আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করব বলে এলাম।আজকের রেসিপিটি মূলত হুট করেই তৈরি করা।মানে আমি কাতলা মাছ দিয়ে একটু ভিন্নভাবে রান্নাটা করব ভেবেছিলাম।আর সেটার রেসিপিও করব মাথায় ছিল। কিন্তু মাছ আর আলু পটল কাটার পর মনে পড়ল রেসিপির কথা।তাই সেখান থেকেই ছবি তোলা শুরু করলাম।আসলে সবদিক একসাথে সামলে নিতে বেশ কষ্ট হয়।কারণ আম্মু ছিলনা বাড়িতে,ঢাকায় গিয়েছিল ডাক্তার দেখাতে।বাড়িতে আমি একা,বাবুও আছে। সবকিছু সময়মত করতে গিয়ে ভুলে গিয়েছিলাম রেসিপি তৈরি করব সেটা।যাইহোক ছোটবোন প্রাইভেট পড়ে আসায় সেদিন একটু স্বস্তি পেলাম,তাই রেসিপিটা করে ফেললাম।
এই রান্নাটা খেতে খুবই মজার ছিল।আর আলু ভেজে নেয়ার কারণেই বিশেষত বেশি মজা লেগেছে খেতে।সর্বোপরি মাছ দিয়ে আলু পটলের রান্নাটা সময়সাপেক্ষ হলেও ছিল খুব মজার।যাইহোক চলুন রেসিপিটা দেখে নেয়া যাক।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
উপকরণপরিমাণ |
কাতলা মাছ | ১টি |
পেঁয়াজকুচি | ১টি |
পেঁয়াজ বাটা | ২টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ | ৮টি |
আলু | ৫টি |
পটল | ৩টি |
লবণ | পরিমাণ মত |
মরিচগুঁড়া | ২ চা চামচ |
হলুদ গুড়ো | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ২ চা চামচ |
সরিষার তেল | ১কাপ |
প্রথমে মাছের টুকরোগুলোকে হলুদ আর লবণ দিয়ে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। চুলায় কড়াই বসিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিতে হবে।তেল গরম হয়ে এলে এরমধ্যে মাছের টুকরোগুলো দিয়ে ভেজে নিতে হবে।সবগুলো ভেজে তুলে নিতে হবে।
একইভাবে আলু-পটলগুলোকেও ভেজে নিতে হবে।তবে আলু যাতে ভালোভাবে ভাজা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এখন আবারও কড়াইতে তেল দিলাম।এরমধ্যে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে ভেজে নিলাম।কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে দিয়ে দিলাম পেঁয়াজ বাটা। তারপর এর গন্ধ উঠে যাওয়া পর্যন্ত ভাজলাম।
তারপর দিলাম রসুনবাটা,হলুদ গুড়ো, মরিচগুড়ো আর লবণ।এভাবে সবকিছুকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম।
প্রায় ৫মিনিট ধরে মসলাগুলো তেলের মধ্যেই কষিয়ে নিলাম।তারপর পরিমাণমত পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করলাম।
পানি ফুটতে শুরু করলে এরমাঝে দিয়ে দিলাম ভেজে রাখা আলু-পটল।আর বেশ কিছুক্ষণ এভাবেই রান্না করে নিলাম।
এইধাপে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে দিলাম। আর কিছুক্ষণ পর মাছ উলটে দিয়ে ঝোল ঘন হয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করলাম।তারপর এটি খাওয়ার জন্য একদম রেডি। আর খাওয়ার পূর্বে পরিবেশন করে নিলাম।
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
|
---|
আলু পটলের রেসিপি কাতলা মাছ দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন। এই রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত মজাদার রেসিপি দেখে তাই খেতে ইচ্ছা করছে।
চলে আসেন,আরেকদিন তৈরি করব।
বাহ আপনি তো অনেক সুন্দর করে কাতলা মাছ দিয়ে আলু এবং পটলের রেসিপি করেছেন। তবে আপনার রেসিপিটি সত্যি অসাধারণ হয়েছে। আলু এবং পটল আমার অনেক প্রিয় খাবার। আপনি বাবুকে নিয়ে এত ব্যস্ত থাকার পরও খুব সুন্দর রেসিপিটি করলেন। বাড়িতে আপনার আম্মুও ছিল না। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। এবং রেসিপি কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো। আমার অনেক পছন্দের রেসিপি শেয়ার করেছেন। কাতলা মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি চমৎকার ভাবে রান্না টি উপস্থাপন করেছেন। রান্নার ধাপ এবং উপকরণ গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।।
যে ব্যস্তময় জীবন যাপন আমাদের ভুলে যাওয়ারই তো কথা। তা বেশ সুন্দর একটি রেসিপি তো করেছেন আমাদের জন্য। দাওয়াত করলেই তো হতো। আমার কিন্তু আপনার রেসিপিটি বেশ ভালো লেগেছে। রেসিপিটি দেখতেও বেশ দারুন হয়েছে। এক কথায় অসাধারন আপু। আবার দেখছি প্রতিটি ধাপ দারুন করে উপস্থাপনাও করেছেন।
আপনাদের কিভাবে ভুলবো আপু বলেন তো আপনাদের তো সব সময় মনের মাঝেই রাখি।
যাক তবুও ধন্য হলাম।
একা সবকিছু সামলানো সত্যিই বেশ কষ্টকর। ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আমাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে প্রথমে আলু ভেজে নিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির কালারটাও বেশ ভালো লাগছে।
আলু ভেজে রান্না করা হলে সেই আলুর টেস্ট অনেক বেশি লাগে। একদিন ট্রাই করে দেখবেন ভালো লাগবে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাতলা মাছ দিয়ে আলু পটলের রান্নার রেসিপি । আসলে আপু আমি কাতলা মাছের রেসিপি খেতে বেশ পছন্দ করি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে সত্যিই জিভে জল চলে আসলো। অনেকগুলো সবজি একসাথে মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে এমনিতেই বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার এই রেসিপিটা রিভিউ করার জন্য।
আপু আপনার এই রেসিপিটা রান্না অনেক সুন্দর হয়েছে এটা জেনে তো আরো বেশি ভালো লাগছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। কাতলা মাছের পটল আর আলু দিয়ে তৈরি রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা দেখার জন্য ভালো থাকবেন।
কাতলা মাছ মানে সুস্বাদু এক মাছ।আলু ও পটল দিয়ে মাছ রান্না করে খেতে খুব মজা লাগে আর সেখানে যদি হয় কাতলা মাছ তবে তো কোন কথায় নাই।খুব সুন্দর রেসিপি শেয়ার করছেন আপনি। সব মিলিয়ে অসাধারণ।
আলু দিয়ে মাছ রান্না করলে এমনিতে খেতে ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি কাতলা মাছ দিয়ে একটু ভিন্নভাবে রান্না করার চেষ্টা করতেছেন। দেখে বেশ ভালো লাগলো। আজকে আপনি আমাদের মাঝে কাতলা মাছ দিয়ে আলু পটলের রেসিপি তৈরি করেছেন। দুর্দান্ত ছিল। রান্নার প্রয়োজন উপকরণ গুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো অনেক অনেক ভাল ছিল।
আসলে এক এক দিন একেক রকমভাবে খেতে ভালো লাগে।