আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য এলাম।
অনেকদিন পর সময় করে আজকে আপনাদের সাথে হাজির হয়ে গেলাম মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে। আজকের রেসিপিটি হচ্ছে একটি নতুন ধরনের পুডিং রেসিপি। যদিও আমি প্রথমবার তৈরি করেছি সেই হিসেবে অভিজ্ঞতা বলতে তেমন কিছুই নেই।তবে চেষ্টা করেছি ঠিকমতো তৈরি করার। যাইহোক রেসিপি পোস্ট গুলোর মাধ্যমে সব সময় সবাইকে লোভ লাগিয়ে দেয়া যায় কখনো খাওয়ানো যায় না 🤪। আর যাদের খেতে ইচ্ছে করে তারা নিজেরাই বানিয়ে খেতে হবে,তা না হলে বাসায় চলে আসতে হবে। যাই হোক আশা করি আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এবং অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি করতে পারবেন। রমজান মাসে আমি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রকম ডেজার্ট তৈরি করে থাকি। কারণ ভাজাপোড়া তো প্রতিদিনই খাওয়া হয়। তার পাশাপাশি দুধের তৈরি বিভিন্ন রকম ডেজার্ট গুলো খেলে পুষ্টির পাশাপাশি ভিন্ন রকম স্বাদ পাওয়া যায়।
দুধ জেলো পুডিং তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ |
উপকরণ | পরিমাণ |
তরল দুধ | আধা লিটার |
আগার আগার পাউডার | ৪ চা চামচ |
চিনি | আধা কাপ |
পানি | ১ কাপ |
ভ্যানিলা এসেন্স | আধা চা চামচ |
ফুড কালার | লাল, গোলাপি, সবুজ |
কন্ডেন্স মিল্ক | আধা কাপ |
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপে আমি এক কাপ পরিমাণ পানি একটি পাতিলের মধ্যে নিয়ে নিলাম। তারপর এর মধ্যে ১ চা চামচ পরিমাণ আগার আগার পাউডার দিয়ে দিলাম, ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম। এক চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস দিয়ে আবারও মিক্স করতে থাকলাম।
কিছুক্ষণ জ্বাল দেয়ার পর যখন এগুলা কিছুটা ঘন হয়ে এলো তখন চুলা থেকে নামিয়ে তিনটি বাটির মধ্যে আমি সেই তরল জেলি দিয়ে দিলাম সমানভাবে। তারপর প্রথম বাটির মধ্যে আমি গোলাপি রঙের ফুড কালার দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।
এই ধাপে বাকি দুটি বাটিতে একটিতে লাল ফুড কালার এবং অন্যটিতে সবুজ রঙের ফুড কালার দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।
এই ধাপে একটি পাতিলের মধ্যে আমি আধা লিটার পরিমাণ দুধ নিয়ে নিলাম। তারপর দু'চা চামচ আগার আগার পাউডার এবং হাফ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
তারপর এর মধ্যে কনডেন্স মিল্ক থেকে আধা কাপ পরিমাণ কনডেন্স মিল্ক নিয়ে দুধের মধ্যে মিশিয়ে নিলাম।এর পাশাপাশি এক টেবিল চামচ পরিমাণ চিনিও দিয়ে দিলাম এবং ভালোভাবে মিক্স করে জ্বাল দিয়ে নিলাম।
জেলিগুলো বাটিতে নেয়ার পর ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম আধা ঘন্টার মত। তারপর এগুলো নামিয়ে আমি ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।
যে বাটিতে পুডিং বসাবো সেই বাটিতে প্রথমত জেলির কয়েকটি কিউব ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলাম। তারপর এর মধ্যে সেই জ্বাল দেয়া দুধ দিতে থাকলাম। দুধ দেয়ার পর আরও কিছু কিউব দুধের উপরে দিয়ে দিলাম এবং ফ্রিজে রেখে দিলাম সেট হওয়ার জন্য।
এইতো তৈরি হয়ে গেল মজাদার জেলো পুডিং। খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে এটি তৈরি করা যায়। যদিও আমি দ্বিতীয় রমজানের দিন এই জেলো পুডিং তৈরি করেছিলাম। খেতে কিন্তু সত্যিই ভালো লেগেছিল। আর আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম।
আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। সবার মতামত জানার অপেক্ষায় থাকবো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
দেখে মনে হচ্ছে না যে প্রথমবার তৈরি করেছেন আপু। অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে দেখতে নিশ্চয় খেতে অনেক সুস্বাদু লেগেছে। আমার কাছে এই পুডিং অনেক সুন্দর লাগে। আমার ওয়াইফ মাঝে মধ্যে তৈরি করে থাকে। আপনার কালার কম্বিনেশন টা চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বানানোর প্রসেস সমৃহ অনেক সহজেই ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আসলে আমি মাঝে মাঝে তৈরি করি তো তাই আপনার মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
https://twitter.com/bristy110/status/1642218453351399426?s=20
প্রথমবার তৈরি করলেও বানিয়েছেন কিন্তু দারুন। দেখে তো বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে।
আর তৈরীর প্রণালী গুলো ধাপে ধাপে সাজিয়ে দারুণভাবে উপস্থাপন করছেন।
সুন্দর ও সুগঠিত মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভিন্ন স্বাদে দুধ জেলো পুডিং তৈরির রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে একদম ইউনিক একটি রেসিপি। আপনার রেসিপি তৈরি দেখে সত্যি খেতে অনেক ইচ্ছে করছে আপু। যাইহোক এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে ইউনিক রেসিপি শেয়ার করতে। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভিন্ন স্বাদের দুধ জেলো পুডিং তৈরি রেসিপি দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। রোজা রেখেছি না হলে তো আপনাদের বাড়িতে চলে যেতাম খাওয়ার জন্য। যাইহোক পুডিং রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজা করেই খাওয়া হয়েছে তাহলে। কালার কম্বিনেশনটা জাস্ট অসাধারণ এসেছে। উপস্থাপনাও বেশ ভালো ছিল বলতে হয়। আপনার উপস্থাপনা দেখে যে কেউ খুব সহজেই এটি তৈরি করতে পারবে।
অনেক ধন্যবাদ খুব চমৎকার ও সুগঠিত মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ভিন্নভাবে এভাবে যে কোন জিনিসের পুড়িং তৈরি করলে খেতে কিন্তু একটু বেশি ভালো লাগে। আপনি দুধ জেলো পুডিং তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে সবাই মিলে খুবই ভালোভাবেই খেয়েছেন এবং বেশ মজা করে। এরকম ইউনিক রেসিপি গুলো খেতে কারই না ভালো লাগবে। খুবই সুন্দরভাবেই আপনি উপস্থাপনা লিখেছেন। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট খুবই ভালো ছিল।
একদম ঠিক বলেছেন ইউনিক রেসিপি দেখলে যে কারো খেতে ইচ্ছে করে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই রেসিপি পোষ্টের মাধ্যমে নতুন নতুন রেসিপি শুধু দেখানো যায় কিন্তু কখনোই খাওয়ানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। মজাদার একটি পুডিং রান্নার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পুডিং রান্নার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় সাপোর্টের আওতায় রেখে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন। ্
দুধ জেলো পুডিং কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি প্রথমবার তৈরি করলেও দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। পুডিং এর কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদেরকে দেখিয়েছেন। এত সুন্দর পুডিং তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সব সময় সুন্দর ও সুগঠিত মন্তব্য করে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগানোর জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপু রেসিপি পোস্টগুলো করে মানুষকে শুধু লোভই লাগানো যায় না খেতে হলে নিজেকেই বানিয়ে খেতে হবে। রেসিপি পোস্টগুলো দেখে অনেক কিছু শেখা যায়। আপনার আজকের জেলো পুডিং নতুন বানালেও দেখে মনে হচ্ছে যে খুব সুস্বাদু হয়েছিল খেতে । বিভিন্ন কালার দেয়ার কারণে আরো বেশি লোভনীয় লাগছে দেখতে।
জি আপু ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে যথাযথ একটি মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন সর্বদায়।