হঠাৎ একদিন বাইরে খাওয়াদাওয়া।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
ফেনীতে বাসায় এসেছি যে প্রায় দুই মাস হতে চললো। এর মধ্যেই আমরা কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি,কিন্তু খুব বেশি যে ঘুরাঘুরি করেছি তা কিন্তু একেবারেই নয়।ঐ যে সময়ের বড্ড অভাব। যেহেতু আমার ক্লাসগুলো বাইরে হয়ে থাকে সে হিসেবে একটা ক্লাস সকালে এবং আরেকটা ক্লাস বিকেলে করতে হয়। সকালেরটা খুব বেশি দূরে নয়, পাঁচ মিনিট হাঁটার পথ। তবে বিকেলবেলার ক্লাস করতে যেতে হয় গাড়িতে করে। সে ক্ষেত্রে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট লেগে যায় জ্যামের কারণে। এই হয় আমাদের বাইরে যাওয়া।
তবে মাঝেমধ্যেই আমরা বাসার কাছাকাছি একটা দিঘী রয়েছে সেটার পাড়ে ঘুরতে যাই, যখন বিকেল বেলা ক্লাস থাকে না।যেহেতু শাশুড়ি মা ডায়াবেটিস রোগী সেই হিসেবে তাকে হাটতে হয়।সেজন্য সকাল বেলা তো একা একা হেটে আসেন,কখনো স্টেশনের দিকে কখনও আবার বিকেলে আমাদের সাথে গিয়ে রাজাঝীর দিঘির পাড়ে হেটে আসেন।যাইহোক বাইরে যাওয়ার শখ তার অনেক আগে থেকেই এবং রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার শখও রয়েছে। আর সে হিসেবে আমরা মাঝেমধ্যেই যখন যাই তখন উনাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাই।
একদিন সন্ধ্যেবেলায় হঠাৎ করে তার ছেলে বলতেছে যে আজকে মাকে নিয়ে বাইরে খেতে যাবে। তখন আমি বললাম কোথায় যাবার কথা, বলল যে ফেনীতে খুব নামকরা রেস্টুরেন্ট রয়েছে, সেখানে গেলে ভালই লাগবে। আর খাওয়ার মান ভালো। যেহেতু সে পূর্বেই সেই রেস্টুরেন্টে খেয়েছে সে হিসেবে সম্পূর্ণটা ভালো জানে। সে হোটেলের নাম ছিল নবী রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরিয়ানী হাউজ।যাইহোক সন্ধ্যা বেলায় যদিও ডিসাইড করা হয়েছিল সে হিসেবে যখন রাত আটটা বাজল তখন আমরা রেডি হলাম এবং বাসা থেকে বের হলাম।
নিভৃত বাইরে বের হওয়ার সময় অনেক বেশি খুশি থাকে। কারণ সে গাড়িতে চড়বে এজন্য। যাই হোক সেখানে গেলাম, যেহেতু রেস্টুরেন্টটা অনেক বড় আকারের সেই হিসেবে দৌতলা সিস্টেম করা রয়েছে। উপরে বেশ ভালই জায়গা রয়েছে সে হিসেবে আমরা উপরেই চলে গেলাম। উপরে যাওয়ার পর ফ্যামিলির সাইডে আমরা বসলাম। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম খাওয়ার জন্য। যাওয়ার সাথে সাথে খাবার অর্ডার দিয়েছিল আর সার্ভ করতে যতক্ষণ সময় লাগে এইটুকুই। এই ক্ষেত্রে নিভৃত আবার বিরক্ত বোধ করছিল। কারণ সে বাইরে গিয়ে গাড়িতে ঘুরবে, রঙিন আলো দেখবে।
শাশুড়ি মায়ের ইচ্ছেই সেদিন চিকেন পোলাও অর্ডার করা হয়েছিল। যেহেতু রাতের খাবার খেতে গিয়েছে সেই হিসেবে চিকেন পোলাও সবার জন্য বেটার ছিল। তবে পোলাও সম্পূর্ণটাই শেষ করা আমার দ্বারা কখনোই সম্ভব হয়নি। একটুখানি পোলাও থেকেই যায় সব সময়। কতটুকুই বা আর সাবাড় করা যায় ছোট্ট ভুড়িতে,হাহাহা।যাই হোক মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার সেখান থেকে চলে এলাম। সত্যি বলতে উনাকে নিয়ে একসাথে খাওয়ার মুহূর্তটা খুব বেশি ভালো লেগেছিল। তার ছোট ছোট আশা গুলো পূরণ করতেও ভালো লাগে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রাতের খাওয়াদাওয়া |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
পরিবারের সবাই কে নিয়ে চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সবাই মিলে এভাবে মাঝে মধ্যে বাইরে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। সবাইকে এক সাথে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইল।
এখন প্রায় বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টেই দোতলা সিস্টেম। যাইহোক পরিবারের সাথে সবাই মিলে গিয়ে সেখানে চিকেন পোলাও অর্ডার করেছিলেন তবে আগে থেকে যদি আমাদেরকে দাওয়াত দিতেন তাহলে আমরাই গিয়ে আপনাদের সাথে জয়েন করতাম 😁 যাইহোক একবারে ঘোরাঘুরি করার সখ মিটে গেল আবার খাওয়া দাওয়া হয়ে গেল।
অনেক ভালো লাগলো নেবুলু ভাই তার মাকে নাম করার রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে মায়ের ইচ্ছে অনুযায়ী পরিবারকে সাথে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছে। আসলে এই মুহূর্তগুলো দেখলে অনেক ভালো লাগে যেটা সবারই উচিত। পরিবারের সাথে মাঝে মাঝে এরকম দারুন সময় উপভোগ করা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/bristy110/status/1685113969772797953?s=20
আপু আপনার খাওয়া দাওয়া পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে আপু বাচ্চারা বাইরে যেতে সব সময় আগ্রহ প্রকাশ করে। সত্যি গাড়িতে চড়তে সব বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে।যাইহোক আপু শাশুড়িকে নিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন।মাঝে মাঝে এভাবে বাইরে খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবার পরিজন নিয়ে একত্রে খাওয়া-দাওয়া করা যে কি মজা, কি আনন্দ সেটা ভাষায় প্রকাশ করেন নয়। মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে বাইরে খেতে গেলে মনে হয় পরিবারে বন্ডিংস টা বেড়ে যায়। সবাইকে নিয়ে বেশ আনন্দঘন সময় পার করেছেন আপু। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুক।
আপু আপনারা পরিবার সাথে করে একদিন রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্ট অনেক বড় হওয়ার কারণে দুতলা সিস্টেম রয়েছে তাই আপনারা উপরে গিয়ে বসে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন জানতে পারলাম। আসলে পরিবারের সাথে খাওয়া দাওয়া করার মজাই বেশি আলাদা। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু, আপনার মত আমার কাছেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতে খুবই ভালো লাগে। আর যদি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালো একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে মুখরোচক খাবার খাওয়া যায় তাহলে তো সেই সময় টুকু স্মরণীয় হয়ে থাকে। আপু পরিবারের সবাইকে নিয়ে নবী রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরানি হাউজে গিয়ে চিকেন পোলাও খেয়ে খুব সুন্দর সময় পার করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগলো। হঠাৎ একদিন বাইরে খাওয়া দাওয়া নিয়ে আপনার অনুভূতি টুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।