লাইফ স্টাইল।। হঠাৎ চানাচুর ও মুড়ি খাওয়ার মজার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৯/০৭/২০২৪) রোজ: সোমবার।
💞 শুভ বিকেল 💞
আপনারা জানেন আমি ইতিপূর্বে আমার এই ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা অর্থাৎ এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি সাময়িক ছুটি নিয়েছি।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
এইতো বয়স কয়েকদিন আগে বিকেলের মুহূর্তে আমি সহ আমার সাথে আরও দুইজন মিলে স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। বাসা থেকে আছরের নামাজ আদায় করে বের হয়েছিলাম। আমরা পথের মাঝ পথে গিয়ে দেখি হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আসলে আমরা বুঝতেছিলাম না যে ওই মুহূর্তে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে মুড়ি খাওয়ার তেমন কোন আইডিয়া আমাদের ছিল না। কিন্তু হঠাৎ! বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমার মনে হলো। চানাচুর মুড়ি খাওয়া কথা। এ বৃষ্টিময় মুহূর্তে বেশ ভালো লাগবে চানাচুর মুড়ি খেতে। কেননা বৃষ্টির সময় আমি বাসায় থাকলে মুড়ি আর চানাচুর না খেয়ে পারি না। বৃষ্টির সময় আমার কাছে দুইটা জিনিস খেতে খুবই ভালো লাগে। প্রথম হচ্ছে ভাপা পিঠা আর দ্বিতীয় টা হচ্ছে চানাচুর ও মুড়ি মিক্সড করে মাখিয়ে খাওয়া। ঐ দিনে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়াতেই মুড়ি খেতে মন চাইলো । তাই বৃষ্টি যখন থেমে গিয়েছিল ওই মুহূর্তে খুব দ্রুত আমরা তিনজন আমাদের স্কুল বাজারে গেলাম। এরপর সেখান থেকে ৩০০ গ্রাম মুড়ি ও দুই প্যাকেট লাভলি চানাচুর ক্রয় করলাম। ওই মুহূর্তে বাসা থেকে অনেক আগেই চলে এসেছি। যে কারণে কাঁচামরিচ সাথে বাসায় যেভাবে বিভিন্ন আইটেমের মাধ্যমে মুড়ি মাখিয়ে খাওয়া হয়। সেভাবে আর ঐ দিন মুড়ি মাখিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে হঠাৎ করে কোন জিনিস আয়োজন করে খেলে বেশ ভালো লাগে। আর বৃষ্টির মুহূর্তে মুড়ি খাওয়ার তো মজাই আলাদা। তাই এই মুড়ি একটু অন্য স্বাদে খাওয়ার জন্য চানাচুরের সাথে তিনজনের তিনটা তেতুল চাটনি ক্রয় করলাম। সব মিলিয়ে আমাদের বিল হয়েছিল ৮০ টাকা। এরপরে বিল পরিশোধ করে আমরা সেগুলো নিয়ে স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলাম।
বৃষ্টি যখন একদম থেমে গেল ওই মুহূর্তে আকাশের দৃশ্যটা ছিল অসাধারণ। তাই ভাবলাম আমরা মুড়ি স্কুলের ছাদের উপরে গিয়ে খাওয়া যাক। তাতে প্রকৃতির দৃশ্য সাথে মুড়ি খাওয়ার আড্ডাটা বেশ ভালই মজার হবে। তাই আমরা তিনজন স্কুলের ছাদে উঠে পড়লাম। যদিও স্কুল বন্ধ কিন্তু আমাদের একটা টেকনিক আছে যে স্কুল তালা দেওয়া থাকলেও আমরা ছাদে উঠতে পারি। ওই টেকনিকটা মূলত কাজে লাগিয়ে ছাদে উঠলাম। ছাদে উঠেই দৃশ্যটা খুবই ভালো লেগেছিল। তাই মুড়ি খাওয়ার আগেই উপরের এই সেলফি ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। কিন্তু ছাদে আমরা বেশিক্ষণ অতিবাহিত করছিলাম না। কেননা এই তিনতলা বিশিষ্ট ছাদে যে কেউ দেখলে বকা দেয়। এমন কি এটা বিপদজনক। তাই আমরা খুব দ্রুতই ছাদ থেকে আবার নিচে নেমে আসি।
ছাদ থেকে নিচে নেমে এসে এবার মুড়িতে প্রথমে লাভলীর প্যাকেট গুলো কেটে লাভলী চানাচুর দিয়ে দিলাম। এমন সময় উপরের এই ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। এখন পোস্ট লিখতে বসে দেখে আমি লোভ সামলাতে পারছি না। নিশ্চয়ই আপনারা যারা দেখছেন তাদের অবশ্যই লোভ হচ্ছে। কেননা এগুলো খুবই লোভনীয় খাবার।
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি খুব সুন্দর করে এই মুড়ি চানাচুর একসাথে মিশিয়ে নিয়েছি এবং খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এমনভাবে মিশে নিয়েছে যাতে মুড়ি আর চানাচুর কোনোটা আলাদা করা না যায়। কেননা এই মুড়ি আর লাভলী চানাচুর যদি ভালোভাবে মেশানো না যায় তাহলে এটা খেতে তেমন একটা স্বাদ হবে না। আর ওই দিন একটু ভিন্নভাবেই এভাবে মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে ছিলাম। যদি বাসায় থাকতাম বা বাসায় খেতাম তাহলে হয়তো আরও একটু আইটেম যোগ করে দারুন ভাবে মুড়ি মাখিয়ে খেতাম। তবে বেশ কয়েকজন একসাথে মুড়ি মাখিয়ে খেলে সে মুহূর্তটা তো সেই সুন্দর হয়।। সাথে যেন খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আর এভাবেও মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে বেশ মজা পেলাম সেদিন। আমাদের তিনজনের হাতে তিনটা তেতুল চাটনি । তেতুল চাটনি ও মুড়ির স্বাদে একদম প্রাণটা ভরে গিয়েছে। এভাবে হঠাৎ বৃষ্টির দিনে সেই দিন মুড়ি মাখিয়ে খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। কিন্তু সেই দিন যদি বৃষ্টির মুহূর্তে মুড়ি না খাওয়া হতো তাহলে আমার ভালো লাগতো না। তবে মাঝে মাঝে এভাবে মুড়ি খাওয়ার পার্টিতে বেশ ভালো লাগে। কেননা সবাই মিলে একসাথে কোনো কিছু খেলে সেটা খেতে খুব ভালো লাগে। সেই সাথে তো স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায় । সব মিলিয়ে ওই দিনে হঠাৎ বৃষ্টির মুহূর্তে । এভাবে মুড়ি মাখিয়ে খেতে পেরে নিজের কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। তাই আজকে সেই অনুভূতিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি আপনার পরীক্ষার জন্য ছুটি নিয়েছেন আর যেহেতু পরীক্ষা স্থগিত আছে সেই সুযোগে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। চানাচুর এবং মুড়ি আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। দারুন হয়েছে আপনার পোস্ট।
হ্যাঁ আপু অবসর সময়ে আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করার জন্য চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুবই লোভনীয় একটা ব্যাপার আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। বৃষ্টির দিনে মুড়ি চানাচুর খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। লাভলী চানাচুর দিয়ে মুড়ি খেতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে।
চানাচুর এবং মুড়ি খাওয়াটা সবসময় হঠাৎ করেই হয়ে থাকে। বন্ধুবান্ধব বা ভাই স্বজন যেই থাকুক না কেন সবাই এক জায়গায় বসে থাকলে গল্প করলে হঠাৎ করে মরে এবং চানাচুর খাওয়ার কথাটাই মুখে আসে প্রথম। আপুর আজকে ও মুড়ি খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। তবে বানান গুলো ঠিক করে নিবেন ধন্যবাদ ।