প্রথমে একটা পাতিলে দুই কাপ পরিমান পানি নিয়ে নিলাম। তারপর হাফ কাপ চিনি দিয়ে দিলাম। চুলের জ্বাল দিয়ে ভালোভাবে চিনি গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। তারপর দুই থেকে তিন মিনিট রান্না করলাম।চিনি শিরা তৈরি হয়ে গেল।
অন্য একটি কড়াইতে দুই কাপ পরিমাণ পানি নিলাম। পানি হালকা গরম হয়ে এলে এর মধ্যে গুড়ো দুধ দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে কিছুক্ষণ জ্বাল দিলাম।
এই ধাপে এক চা চামচ পরিমাণ লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর দিয়ে দিলাম নারকেল কুড়ানো। সবকিছু একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে পাঁচ মিনিট জ্বাল দিলাম।
এখন এক টেবিল চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম। তারপর চালের গুড়া দিয়ে দিলাম।
কিছুক্ষণ পর চালের গুড়ার সাথে দুধের মিশ্রণটা ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মেশাতে থাকলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিটের মত লো আঁচে রান্না করলাম।
এই মিশ্রণ কিছুটা ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে মথে একটা ডো তৈরি করলাম। তারপর এটাকে চার ভাগে ভাগ করলাম।
যেহেতু আমি চার কালারের সমন্বয়ে পিঠাটি তৈরি করব সেজন্য একটাতে লাল, একটাতে গোলাপি আর একটা হলুদ ফুড কালার দিলাম। আরেকটা নরমাল ভাবেই রাখলাম।তারপর আটার সাথে কালার মিক্স করে ডো তৈরি করে নিলাম।
এখন একটা নরমাল ডো থেকে রুটি বেলে নিলাম। তারপর গোল একটা বড় বাটির সাহায্যে এটা গোল করে কেটে নিলাম। এভাবে চারটি রুটি গোল করে কেটে নিয়েছি।
এই ধাপে হলুদ রঙের ডো গুলোকে গোল গোল করে চারটি ভাগে ভাগ করে নিলাম। সাথে লাল রঙের ডো গুলোকেও ছোট বাটির মতো করে সেই হলুদ রঙের ডো টা দিয়ে গোল করে কভার করে নিলাম। এভাবে লালের মাঝে হলুদ অংশ দিয়ে প্রত্যেকটা ডো তৈরি করে নিলাম।
এবার সেই সাদা গোল রুটি গুলোর মাঝখানে পূর্বে তৈরি করে রাখা লাল ডো দিয়ে আবার গোল করে কভার করে নিলাম। চারটা ডো ই এভাবে তৈরি করলাম।
এই ধাপে খুব সাবধানে কাজ করতে হবে। ছোট্ট একটা কাঁচি নিলাম। কাঁচি দিয়ে প্রথমত সেই সাদা ডোয়ের কিনারার অংশে কয়েকটি পাপড়ির মতো কেটে নিলাম।এই ধাপে ধীরে ধীরে কিনারা থেকে পুরো মাঝখান পর্যন্ত অংশে পাপড়িগুলো কেটে হাত দিয়ে একটু ছড়িয়ে দিতে হবে। এভাবে সাবধানে কাজটি করলেই সাদ,লাল আর হলুদ রঙ ফুটে উঠবে ফুলের মধ্যে।এভাবে সবগুলোই তৈরি করে নিলাম।
গোলাপি রঙের ডো থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করলাম। তারপর এগুলোকে পাতার শেপে চ্যাপ্টা করে নিলাম।কাঁচির হাতল দিয়ে পাতার ছাঁচ একে নিলাম।
এখন ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে দিলাম।গরম হয়ে এলেই ফুলগুলো দিয়ে ভাজতে থাকলাম।ডুবোতেলে ভাজলে ভালোভাবে ভেজে নেয়া যায়।
ভাজা হয়ে গেলে পূর্বে তৈরি করে রাখা শিরার মধ্যে গরম অবস্থায় দিয়ে দিলাম। আর এভাবে বাকি ২টাও ভেজে শিরায় দিয়ে রাখলাম।
এখন সেই পাতাগুলো ভেজে নিলাম। ভালোভাবে ভেজে নেয়ার পর সেগুলোকেও শিরায় দিয়ে ২মিনিট রেখে দিলাম।তারপর ডেকোরেশন করে নিলাম।
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
প্রতিযোগিতা মানেই নতুন নতুন রেসিপি দেখার সুযোগ। আপনি বেশ ইউনিকভাবে পিঠাগুলো তৈরি করেছেন এবং তাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার পরিবেশনাটা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনার পিঠা তৈরি করতে ভাল লাগে আর আমার খেতে খুব ভাল লাগে।নকশি পিঠার এবারের কন্টেস্টে সবাই চমক দেখাচ্ছে খুব সুন্দর সুন্দর পোস্ট শেয়ার করে।আপনাকে শুভ কামনা জানাই আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে আপনার করা রেসিপি টা ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
আপু প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের পিঠার রেসিপি তৈরি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আজকে আপনি তিন রঙের সৌন্দর্যে ডালিয়া ফুল পাকন পিঠার বেশ দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার তৈরি পিঠার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এর আগেও আপনি এরকম করে পিঠা তৈরি করেছিলেন আপু সেগুলো দেখেছি বেশ ভালোই ছিল। আজকের একই রকম করে অনেক সুন্দর ভাবে নকশি পিঠা তৈরি করেছেন। তবে আপনার নকশা করা পাতাগুলো সবুজ রঙে দিলে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগতো। যাইহোক প্রতিযোগিতার জন্য অনেক সুন্দর পোস্ট তৈরি করেছেন আপু। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নকশি পিঠায় ৩রঙের সৌন্দর্যে ডালিয়া ফুল-পাকন পিঠা দেখে জিভে জল চলে এলো। পিঠার কালার টাও বেশ দারুন এসেছে। আপনার আইডিয়া টি খুবই ভালো ছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
দারুন নকশার পিঠা প্রস্তুত করেছেন দেখে মনে হচ্ছে যেন ফুটন্ত ডালিয়া ফুল।
যত বেশি লোভ না লাগলো তার থেকে বেশি উপভোগ করলাম আপনার নকশী পিঠার সৌন্দর্য।
সেই সাথে কালারটাও দারুণ ফুটেছে।
সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন ধাপগুলো অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মনে মনে আমিও চিন্তা করেছিলাম এমন পিঠা তৈরি করার জন্য এর আগে আপনিই তৈরি করে নিয়েছেন।দেখতে একেবারে ডালিয়া ফুলের মত।কালারটা বেশ ভালো লাগছে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ
আপু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি প্রতিযোগিতার জন্য খুবই ইউনিক একটি নকশি পিঠা তৈরি করেছেন। আমি ভেবেছিলাম এই পিঠা বানাবো কিন্তু সময় বের করতে পারছিলাম না। আজ যাক আপনি তৈরি করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার ডালিয়া পাকন পিঠার তিনটি কালারই খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার উপস্থাপনা আরও বেশি সুন্দর হয়েছে। মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।