জেনারেল রাইটিং।। ভাগ্নের সাইকেল ক্রয় করতে যাওয়ার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৬/০৭/২০২৪) রোজ: শুক্রবার।
💞 শুভ রাত্রি 💞
আপনারা জানেন আমি ইতিপূর্বে আমার এই ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা অর্থাৎ এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি সাময়িক ছুটি নিয়েছি।
বর্তমানে দেশের যা অবস্থা তাতে কেউ ভালো আছে বলে আমার মনে হয় না। আবার ভালো নেই বললেও ভুল হবে। তবে গত সপ্তাহে খুবই বিরক্তিকর লেগেছিল। কেননা একদম পুরা বাংলাদেশ ব্যাপী নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটের সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এটা একটা সমস্যা গেল। আরো একটা সমস্যা যেটা এখনও স্বাভাবিকে আসেনি সেটা হচ্ছে কোটা আন্দোলন। আমি নিজেই একজন ছাত্র সেই সাথে এই কোটা আন্দোলনে আমি সহমত পোষন করছি। এই কোটা আন্দোলনে যারা রাজপথে নেমেছে , যে সকল ভাই ও বোনেরা । সাথে অভিভাবক সহ তাদেরকে আমি সর্বদাই স্যালুট জানাই। আমি মনে করি এটা আমাদের একটা ন্যায্য অধিকার। এই প্রসঙ্গে কথা বলে শেষ করা যাবেনা। তাই আর এই প্রসঙ্গে কথা বাড়াতে চাচ্ছি না।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
আজ প্রায় দুই সপ্তাহ গত হলো। ভাগ্নে সাইকেল কেনার বায়না ধরেছিল। দেখতেছি সে তার নানুর কাছে বলছে যে , নানু ভাই আমার একটা সাইকেল কিনে দাও। সে বলে সাইকেল কিনে না দিলে শেয়ার বাড়িতে যাবে না। সে বাড়িতে না গেলেও সমস্যা নাই। তাছাড়া তার যে দাবি সাইকেল কিনতে হবে । এই বাইনার কোন শেষ নেই। আর আমার এখন এইচএসসি পরীক্ষা চলছে । যদিও এখন পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। তবে গত দুই সপ্তাহ আগে। পরীক্ষার মাঝে ছুটিতে ভাগ্নের সাইকেল ক্রয় করার জন্য একদিন ঠিক করলাম। আমার ভাগ্নে এসেছিল শুক্রবারে। তাই শনিবারে একদম সকালের দিকে ১০ টা অব্দি আমি আব্বু সহ ভাগ্নে মোটরসাইকেল নিয়ে গাংনীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম সাইকেল কেনার জন্য। আমরা গাংনী বাজারে সিরাজ সাইকেল ঘর থেকে সাইকেলটি ক্রয় করেছিলাম। উপরে আপনারা যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে সিরাজ সাইকেল ঘরের ছবি।
এরপরে সাইকেল ঘরের যে কর্মচারী ছিল সে আমাদের তাদের সাইকেল গোডাউনে নিয়ে গেল। সেখানে আমাদের বিভিন্ন কোয়ালিটির সাইকেল দেখালো। আমার ভাগ্নে প্রথমে একটা সাইকেল দেখে তার অনেক পছন্দ হয়ে যায়। তারপরে সে বলে আমি এই সাইকেল টাই নিবো। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলো সাইকেলের একটি ছবি । মূলত এই ছবিটি সিরাজ সাইকেল ঘরের গোডাউন থেকে তোলা হয়েছে। আপনারা উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমার ভাগ্নে সে একটা সাইকেলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এবং তার ওই সাইকেল টাই পছন্দ। এমন সময় আমি উপরের এই ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। আমার ভাগ্নে যদিও ছোট। কিন্তু সবার একটা পছন্দ থাকে। আর আমার ভাগ্নের একটা জেদ আছে। সে যেটা বলবে সেটা নিতে হবে। তাছাড়া তার পছন্দ বাদে কোনো কিছু নিলে সে কখনো নিবে না। তাই তার পছন্দ অনুযায়ী সাইকেলটি গোডাউন থেকে বের করে নিয়ে আসা হলো।
এই সাইকেলটির মূল্য চেয়েছিল আমাদের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা। এ সাইকেল ঘরের সাথে আমাদের বিষয়টা পরিচিত এবং ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে আমরা আর দামাদামি না করে ১১,৭০০ টাকায় সাইকেলটি ক্রয় করলাম। তবে বর্তমানে বাজারে অনেক জিনিসের দাম বেশ ঊর্ধ্বগতিতে বেড়ে গিয়েছে। কেননা এই নঙ্গিয়ার সাইকেল গুলো আগে ১০ হাজারের নিচে ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো ১০ হাজারের উপরে গিয়েছে। এরপর একদম সাইকেলের টাকা পরিশোধ করে দেয়া হলো। তারপরে সাইকেল টি গো ডাউন থেকে বের করে নিয়ে আসার পরে সেখানে ওই সাইকেল ঘরের যে কর্মচারী ছিল সে সাইকেলটি খুব সুন্দর করে ঠিকঠাক করে দিল ।এমনকি সবকিছু ভালো করে চেকআপ করে সে খুব সুন্দর করে মেরামত করে দিল।
সাইকেল ক্রয় করায় সে তো একদম আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছে। এমনকি সাইকেল ঠিকঠাক করে দেওয়ার পরেই আমার ভাগ্নে তখনই বলছে মামা তুমি এখানে দাঁড়াও আমি একটু সাইকেল চালিয়ে নিই। আমি বললাম বাসায় গিয়ে চালাবে। কিন্তু সে এতই আনন্দ হয়েছিল যে সে বলছে আমি এখানে একটু চালিয়ে দেখবো। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। তারপরে সে নতুন সাইকেল পেয়ে সত্যিই অনেক খুশি তার দিকে তাকালে বোঝা যায়। আর ছোটদের এমন আবদার গুলো পূরণ করলে বেশি ভালো লাগে সাথে তাদের হাসিমুখটা দেখলেই যেন মনটা ভরে যায় তাছাড়া সাইকেলটি আমার ভাগ্নের জন্য কিন্তু সেই মানিয়েছে। সেই সাথে সে সাইকেল চালাতে খুব পারদর্শী। আমরা বাসা থেকে যেহেতু মোটরসাইকেলে গিয়েছিলাম। তাই সাইকেলটি ক্রয় করার পরে একটা পিকআপের ছাদে সাইকেলটি উঠে দেয়া হলো। এবং সে সাইকেলটা একদম বাসায় অব্দি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হলো। এরপরে আমরা মোটরসাইকেলে করে বাসায় আসলাম। আর সাইকেলটি একটা ভ্যান গাড়িতে করে নিয়ে আসা হলো।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাইকেল কেনা সুন্দর এক অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই অনুভূতি জেনে। ছোটদের জন্য কোন কিছু কেনা কাটা করা বেশ ভালো লাগে আর এতে তাদের মনে আনন্দ প্রদান করা সম্ভব হয়। যাইহোক অনেক ভালো লাগলো সুন্দর একটা পোস্ট দেখে।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন। ছোটদের কোনো কিছু কিনে দিলে তারা অনেক খুশি হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
ভাগ্নের সাইকেল কিনার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। সাইকেল পেয়ে তো দেখছি সে খুব খুশি হয়েছে। বেশ হাসি মুখেই সাইকেল চালাচ্ছে। সাইকেলটা ও খুব সুন্দর হয়েছে। আসলে এখন সবকিছুরই দাম একটু বেশি। তারপরও ভালো একটা দামে সাইকেল টা পেয়েছেন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন। আপনার মতামতটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।