ব্যস্তময় দিনের শুরু।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই আশাকরি খুব ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি।আমার এই প্রিয় ব্লগের সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে আমি খুব আনন্দ পাই।তাই সবসময় নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়ে যাই।
জীবনের নতুন লক্ষ্যে ব্যস্ততা শুরুর প্রথম দিন। আজকে আমি আপনাদের সাথে এই বিষয়টি শেয়ার করতে এসেছি। লক্ষ্য টা হল আমি গত ১ তারিখ স্পোকেন ইংলিশ ক্লাসে ভর্তি হয়েছি। স্পোকেন শেষ হওয়ার পর পরই আমি আইলটস এর ক্লাস শুরু করব। যাই হোক এই স্পোকেন ইংলিশ এবং আইলটস এর ক্লাস করার মূল উদ্দেশ্য হল লন্ডন যাওয়ার জন্য। আমরা তিনজন যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সে হিসেবে প্রথমত আমাকেই আইলটস এর ক্লাস করে এক্সাম দিতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি জুন মাসের ১ তারিখে ক্লাস করার উদ্দেশ্যে বের হলাম।
তার দুদিন আগে শুনলাম আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের আম্মু পড়ে হাত ভেঙে ফেলেছে খুব ক্রিটিকাল অবস্থা। তাই যেহেতু আমরা রওনা দিয়েছি, তাদের বাড়ি ফেনী আসার পথেই সেই হিসেবে আমি ভাবলাম আন্টির সাথে একবার গিয়ে দেখা করে আসি। কারণ অনেকদিন হলো তাদের কারো সাথে দেখা হয় না। যাইহোক সকালবেলা তো আমার অনেক কাজ থাকে, কারণ বাবু থাকলে যা হয় আর কি।সে উঠলে তার খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে জামা কাপড় ধোয়া এবং নানা রকম কাজ সবকিছু যা যা করা লাগে সেগুলো সেরে নিয়ে বাবুকে রেডি করিয়ে নিলাম। বাইরে যে পরিমাণ গরম যে কোনমতেই জামা কাপড় পড়তে চাচ্ছে না। তাই শুধুমাত্র একটা গেঞ্জি পরিয়েই বের করলাম। তারপর আমার ফ্রেন্ডের বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে ওকে জামা কাপড় পরালাম। আর আন্টির জন্য কিছু জিনিস নিয়ে নিলাম। কারণ আমি আমার হাজব্যান্ড এবং ছেলে সহ প্রথমবারের মতো সেখানে যাচ্ছিলাম।
যাইহোক সেখানে বেশিক্ষণ বসি নি। অল্প কিছুক্ষণ বসে ছিলাম কিন্তু একটা ছবি তোলার কথাও মনে ছিল না। তাড়াহুড়ার মধ্যে গিয়ে একটু সময় বসে তারপর আমরা আবার ফেনীর দিকে রওনা দিলাম। ফেনীতে এসেই প্রথমে আমরা ক্লাসে চলে গেলাম। যেহেতু আমি স্পেশালি পড়ছি সেই হিসেবে আমি একজনই ছিলাম এবং সেখানে স্যার আমাকে প্রথম দিন এক ঘন্টায় ক্লাস করিয়েছিল। বিভিন্ন রকম স্ট্রাকচার এবং গ্রামাটিকাল পয়েন্টগুলো ক্লিয়ার করে নিয়েছিল। যেহেতু আমার স্টাডি গ্যাপ ছিল সেই হিসেবে বেশ কিছু স্ট্রাকচার করতে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নিভৃত এর কান্নাকাটি দেখে ক্লাস করতে মন চাইছিল না।১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ক্লাস করলাম তারপর বের হয়ে আমরা বাসা খোঁজার জন্য রওনা দিলাম।
পরিচিত কয়েকজনের সাথে কথা বললাম এবং একজনের সাথে একটা বাসা দেখে আসলাম কিন্তু সেখানে একদম পছন্দ হয়নি। কারণ যেহেতু আমাদের বাবু আছে সেই হিসেবে আমাদের খোলামেলা দুটো রুম হলেই চলত। কিন্তু সেখানে মাত্র একটি রুম এবং সবকিছু অনেক দূরে ছিল। সেই হিসেবে আমরা সেখানে ক্যান্সেল করে দিলাম। তারপর ১টা বাজে তখন আমরা দুপুরের খাবারটা সে দিনের মতো বাইরে খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর বাড়ির দিকে রওনা হলাম। বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় আড়াইটা বেজে গিয়েছিল। কারণ বিভিন্ন রকম কাজকর্ম সারতে অনেক বেশি সময় লাগে।
প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কারণ আমি এই পরিমাণ গরমের মধ্যে টানা হিজাব করে রাখা এবং জার্নি করা দুটোই আমার জন্য অনেক বেশি কষ্টকর। তাছাড়া বাবুর বিরক্তি তো রয়েছেই। কারণ সে আসার পথে বারবার কান্নাকাটি করে। একবার আমার কাছে আসবে আবার তার বাবার কাছে যাবে।এভাবেই আমাদের সেদিনের সময় কেটে যায়। বাড়িতে এসে আরেক ঝামেলা, কারেন্ট নেই কি একটা অবস্থা যেটা বলে বোঝানোর মত নয়। যাইহোক অবশেষে ১ম দিনের মতো ব্যস্তময় দিনটি পার করলাম। তবে ব্যস্ততা মাত্র শুরু হলো সেদিন থেকে। এইতো আজ সারাদিনই ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গেল। যেটা আপনাদের সাথে আগামীতে শেয়ার করব। আপনাদের দোয়া চাই যেন আমি আমার লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারি।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সাপোর্টের আওতায় রেখে সাপোর্ট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাপোর্টের আওতায় রেখে সাপোর্ট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু ব্যস্ততার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। তবে আপনি ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। আসলে ছোট বাবুকে নিয়ে বাইরে বের হলে তারপর আবার হিজাব পড়া মাথা ব্যাথা হওয়া স্বাভাবিক। তবে আপু এক সাথে সব পেতে হলে কষ্টতো একটু করতেই হবে হা হ হা।দোয়াকরি আপনি যেন আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু আপু ব্যস্ততার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই।
ব্যস্ততা নিয়েই আমাদের জীবন। সকাল হতে রাত পর্যন্ত আমরা কোন না কোন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখি বা ব্যস্ততায় জড়িয়ে থাকি। আপনার উদ্যোগ টা আমার অনেক ভালো লেগেছে দোয়া করি আপনার সফলতার দ্বারপ্রান্তে যেন আপনি পৌঁছান। এই গরমে হিজাব পরা সত্যিই কষ্টকর।আরেকটি সমস্যা আমাদের নিত্যদিনের সাথী হচ্ছে সেটা কারেন্টের প্রবলেম । বাইরে থেকে আসার পর কারেন্ট না থাকলে সবথেকে বেশি কষ্ট লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক আপু এই গরমে হিজাব পরা সত্যিই কষ্টকর।আরেকটি সমস্যা আমাদের নিত্যদিনের সাথী হচ্ছে সেটা কারেন্টের প্রবলেম ।
আপনার প্রত্যেকটা দিন এখন অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেখেই বুঝতে পারছি। আসলে যেহেতু বাবু রয়েছে, তাই সবকিছু সামলানো একটু কষ্টকর হচ্ছে আপনার পক্ষে। বাবুর কান্নাকাটি দেখে আপনার ক্লাস করতে ইচ্ছে করতে ছিল না। ১১ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ক্লাস করেছিলেন। এরপর বাসা খোঁজার জন্য চলে গিয়েছিলেন। এই গরমের সময় আরো জীবনটা একেবারেই অতিষ্ঠ। আপনার জন্য দোয়া অবশ্যই করি যেন আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন।
জি আপু বাবুর কান্নাকাটি দেখে আমার ক্লাস করতে ইচ্ছে করতে ছিল না।
বাহ! শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু আপনি স্পোকেন ইংলিশ এবং আইলটস শিখতেছেন লন্ডনে যাওয়ার জন্য। আসলেই এই দেশে থেকে কিছু করা সম্ভব না যদি সম্ভব হয় খুব দ্রুত চলে যেতে পারলে অনেক ভালো হয়। যেহেতু আপনাদের পরিবার এখনো ছোট তাই চলে যাবার সুযোগ খুব বেশি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এগিয়ে যান আপনার জন্য় দোয়া করি। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি আপু আমাদের পরিবার এখনো ছোট তাই চলে যাবার সুযোগ খুব বেশি।
আপনার দিনটি দেখতেছি অনেক ব্যস্ত হয়ে গেল। যাক শুনে ভালো লাগলো আপনি এবং আপনার পরিবার লন্ডন যাওয়ার জন্য আপনি আইলটস এর ক্লাস করতেছেন। তার ওপর আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড এর আম্মুর হালকা এক্সিডেন্ট হয়েছে। আসলে গরমের কথা কি আর বলবো। গরমের কারণে বড় গুলো অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে আর ছোট গুলোর কথা বলে তো লাভ নেই। আসলে আপু পড়ালেখার জন্য আপনি বাসা দেখতেছেন সুবিধার জন্য। তবে বাসার ঠিক করা অনেক কষ্টের। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু বাসা ঠিক করা অনেক কষ্টের।
সত্যি কথা বলতে কি আপু মানুষের জীবন বড়ই সংগ্রামী ময় যে যতদিন এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকবে তার জীবন এভাবেই সংগ্রামী হয়ে চলবেই। তবে তার মধ্যে অনেক প্রবলেম ফেস করতে হবে। বর্তমান সময়ে যেমন প্রচন্ড গরম আর কারেন্ট নেই বললেই চলে। তবুও মানুষ আশাবাদী বেঁচে থাকার জন্য কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আশা করি সকল কিছুর মধ্যে আপনি আপনার ব্যস্তময় মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন এবং আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে সমস্ত ব্যস্ততার মধ্যে শান্তিতে দিন যাপন করতে পারবেন।
জি ঠিক ভাইয়া মানুষের জীবন বড়ই সংগ্রামী ময় যে যতদিন এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকবে তার জীবন এভাবেই সংগ্রামী হয়ে চলবেই।
আসলে আপু আমাদের কাজের ব্যস্ততা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের শরীরের প্রতি আরো বেশি যত্নবান হওয়া উচিত। এই গরমের মধ্যে মাথায় যন্ত্রণা হওয়া কিংবা মাথা ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই এই গরমের মধ্যে সতর্কতার সাথে আমাদের কাজগুলো করতে হবে এবং জীবন যাপন করতে হবে যাতে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। দারুন ব্যস্তময় মুহূর্তের কথাটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক ভাইয়া এই গরমের মধ্যে সতর্কতার সাথে আমাদের কাজগুলো করতে হবে এবং জীবন যাপন করতে হবে যাতে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।