গুলশানের দ্যা চকোলেট রেস্টুরেন্টে কাটানো মুহুর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।আজ শেয়ার করব টিবি টেস্ট দেয়ার পর আমরা কোথায় গিয়ে নাস্তা করলাম আর বেশ বড় একটা ধাক্কা খেলাম সেই বিষয় নিয়ে।চলুন তাহলে বিস্তারিত শেয়ার করি।
আমরা যখন টেস্ট দিয়ে বের হলাম তখন প্রায় ১০টার কাছাকাছি। যাইহোক সকাল বেলায় তো নাস্তা করা হয়নি তেমন কিছু। তাই ভাবলাম কোথাও বসে নাস্তা করব।তাই আমরা ওখান থেকে হেটে চারদিকে খুঁজতে থাকলাম কোনো রেস্টুরেন্ট আছে কিনা।পরে দেখলাম এখনো কিছু রেস্টুরেন্ট খোলা হয় নি। আর তেমন বেশি রেস্টুরেন্ট সেখানে ছিলও না। যাইহোক নতুন জায়গা তাই আমরা হয়তো চিনি না। পরে দেখলাম দ্যা চকোলেট নামে একটা রেস্টুরেন্ট খোলা আছে।যদিও সেখানে বেশিভাগ খাবারই ছিল ড্রিংস, কফি, চকোলেট আর বিভিন্নরকম কেক।
যাই হোক ভাবলাম হালকা-পাতলা কিছু খেয়ে নেব, দেখি সেখানে কি কি আছে। যেই ভাবনা সেই কাজ। তখন ভেতরে গেলাম একটা জায়গায় বসলাম। আমরা যাওয়ার পর দেখলাম সেখানে এখনো প্রসেস অর্থাৎ কাস্টমার আসবে সেজন্য সব কিছু রেডি করছে। যেহেতু আমরাই প্রথম গিয়েছি সেই হিসেবে তারা আমাদের একটা জায়গা সেট করে বসতে দিল। তারপর আমরা মেনু কার্ড নিলাম। মেনু কার্ড নেওয়ার পর যখন এক এক করে আমরা খাবার গুলো দেখছিলাম তখন আমরা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসছিলাম। কারণ এই সামান্য খাবারগুলোর দাম এত টাকা হতে পারে তা হয়তোবা সেখানে না গেলে বুঝতাম না কখনো।
তো যাইহোক সকাল সকাল গিয়ে যদি হালকা নাস্তা করতেই ২০০০+ টাকা দিতে হয় মাত্র ২জনের জন্য সেক্ষেত্রে দুপুর আর রাতে খেতে যেতে কি হবে সেটাই ভাবছিলাম আমি।এরপর তো ভাবলাম মেনু কার্ড ছাড়া অন্য কোনো খাবার রাখে কিনা।তখন বললো স্পাইসি আর ফাস্টফুড আইটেম থাকে তবে এখনো আসে নি।তো ভাবলাম জাস্ট কফি খাবো এখন। তখন জিজ্ঞেস করার পর রেস্টুরেন্টের মালিক বললো কোন কফি খাবো।বললাম যে নরমালি যেটা হয় সেটা দিতে।তখন তিনি বললেন ক্যাপাসিনো খাবো কিনা। ভাবলাম যে খাওয়া যেতে পারে।
এর কিছুক্ষণ পর তিনি কফি নিয়ে হাজির হলেন। আমি তো দেখেই অবাক হলাম। কত বড় একটা কাপে করে কফি এনেছেন তিনি।আমি মনে মনে ভাবছি এই পুকুরটা কবে শেষ করবো হাহাহা।যাইহোক তারা সুগার ছাড়াই কফি বানিয়েছে।তবে সাথে ব্রাউন সুগার আর হোয়াইট সুগার ২টোই দিয়েছে।আমরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী নিতে পারবো।যাইহোক যেহেতু আমাদের সাথে বাচ্চা ছিল সে হিসেবে তিনি কিছু কুকিজ দিয়ে গিয়েছিলেন। তখন নিভৃতের হাতে একটা দিলাম। খুব বেশি কান্না করছিল সে জন্যই। সে তো খেতে পারে না কিন্তু এগুলোকে ভেঙে সে নিচেই ফেলে দিল।
তো আমরা কফি খাচ্ছি আর পিছনের দেয়ালে চকোলেট হিস্টোরি পড়ছি।যাইহোক কোনোমতে শেষ করলাম।তারপর বিল নিয়ে আসলেন তিনি।বাহ বিল এলো এই ২টো কফির ৮৭০ টাকা।আমি শুনে তো যেন একটা ধাক্কা খেলাম। একটা কফি ৪৩৫ টাকা করে এলো।তো বিল পে করে আমি সামনের দিকে এলাম আর কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।ডেকোরেশন আর ইন্টেরিয়র সবই খুব সুন্দর ছিল।জায়গাটাও বেশ বড়।আমরা যখন খাচ্ছিলাম তখন নিভৃতকে সেই মালিক একটা বেলুন দিয়েছিল,সে অনেক্ষণ সেটা নিয়ে খেললো।এরপর নিজে নিজে হাটছিল সেখানে।
আমরা ছবি তুললাম, কিছুক্ষণ সময় কাটালাম।এরপর বেরিয়ে গেলাম। যেতে যেতে অনেক ছবি তুলেছি।হয়তো সব ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাচ্ছে না।যাইহোক তারপর আবার চলে গেলাম রিপোর্ট আনতে।তখন সেখানে পোঁছাতেই এসিস্ট্যান্ট বললো আপনার রিপোর্ট হয়ে গেছে।তখন আমি গিয়ে নিয়ে নিলাম।এরপরে বের হয়ে বাসায় চলে গেলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ধাক্কা খাওয়ার মতই একটি অবস্থা ঘটেছিল তখন।২টা কফির যে এত দাম হবে কল্পনাও করতে পারেনি। যাইহোক অনেক ঝড় ঝাপটা শেষ করে অবশেষে টিবি টেস্ট এর রেজাল্ট বা সার্টিফিকেট হতে পেরেছি এতেই শান্তি। সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
আবারও ইচ্ছা রইলো গুলশানে যাওয়ার।
রেস্টুরেন্ট বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু। রেস্টুরেন্ট পরিবেশ খুবই চমৎকার। দুইটা কফির দাম এত বেশি দেখে সত্যি আমি খুব আশ্চর্য হয়ে গেলাম। ৪৩৫ টাকা একটি কফির দাম হলে তা সত্যিই অনেক বেশি। গুলশানের দ্যা চকোলেট রেস্টুরেন্টে কাটানো মুহুর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাইয়া,দাম বেশি ছিল ঠিকই, কিন্তু খেতে মন্দ হয়নি।
রেস্টুরেন্টে দারুন অভিজ্ঞতা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এমন এমন জায়গা রয়েছে যেখানে সামান্য কিছুর মূল্য এমনভাবে ধরা হয় যা কল্পনার বাইরে ঠিক এমনটা রাজশাহীতে আমারও হয়েছিল।
কি আর করা ভাই,ফাঁদে পড়লে কিছু করারই থাকে না।
আপু এসব রেষ্টুরেন্ট গুলো আসলে ধান্দাবাজি ছাড়া কোন কিছু নয়। এত বড় একটি কাপে মনে হচ্ছে যে পুকুরের পানি খাওয়ার মত করে খেতে হয়েছে। যা কফির দাম যথেষ্ট পরিমাণ ছিল। বিস্কিট না খেলেও কফি খেলে পেট ভরে যেত আপু হা হা হা। করার কিছু ছিল না আপু অবশেষে খেয়ে নিলেন এবং খুব সুন্দর একটি বিল দিলেন। তাছাড়া রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন টা খুব সুন্দর ছিল। মনে হয় ডেকোরেশন এর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন সেই জন্য কফির সাথে আপনাকে ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হলো হি হি হি।
হ্যা আপু,বিস্কিট খাই নি।জাস্ট কফিই খেয়েছিলাম।