ভ্রমণ :- "সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর চারপাশে কিছু জায়গা" পর্ব - ২০
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
আজকে আবার আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম একটি ভ্রমণের পোস্ট নিয়ে৷ আশা করি আজকের এই পোস্ট আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে। গত পর্বে আমি বঙ্গবন্ধু কর্নারে যে সময় ও মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছিলাম তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম৷ আজকে আবার যখন জাদুঘর থেকে বের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আরো কিছু সময় অতিবাহিত করলাম৷ সেই কিছু স্মৃতি আমি আপনার মাঝে তুলে ধরব৷
যখন জাদুঘর থেকে বের হয়ে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান করি তখন সেখানে অনেক মানুষ ছিল । প্রতিনিয়ত মানুষের আনাগোনা বাড়ছিল৷ আমরা যখন জাদুঘরের ভিতরে ছিলাম তখনও সেখানে অনেক মানুষ ছিল। মানুষজন শুধু প্রবেশ করছিল এবং বের হয়ে যাচ্ছিল৷ এরপর যখন সকলে বের হতে হতে আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসলাম তখন সেখানে এত মানুষ দেখে একদমই অবাক হয়ে গেলাম। একসময় সেখানে এত কম মানুষ ছিল যাদেরকে ঠিকমতো গোনা যেত। এরপর এত মানুষ হয়ে গিয়েছে যেদিকে তাকাই সেদিকে শুধু মানুষ৷ তারা অনেকে বসে বসে কথা বলছিল। অনেকে হাটাহাটি করছিল।
তখন আমরা সেখানে খুব সুন্দর একটি জিনিস দেখতে পাই৷ সেখানে খুব সুন্দরভাবে আগুন দেখা যাচ্ছিল এবং এটি আমরা সকালেও দেখেছিলাম৷ তবে সকালবেলা খুব একটা বেশি এটিকে দেখা যায়নি৷ যখন জাদুঘর থেকে বের হয়ে একটু বিকেলের দিকে দেখে নিলাম তখন এটি খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছিল এবং কিছুটা অন্ধকার হওয়ার কারণে এই আগুনকে খুব সুন্দরভাবে দেখা যাচ্ছিল। একইসাথে এর যে ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন এটি এই ক্যামেরার মধ্যে খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে৷
যখন আমরা সেখানে হাঁটতে হাঁটতে একটু সামনের দিকে গেলাম তখন সেখানে কিছু মানুষকে দেখতে পেলাম যারা স্কেটিং করছে৷ সেখানে অনেকজন মানুষ তাদের স্কেটিং করা দেখছিল এবং ছোট থেকে বড় অনেকেই সেখানে স্কেটিং করছিল৷ তখন আমরাও অনেক আগ্রহের সাথে তা দেখছিলাম৷ খুব সুন্দর ভাবে তারা সকলকে বিনোদন দিচ্ছিল এবং অনেক প্র্যাকটিস করছিল৷ যারা নতুন ছিল তাদেরকে একটু বেশি করে নজর দেওয়া হচ্ছিল এবং সেইদিন বন্ধের দিন ছিল তাই অনেক ছোট বাচ্চারাও স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বিকেল বেলা সেখানে এসেছিল৷
যেখানে আমরা স্কেটিং খেলা দেখছিলাম তখন বড়রা মিলে একটি প্ল্যান করল যে সেখানে তারা ঘুরে ঘুরে একটু মানুষকে মজা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তখন সেখানে একজন ক্যাপ্টেনের মতো লোক ছিল যে সকলকে নির্দেশনা দিচ্ছিল এবং সে খুব ভালোভাবেই সবাইকে নির্দেশনা দিতে দিতে এক পর্যায়ে সকলকে ঘুরিয়ে খুব সুন্দরভাবে একটি গোলাকার আকৃতি ধারণ করল৷ যখন ঘোরা শেষ হয়ে গেল তখন তারা মানুষ এর কাছ থেকে রিভিউ নিচ্ছিল যে তাদের এই স্কেটিং করা কেমন লেগেছে৷ তারা স্কেটিং সম্পর্কে অনেক কিছুই বলছিল যে এটি একদিকে যেমন করতে পারলে অনেকটাই সহজ৷ অন্যদিকে এটি করতে অনেকটাই রিস্ক রয়েছে৷ এর কিছুক্ষণ পরে ছোট বাচ্চা দুটি একজনের সাথে আরেকজন ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল এবং তারা কিছুটা ব্যথা পেল৷
তবে যে ক্যাপ্টেনের মত ব্যক্তিটি ছিল সে সকলকে নির্দেশনা দিয়ে আবারও তাদেরকে দেখাচ্ছিল, কিভাবে করলে তারা কোন দুর্ঘটনা শিকার হবে না এবং এভাবে তারা অনেক প্র্যাক্টিস করতে থাকে। তা আমরা অনেকক্ষণ দেখে নিলাম৷ এরপর কিছুক্ষণ পরে আমরা সেখান থেকে চলে গেলাম৷ সেখানে একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রোগ্রামের কারণে ওই উদ্যানে অনেকজন মানুষ এসেছিল এবং সকলে সেখানে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করছিল। এরপর আমরা ক্লান্ত হয়ে যাই এবং এই প্রোগ্রামে গিয়ে বসে গেলাম৷ আজ এই পর্যন্ত।
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
মোবাইলের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
মডেল | এ ১৩ |
ক্যাপচার | @bijoy1 |
অবস্থান | নিজ বাড়ি |
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
https://twitter.com/bijoy1__2024_SB/status/1761573026834108825?t=Rv_Us7Zf2EDACbkBl_qRMQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক ধন্যবাদ আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করার জন্য।।
এটা জেনে ভালো লাগলো যে জাদুঘর থেকে বের হয়ে আপনারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন এবং সেখানে সবসময়ই মানুষের এরকম ভিড় থাকে। অনেকদিন আগে আমরাও গিয়েছিলাম আমরা গিয়ে সেখানে অনেক মানুষ দেখেছিলাম। যাই হোক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আশেপাশের দেখে ভালো লাগলো। বিকেল বেলা সেখানে খেলাধুলা করার জন্য এবং প্র্যাকটিস করার জন্য অনেক বাচ্চাদের আগমন ঘটে আপনারাও সেটা দেখেছেন নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য।
২, ৩ ঘন্টার ব্যবধানে মানুষ অনেক বেড়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঐতিহাসিক উদ্যান এর ভেতর থেকে কয়েকদিন আগেই ঘুরে এসেছি ভাই আপনিও দেখছি ঘুরেছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর একটি মন্তব্য তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জায়গাটি আমার খুবই পরিচিত। আমি এখানে অনেক সময় কাটিয়েছি। আগুনের চুল্লিটার পাশে দাড়িয়ে অনেক ছবি তুলেছি। আপনি সেখানে গিয়ে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ।
আপনি এই স্থানে অনেক সময় কাটিয়েছেন শুনে আমারও অনেক ভালো লাগলো।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটোগ্রাফি দেখে কত স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমার বাসা থেকে এই জায়গাটি খুবই কাছে আর সেজন্য সপ্তাহে দুএকবারই সেখানে ঘুরতে যাওয়া হতো। এই জায়গাটা অনেক বড় এরিয়া নিয়ে রয়েছে আর সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের ছোয়া পাওয়া যায় বলে অনেক ভালো লাগে। সেখানে যে আগুন দেখেছেন তা সবসময়ই জ্বলে থাকে। বিশেষ করে এই সময়টাতে সেখানে ঘুরতে গেলে বেশি ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
বাহ! তাহলে তো আপনি প্রতিদিন এই স্থানে যেতে পারেন। বেশ ভালো লাগলো শুনে।।
বাহ এর আগের পর্বগুলো দেখিনি তবে আপনি ২০ তম পর্ব শেয়ার করলেন ভালো লাগলো। আপনি সু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক ঘোরাফেরা করলেন। তাছাড়া সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দৃশ্য গুলো দেখতে পেয়েছি। আপনার অনুভূতিটা অসাধারণ ছিল বেশ সুন্দরভাবে বর্ণনা করলেন। বিস্তারিত পড়ে খুব ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ! শুনে খুব খুশি হলাম। এই পর্ব আপনার অনেক পছন্দ হয়েছে শুনে খুব ভালো লাগলো।