ফেনী টু চট্টগ্রাম ট্রেন ভ্রমণের মুহূর্তগুলো।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
সেদিন ট্রেন এসেছিল লেট করে। কারণ এটা প্রায়ই হয়,স্টেশনে ট্রেন না থাকলে ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে আসতে অনেক লেট হয়ে যায়। ১২:০২ এ ছিল টাইম,চট্টগ্রাম গামী ট্রেন। যাইহোক অবশেষে ১২:৪০ এর দিকে ট্রেন এসে উপস্তিত হয়। আমরা তো আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম, ট্রেন আসার সাথে সাথেই উঠে গেলাম ট্রেনে। এরপর শুরু হলো জার্নি।অবশ্য নিভৃত কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ে ছিল।
যাইহোক আমরা পুরো জার্নিতে বেশ ভালো ইনজয় করেছি।তবে এখানে একটা সমস্যা ছিল।মূলত জার্নি করার ক্ষেত্রে এসি কেবিন আমার ভালো লাগে না। আমার কাছে মুক্ত বাতাস ভালো লাগে। জানালার পাশে বসে বাইরের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি ফ্রেশ বাতাস উপভোগ করার মজাই আলাদা। আর এটা আমার খুব ভালো লাগে।কিন্তু যাওয়ার সময় পড়ল এসি কেবিন।আর টিকেট যেহেতু অনলাইনে কাটা তাই আর খেয়াল ছিল না এসি হবে নাকি নন-এসি।তা যাইহোক ট্রেনের এসি আর হাইচ বা বাসের এসিতে অনেক তফাৎ।
যদিও যেতে যেতে বাইরের সৌন্দর্য খুব বেশি চোখে পড়ে নি।আর যেতে মাত্র দেড় ঘন্টার মত সময় লেগেছে। এরপর স্টেশনে নামলাম, চেক আউট করে সবকিছু নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলাম। ৫তারিখে চট্টগ্রাম থাকার প্ল্যান ছিল। তাই চলে গেলাম বড় মামার বাসায়। তারা আবার বাসা চেঞ্জ করেছিল তাই বাসা পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। এর কারণ হলো মামনি আমাদের যে ডিরেকশন দিয়েছিল সেই অনুযায়ী গিয়েছি। কিন্তু পরে লোকজনকে জিজ্ঞেস করে যেতে যেতে তাদের বাসার গলি পেরিয়ে চলে গেলাম অন্য গলিতে। এভাবে কিছুক্ষণ সময় হাটাহাটি করতে হয়েছিল।
আসলে এত সময় জার্নি করার পর হাটাহাটি করা বেশ কষ্টকর। পরে মামনি তার ভাইকে পাঠালো আমাদের রিসিভ করার জন্য। তারপর সে এসে আমাদের বাসায় নিয়ে যায়।মামা ছিল অফিসে তাই আর আসতে পারে নি।তো যাইহোক বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়েই খেলাম লেবুর শরবত। ক্লান্তি যেন অনেকটাই দূর হলো।তার কিছুক্ষণ পর মামনি আমাদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করলো।অনেক কিছুই রান্না করেছিল একা হাতে।আর এটা বলতেই হয় তার রান্নার হাত দারুণ। প্রত্যেকটা খাবার বেশ মজা ছিল।বিশেষত ইলিশ মাছটা মজা লেগেছে। যদিও ক্ষুধার তাড়নায় আর ছবি তুলতে পারিনি,হাহাহা।
এরপর রেস্ট নিলাম কিছুক্ষণ। তখন মামনি বলল জাম্বুরী পার্কের কথা। যদিও আমি আগে একবার গিয়েছিলাম। তখন আমি আমার হাজব্যন্ডকে বললাম সেখানে যাওয়ার জন্য।সে বলল ঠিক আছে, কাছেই যখন আছে যাওয়া যেতে পারে।মূলত ঘুরতে গিয়েছি হিসেবে বাসায় বসে থেকে কি করব। তাই চলে গেলাম বিকেল বেলায় জাম্বুরী পার্কে।আর নিভৃত তো ছিল মহা খুশি। সেটা নাহয় আরেকদিন শেয়ার করব।আসলে মুহূর্তগুলো খুব ভালো কেটেছিল। আর আপনাদের সাথে শেয়ার করলে আরও ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনাদের জার্নি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপু অনেক পথ জার্নির পরে এমন শরবত হলে আর কথায় নেই। আর বাচ্চারা এক জায়গায় গেলে সত্যি অনেক আনন্দ পায়। যাইহোক বেড়াতে গিয়ে আবার ঘুরতে গিয়েছেন অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ঘুরাঘুরি পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকলাম।
ফেনী টু চট্টগ্রাম ট্রেন ভ্রমণ করেছেন জেনে খুব খুশি হলাম। ট্রেন ভ্রমণের অনুভূতি বেশ দারুন। আপনার ভ্রমণের অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ট্রেন করে বাইরে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম। নিভৃত বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে আপু। ফেনী টু চট্টগ্রাম ট্রেন ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটালেন ফেনী টু চট্টগ্রাম ট্রেন ভ্রমণ। যদিও আপু আমার ট্রেন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এখনো হয়নি। যেহেতু আমাদের কক্সবাজার টু ঢাকা মাত্র নতুন ট্রেন চালু হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই ট্রেন জার্নিটা হয়ে যাবে। আপনি তো জানলার পাশে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যক সুন্দরভাবে উপভোগ করলেন। এছাড়া ও মামার বাসায় যেয়ে পার্কে ঘোরাফেরা করলেন। আশা করি সেই মুহূর্ত গুলো পরবর্তীতে পাবো। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।