আসসালামু আলাইকুম আমার স্টীম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজ আমি @biplob89 অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমি আজকে আপনাদের মাঝে আরো নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা হলো প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য কলেজে যাওয়া।।

আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দেখি বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। আজকে আমার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা ছিল। তাই পরীক্ষার জন্য সকালে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেডি হলাম। এদিকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তাই বন্ধুরা সবাই ফোন দিয়ে বলছে আজকে কি পরীক্ষা হবে? কেননা বৃষ্টির চাপ অনেকটাই বেশী ছিল। এদিকে আমি রেডি হয়ে বসে আছি বন্ধুদের ফোনের অপেক্ষায়। কেননা ওরা স্যারের সাথে যোগাযোগ করে পরে আমাকে বলল আজকেই পরীক্ষা হবে দ্রুত কলেজে আসো। তাই কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলাম।

তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

আজকে কলেজে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা ছিল। যদিও আজকে সরকারিভাবে ছুটি। তারপরেও আমাদের এইচএসসি প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষার জন্য আমাদের কলেজে আজকে পরীক্ষা হয়েছে। সকাল থেকে একাধারে বৃষ্টি অনেক জোরে হচ্ছে। তাই ভাবলাম ছাতা নিয়ে বের হই। ছাতা নিয়ে রাস্তায় যেতেই দেখি কিবরিয়া বন্ধু সে মোটরসাইকেল নিয়ে আসছে। তার সাথে আরও একটা ফ্রেন্ড। এবার আমি সহ আমরা তিনজন মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিলাম কলেজে। এদিকে মোটরসাইকেলে ছাতা ধরবো তা হচ্ছে না। কেননা ছাতা ধরে মোটরসাইকেল চালানো খুব একটা রিক্সের ব্যাপার। তাই আমরা ভিজতে ভিজতেই কলেজে রওনা দিলাম। কলেজে যেতে যেতে আমরা তিনজনিই ভিজে গিয়েছি। তাই ভাবলাম একটা করে গরম চা খাওয়া যাক। আর বাজারে পৌঁছে গাড়ি এক পাশে রেখে চা খাওয়ার জন্য একটি দোকানে গেলাম। এমন সময় উপরের ছবিটি আমি সংগ্রহ করি।

আমরা ছিলাম তিনজন তাই তিনটা চায়ের অর্ডার দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের তিনটা চা দিয়ে দিল। এদিকে কলেজে পরীক্ষা শুরু হবে ৯ টায়। আমরা ভিজে একদম শেষ এমনকি কাঁপুনি ধরে গেছে। তাই আমরা চা খেলাম। চা খাওয়ার সময় উপরের ছবিটি আমি সংগ্রহ করেছি। সত্যিই আজকে চা টা খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। তাছাড়া উপরের ছবিটিতে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন চায়ের রংটাও কিন্তু বেশ দারুন হয়েছে। তাছাড়া খেতে খুবই ভালো লেগেছিল।

চা খাওয়া শেষ করে তিন বন্ধু আবার মোটরসাইকেলে রওনা দিলাম কলেজে। চা খাওয়া শেষ হলে উপরের এই ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমরা তিন বন্ধু এক ফ্রেমে। তাছাড়া বৃষ্টিতে ভিজে আমরা একদম শেষ। এমনকি আমাদের গায়ে টি শার্ট সহ প্যান্ট ভিজে গিয়েছিল। তো কি আর করার আজকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা। তাই সব বাধা পেরিয়ে কলেজের দিকে রওনা দিলাম।

এরপরে কলেজের সামনে গাড়ি রেখে তিন বন্ধু কলেজে প্রবেশ করলাম। কলেজে প্রবেশ করে আমরা ফ্রেশ হওয়ার জন্য দ্বিতীয় তালায় যাই। এরপরে সেখানে আমরা ফ্রেশ হলাম। এরপরে দেখি আমাদের পরে অনেক বন্ধুরা এই বৃষ্টির দিনে ছাতা মাথায় দিয়ে কলেজে আসছে। আপনারা উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমার বেশ কয়েকজন বন্ধুরা ছাতা মাথায় দিয়ে কলেজে প্রবেশ করছে। আমার বন্ধুরা যখন কলেজে এসেছিল ঠিক ওই মুহূর্তে আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি।

কলেজে গিয়ে দেখতে পেলাম বৃষ্টির কারণে অনেকেই এখনো পরীক্ষার কেন্দ্রে এসে পৌঁছায়নি। যেখানে আমাদের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ৯ টায়। সেখানে এই বৃষ্টির কারণে এই সময় বাড়িয়ে ১০:৩০ মিনিট করা হয়েছিল। এরপরে অফিসে গিয়ে দেখলাম স্যার এসে বসে আছে। কিন্তু অনেকেই এখনো কলেজ এসে পৌঁছায় নি। তারপরে স্যার আমাদের বলল তোমরা তোমাদের এডমিট কার্ড ফটোকপি করে নাও। কেননা প্র্যাকটিক্যাল খাতার সাথে এডমিট কার্ড জমা দিতে হবে। তাই ওই মুহূর্তে আমরা কম্পিউটারের দোকানে গেলাম। কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে সেখানে দেখে বিদ্যুৎ নাই। একদিকে সারা পথ বৃষ্টিতে ভিজে কলেজে এসেছি এমনিতে মেজাজ অনেক গরম। সেই সাথে আবার বিদ্যুৎ নাই তাই ফটোকপি হচ্ছে না। সত্যি খুবই বিরক্তিকর লাগছিল। তাছাড়া কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে দেখে অনেক ভিড়। তো শেষমেষ সেখান থেকে এডমিট কার্ড ফটোকপি করলাম। এরপরে এ ফোর সাইজের পাঁচটা কাগজ ক্রয় করলাম। প্র্যাকটিক্যাল লেখার জন্য এই খাতা কিনতে হয়েছিল। কেননা এবার পরিস্থিতিতে সবকিছু গোলমাল হয়েছে যে কারণে কলেজ থেকে এগুলো রেডি করে নি। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বন্ধু কিবরিয়া সে কম্পিউটারের দোকানে। মূলত অনেক ভিড় ছিল তাই তাকে বলেছিলাম তুমি গিয়ে আগে আমাদের কাজটা কমপ্লিট করে নাও। তাই সে আগে গিয়ে আমাদের কাজটা কমপ্লিট করে আমরা দ্রুত সেখান থেকে চলে আসলাম।এরপরে এডমিট কার্ড ফটোকপি হলে আমাদের কলেজের টপ শিট নিয়ে নিলাম। তারপর কলেজে প্রবেশ করলাম।

কলেজে প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পরেই স্যার রুমে এলো। এরপর আমাদের সকলের কাছে একটা করে প্রশ্নপত্র দেয়া হলো। প্রশ্ন পত্রে পাঁচটি পরীক্ষণ ছিল। পাঁচটি পরীক্ষণ এর মধ্যে যেকোনো একটি লিখতে হবে এটা লেখা ছিল। তাই আমি সেখান থেকে দুই নাম্বার পরীক্ষণটি লিখেছিলাম। আমার লেখা শেষ হলেই দেখলাম বন্ধুরা এখনো লিখছে। উপরের ছবিটির দিকে আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন সবাই প্র্যাকটিক্যাল লিখছে। তারা যখন লিখেছিল সেই সময় আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। তাছাড়া আজকের দিনটা কিভাবে কাটলো নিজেও জানিনা। কেননা এ প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাতে সারা পথ বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছি আজকে আমার ঠান্ডা লেগেছে। যাইহোক এক পর্যায়ে লেখা শেষ হলো। প্র্যাকটিক্যাল লিখতে আমার সময় লেগেছিল ২০ মিনিট।

প্র্যাকটিক্যাল লেখা শেষ হলে উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। তবে প্র্যাকটিক্যাল লেখা শেষ এখন শুধু জমা দেওয়ার অপেক্ষায়। তাই আমাদের একে একে রুল ধরে ডাকছিল। প্রথমে বিজ্ঞান গ্রুপের ছাত্রদের ডেকে নিল। এর পরে পর্যায়ক্রমে মানবিক ছাত্রদের ডাকলো। আমার কলেজের ক্লাসের রুল ৬৮১। তাই আমাকে অনেকক্ষণ ওয়েট করতে হয়েছিল। সত্যিই জমা দেওয়ার এই আগ মুহূর্তে বসে থাকতে আমার মোটেও ভালো লেগেছিল না। তারপরে ও স্যার যেহেতু পর্যায় ক্রমে ডেকেছিল তাই একটু দেরি হয়েছিল। এরপরে আমার রুল ধরে ডাকলো। সেখানে গিয়ে স্যার আমাকে একটা সিট দিল সেখানে আমি আমার নাম এবং এডমিট কার্ডে রোল নম্বর দিয়ে দিলাম। এরপরে আমাকে ভাইবা প্রশ্ন করা হলো। ভাইবা পরীক্ষা শেষ করে প্রাকটিক্যাল খাতা জমা দিয়ে কলেজ থেকে চলে আসলাম। এরপরে অটো গাড়িতে করে সোজা বাসায় ফিরলাম।

টেবিল ০১	টেবিল ০২
ডিভাইস	OPPO A15
পোস্ট তৈরি	@biplob89

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

@biplob89

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।