সাতটি ভিন্নরকম ছবিতে আজকের ব্লগ||রেনডম ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে একটি রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আরো কয়েকদিন আগের কথা, যখন আমি আমাদের বাড়িতে ছিলাম। তখন আমার খালামণিও আমাদের সাথে গিয়েছিল। আর সে বায়না ধরে ছিল একটা রাস্তায় হাঁটতে যাবে। রাস্তাটা ছিল আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা সামনের দিকে। তবে আমাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটা ভিটি রয়েছে। সেখানে গেলে খুব সুন্দর করে দেখা যায়।রাস্তাটা এত সুন্দর লাগে দেখতে। কিছু গাছ লাগানো আছে। সবগুলো গাছ একসাথে লাগানোর কারণে একসাথে বেড়ে ওঠা এবং সৌন্দর্যমন্ডিত। যেখানে কিছু পাহাড়ি গাছ, কিছু আকাশী গাছ এবং ঝাউ গাছ রয়েছে। দুই ধারে গাছের কারণে খুব সুন্দর লাগে রাস্তাটা। আর সেই হিসেবে একদিন বিকেলবেলা আমরা হাঁটতে গেলাম। আর অনেকগুলো ছবি তুললাম। যদিও সে জায়গাটা ঘোরার ব্যাপার নিয়ে আমি একটা ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তবে আজকে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
এটি হলো বিকেলবেলার সূর্যাস্তের সময়ের একটি ফটোগ্রাফি। ছবিটি তোলার পর আমার কাছে এতটা ভালো লেগেছে যা বলার বাইরে। আমরা যখন ওই রাস্তাটায় হাঁটতে গিয়েছি তখন দেখলাম এই সূর্য অনেক সুন্দর আলো ছড়িয়ে আছে পশ্চিম আকাশে। আর তখন রাস্তার পাশের ঘাসগুলোকে কেন্দ্র করে আমি একটা ছবি তুলে নিয়েছি। বিশেষ করে ঘাসের উপরে সূর্যটা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। তাই ছবিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছে জাগলো। ভালো লাগবে আশা করি।
এই ফটোগ্রাফিটিতে ভালো করে লক্ষ্য করলেই দেখবেন একটা গাছের অংশ ঝুলে আছে। তবে এটা কিসের মধ্যে ঝুলে আছে তা জানলে হয়তো বা অবাক হবেন। বৈদ্যুতিক তারের মধ্যে একটি খুঁটি থেকে অন্য খুটির যে সংযোগ ছিল সে তারের মধ্যে এই গাছের একটা অংশ ঝুলে রয়েছে। এমন ভাবে ঝুলে আছে মনে হচ্ছে যেন গাছের গুড়ির মাঝখানে সেই তার ঢুকিয়ে তাকে ঝুলানো হয়েছে। এই বিষয়টা আমার কাছে বেশ অবাক লাগলো। যখন আমরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ করেই এই অংশটা দেখলাম আর ছবি তুলে নিলাম। অবিশ্বাস্য হলেও এই বিষয়টা একদম সত্যি।
রাস্তাটা যেহেতু বড় আর সেই রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে যখন মধ্যপথে গেলাম তখন একটা বাড়ির পাশেই দেখলাম কুকুর ছানা দুটি খেলা করছে। একটি হলো সাদা কুকুর ছানা, আরেকটি হলো সাধারণ যেই কালার কুকুরের হয় ওই কালার। অর্থাৎ বাদামি কালার আর কিছুটা সাদা কালার মিশ্রিত। তবে আমার কাছে কুকুর ছানাগুলোকে বেশ দারুন লাগছে। দুটোরই ছবি তুলেছি। তবে আজকে একটা ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আমাদের আশেপাশে ঘুরঘুর করছিল, কিছুদূর আমাদের পিছন পিছন গিয়েছিল তারপর আবার দৌড়ে বাড়িতে চলে গিয়েছে।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি কলার থোড় বের হয়ে আছে। এটি জমির পাশেই একটি গাছ। যেটা জমির মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গাছটিতে একটা থোড় বের হয়েছে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে কলার ছড়া বের হয়নি। দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছিল। শুধুমাত্র একটি গাছের মধ্যেই দেখলাম। যদিও অনেকদিন পর দেখা তাই ছবি তুলে নিয়েছি, আর ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এটি খাওয়া যায় বিভিন্ন রকম ভাবে। রান্না করেও খাওয়া হয়, খেতে ভালোই লাগে।
আশা করি অনেকেই এই ফুলের সাথে পরিচিত আবার কেউ অপরিচিত।অবশ্য ফুল দেখতে পেলেও ফুলের আশেপাশে যে কাঁটা গুলো দেখছেন তা দেখে হয়তো অনেকেই চিনে যাবেন। তবে আমি এর নাম বলবো না দেখি কয়জনে এটা সম্বন্ধে জানেন এবং কার কার পরিচিত এই ফুলটি। অপেক্ষায় রইলাম আপনারা জানেন কিনা বা আপনারা কখনো সচক্ষে দেখেছেন কি না।
রাস্তাটা কিন্তু খুবই সুন্দর। দুই পাশে অনেকগুলো গাছ লাগানো আছে। কিছু ঝাউ গাছ, কিছু পাহাড়ি গাছ। দুই বছর আগেও ছোট ছিল কিন্তু এই দুই বছরের মধ্যে অনেক বড় হয়ে গিয়েছে গাছগুলো। আমাদের বাড়ির পাশ থেকে যেহেতু এই রাস্তাটা দেখা যায় তাই অনেক বেশি সুন্দর লাগে। সেদিন বিকেলবেলা আমি, আমার আব্বু এবং ছোট বোন আর আন্টি সে রাস্তার উদ্দেশ্যে যাই আর সেখানে অনেক ছবি তুলেছি। ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব ধাপে ধাপে।রাস্তাটায় যে হাঁটতে যাবে সে একদম মুগ্ধ হয়ে যাবে চারপাশের প্রকৃতি দেখলে।
এখানে সূর্যাস্তের ছবি দেখতে পাচ্ছেন। তাল গাছের ফাঁকে সূর্যটাকে বেশ দারুন দেখাচ্ছিল। সেজন্যই আমি ছবি নিয়েছি। ছবিটা দেখতে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে এজন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আসলে এরকম ছবিগুলো আমার খুবই প্রিয়। আগে যখন আমি বিকেল বেলা আমাদের বাড়ির পিছনে হাটতে যেতাম তখন এরকম অনেকগুলো ছবি তুলতাম। আমার গ্যালারিতে সূর্যাস্তের ছবি আর সূর্য উদয়ের ছবি অনেক ছিল।যদিও এখন যাওয়া হয়না।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
|---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
|---|
| ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
|---|---|
| ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
| ক্যামেরা.মডেল | M12 |
| ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)










খালামনির বায়নার কারণে আমরাও সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম। বেশ সুন্দর লাগছিল প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি। আর দুপাশে খেজুর গাছের রাস্তাটা আসলেই খুব সুন্দর। সূর্যাস্তটাও বেশ ভালো লাগছে দেখতে। ভালো ছিল আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ আপনাকে।
খেজুর গাছের ফুলগুলো আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এই কারণেই কষ্ট করে এই ছবিটি তুলেছিলাম।
খেজুর গাছের ফুলগুলো আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এই কারণেই কষ্ট করে এই ছবিটি তুলেছিলাম।
https://twitter.com/bristy110/status/1616452139332796416?s=20&t=FMpacxpwlTi6HSDvpuYQsA
আপনার খালামনির সাথে রাস্তায় ঘুরতে যেয়ে দারুন ফটোগ্রাফি করেছে আপু।সূর্যের ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।খেজুর গাছে ফুল এসেছে খেজুর ধরার জন্য অনেক সুন্দর হয়েছে আপু দৃশ্যটা।অনেক সুন্দর হয়েছে রাস্তার দৃশ্য দুই ধারে গাছ লাগানো হয়েছে একসাথে বেড়ে ওঠা গাছগুলো সারিসারি খুব সুন্দর সুন্দর দেখাচ্ছে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর এবং রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আরো অনেকগুলো ফটোগ্রাফি রয়েছে আপু। আপনাদের সাথে শেয়ার করব সামনে, ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার খালামনি বাইরে হাঁটতে যাওয়ার বায়না করেছিল বলেই এত সুন্দর সব ফটোগ্রাফি গুলো করতে পেরেছেন। আসলে মাঝে মাঝে এরকম পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করলে কিংবা ঘুরাঘুরি করলে বেশ ভালো লাগে। নিজের বাড়ির আশেপাশে হয়তো অনেক সুন্দর জায়গা থাকে। আমরা অনেক সময় সেই সৌন্দর্যগুলো দেখতে পাই না। কিন্তু ফটোগ্রাফি করতে গেলে সেই সৌন্দর্যগুলো চোখে এসে ধরা দেয়।
রাস্তাটায় আমরা আগে অনেক গিয়েছি। আর আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। খুব প্রিয় একটি জায়গা। তবে ছোট আন্টির সাথে আবারো যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তাই ফটোগ্রাফি করতে পেরেছি।
আপু আপনার আজকের শেয়ার করা সাতটি ফটোগ্রাফিই বেশ দারুন হয়েছে। সূর্যাস্তের প্রথম এবং সপ্তম ফটোগ্রাফি দুটি আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। পঞ্চম নাম্বার ফটোগ্রাফিতে আপনি যে ফুলের কথা জিজ্ঞেস করেছেন সেই ফুলের নাম হচ্ছে খেজুর গাছের ফুল ।এটি আমাদের সবারই পরিচিত।
জি ভাই খেজুর গাছের ফুলগুলো আমার বেশি ভালো লাগে। আর আশেপাশে কাটাগুলোর কারণে এটি খুব সহজে চেনা যায়। সূর্যাস্তের ছবিগুলো খুব ভালো লাগে।
আপু আপনার সবগুলো ছবি বেশ সুন্দর। আপু তাহলে খালার সাথে বেশ ভালো বিকেল কাটিয়ে ছিলেন😄।আপু প্রথম ছবিটা বেশ সুন্দর।বিকেলবেলার সূর্যাস্তের দৃশ্য অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে,আর তাল গাছের ভিতরে উঁকি দেওয়া সূর্য টা বেশ ভালো লাগছে।আমি তো ভেবেছিলাম গাছের গুরি টা না যেন মাথার পরে,পরে বুঝলাম গাছের ভিতর দিয়ে কারেন্ট এর লাইন।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
কেন সেটার এই অবস্থা তা কিন্তু জানিনা আপু। তবে যেহেতু পথে দেখতে পেলাম তাই ছবি তুলে নিয়েছি। যদিও এটা অন্য এলাকা ছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক ধন্যবাদ সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য
আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফিই খুব দারুণ লাগছে। আমার কাছে কুকুর ছানার ফটোগ্রাফি টি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে 😋।
আমার ফটোগ্রাফির খুব শখ।এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
শখের বশে কত কিছুই না করেছি। আর আমার সবচেয়ে বড় শখ ছিল খরগোশ পালন করা, সেটাও করেছি। একদিন এই নিয়ে একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
বাহ! ফটোগ্রাফিতে তো আপনার বেশ ভাল দক্ষতা আছে। দারুন সব ছবি তুলেছেন আপনি। প্রথম ছবিটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফি তে কতটুকু দক্ষতা আছে তা জানিনা। তবে ছবি তুলতে ভালো লেগেছে, প্রিয় জায়গায় গিয়েছি তাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলার প্রকৃতির অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। বেশ ভাল ছিল আপু। বিশেষ করে খালামনির সাথে বাহিরে হাটঁতে যেয়ে গ্রামের পটোভূমির অনেক সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে ফেলেছেন। ধন্যবাদ আপু।
আরো অনেকগুলো ফটোগ্রাফি রয়েছে আপু। আপনাদের সাথে শেয়ার করব সামনে।ভালো থাকবেন সর্বদায়।