নিলাম।
এখন গোল আকারে ডিজাইন করে কেটে নিলাম। একইমাপে কালো রঙের কাগজ কেটে লাগিয়ে নিলাম। সেটা আবার লাভ শেপের মধ্যে বসিয়ে মার্কার দিয়ে আরও কিছু আর্ট করে নিলাম।
ধাপ-১৯ |
---|
এরপর লাভ শেপের আরেকটি পেজের মধ্যে একটি কোন আকারে কালো কাগজে বসিয়ে দিলাম এবং সেটার দু'পাশে আর্ট করে নিলাম এরপর সাদা গ্লিটার পেপার ছোট গোল করে কেটে নিয়ে সেখানে ডিজাইনের জন্য বসিয়ে দিলাম। সেই সাথে দুটো ঝালর এর অবশিষ্ট অংশ লাগিয়ে দিলাম সৌন্দর্যের জন্য। তারপর একটি বৃত্তের মধ্যে (My Hero) লিখে নিলাম এবং গোলাপি কালারের ক্লে দিয়ে একটি গোলাপ ফুল বানিয়ে গ্লু গানের মাধ্যমে সেখানে বসিয়ে দিলাম।
ফুলের পাশাপাশি আবার পাতা বানিয়ে লাগিয়ে দিলাম।সেখানে আরও কিছু মেসেজ লিখে দিলাম।পাশাপাশি কয়েকটা লাভ লাগিয়ে দিলাম।
ধাপ-২০ |
---|
এইধাপে হলুদ কাগজের কিনারায় লেইস লাগিয়ে দিলাম। তারপর কোনায় একটি ফুল লাগিয়ে দিলাম।
এরপর ৩২*৫ সে. মি করে লম্বালম্বি কাগজ কেটে ভাজ দিলাম।এর মত আরেকটা কাগজ কেটে মাঝ বরাবর ভাজ দিয়ে দিলাম। একসাথে ভাজে লাগিয়ে নিলাম। এখানে একটা বক্স এর মত দেখা যাচ্ছে।
ধাপ-২১ |
---|
সাদা রঙের গ্লিটার পেপার থেকে বেলুন কেটে নিলাম।তারপর বেলুনগুলো গোলাপি রঙের গ্লিটারের উপরে লাগিয়ে দিলাম।এরপর সেই কার্ডটা লাভ শেপের মধ্যে লাগিয়ে দিলাম।
পাশেই আরেকটা মেসেজ আলাদা কাগজে লিখে লাগিয়ে দিলাম।এরপর কিছু আর্টিফিশিয়াল ফুল এবং ডিজাইন লাগিয়ে দিলাম।
ধাপ-২২ |
---|
নীল রঙের একটা কাগজ কেটে নিলাম।মাঝখানে ভাজ দিয়ে আবার ছোট করে কেটে নিলাম।গোলাপি গ্লিটারের একটা লাভ লাগিয়ে দিলাম।
কাগজের কিনারায় মার্কার দিয়ে ছোট ছোট দাগ দিয়ে দিলাম।আবার একটা মেসেজ লিখা দিলাম।উপরের অংশেও একইভাবে কিছু মার্কার দিয়ে ডিজাইন করলাম।তারপর কার্ডটা লাভ শেপের মধ্যে লাগিয়ে দিলাম।
ধাপ-২৩ |
---|
এখন সাদা আর আকাশী রঙের ক্লে দিয়ে মেঘের মত করে ডিজাইন করে কার্ডে লাগিয়ে দিলাম।বেগুনী রঙের গ্লিটার পেপার থেকে লাভ কেটে নিয়ে পাশে লাগিয়ে দিলাম।
নীল রঙের গ্লিটার থেকে লাভ কেটে লাগিয়ে দিলাম। তার পাশাপাশি পুতির একটা ডিজাইন ছিল সেটাও বসিয়ে দিলাম।
ধাপ-২৪ |
---|
সাদা রঙের একটা কাগজ বইয়ের মত ভাজ করে নিয়ে নিলাম। ভাজ ভাজ করে নিয়ে পর্দার মত করে ২পাশে লাগিয়ে দিলাম। মাঝ বরাবর আবার একটা ছোট ডিজাইন দিলাম।
ভিতরের অংশে গোলাপি রঙ এর গ্লিটার থেকে চিকন করে কেটে বর্ডার দিয়ে দিলাম।
উপরের অংশে আরও কিছু ডিজাইন করলাম।তার পাশাপাশি ভিতরের অংশেও মেসেজ লিখে দিলাম।
ধাপ-২৫ |
---|
এবার চলে গেলাম একদম উপরের অংশে TO NEVLU লিখে নিলাম।তারপর ক্লে দিয়ে ডিজাইন করে নাম লিখলাম।
এখন কুইলিং করার পালা।তাই কয়েক রঙের কাগজ চিকন করে কেটে নিলাম। এক এক করে কয়েক রঙের কাগজ একসাথে আঠা দিয়ে জোড়া লাগিয়ে মুড়িয়ে নিলাম।ছবিতে খেয়াল করলেই বুঝা যাবে।
ধাপ-২৬ |
---|
তারপর সাদা আর আকাশী রঙের কাগজ একসাথে জোড়া দিয়ে মুড়িয়ে কোনা করে ভাজ করে নিলাম। এটা একটা ফুলের পাপড়ির মত হয়ে গেল।এভাবে কয়েকটা করে নিলাম।
সবুজ রঙের কয়েকটা পাতার মত করে বানালাম একইভাবে। মূলত এই কাজ অনেক সময় নিয়ে মুড়িয়ে ডিজাইন করে নিয়েছি।তারপর নামের পাশে এক এক করে সবকিছু সাজিয়ে দিয়েছি গ্লু দিয়ে।
ধাপ-২৭ |
---|
এখানে আমি ১৩টা ছবি নিয়েছি। তারপরে ছবিগুলো কাটিং করে জায়গায় জায়গায় বসিয়ে দিয়েছি ।
উপরের লাভ শেপের চারপাশে আমি লেইস লাগিয়ে দিলাম।এক এক করে প্রতিটি লাভ শেপে লেইস লাগিয়ে দিলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | কন্টেস্ট |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তোমার করা এই প্রজেক্টটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এত বড় প্রজেক্ট করতে যে পরিমাণ সময় ও শ্রম দিয়েছো,সেটার সফলতার প্রমাণ হচ্ছে এই কার্ডের ফাইনাল আউট লুক। তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো এত চমৎকার একটি কার্ড আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য।💐❤🌺❤
এই কার্ডটি তৈরি করতে যে পরিমাণ সময় গিয়েছে তা একনিমেষেই যেন ভুলে গেলাম প্রশংসা পেয়ে।
সত্যি বলেছেন আপু ভালোবাসা কখনো একজনের জন্য বা একদিনের জন্য হতে পারে না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ভ্যালেন্সটাইন্স ডে উপলক্ষে কুইলিং করা স্পেশাল কার্ডবুক তৈরি করেছেন দেখতে ভীষণ ভালো লাগলো। অনেকগুলো ধাপের মাধ্যমে কার্ডবুক তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভালোবাসা সার্বজনীন তবে প্রিয়দের জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এক ডালে দুই পাখি মেরেছেন আপু। এমনিতেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। তারপরে প্রিয় মানুষ আপনার হাসবেন্ডকে উপহার দিতে পারলেন। আসলে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এত সুন্দর একটি গিফট নিপলু ভাই পেয়ে হয়তো সে অনেক খুশি হয়েছে এবং প্রতিটা পাতায় ভালোবাসার মেসেজ ছিল, অসাধারণ হয়েছে।
হাহা,পাখি ২টা মেরেছি তাই না।ঠিকই বলেছেন,😂😂।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি প্রতিযোগিতায় প্রথম সপ্তাহে অংশগ্রহণ করে থাকেন তবে এবার ব্যস্ততার কারণে ভ্রমণে ছিলেন যার কারণে হয়নি এবং সময় বাড়িয়ে দেওয়াতে আপনার জন্য খুবই ভালো হয়েছে। সেই সুযোগে আপনি বাড়িতে এসেই এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করলেন। আসলে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে খুবই সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন এবং এটা নিভলু ভাইকে গিফট করেছেন জানতে পেরে আরো ভালো লাগলো।
ব্যস্ততা না থাকলে প্রথমবারই অংশগ্রহণ করতাম।
ব্যস্ততা না থাকলে প্রথমবারই অংশগ্রহণ করতাম।
বাহ এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ভ্যালেন্টাইনস ডে কার্ড নিয়ে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করলেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি কার্ড অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আপনি শত ব্যস্ততার মাঝেও অনেক কষ্ট করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেন।
জি আপু,সেদিন আপনার বাসায়ই ছিলাম যেদিন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দিয়েছিল।ধন্যবাদ আপু।
তুমি আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু আপনি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এবং চমৎকার একটি ব্লগ সাজিয়েছেন। আমি তো দেখি অবাক হয়েছি আপনার এত বড় একটি স্পেশাল পোস্ট তৈরি করতে দেখে। সত্যিই আপনার অংশগ্রহণ চমৎকার ছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,ভালো থাকবেন।।।
বেশ সুন্দর হয়েছে আপনার কার্ডটি। কয়েকটি স্তরে ও অনেক ধরনের কাজ করেছেন কার্ডটিতে। তাইতো বেশ সময় লেগেছে। আর তাই কার্ডটি এত সুন্দর হয়েছে। সেই সাথে ফটোগ্রাফিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। ভিডিওগ্রাফি্র মাধ্যমে কার্ডটির সৌন্দর্য সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন ফলে কার্ডটি বেশি ভালো লাগছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি কার্ড তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।
অনেক সময় আর ধৈর্য্য নিয়ে করা হয়েছিল এটি। ধন্যবাদ আপু।