জেনারেল রাইটিং || বাইক দুর্ঘটনা
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আসলাম। আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। আজকে আপনাদের সাথে বাইক দুর্ঘটনা শেয়ার করবো। পূর্ববর্তী সময়ে আমি আপনাদের মাঝে অনেক জেনারেল রাইটিং শেয়ার করেছিলাম যা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছিল৷ তাই আজকে আরো একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করব ।সেই জেনারেল রাইটিং একেবারে বাস্তবিক একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু কথা বলতে যাচ্ছি৷ তাহলে চলুন শুরু করা যাক৷ আমার এই জেনারেল রাইটিং হলো একটি বাইক এক্সিডেন্ট সম্পর্কে। সেটি আমার চোখের সামনে গতকালকে ঘটে গিয়েছিল৷ তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেরকম ঘটনা শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আসলে বাইক এক্সিডেন্ট কখনোই ভালো নয় এবং যেকোনো ধরনের এক্সিডেন্টে এর থেকে বাইক এক্সিডেন্ট একেবারে মারাত্মক হয়ে থাকে৷ সেরকম একটি ঘটনা যখন চোখের সামনে ঘটে তখন তার থেকে কষ্টের বিষয়ে আর কিছুই হতে পারে না৷
গতকালকে যখন আমরা পরিবারের সকলে মিলে বাজার থেকে বাসার দিকে ফিরছিলাম তখন গাড়িতে করে আমরা ছিলাম এবং বৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেকটাই রাস্তা পিচ্ছিল ছিল৷ একই সাথে এখন একটু রাস্তার কাজ চলছে তাই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত রয়েছে৷ যখন সেখানে গাড়ি গুলো পড়ে তখন নিজেদের কাছে যেন একটু ভয় কাজ করতে থাকে। এই বড় বড় গর্তগুলোর মধ্যে যখন বড় বড় গাড়ি গুলো পড়ে তখন তাদের তেমন একটা অসুবিধা হয় না৷ তবে যখন ছোট গাড়িগুলো সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে তখন সেগুলো একেবারে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকে। একইসাথে সেটি অনেক বিপদজনক হয়ে থাকে৷ যদি সে ক্ষেত্রে কোন বাইকের কথা বলা হয় তাহলে তার কোন কথাই নেই। বাইক তো একেবারেই হাই রিস্কে চলতে থাকে।
যখন আমরা গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম তখন পিছন থেকে একজন বাইকার অনেক দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল৷ সে এতটাই দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল যে একেবারেই বলার বাইরে৷ আসলে এরকম একটি রাস্তার ভিতর এত জোরে বাইক চালানো কখনো ঠিক নয়। ভালো রাস্তায় এরকম জোরে কেউই বাইক চালানোর শাহস করে না। যখন সে এত দ্রুত গতিতে রাস্তার উপর দিয়ে এবং বড় বড় গর্তের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তখন আমাদের নিজের কাছে একটা অন্যরকম ভাবনা তৈরি হয়ে গেল৷ যেভাবে এই ব্যক্তি বাইক নিয়ে যাচ্ছে সে হয়তো এখন এক্সিডেন্ট করে দিবে৷ এই কথা বলতে না বলতেই সে সামনে আমাদের সামনে এক পলকে একটি গাড়ির পাশে গিয়ে ধাক্কা মারে এবং সে সাথে সাথে সেখানে পড়ে যায়৷
পড়ে যাওয়ার পরবর্তীতে তার পিছনে যে বাচ্চা ছিল সেই বাচ্চার মাথার অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়৷ তার মাথা এতটাই খারাপ ভাবে আঘাত পেয়েছিল যে তার মাথার যে সকল চামড়া গুলো রয়েছে সব কিছুই একেবারে দেখা যাচ্ছে৷ তার মাথা দিয়ে রক্ত খুব দ্রুত পড়ছিল৷ যা দেখে একেবারে অন্যরকম মনে হচ্ছিল৷ নিজের মনের মধ্যে খারাপ লাগা কাজ করছিল৷ আসলে এরকম দুর্ঘটনা আমরা কখনোই কোথাও দেখিনি৷ আর চোখের সামনে এরকম অনাকাঙ্খিত বাইক দুর্ঘটনা ঘটে যাবে ভাবতেই পারিনি৷ একইসাথে পেছনে থাকা সে বাচ্চাকে দেখে একেবারে কষ্টে ভেঙে পড়লাম৷ অনেক মানুষই সেখানে তাদের সেই দুর্ঘটনা দেখে দৌড়ে আসছিল৷ সেখানে বাজার থাকার কারণে অনেক মানুষ এদিক সেদিক থেকে দৌড়ে এসে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য আসছিল। সে যেভাবে বাইক চালাচ্ছিল এখানে সব দোষ বাইক চালকের৷ অন্য যে গাড়ি চালক রয়েছে তার কোন দোষই নেই৷ সে যেভাবে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল শেষ পর্যন্ত যখন সে তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে৷ গাড়িতে ধাক্কা মারে এবং সেই ছোট বাচ্চার বয়স সাত থেকে আট বছর হবে এবং তার মাথা এতটাই খারাপ ভাবে রাস্তার উপরে পড়ছিল যার ফলে তার মাথায় সবকিছুই যেন বের হয়ে আসছিল৷ যা মুখে বলা প্রকাশ করা যাবে না৷ আজকে এই পর্যন্তই৷
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ২১.০৬.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1803979236249866334?t=fX2VkG_gIkpXJ9F8dvT3Cg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি ভালোবাসা সব সময় আমাকে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য।
কি ভয়ংকর দূর্ঘটনার দেখেছেন ভাইয়া।আসলে মানুষ যে কেমন যেখানে ছোট বাচ্চা থাকলে বেশি সাবধানে বাইক চালানোর কথা সেখানে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে বাচ্চার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসলো।আসলে ওই বাইকারের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। চোখের সামনে এরকম দূর্ঘটনা দেখলে সত্যি অনেক খারাপ লাগারি কথা ঘটনাটি শুনেই আমার খারাপ লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে বাইক এক্সিডেন্টের ঘটনাটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মন্তব্য আমার এই পোস্টে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
শুধু বাচ্চাটার কথা চিন্তা করে বেশি খারাপ লাগছে। আসলে মানুষ কেন যে এত দ্রুতগতিতে বাইক চালায় সেটাই বুঝিনা তাও আবার ছোটদের নিয়ে।
আমি যখন তাকে সামনাসামনি দেখি তখন আমার নিজের কাছেও অনেকটাই খারাপ লেগেছিল।
বর্তমান সময়ে বাইক দূর্ঘটনার সংখ্যা অনেক টা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সময়ে ছেলেদের বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর জন্য বেশিরভাগ সময় বাইক দূর্ঘটনা হয়ে থাকে।আর বিশেষ করে নেশা করে বাইক চালানোর জন্য ও প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ বাইক এক্সিডেন্ট হচ্ছে। আমাদের কে এসব জিনিস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে বাইক চালাতে হবে।
ধন্যবাদ এরকম সুন্দর ও গোছালো একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আজকে আপনি সচেতনতামূলক একটি পোস্ট নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। আমি মনে করি বাইক আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণে চালানো উচিত, ছোট বাচ্চাকে পিছনে রেখে খুব দ্রুত বাইক চালানো এগুলো বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। বাইকের দুর্ঘটনা গুলো খুবই ভয়াবহ হয়ে থাকে। তাই সবাইকে সচেতন থাকা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একেবারেই সঠিক কথা বলেছেন৷ খুব সুন্দর কিছু কথা আপনার মন্তব্য এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
যখন রাস্তাঘাটে বের হই তখন অনেক ভয় লাগে বাইকগুলো এত স্পীডে আসে মনে হয় নিজেদের গাড়িতে ধাক্কা লাগিয়ে দিবে। এই ইয়াং জেনারেশন গুলো কি মনে করে জানিনা। হয়তো বাইক পেলে তাদের রক্তে আগুন ধরে যায়। যত বাইক এক্সিডেন্ট দেখেছি তারা কিন্তু সাথে সাথে ঘটনাস্থলে মারা যায়। আপনার ঘটনাটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। বাইক থাকে একটু সাবধানে থাকবেন তাহলে নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারবেন।
আসলে তারা মনে করে যেন বাইক পেয়েছে তো তারা প্লেন পেয়ে গিয়েছে।
অসাবধানতায় হলো সকল দুর্ঘটনার মূল কারণ আর কথায় আছে যত গতি তত ক্ষতি। আমারা যখন বাইক নিয়ে বের হয় তখন আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়। বাইক হাতে পেলে আস্তে ধীরে চালাতে মন চায় না। অনেকে আবার বলে বাইক যত জোরে চালানো যাবে ততো মজা পাওয়া যাবে। আসলে ভাই দুর্ঘটনার বলে আসেনা তাই আমাদের সকলের উচিত সাবধান হয়ে চলা। আমরা সবাই মিলে যদি একটু সাবধান হয়ে চলি তাহলে এরকম অবস্থার মুখে পড়তে হয় না। আসলে চোখের সামনে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা দেখলে খুবই কষ্ট লাগে।
ধন্যবাদ আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য আমার এই পোস্টে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
সু স্বাগত ভাই ভালো থাকবেন।