নাটক রিভিউ : - "যে প্রেম এসেছিল"
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করবেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে প্রকাশ করব একটি নাটক এর রিভিউ। এই নাটকের নাম হলো যে প্রেম এসেছিল
নাটকের নাম | যে প্রেম এসেছিল |
---|---|
পরিচালক | রাফাত মজুমদার রিংকু |
লেখক | সোহালি রহমান |
অভিনয় | ইয়াশ রোহান, তানজিম সায়রা তটিনি |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট ২৪ সেকেন্ড |
মুক্তির তারিখ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
প্রথমে আমরা নায়িকাকে দেখতে পাই। নায়িকা একটি চায়ের দোকানে এসে চা খাচ্ছিল। তখন সেখানে নায়ক এসে দাঁড়ায৷ তখন নায়ক তাকে জিজ্ঞাসা করে সে এভাবে বউয়ের সাজে কেন এখানে বসে আছে৷ তখন নায়িকা বলে সে বিয়ে করতে চায় না তাই সে বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে৷ তাই এখানে বসে চা খাচ্ছে৷ তখন নায়কও বলে সেও বিয়ে করতে চায় না৷
তাই সেও বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছে৷ তখন নায়িকা তাকে জিজ্ঞেস করে সে কোন বাসায় সে বিয়ে করতে যাচ্ছে৷ তখন নায়ক নায়িকাদের বাসার ঠিকানা বলে৷ তখন নায়িকা বুঝতে পারে কাকে বিয়ে করতে যাচ্ছিল৷ তখন তারা দুজনে একসাথে বসে সেখানে গল্প করতে থাকে এবং দুজনে মিলে অনেক ধরনের মজা করতে থাকে৷ দুজন দুজনের সাথে অনেক কথা বলতে থাকে৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
যখন নায়িকার বাসা থেকে সকলে চলে গেল তখন নায়িকা বাসায় আসলো এবং নায়িকার মা তাকে খুবই ভালোবাসতো৷ তাই নায়িকার মা কখনোই তার প্রতি রাগ করে না৷ তিনি নায়িকাকে খুব ভালোভাবে জিজ্ঞাসা করলেন কোথায় গিয়েছিল৷ তখন নায়িকা বলে সে বিয়ে করবে না তাই সে বাসা থেকে পালিয়ে চায়ের দোকানে বসে ছিল৷ তখন নায়িকা বলে তার অনেক ক্ষুধা লেগেছে, তাই নায়িকার মা তাকে খাবার দিয়ে দিল খাবার জন্য৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এবার নায়িকা একদিন ডাক্তারের কাছে আছে। তখন সে সেখানে নায়ককে দেখতে পায়৷ নায়ক সেখানে বসে আছে৷ তাকে দেখে নায়িকা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেনি৷ পরে নায়কের সাথে অনেকক্ষণ বসে কথাবার্তা বলতে থাকে৷ এভাবে তাদের অনেকটাই ভাব হয়ে যায়৷ তারা দুজনে আবার তাদের আগের দিনের কথাগুলো বলছিল এবং কেনো তারা দুজনে বিয়ে করা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে বিষয়টিও আলোচনা করতে লাগলো৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এবার নায়ক এবং নায়িকা একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করে। তাদের ধীরে ধীরে ভাব হতে থাকে। তারা দুজনে দুজনের সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা শেয়ার করতে থাকে৷ দুজনে মেলামেশা করতে থাকে৷ দুজনে মিলে একসাথে বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতে থাকে৷ তারা দেখা করার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে আসল৷ অনেকক্ষণ যাবত কথা বলার পর তারা আবার বাসায় চলে গেল৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
অন্য একদিন নায়িকাকে একটি পাত্রের সাথে দেখা করার জন্য নায়িকার মা বলেছিল। তখন নায়িকা একটা রেস্টুরেন্টে গেল সেই ছেলের সাথে দেখা করার জন্য৷ তখন সেই ছেলেটি সেখানে অনেকটাই ভাব নিয়ে কথা বলছিল। নায়িকা এরকম ভাবওয়ালা ছেলেদের পছন্দ করে না৷ তাই সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পরে তার কথাবার্তা আর নায়িকার কাছে ভালো লাগে না৷ যখন নায়িকার কাছে তার কথাবার্তা আর ভালো লাগলো না সে সেখান থেকে তার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
পরদিন তারা দুজনে আবার একটি দোকানের সামনে এসে ফুচকা খাচ্ছিল৷ নায়িকা যেভাবে ঐ ব্যক্তিটির সাথে দেখা করতে গিয়ে ব্যক্তিটি থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলো সেই বিষয়টিও সে নায়কের সাথে শেয়ার করে৷ তারা দুজনে খুবই ভালোভাবে মেলামেশা করতে থাকে এবং তাদের মধ্যে ভাব আরো বেশি পরিমাণে বেড়ে যেতে থাকে।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এবার নায়িকা তাকে বিয়ের জন্য রাজি হয়৷ সে তখন পুরোপুরি রাজি ছিল না৷ যখন নায়িকার বাবা-মা তাকে ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করল এবং নায়কের বাবা-মাও তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিল তখন সে বিয়ে করার জন্য রাজি হল এবং পরে খুব সুন্দরভাবে সকলে মিলে একসাথে বিয়ে হয়৷ যখন তাদের দুজনের বিয়ে হয়ে যায় তখন তারা দুজনেই অনেক খুশি হয়৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তারা দুজনে ছাদে গিয়ে কথাবার্তা বলতে থাকে। তখন নায়িকা বলতে থাকে সে কখনো বিয়ে করতে চায় না। কারণ সে ছেলেদেরকে কোনভাবে পছন্দ করে না। ছেলেরা কখনোই ভালো হয় না। ছেলেরা সবসময় মেয়েদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে৷ মেয়েদেরকে খেলনা মনে করে। তখন নায়ক তাকে খুব ভালোভাবে সবগুলো বিষয় বুঝিয়ে দেয়৷ কিছু কিছু ছেলে খারাপ হতে পারে তাই বলে সব ছেলেরাই খারাপ হবে এমন কখনো হতে পারে না৷ যখন নায়ক সবগুলো বিষয় নায়িকাকে বুঝায় তখন নায়িকাও সব বিষয় বুঝতে পারে এবং এভাবে তাদের সুন্দরভাবে মিল হয়ে যায়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকটি অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রথমে যখন এই নাটকের নামটি আমি দেখতে পাই তখনই খুব ভালো লাগে৷ এই নাটকটি দেখার ইচ্ছে অনেকটাই বেড়ে যায়৷ যখন এই নাটকটি আমি দেখে নিই তখন এই নাটকের সবকিছু আমি ভালোভাবে বুঝে নিই৷ এই নাটকের মধ্যে প্রথমে যখন নায়িকা বিয়ে না করার জন্য বাসা থেকে পালিয়ে গেল এবং পরে তারা দুজনে চা দোকানে এসে বসে তখন তাদের দুজনকে একসাথে খুব ভালো দেখাচ্ছিল৷ পরে যখন তাদের মিল হয়ে গেল তখন খুব ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দরভাবে তারা দুজনে একসাথে দেখা করল, মেলামেশা করল এবং এভাবে শেষ পর্যন্ত তখন তাদের বিয়ে হয়ে গেল৷ নায়িকা ভুল বিশ্বাসটি ভেঙ্গে গেল৷ তখন খুব সুন্দর ভাবে এই নাটকটি শেষ হয়ে গেল এবং দুজনের মিল হয়ে গেল৷
নাটকের লিংক ↓ ↓ ↓
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অনেক ভালোবাসা রইল আমাকে সাপোর্ট করার জন্য।
https://twitter.com/bijoy1__2023_SB/status/1747442680119108016?t=RZFO1MSmsouho5J9CMX_hA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার মুল্যবান সাপোর্ট পেয়ে আমি অনেক খুশি।
রোমান্টিক নাটক গুলো দেখতে একটু বেশি ভালো লাগে। যে প্রেম এসেছিল এই নাটকটি আমি দুইবার দেখেছি। ইয়াশ রোহান এবং তোটিনীর অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার রিভিউ দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ অসাধারণ একটি নাটক খুব ভালো লাগলো নাটকের রিভিউ পড়ে। ধন্যবাদ সবার উদ্দেশ্যে এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য। ভালো থেকো সব সময়।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাটকের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম প্রেমের কাহিনী জড়িত নাটকগুলো আমার খুবই প্রিয়। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখে নিবো।
নাটকটি অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে নিলে খুশি হব।
বাংলাদেশের নাটক মানেই আলাদা মজার ও শিক্ষনীয়।যেটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।এই নাটকের কাহিনীটি সুন্দর, সত্যিই সব ছেলে কিংবা সব মেয়ে ভালো হয় না।শেষে ভালোবাসার মিল হলো,ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য তুলে ধরার জন্য।
মাঝেমধ্যে নাটক দেখতে ভালই লাগে। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। যদিও এই নাটকটি দেখা হয়নি তবে রিভিউ পড়ে আমার কাছে নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার মুল্যবান মন্তব্য পড়ে আমি অনেক খুশি হলাম।
যে প্রেম এসেছিল এই নাটকটি আমি ল্যাপটপের মধ্যে দেখেছিলাম। নাটকের প্রথম সিনটা আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগলো। যখন বিয়ে ভাঙ্গার জন্য পালিয়ে গিয়ে ছেলেকে বলতেছিল ওদের বাড়িতে না যাওয়ার জন্য ওই ব্যাপারটা। এরকম নাটকগুলো মাঝেমধ্যে দেখতে আমার কাছে ভালো লাগে। আর আপনার নাটকের রিভিউর পুরো পোস্ট
টিও অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করলেন।
সবসময় মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।