নাটক রিভিউ : - "লাফাঙ্গা জামাই"
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করবেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে প্রকাশ করব একটি নাটক এর রিভিউ। এই নাটকের নাম হলো লাফাঙ্গা জামাই
নাটকের নাম | লাফাঙ্গা জামাই |
---|---|
পরিচালক | সাইদুর রহমান সবুজ |
লেখক | আবিদ আবরার |
অভিনয় | শোয়েব শান্ত, লামহা আনসু সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ্য | ৩৯ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ |
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
প্রথমে আমরা নাটকের মধ্যে নায়ক এবং নায়িকাকে দেখতে পাই৷ তারা দুজনে দুজনকে অনেক ভালোবাসতো৷ কিন্তু নায়ক নায়িকার বাবার দোকানে কাজ করতো৷ তাই নায়িকার বাবা তাকে দেখতে পারত না এবং একদিন তারা যখন দোকানে কথা বলছিল তখন নায়িকার বাবা তাদেরকে দেখতে পায় এবং তাদেরকে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷ নায়িকা কিছু বলার আগেই নায়িকাকেও তার বাবা ধমক দিয়ে দেয়৷ এভাবে কিছুক্ষণ তাদের কথাবার্তা চলতে চলতে এক পর্যায়ে নায়কের সাথে নায়িকার বাবার ঝগড়া হয়ে যায়৷ তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে৷ তখন নায়ক সেখান থেকে চলে যায় এবং নায়িকার বাবাও তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
নায়ক আগে মুদি দোকানে থাকতো৷ সেই দোকান থেকে যখন তাকে বের করে দেওয়া হলো সে এখন একটি মুরগির দোকানে গিয়ে চাকরি করে৷ সেখানে সে সকল ধরনের কাজ করতে থাকে৷ একদিন নায়িকা তার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য এসেছিলো৷ তখন সে নায়ককে বলে তার বাবার দোকান ছেড়ে কেন এসেছে, এরকম দুর্গন্ধযুক্ত একটি জায়গায়৷ সে কিভাবে কাজ করে৷ তখন নায়ক বলে তার বাবার দোকানে সে কখনোই কাজ করবে না৷ তখন নায়িকা তাকে ভালোভাবে বুঝাতে থাকে৷ তবুও সে মুরগির দোকানে চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেয়৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
একদিন নায়িকা নায়ককে তার বাবার কাছে আবার তাদের দোকানে নায়কের চাকরি দেওয়ার জন্য আনে। নায়িকার বাবা প্রথমে কিছুটা রাগান্বিত হলেন৷ তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে৷ তখন তিনি অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে যান এবং সাথে সাথে তাকে মানা করে দেন এবং নায়কও সেখান থেকে রাগ করে চলে যায়৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এবার অন্য একদিন নায়িকা যখন তার বাবার জন্য খাবার নিয়ে আসলো তখন সেখানে নায়ক এবং নায়কের একজন বন্ধু এসে নায়িকার বাবাকে তাদের বিয়ের কথা বলে৷ তবে নায়িকার বাবা কখনো বিয়ের জন্য রাজি হয় না। তখন নায়ক নায়িকার সাথে যেসকল সেলফিগুলো তুলেছিল সেই ছবিগুলো তার বাবাকে দেখিয়েছিল৷ তখন তিনি আরো রাগান্বিত হয়ে যান এবং নায়িকাও তখন অনেক রাগান্বিত হয়ে যায়৷ তখন সে নায়ককে চড় মারে এবং বলে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এবার অন্য একদিন যখন নায়িকা তার বাবার জন্য খাবার নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তখন নায়ক নায়িকার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে৷ নায়িকা তার সাথে কথা বলার জন্য রাজি ছিল না৷ কারণ সে এখন নায়ককে অনেক ঘৃণা করে এবং সে এখন কোনমতে নায়কের সাথে কথা বলতে চায় না৷ সে সবসময়ই নায়ককে এড়িয়ে চলতে থাকে৷ যখনই নায়কের সাথে তার দেখা হয় তখন সে নায়কের এড়িয়ে চলে যায়৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
নায়িকার বাবা নায়িকার বিয়ের জন্য একজন ছেলের প্রস্তাবে রাজি হন৷ তখন নায়ক সেই বিষয়টি জানতে পারে৷ যখন পাত্র রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল তখন নায়ক এবং নায়কের বন্ধু জিজ্ঞেস করেছে নায়িকাকে সে বিয়ে করছে কিনা৷ তখন সে বলে হ্যাঁ করছি কি হয়েছে৷ তখন নায়ক বলে তাকে বিয়ে না করার জন্য। তখন সেই অনেকটাই বাঁকা কথা বলতে থাকে৷ এভাবে কথা বলতে বলতে একটা সময় তারা ওই পাত্রকে মারতে শুরু করে এবং তাকে এতটাই মেরছে তার মাথাই ফেটে যায়৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
নায়ক পাত্রকে মারার খবর শুনে নায়িকার বাবা তাদের বিয়ে সাথে সাথে করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ তখন তাদের বিয়ে হয়েছিল এবং নায়িকাও রাজি হয়ে যায়৷ নায়িকার বিয়ের কথা শুনে নায়ক সেখানে চলে এসেছিল৷ সে এবং তার বন্ধু দুজনে নায়িকাকে বলছে বিয়ে না করার জন্য৷ তবে নায়িকা কোনোভাবেই তাদের কথা শুনছিল না৷ সে তার বাবার ঠিক করা পাত্রকে বিয়ে করে সেখান থেকে চলে যায় এবং নায়ক সেখানে অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত
প্রথমে যখন আমি এই নাটকটির নাম দেখতে পাই তখন মনে করেছিলাম যে এই নাটক একটু লাফাঙ্গা টাইপের হবে৷ যখন পুরো নাটকটি আমি দেখে নিই তখন খুবই ভালো লাগলো৷ প্রথমেই নায়িকা নায়ককে অনেক বেশি ভালোবেসেছে৷ যখন থেকেই নায়ক তার বাবাকে তাদের ছবিগুলো দেখায় তখন থেকেই নায়কের প্রতি তার ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে৷ সেখান থেকেই তাদের বিচ্ছেদের শুরু। যখন থেকে নায়ক তার বাবাকে ওই ছবিগুলো দেখায় তখন থেকে নায়িকা তার সাথে কোনমতেই কথা বলত না৷ এভাবেই অনেক দিন চলতে থাকে৷ একপর্যায়ে নায়িকার বিয়ে হয়ে যায়৷ তখন নায়ক অনেক কষ্ট পেতে থাকে এবং যেখানে অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে৷ এভাবেই দুজন দুদিকে চলে যায় এবং তাদের কোনভাবেই মিল হয় না। এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়
নাটকের লিংক ↓ ↓ ↓
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
নাটকের টাইটেল দেখে আমি ভেবেছিলাম নাটকটা হয়তো অন্যরকম হবে। তবে নাটকের রিভিউ টা পড়ে দেখলাম, নাটকটা আমার ধারণনার থেকে ভিন্ন। তারা দুজন একে অপরকে অনেক বেশি ভালোবাসলেও নায়ক নায়িকার বাবাকে ছবিগুলো দেখিয়ে দিয়েছিল। যার কারণে নায়িকা নায়ক কে ঘৃণা করতে শুরু করে। আর নায়িকার বাবা অন্য একটা ছেলের সাথে নায়িকার বিয়ে ঠিক করে দেয়। নায়ক এবং তার বন্ধু ওই ছেলেটাকে মারধর করলেও শেষ পর্যন্ত নায়িকার বিয়ে হয় বাহিরের ছেলের সাথে নায়কের সাথে না হয়ে। আর এতে নায়ক অনেক কষ্ট পেয়েছিল। নাটকের পুরো কাহিনীটা সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দেখে পুরোটা পড়তে ভালো লেগেছে।
আপনিও আপনার সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সবগুলো বি ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অসম্ভব ভালোবাসা রইল আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য।
https://twitter.com/bijoy1__2023_SB/status/1744905129713967375?t=9A82vOiQgXPMb9XqVUjYBA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার মুল্যবান সাপোর্ট পেতে আমার অনেক ভালো লাগে।
বাংলাদেশের নাটকগুলো খুব বেশি একটা দেখা হয়ে ওঠে না। তবে নাটকের একটা বিষয় বেশ খারাপ লাগলো যে, শেষ পর্যন্ত দুজনের ভালোবাসার মিলন হলো না। যাই হোক আপনি বেশ সুন্দর এবং গুছিয়ে নাটকের রিভিউ করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখা নাটক রিভিউ পড়ে।
আপনার এই মন্তব্য পড়েও আমার অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ।
চমৎকার একটি নাটক আজকে আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন ভাইজান। ভালো লাগলো আপনার এই নাটক রিভিউটা। আসলে এই জাতীয় নাটক গুলো আমার খুবই ভালো লেগে থাকে। তাই আমিও চেষ্টা করি এ জাতীয় নাটকগুলো দেখার।পাশাপাশি রিভিউ করতেও ভালো লাগে।
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
লাফাঙ্গা জামাই নাটকটা যদিও আমার দেখা হয়নি, তবে রিভিউটা পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। শান্ত এবং লামহা অনেক সুন্দর নাটক করে এবং তাদের অভিনয়ও অনেক বেশি সুন্দর হয়। এই নাটকের মধ্যেও তারা দুইজন খুব ভালো অভিনয় করেছে। ছবিগুলো দেখানোর পর থেকে দেখছি নায়িকা নায়ক কে আর দেখতে পারত না, অর্থাৎ সে তাকে ঘৃণা করত। আর শেষ পর্যায়ে নায়িকার বিয়ে হয়ে যায় অন্য আরেকটা ছেলের সাথে। এটার জন্য নায়কের অনেক বেশি কষ্ট হয়েছিল। আর এরই মধ্যে নাটকটা শেষ হয়ে যায়। অনেক সুন্দর করে পুরো নাটকের রিভিউ টা তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনিও খুব সুন্দর একটি মন্তব্য তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাটক আমি ফ্রি সময় দেখতে ভীষণ পছন্দ করি। লাফাঙ্গা জামাই নাটক দেখেছি এধরনের অভিনয় আমার কাছে ভালো লাগে। বেশ সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করেছেন। আবারো আপনার পোস্ট দেখে নাটকটি দেখা হয়ে গেলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। সবসময় সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ভালো লাগলো।
আপনার নাটকটির রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো।নাটকটি বেশ হাসির ছিল,কাহিনীটি ভালো লেগেছে আমার।আপনি বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য তুলে ধরার জন্য। অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে।
বাংলাদেশের নাটকগুলো বেশ মজার ও শিক্ষনীয় হয়ে থাকে।এই নাটকটিও বেশ সুন্দর তবে শেষে ভালোবাসার মিল হলো না যেটা খারাপ লাগলো।নায়কের বন্ধু যদি ঐ ছবিগুলো না দেখাতো হয়তো এত দ্রুত নায়িকার বিয়ে হয়ে যেত না।ভালোই রিভিউ করেছেন,ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।