টুনা মাছের বার্বিকিউ রেসিপি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
গতকাল বিকেলে আমি মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করলাম। আর এটি হলো টুনা মাছের বার্বিকিউ। আসলে অনেকদিন হলো মাছের কাবাব বা বার্বিকিউ খাওয়া হয়নি।তবে যতবার খেয়েছি,বাইরেই খাওয়া হয়েছে।তাই এবার ভাবলাম বাসায় তৈরি করব।তবে এর মাঝে আবার কথা আছে,কিছুদিন আগে আমার হাজব্যন্ড এর মোবাইলে মাছের কাবাবের ছবি দেখেছিলাম।মূলত সে যখন ওমানে ছিল তখন সেখানে কিছু লোকজন মিলে বড় রুই মাছের কাবাব করেছিলো,সেই ছবি হঠাৎ দেখেই লোভ লেগে গেল।আর ইচ্ছে হলো বাসায় পিকনিক করতে।
আগে নানুর বাড়িতে গেলে সবাই মিলে টাকা তুলতাম,আর বাজার করে এনে বিরিয়ানী বা অন্যকিছু করতাম।আর সেদিন উদ্যোগটা আমি নিয়েছিলাম, বাসার সবাই মিলেই করব, যেহেতু আগে থেকেই করতাম।তো যাইহোক রীতিমত টাকা নিলাম ১০০০, এখানে আমার ভাই বোন আর আম্মুও জয়েন করেছিলো,তবে নিভৃতও বাদ যায়নি হাহাহা। কিন্তু খরচ হয়েছিলো ১৩০০ টাকা।
এরপর তো সকাল বেলা আমার হাজব্যন্ড আর ছোট ভাইকে বাজারে পাঠিয়ে সব উপকরণ নিয়ে আসতে বললাম।তখন তারা নিয়ে আসলে আমি দুপুর থেকেই সব প্রসেসিং শুরু করে দিলাম। তবে খুব বেশি সময় লাগেনি। এরমাঝে আবার মাছের সাথে পরোটা তৈরি করলো ছোট বোন আর আম্মু।সর্বোপরি একটা পিকনিক ভাব ছিলো।যাইহোক এবার চলুন কিভাবে করলাম এই বার্বিকিউ তা দেখে নেয়ার পালা।
আজকের রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
পরিমাণ |
টুনা মাছ | ১টি | পেঁয়াজ বাটা | ৪টি | চিলি সস | ৩টেবিল চামচ | লবণ | ২ চা চামচ | মরিচগুঁড়া | ২ চা চামচ | হলুদ গুড়ো | ১ চা চামচ | রসুন বাটা | ২টেবিল চামচ | আদা বাটা | ২টেবিল চামচ | টমেটো সস | ৩টেবিল চামচ | সয়া সস | ১টেবিল চামচ | ধনিয়া গুড়া | ১চা চামচ | বারবিকিউ মসলা | ৩টেবিল চামচ | সরিষার তেল | ১ কাপ | লেবু | ১টি |
প্রথমে টুনা মাছটিকে পাখনা সহ সবকিছু কেটে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলাম।কয়েকবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম। তারপর এই মাছের দুই পাশেই ছুরি দিয়ে কেটে নিয়েছি ছবিতে দেখতে পাবেন। দ্বিতীয় ধাপে আমি প্রথমে মাছের মধ্যে লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম। একটি প্লেটের মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, টমেটো সস, চিলি সস নিয়ে নিলাম। তারপর দিয়ে দিলাম এক ফালি লেবুর রস, আধা বাটা, রসুন বাটা। আলাদা একটা পাত্রে নিয়ে এগুলো সব কিছু হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম। এরপরে দিয়ে দিলাম সয়া সস,মরিচ গুড়ো, হলুদ গুড়ো,লবণ, ধনিয়া গুড়ো, বারবিকিউ মসলা এবং চিনি ।সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম। এখন লেবু মাখানো মাছটা নিলাম।তারপর মিক্স মসলাগুলো মাছের মধ্যে লাগাতে থাকলাম।২পাশেই ভালোভাবে লাগিয়ে নিলাম যাতে কাটা অংশগুলোতে লাগে।এরপর আমি প্রায় ২ঘন্টা রেখে দিলাম ম্যারিনেশনের জন্য। এখন কয়লা রেডি করবো,সেজন্য কয়লাগুলো ছোট ছোট করে ভেঙে নিলাম।তারপর প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগলো কয়লাতে আগুন জ্বালাতে।কয়লা ভালোভাবে জ্বলে উঠার পর মাছ দেবো। এখন মাছের স্ট্যান্ডের মধ্যে সরিষার তেল লাগিয়ে নিলাম যাতে মাছ আটকে না যায়।ম্যারিনেট করে রাখা মাছ এখন স্ট্যান্ডের মধ্যে নিয়ে নিলাম।তারপর মসলাগুলো দিয়ে মাখালাম আরেকবার।ও হ্যা,এখানে আমি একটি বড় তেলাপিয়া মাছও বারবিকিউ করেছিলাম মাথা ছাড়া।তবে জাস্ট টুনা মাছের রেসিপিটা দিলাম,কারণ ২টাই একইভাবে করা। তো যাইহোক এভাবে প্রায় ১ ঘন্টার মধ্যে খুব সুন্দর করে পোড়ানো হয়ে গেল।তবে এর মাঝে যতবার উলটে দিয়েছি ততবার কিছু মসলা,সরিষার তেল, আর লেবুর রস ব্রাশ করে দিয়েছিলাম।এভাবে যখন ২পাশ ভালোভাবে পোড়া পোড়া হয়ে এলো তখন আমি তুলে নিলাম। আশা করি,আপনাদের কাছে অবশ্যই ভালো লাগবে আমার আজকের এই রেসিপি।
|
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেসিপি |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
টুনা মাছ এর বারবিকিউ তৈরি করার সাহস করেছেন আপনাকে বাহবা দিতেই হচ্ছে আপু। কারণ সাধারণত এগুলো বাড়িতে কেউ বারবিকিউ করে না। বেশ অনেকগুলো উপকরণের প্রয়োজন হয়েছে দেখছি। এবং মাছ টাও বেশ বড় দেখছি। এবং বারবিকিউ টা দেখছি বেশ চমৎকার করেছেন আপু। বেশ লোভনীয় লাগছে। পরিবারের সবাই মিলে বেশ দারুণ একটা সময় উপভোগ করেছেন।।
আপু আপনার শেয়ার করা এই টোনাফিসের রেসিপিটি দেখে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল। এইতো কলেজে প্রথম ভর্তি হয়েই মার্চের প্রথম সপ্তাহে আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে যায়। তারপর সেখানে রাত্রে বীচে এসে সমুদ্রের টোনা ফিস দেখে আমরা এই টোনা ফিস খাইলাম।খাইতে খুবই স্বাদ লেগেছিল এবং খুবই মজা করে খেয়েছিলাম। তবে আপনার এই রেসিপিটি মনে হচ্ছে অনেক সাধ হয়েছে
ধন্যবাদ আপু টোনাফিস খাবার কথাটি আপনার পোস্ট দেখে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টুনা মাছ সামদ্রিক মাছ হওয়ার কারনে স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারী। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃুদ্ধিতে টুনা মাছ বেশ কার্যকরী। আর আপনি তো দেখছি সেই টুনা মাছ দিয়ে সুন্দর করে বারবিকিউ বানিয়ে নিয়েলেন। টুনা মাছ দিয়ে এত সুন্দর করে বারবিকিউ করা যায় তা তো জানতাম না। যাক আপনার কাছ হতে দারুন একটি রেসিপি পেলাম।
প্রথমবার করেছিলাম আপু।ভালোই লেগেছে গরম গরম খেতে।
যদিও এই বারবিকিউ পার্টি ওমান থাকতে আমি অনেকবারই করেছি। তবে এইবার তুমিও অনেক ভালো করেছো। মাছটাকে যেভাবে এদিক ওদিক উলটপালট করে দিয়েছিলে, আমি তো ভাবছি মাছ না জানি পড়ে যায়। যাইহোক বেশ মজা হয়েছিল আর নিভৃতও দেখেছি অনেক আনন্দ করে খেয়েছে।
টুনা মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। তবে টুনা মাছ দিয়ে এভাবে বারবিকিউ বাসায় তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
টুনা মাছটি খেতে ভীষণ মজা লাগে। আসলে মাছটির মধ্যে কাঁটা কম আর মাছটির মধ্যে আয়োডিন রয়েছে। টোনা মাছের বার্বিকিউ রেসিপি বাহ্ দারুন হয়েছে। খেতে নিচ্ছই মজা হয়েছে। ভিন্ন রকম একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বাহ তাহলে তো চমৎকার একটি সময় কাটালেন। বারবিকিউ দেখে তো লোভ লেগে গেল আপু। এত মজার করে আপনি টুনা মাছের বারবিকিউ তৈরি করতে পারেন। আশা করি খেতে অনেক ভালো লাগবে। এভাবে মাছ দিয়ে কখনো বারবিকিউ তৈরি করে খাওয়া হয়নি। উৎসাহ পেয়েছে আপনার মাধ্যমে তৈরি করার চেষ্টা করব।
আপনার রেসিপিটা অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটা দেখে একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।