লাইফ-স্টাইল।। প্রথম ঢাকায় যাওয়ার অনুভূতি ( পর্ব-০২)।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৪/০৬/২০২৪) রোজ: মঙ্গলবার।
💞 শুভ বিকেল 💞
আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি তা আপনারা উপরে টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন। ইতিপূর্বে আমি ঢাকায় যাওয়ার অনুভূতির প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি তাই আজকে আবারো দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি রাত্রে ভ্রমন করেছিলাম তাই দীর্ঘ ছয় ঘন্টা জার্নি করার পরেই ঢাকায় গিয়ে পৌঁছালাম। এরপরে আঙ্কেল আমাকে বাসস্ট্যান্ডের নিতে আসছিল। আমার ফুফুমনিরা ঢাকায় মিরপুর ১১ তে আছে। এরপরে সিএনজিতে করে আমের আংকেল বাসায় রওনা দি। বাসায় পৌঁছে গিয়ে আঙ্কেল বলল ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নাও। যেহেতু অনেকটা পথ জার্নি করেছি তাই প্রথমে গোসল শেষ করলাম এবং ব্রাশ করে একদম সম্পূর্ণভাবে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার জন্য বসে পড়লাম। তারপরে নাস্তা শেষ করলাম।
নাস্তা শেষ করার কিছুক্ষণ পরেই খুকুমণি ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করে দিল। পরে আপনারা যে মিষ্টির ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে আমি যখন এ মিষ্টি খেয়েছিলাম ঠিক তখন ওই মুহূর্তে এই ফটোগ্রাফিটি সংগ্রহ করা হয়েছে। আসলে এ মিষ্টিগুলো এতই স্বাদ তা বলে বোঝাতে পারবো না। এই মিষ্টিগুলো অনেকটা লম্বা এবং চিকন। খেতে বেশ মজার ছিল। এরপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সকালে যেহেতু অনেকটা জার্নি করেছি তাই বলল নাস্তা শেষ হলো এবার তুমি একটু রেস্ট নাও। তাই খুব একটা বড় করে ঘুম দিলাম। আসলে অনেক জার্নি করলে ঘুমাতেও বেশ ভালো লাগে এবং শান্তি লাগে। তাই এক ঘুমে বিকেলে উঠলাম।
বিকেল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে একটু রেডি হয়ে নিলাম। আমার একটা অভ্যাস হচ্ছে রুমের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকতে ভালো লাগে না। তাই বিকেলে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম। বাইরের দৃশ্য গুলো দেখার জন্য। আমার অনেক দিনের শখ ছিল আমি ঢাকায় যাব আর ঢাকায় গিয়েছি আর ঢাকার দৃশ্য গুলো দেখবো না তা তো হয় না। আসলে মনে প্রতিবার আসতো মনে হতো আমি কবে ঢাকায় যাব। অবশেষে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া শেষ হয়ে আমি গিয়েছিলাম। সেই দিনগুলো সত্যি আজ খুবই মনে পড়ছে। তো এভাবে রেডি হয়ে নিলাম বাহিরে যাওয়ার জন্য।
আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম তখন হালকা শীত ছিল। কিন্তু ঢাকা শহরে এই শীত কিছুই মনে হয় না। তাই একটা টি শার্ট পড়ে বিকেলে বেরিয়ে পড়লাম। হারুন থেকে বের হয়ে নিচে যে কাঁচা বাজার ছিল সেখানে একটু ঘোরাঘুরি করলাম। সত্যি ঢাকা শহর মস্ত বড়। সেই সাথে অনেক জনতার ভিড় দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। ফুফুমনিরা যেখানে থাকে সেই বসার নিচেই কাঁচামালের বাজার। তাই বিকেলে এই বাজারে এসে একটু ঘোরাঘুরি করলাম এবং আমার সত্যি খুবই ভালো লেগেছিল। ঢাকা শহরে যে কোন জায়গায় একদম অস্থির জনতার ভিড় দেখতে যেন এক কল্পনিক মনে হয়। আর প্রথম কোন জায়গায় গেলে সত্যি কথা বলতে সেখানকার দৃশ্যগুলো দেখলে যেন একটু অবাক হওয়ার মতো হয়ে যায়। আর ঢাকা শহর সত্যিই এক অসাধারণ দৃশ্য। আর এমন দৃশ্য প্রথম চোখে দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। সেই অনুভূতিগুলো বলে বোঝানো যাবে না হয়তো। আর বিকেলে যখন কাঁচা বাজারে গিয়েছিলাম ঠিক ওই সময় বেশ কয়েকটি সেলফি ছবি আমি আমার ফোনে ধারণ করি যেটা আপনারা উপরে দেখতে পাচ্ছেন। আমার ছবির পিছনে দেখতে পাচ্ছেন অনেক শাকসবজির দোকান। আর একটা বিষয় আমার খুবই ভালো লেগেছিল যে সেখানে কাঁচাবাজারে সবজি গুলো খুব সুন্দর করে সাজানো রয়েছে দেখলেই যেন মন ভরে যায়। আর এত সাজানো-গুজানো দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছিল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকে আপনি আবারও আমাদের মাঝে ঢাকায় আসার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার দ্বিতীয় পর্ব দেখে। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ঢাকায় আসার অনুভূতি। মধ্য দিয়ে কিন্তু বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হল।
যারা কখনো ঢাকা যায়নি, তাদের অন্তত একবার হলেও ঢাকা যাওয়ার খুব ইচ্ছা থাকে। সেই দিক থেকে আপনার ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে । আপনি যেখানে গিয়েছেন এবং তার আশপাশটা সুন্দর করে ঘুরেও দেখেছেন, এটা তো খুবই ভালো কথা ভাই। তাছাড়া, বাড়ির নিচে কাঁচা বাজারের দোকান থাকলে খুব বেশি একটা দূরে যেতে হয় না বাজার করতে। এক্ষেত্রে কিন্তু একটা সুবিধা হয়। যাইহোক, অনেক ভালো লাগলো ভাই, আপনার ঢাকা ঘোরার টুকটাক অভিজ্ঞতার কথা জানতে পেরে।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।